গোলাপি শালিক

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

গোলাপি শালিক
পুরুষ গোলাপি শালিক, আলমাতি, কাজাখস্তান
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস সম্পাদনা করুন
জগৎ/রাজ্য: অ্যানিম্যালিয়া (Animalia)
পর্ব: কর্ডাটা
গোষ্ঠী: ডাইনোসরিয়া (Dinosauria)
গোষ্ঠী: সরিস্কিয়া (Saurischia)
গোষ্ঠী: থেরোপোডা (Theropoda)
গোষ্ঠী: Maniraptora
গোষ্ঠী: আভিয়ালে (Avialae)
শ্রেণি: এভিস (Aves)
বর্গ: প্যাসারিফর্মিস (Passeriformes)
পরিবার: Sturnidae
টেমিঙ্ক, ১৮১৫
গণ: Pastor
(লিনিয়াস, ১৭৫৮)
প্রজাতি: P. roseus
দ্বিপদী নাম
Pastor roseus
(লিনিয়াস, ১৭৫৮)
Range of P. roseus (Compiled by: BirdLife International and Handbook of the Birds of the World (2016) 2007, IUCN 2020.1)     Breeding      Non-breeding
প্রতিশব্দ
  • Turdus roseus লিনিয়াস, ১৭৫৮
  • Sturnus roseus (লিনিয়াস, ১৭৫৮)

গোলাপি শালিক (বৈজ্ঞানিক নাম: Strunus roseus), গোলাপি কাঠশালিক বা লাল ময়না Sturnidae (স্টার্নিডি) গোত্র বা পরিবারের অন্তর্গত Sturnus (স্টার্নাস) গণের অন্তর্গত এক প্রজাতির মাঝারি গায়ক পাখি।[২][৩][৪] অনেক সময় প্রজাতিটিকে Pastor গণের অন্তর্গত বলে মনে করা হয়।[৫] গোলাপি শালিকের বৈজ্ঞানিক নামের অর্থ গোলাপি কাঠশালিক (লাতিন: sturnus = কাঠশালিক, roseus = গোলাপি)।[৪] পাখিটি বাংলাদেশ, ভারত ছাড়াও দক্ষিণমধ্য এশিয়ার বিভিন্ন দেশে দেখা যায়। সারা পৃথিবীতে এক বিশাল এলাকা জুড়ে এদের আবাস, প্রায় ১৬ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার।[৬] বিগত কয়েক দশক ধরে এদের সংখ্যা ক্রমেই কমছে, তবে আশঙ্কাজনক পর্যায়ে যেয়ে পৌঁছেনি। সেকারণে আই. ইউ. সি. এন. এই প্রজাতিটিকে ন্যূনতম বিপদগ্রস্ত বলে ঘোষণা করেছে।[৭] বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী আইনে এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত ঘোষণা করা হয় নি।[৪] এরা উঁচু ও খাড়া পর্বতের গায়ে গর্ত করে বা ফাটলে গাঙ শালিকের মতো দল বেঁধে বিশাল কলোনি তৈরি করে বাসা বানায়। স্ত্রী শালিক তাতে তিন থেকে পাঁচটি ফিকে নীল রঙের ডিম পাড়ে।[২]

আকার[সম্পাদনা]

গোলাপি শালিকের ডিম

গোলাপি শালিক আকারে ভাত শালিক, ঝুঁটি শালিক বা গো শালিকের মতোই; প্রায় ২৩ সেন্টিমিটারের মত লম্বা। আর ওজন প্রায় ৬৪ গ্রাম। প্রাপ্তবয়স্ক গোলাপি শালিকের দেহের গোলাপি রঙের জন্য সহজেই অন্য প্রজাতির শালিক থেকে আলাদা করে চেনা যায়। এদের মাথা, মুখমণ্ডল, ঘাড়, গলা, ডানা ও লেজ চকচকে কালো। পিঠ, বুক, পেট ও তলপেট হালকা গোলাপি। ঠোঁট, পা ও নখ ফ্যাকাশে কমলা।[২]

আবাস[সম্পাদনা]

গোলাপি শালিকের মূল আবাস এলাকা মধ্যপ্রাচ্যমধ্য এশিয়া[২]

খাদ্য[সম্পাদনা]

গোলাপি শালিক পোকামাকড়, ফল, ফুল-ফলের রস, শস্যদানা ইত্যাদি খেতে পছন্দ করে। আর তাই খাবারের খোঁজে চষা জমি, ফুল বা ফলের বাগানের আশপাশে ঘুরে বেড়ায়।[২]

স্বভাব[সম্পাদনা]

গোলাপি শালিক পারিবারিক বা বড় দলে কৃষিজমি, স্যাঁতসেঁতে তৃণভূমি, ফুল-ফলের বাগান ও কাঁটা ঝোপে বিচরণ করে। এরা পরিষ্কার ও উচ্চ স্বরে ডাকে।[২]

প্রজনন[সম্পাদনা]

গোলাপি শালিক সাধারণত মে থেকে জুন মাসে প্রজনন করে। স্ত্রী-পুরুষ দেখতে একই রকম। শুধু প্রজনন মৌসুমে পুরুষের দেহের রং কিছুটা উজ্জ্বল হয় ও মাথার ঝুঁটিটিও স্পষ্ট হয়ে ওঠে। স্ত্রীর ঝুঁটি কিছুটা ছোট হয়।[২]

গ্যালারি[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. BirdLife International (২০১৬)। "Pastor roseus"বিপদগ্রস্ত প্রজাতির আইইউসিএন লাল তালিকা (ইংরেজি ভাষায়)। আইইউসিএন2016: e.T22710881A87844468। ডিওআই:10.2305/IUCN.UK.2016-3.RLTS.T22710881A87844468.enঅবাধে প্রবেশযোগ্য। সংগ্রহের তারিখ ১১ নভেম্বর ২০২১ 
  2. কালেঙ্গায় বিরল গোলাপি শালিক ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৯ এপ্রিল ২০২০ তারিখে, আ ন ম আমিনুর রহমান, দৈনিক প্রথম আলো। ঢাকা থেকে প্রকাশের তারিখ: ২৩-০৬-২০১৩ খ্রিস্টাব্দ।
  3. রেজা খান (২০০৮)। বাংলাদেশের পাখি। ঢাকা: বাংলা একাডেমী। পৃষ্ঠা ৯৩। আইএসবিএন 9840746901 
  4. জিয়া উদ্দিন আহমেদ (সম্পা.) (২০০৯)। বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ: পাখি, খণ্ড: ২৬। ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। পৃষ্ঠা ৪০৮। আইএসবিএন 9843000002860 |আইএসবিএন= এর মান পরীক্ষা করুন: invalid prefix (সাহায্য) 
  5. Jønsson, Knud A. & Fjeldså, Jon (2006): A phylogenetic supertree of oscine passerine birds (Aves: Passeri). Zool. Scripta 35(2): 149–186. ডিওআই:10.1111/j.1463-6409.2006.00221.x (HTML abstract)
  6. "Rosy Starling Strunus roseus"। BirdLife International। ২০১৩-১১-২৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৬-১২ 
  7. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; iucn নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]