গোলাপি শালিক
গোলাপি শালিক | |
---|---|
পুরুষ গোলাপি শালিক, আলমাতি, কাজাখস্তান | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ/রাজ্য: | অ্যানিম্যালিয়া (Animalia) |
পর্ব: | কর্ডাটা (Chordata) |
গোষ্ঠী: | ডাইনোসরিয়া (Dinosauria) |
গোষ্ঠী: | সরিস্কিয়া (Saurischia) |
গোষ্ঠী: | থেরোপোডা (Theropoda) |
গোষ্ঠী: | Maniraptora |
গোষ্ঠী: | আভিয়ালে (Avialae) |
শ্রেণি: | এভিস (Aves) |
বর্গ: | প্যাসারিফর্মিস (Passeriformes) |
পরিবার: | Sturnidae টেমিঙ্ক, ১৮১৫ |
গণ: | Pastor (লিনিয়াস, ১৭৫৮) |
প্রজাতি: | P. roseus |
দ্বিপদী নাম | |
Pastor roseus (লিনিয়াস, ১৭৫৮) | |
Range of P. roseus (Compiled by: BirdLife International and Handbook of the Birds of the World (2016) 2007, IUCN 2020.1) Breeding Non-breeding | |
প্রতিশব্দ | |
|
গোলাপি শালিক (বৈজ্ঞানিক নাম: Strunus roseus), গোলাপি কাঠশালিক বা লাল ময়না Sturnidae (স্টার্নিডি) গোত্র বা পরিবারের অন্তর্গত Sturnus (স্টার্নাস) গণের অন্তর্গত এক প্রজাতির মাঝারি গায়ক পাখি।[২][৩][৪] অনেক সময় প্রজাতিটিকে Pastor গণের অন্তর্গত বলে মনে করা হয়।[৫] গোলাপি শালিকের বৈজ্ঞানিক নামের অর্থ গোলাপি কাঠশালিক (লাতিন: sturnus = কাঠশালিক, roseus = গোলাপি)।[৪] পাখিটি বাংলাদেশ, ভারত ছাড়াও দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার বিভিন্ন দেশে দেখা যায়। সারা পৃথিবীতে এক বিশাল এলাকা জুড়ে এদের আবাস, প্রায় ১৬ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার।[৬] বিগত কয়েক দশক ধরে এদের সংখ্যা ক্রমেই কমছে, তবে আশঙ্কাজনক পর্যায়ে যেয়ে পৌঁছেনি। সেকারণে আই. ইউ. সি. এন. এই প্রজাতিটিকে ন্যূনতম বিপদগ্রস্ত বলে ঘোষণা করেছে।[৭] বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী আইনে এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত ঘোষণা করা হয় নি।[৪] এরা উঁচু ও খাড়া পর্বতের গায়ে গর্ত করে বা ফাটলে গাঙ শালিকের মতো দল বেঁধে বিশাল কলোনি তৈরি করে বাসা বানায়। স্ত্রী শালিক তাতে তিন থেকে পাঁচটি ফিকে নীল রঙের ডিম পাড়ে।[২]
আকার
[সম্পাদনা]গোলাপি শালিক আকারে ভাত শালিক, ঝুঁটি শালিক বা গো শালিকের মতোই; প্রায় ২৩ সেন্টিমিটারের মত লম্বা। আর ওজন প্রায় ৬৪ গ্রাম। প্রাপ্তবয়স্ক গোলাপি শালিকের দেহের গোলাপি রঙের জন্য সহজেই অন্য প্রজাতির শালিক থেকে আলাদা করে চেনা যায়। এদের মাথা, মুখমণ্ডল, ঘাড়, গলা, ডানা ও লেজ চকচকে কালো। পিঠ, বুক, পেট ও তলপেট হালকা গোলাপি। ঠোঁট, পা ও নখ ফ্যাকাশে কমলা।[২]
আবাস
[সম্পাদনা]গোলাপি শালিকের মূল আবাস এলাকা মধ্যপ্রাচ্য ও মধ্য এশিয়া।[২]
খাদ্য
[সম্পাদনা]গোলাপি শালিক পোকামাকড়, ফল, ফুল-ফলের রস, শস্যদানা ইত্যাদি খেতে পছন্দ করে। আর তাই খাবারের খোঁজে চষা জমি, ফুল বা ফলের বাগানের আশপাশে ঘুরে বেড়ায়।[২]
স্বভাব
[সম্পাদনা]গোলাপি শালিক পারিবারিক বা বড় দলে কৃষিজমি, স্যাঁতসেঁতে তৃণভূমি, ফুল-ফলের বাগান ও কাঁটা ঝোপে বিচরণ করে। এরা পরিষ্কার ও উচ্চ স্বরে ডাকে।[২]
প্রজনন
[সম্পাদনা]গোলাপি শালিক সাধারণত মে থেকে জুন মাসে প্রজনন করে। স্ত্রী-পুরুষ দেখতে একই রকম। শুধু প্রজনন মৌসুমে পুরুষের দেহের রং কিছুটা উজ্জ্বল হয় ও মাথার ঝুঁটিটিও স্পষ্ট হয়ে ওঠে। স্ত্রীর ঝুঁটি কিছুটা ছোট হয়।[২]
গ্যালারি
[সম্পাদনা]-
গোলাপি শালিক, হায়দ্রাবাদ, ভারত
-
উত্তর ভারতের শীতকালীন পরিযায়ী গোলাপি শালিক
-
ভারতের হরিয়ানার ফরিদাবাদ জেলার হোডালে গোলাপি শালিক
-
গোলাপি শালিক
-
পূর্ণবয়স্ক গোলাপি শালিক
-
গ্রীষ্মকালে পূর্ণবয়স্ক পুরুষ (মাঝে), স্ত্রী (নীচে), এবং গোলাপি শালিকের ছানা (পিছনে)
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ BirdLife International (২০১৬)। "Pastor roseus"। বিপদগ্রস্ত প্রজাতির আইইউসিএন লাল তালিকা (ইংরেজি ভাষায়)। আইইউসিএন। 2016: e.T22710881A87844468। ডিওআই:10.2305/IUCN.UK.2016-3.RLTS.T22710881A87844468.en । সংগ্রহের তারিখ ১১ নভেম্বর ২০২১।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ কালেঙ্গায় বিরল গোলাপি শালিক ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৯ এপ্রিল ২০২০ তারিখে, আ ন ম আমিনুর রহমান, দৈনিক প্রথম আলো। ঢাকা থেকে প্রকাশের তারিখ: ২৩-০৬-২০১৩ খ্রিস্টাব্দ।
- ↑ রেজা খান (২০০৮)। বাংলাদেশের পাখি। ঢাকা: বাংলা একাডেমী। পৃষ্ঠা ৯৩। আইএসবিএন 9840746901।
- ↑ ক খ গ জিয়া উদ্দিন আহমেদ (সম্পা.) (২০০৯)। বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ: পাখি, খণ্ড: ২৬। ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। পৃষ্ঠা ৪০৮। আইএসবিএন 9843000002860
|আইএসবিএন=
এর মান পরীক্ষা করুন: invalid prefix (সাহায্য)। - ↑ Jønsson, Knud A. & Fjeldså, Jon (2006): A phylogenetic supertree of oscine passerine birds (Aves: Passeri). Zool. Scripta 35(2): 149–186. ডিওআই:10.1111/j.1463-6409.2006.00221.x (HTML abstract)
- ↑ "Rosy Starling Strunus roseus"। BirdLife International। ২০১৩-১১-২৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৬-১২।
- ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;iucn
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- আইইউসিএন লাল তালিকার ন্যূনতম উদ্বেগজনক প্রজাতি
- মধ্য এশিয়ার পাখি
- ইউরোপের পাখি
- এশিয়ার পাখি
- আজারবাইজানের পাখি
- তুরস্কের পাখি
- পাকিস্তানের পাখি
- ভারতের পাখি
- বাংলাদেশের পাখি
- থাইল্যান্ডের পাখি
- ক্রিমিয়ার পাখি
- ইউক্রেনের পাখি
- স্টার্নাস
- শালিক
- ১৭৫৮-এ বর্ণিত পাখি
- কার্ল লিনিয়াস কর্তৃক নামকরণকৃত ট্যাক্সা
- স্টার্নিডি
- দক্ষিণ এশিয়ার পাখি