চিনা বটেরা
চিনা বটেরা Coturnix coromandelica | |
---|---|
![]() | |
চিনা বটেরা Coturnix coromandelica | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | Animalia |
পর্ব: | কর্ডাটা |
শ্রেণী: | পক্ষী |
বর্গ: | Galliformes |
পরিবার: | Phasianidae |
উপপরিবার: | Perdicinae |
গণ: | Coturnix |
প্রজাতি: | C. coromandelica |
দ্বিপদী নাম | |
Coturnix coromandelica (Gmelin, 1789) |
চিনা বটেরা বা বৃষ্টি বটেরা (Coturnix coromandelica) (ইংরেজি: Rain Quail) ফ্যাজিয়ানিডি (Phasianidae) গোত্র বা পরিবারের অন্তর্গত কোটারনিক্স (Coturnix) গণের এক প্রজাতির বুনো কোয়েল।[১] এরা দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার স্থানীয় পাখি। প্রায় ২৯ লক্ষ বর্গ কিলোমিটারএলাকা জুড়ে এদের আবাস।[২] আই. ইউ. সি. এন. এই প্রজাতিটিকে Least Concern বা আশঙ্কাহীন বলে ঘোষণা করেছে।[৩] বিগত কয়েক বছরে এরা সংখ্যায় বাড়েনি আবার আশঙ্কাজনক হারে কমেও যায় নি।
বাংলাদেশের ১৯৭৪ [৪] ও ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনে এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত।[৫]
পরিচ্ছেদসমূহ
বিস্তৃতি[সম্পাদনা]
বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমার, কম্বোডিয়া, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম ও নেপাল জলার তিতিরের প্রধান আবাসস্থল।[৩]
বিবরণ[সম্পাদনা]
চিনা বটেরার আকৃতি প্রকৃতি প্রায় সাধারণ গৃহপালিত কোয়েলের মতই। এদের পালক মেটে রঙের। মাথা গাঢ় বর্ণের তাতে অনেকগুলো সাদা দাগ। সাদা মোটা ভ্রু ঘাড়ে গিয়ে ঠেকেছে আর চোখ-ডোরা ঠোঁটে গিয়ে ঠেকেছে। পিঠ আর ডানা সাদা দাগযুক্ত। বুকে অনেকটুকু অংশ ঘিরে কালো দাগ থাকে। চোখ বাদামী বর্ণের, পা সাদা, ঠোঁট সীসা বর্ণের। এমনিতে স্ত্রী ও পুরুষ বটেরা দেখতে একই রকম, তবে পুরুষের কালো দাগটি বেশি বড়। জলার তিতিরের দৈর্ঘ্য কমবেশি ১৮ সেন্টিমিটার।[১]
আচরণ[সম্পাদনা]
গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘাসবন আর পাহাড়ী শুষ্ক বনাঞ্চল চিনা বটেরার পছন্দের বিচরণস্থল। বাদাম, ঘাস ও আগাছার বীজ, পোকামাকড় আর তাদের লার্ভা এদের প্রধান খাদ্য। বালুতে গোসল করতে পছন্দ করে। পুরুষ বটেরা বেশি ডাকে। সাধারণত পর পর দুইবার হুইট-হুইট শব্দে ডাকে। অনেক সময় ধাতব চ্রিঙ্ক-চ্রিঙ্ক শব্দে ডাকে। সকাল আর সন্ধ্যায় বেশি ডাকে। প্রজনন ঋতুতে রাতেও ডাক শোনা যায়।[৬]
প্রজনন[সম্পাদনা]
সাধারণত বর্ষাকাল এদের প্রজনন ঋতু। স্থানভেদে প্রজনন ঋতুর বিভিন্নতা দেখা যায়। তবে মার্চ থেকে অক্টোবর এদের প্রজনন ঋতু। ফসলের গোড়ায়, তৃণভূমির ছোট খাদ, ছোট ঝোপঝাড় কিংবা সমতল ঘাসবনে এরা বাসা করে। বাসা বানানো হয় ঘাসের ডগা দিয়ে। বাসা বানানো শেষে ৪ থেকে ৬টি ডিম পাড়ে, এর বেশিও ডিম পাড়ে। এক বাসায় অন্য স্ত্রী বটেরাও এসে ডিম পাড়ে। ১৬ থেকে ১৯ দিন পর ডিম ফুটে ছানা বের হয়। ছানা ফোটার পর বাবা বটেরা অনেক আগ্রাসী হয়ে ওঠে। স্ত্রী ও পুরুষ বটেরা দুজনেই ছানা প্রতিপালন করে। ছানারা আট মাস বয়স পর্যন্ত বাবা-মার সাথে থাকে।[৬]
বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]
![]() |
উইকিমিডিয়া কমন্সে চিনা বটেরা সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে। |
- The Internet Bird Collection, চিনা বটেরার আলোকচিত্র ও ডাক।
![]() |
উইকিপ্রজাতিতে-এ বিষয় সম্পর্কিত তথ্যে রয়েছে: চিনা বটেরা |
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ ক খ বাংলাদেশের পাখি, রেজা খান, বাংলা একাডেমী, ঢাকা (২০০৮), পৃ. ৩২৯।
- ↑ Coturnix coromandelica, BirdLife International এ চিনা বটেরা বিষয়ক পাতা।
- ↑ ক খ Coturnix coromandelica, The IUCN Red List of Threatened Species এ চিনা বটেরা বিষয়ক পাতা।
- ↑ জিয়া উদ্দিন আহমেদ (সম্পা.), বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ: পাখি, খণ্ড: ২৬ (ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি, ২০০৯), পৃ. ৪-৫।
- ↑ বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, জুলাই ১০, ২০১২, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, পৃষ্ঠা-১১৮৪৪৮
- ↑ ক খ Coturnix coromandelica, Encyclopedia of Life, চিনা বটেরা বিষয়ক পাতা।