বিষয়বস্তুতে চলুন

মুহম্মদ জাফর ইকবাল: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
[পরীক্ষিত সংশোধন][পরীক্ষিত সংশোধন]
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সর্বশেষ সম্পাদিত পরিবর্তন প্রত্যাখ্যান ও Wakim32-এর করা 3104249 নং সংশোধন পুনরুদ্ধার
জীবনীর সাথে অপ্রয়োজনীয়
১৯ নং লাইন: ১৯ নং লাইন:
}}
}}


'''মুহম্মদ জাফর ইকবাল''' (জন্ম: [[২৩ ডিসেম্বর]] [[১৯৫২]]) হলেন একজন [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশী]] লেখক, পদার্থবিদ ও শিক্ষাবিদ। তাকে [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশে]] বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী লেখা ও জনপ্রিয়করণের পথিকৃৎ হিসাবে গণ্য করা হয়। এছাড়াও তিনি একজন জনপ্রিয় শিশুসাহিত্যিক এবং কলাম-লেখক। তার লেখা বেশ কয়েকটি উপন্যাস চলচ্চিত্রে রূপায়িত হয়েছে। তিনি বর্তমানে [[শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়|শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে]] [[কম্পিউটার বিজ্ঞান]] ও [[প্রকৌশল]] বিভাগের একজন অধ্যাপক এবং [[তড়িৎ কৌশল]] বিভাগের প্রধান।
'''মুহম্মদ জাফর ইকবাল''' (জন্ম: ২৩ ডিসেম্বর ১৯৫২) হলেন একজন [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশী]] লেখক, পদার্থবিদ ও শিক্ষাবিদ। তাকে [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশে]] বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী লেখা ও জনপ্রিয়করণের পথিকৃৎ হিসাবে গণ্য করা হয়। এছাড়াও তিনি একজন জনপ্রিয় শিশুসাহিত্যিক এবং কলাম-লেখক। তার লেখা বেশ কয়েকটি উপন্যাস চলচ্চিত্রে রূপায়িত হয়েছে। তিনি বর্তমানে [[শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়|শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে]] [[কম্পিউটার বিজ্ঞান]] ও [[প্রকৌশল]] বিভাগের একজন অধ্যাপক এবং [[তড়িৎ কৌশল]] বিভাগের প্রধান।


একটি জরিপের তথ্য অনুসারে, তিনি লেখক হিসেবে বাংলাদেশের কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে জনপ্রিয়তার শীর্ষে; জরিপে অংশগ্রহণকারী ৪৫০ জনের মধ্যে ২৩৫ জনই (৫২.২২%) তার পক্ষে মত দিয়েছে।<ref name="Stat">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শিরোনাম=নতুন প্রজন্ম: বই ও অন্যান্য |লেখক=তানজিনা হোসেন ও সিমু নাসের |ইউআরএল= |বিন্যাস=মুদ্রণ |সংবাদপত্র=ছুটির দিনে, দৈনিক প্রথম আলো |প্রকাশক= |অবস্থান=ঢাকা |তারিখ=ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০০২ |পাতাসমূহ=৫-৬ |সংগ্রহের-তারিখ=২ জুন ২০১০ |ভাষা=বাংলা }}</ref>
একটি জরিপের তথ্য অনুসারে, তিনি লেখক হিসেবে বাংলাদেশের কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে জনপ্রিয়তার শীর্ষে; জরিপে অংশগ্রহণকারী ৪৫০ জনের মধ্যে ২৩৫ জনই (৫২.২২%) তার পক্ষে মত দিয়েছে।<ref name="Stat">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শিরোনাম=নতুন প্রজন্ম: বই ও অন্যান্য |লেখক=তানজিনা হোসেন ও সিমু নাসের |ইউআরএল= |বিন্যাস=মুদ্রণ |সংবাদপত্র=ছুটির দিনে, দৈনিক প্রথম আলো |প্রকাশক= |অবস্থান=ঢাকা |তারিখ=ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০০২ |পাতাসমূহ=৫-৬ |সংগ্রহের-তারিখ=২ জুন ২০১০ |ভাষা=বাংলা }}</ref>
২৬ নং লাইন: ২৬ নং লাইন:
[[চিত্র:Zafar Iqbal.JPG|right|thumb|200px|ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও তার স্ত্রী ড.ইয়াসমীন হক।]]
[[চিত্র:Zafar Iqbal.JPG|right|thumb|200px|ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও তার স্ত্রী ড.ইয়াসমীন হক।]]


জাফর ইকবালের জন্ম , [[১৯৫২]] সালের [[২৩ ডিসেম্বর]] তারিখে [[সিলেট|সিলেটে]]। তার পিতা মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ফয়জুর রহমান আহমদ এবং মা আয়েশা আখতার খাতুন। বাবা [[ফয়জুর রহমান]] আহমদের পুলিশের চাকরির সুবাদে তার ছোটবেলা কেটেছে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায়। মুহম্মদ জাফর ইকবালের নাম আগে ছিল '''বাবুল'''। পিতা লেখালেখির চর্চা করতেন এবং পরিবারের এই সাহিত্যমনস্ক আবহাওয়ায় জাফর ইকবাল খুব অল্প বয়স থেকেই লিখতে শুরু করেন। এটিকেই তিনি তার সহজ ভাষায় লিখতে পারার গুণের কারণ বলে মনে করেন। তিনি তার প্রথম বিজ্ঞান কল্পকাহিনী লেখেন সাত বছর বয়সে। [[১৯৭১]] সালের ৫ মে পাকিস্তানী আর্মি এক নদীর ধারে তার দেশপ্রেমিক পিতাকে গুলি করে হত্যা করে। বিশ্ববিদ্যালয়-পড়ুয়া জাফর ইকবালকে পিতার কবর খুঁড়ে তার মাকে স্বামীর মৃত্যুর ব্যাপারটি বিশ্বাস করাতে হয়েছিল <ref name="রচ">{{বই উদ্ধৃতি | লেখক= মুহম্মদ জাফর ইকবাল | শিরোনাম= রঙিন চশমা | প্রকাশক= প্রতীক প্রকাশনী | আইএসবিএন=9844461057 | বছর= ২০০৭ | পাতা= ৭-১১ }}</ref>
জাফর ইকবালের জন্ম, ১৯৫২ সালের ২৩ ডিসেম্বর তারিখে [[সিলেট|সিলেটে]]। তার পিতা মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ফয়জুর রহমান আহমদ এবং মা আয়েশা আখতার খাতুন। বাবা [[ফয়জুর রহমান]] আহমদের পুলিশের চাকরির সুবাদে তার ছোটবেলা কেটেছে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায়। মুহম্মদ জাফর ইকবালের নাম আগে ছিল '''বাবুল'''। পিতা লেখালেখির চর্চা করতেন এবং পরিবারের এই সাহিত্যমনস্ক আবহাওয়ায় জাফর ইকবাল খুব অল্প বয়স থেকেই লিখতে শুরু করেন। এটিকেই তিনি তার সহজ ভাষায় লিখতে পারার গুণের কারণ বলে মনে করেন। তিনি তার প্রথম বিজ্ঞান কল্পকাহিনী লেখেন সাত বছর বয়সে। ১৯৭১ সালের ৫ মে পাকিস্তানী আর্মি এক নদীর ধারে তার দেশপ্রেমিক পিতাকে গুলি করে হত্যা করে। বিশ্ববিদ্যালয়-পড়ুয়া জাফর ইকবালকে পিতার কবর খুঁড়ে তার মাকে স্বামীর মৃত্যুর ব্যাপারটি বিশ্বাস করাতে হয়েছিল <ref name="রচ">{{বই উদ্ধৃতি | লেখক= মুহম্মদ জাফর ইকবাল | শিরোনাম= রঙিন চশমা | প্রকাশক= প্রতীক প্রকাশনী | আইএসবিএন=9844461057 | বছর= ২০০৭ | পাতা= ৭-১১ }}</ref>


বাংলাদেশের অত্যন্ত জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক [[হুমায়ূন আহমেদ]] তার বড় ভাই এবং রম্য ম্যাগাজিন [[উন্মাদ|উন্মাদের]] সম্পাদক ও কার্টুনিস্ট, সাহিত্যিক [[আহসান হাবীব (কার্টুনিস্ট)|আহসান হাবীব]] তার ছোট ভাই। কন্যা ইয়েশিম ইকবাল তার কিশোর উপন্যাস ''আমার বন্ধু রাশেদ'' ইংরেজিতে রূপান্তর করেছেন ''Rashed, my friend'' নামে ।
বাংলাদেশের অত্যন্ত জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক [[হুমায়ূন আহমেদ]] তার বড় ভাই এবং রম্য ম্যাগাজিন [[উন্মাদ|উন্মাদের]] সম্পাদক ও কার্টুনিস্ট, সাহিত্যিক [[আহসান হাবীব (কার্টুনিস্ট)|আহসান হাবীব]] তার ছোট ভাই। কন্যা ইয়েশিম ইকবাল তার কিশোর উপন্যাস ''আমার বন্ধু রাশেদ'' ইংরেজিতে রূপান্তর করেছেন ''Rashed, my friend'' নামে ।


== শিক্ষাজীবন ==
== শিক্ষাজীবন ==
জাফর ইকবাল [[১৯৬৮]] সালে [[বগুড়া জিলা স্কুল]] থেকে এসএসসি এবং [[১৯৭০]] সালে [[ঢাকা কলেজ]] থেকে এইচএসসি পাশ করেন। তিনি [[১৯৭২]] সালে [[ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়|ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের]] [[পদার্থবিজ্ঞান]] বিভাগে ভর্তি হন। [[১৯৭৬]] সালে তিনি [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র|যুক্তরাষ্ট্রের]] [[ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়|ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ে]] পড়তে যান। তাঁর বিষয় ছিল - 'Parity violation in Hydrogen Atom. সেখানে [[পিএইচডি]] করার পর বিখ্যাত [[ক্যালিফোর্নিয়া ইনিস্টিটিউট অফ টেকনোলজি|ক্যালটেক]] থেকে তার ডক্টরেট-উত্তর গবেষণা সম্পন্ন করেন।
জাফর ইকবাল ১৯৬৮ সালে [[বগুড়া জিলা স্কুল]] থেকে এসএসসি এবং ১৯৭০ সালে [[ঢাকা কলেজ]] থেকে এইচএসসি পাশ করেন। তিনি ১৯৭২ সালে [[ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়|ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের]] [[পদার্থবিজ্ঞান]] বিভাগে ভর্তি হন। ১৯৭৬ সালে তিনি [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র|যুক্তরাষ্ট্রের]] [[ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়|ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ে]] পড়তে যান। তাঁর বিষয় ছিল - 'Parity violation in Hydrogen Atom. সেখানে [[পিএইচডি]] করার পর বিখ্যাত [[ক্যালিফোর্নিয়া ইনিস্টিটিউট অফ টেকনোলজি|ক্যালটেক]] থেকে তার ডক্টরেট-উত্তর গবেষণা সম্পন্ন করেন।


== কর্মজীবন ==
== কর্মজীবন ==
ড. জাফর ইকবাল [[ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়]] থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন যথাক্রমে ১৯৭৫ ও ১৯৭৬ সালে। ১৯৭৫ সালে অনার্স-এ দুই নম্বরের ব্যবধানে প্রথম শ্রেণীতে ২য় স্থান অধিকার করেন। তিনি ১৯৮২ তে [[ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়]] থেকে পিএইচ.ডি সম্পন্ন করে ১৯৮২ থেকে ১৯৮৮ পর্যন্ত ক্যালিফোর্নিয়া ইনিস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে সাফল্যের সাথে ডক্টরেটোত্তর গবেষণা সম্পন্ন করেন। ১৯৮৮ তে তিনি বিখ্যাত বেল কমিউনিকেশনস রিসার্চ (বেলকোর) এ গবেষক হিসাবে যোগদান করেন এবং ১৯৯৪ পর্যন্ত সেখানেই কাজ করেন। ওই বছরেই তিনি দেশে ফিরে আসেন এবং সিলেটের [[শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়|শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে]] কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে যোগদান করেন। তিনি একাধিকবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য মনোনীত হন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতি নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তিনি এক সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন শিক্ষক সমিতির সভাপতির দায়িত্বও পালন করেন।বর্তমানে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক এবং তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক্স প্রকৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত আছেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.sust.edu/department/eee/index.php/en/faculty/88-dr-muhammed-zafar-iqbal|শিরোনাম=Shahjalal University of Science & Technology|কর্ম=www.sust.edu}}</ref>
ড. জাফর ইকবাল [[ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়]] থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন যথাক্রমে ১৯৭৫ ও ১৯৭৬ সালে। ১৯৭৫ সালে অনার্স-এ দুই নম্বরের ব্যবধানে প্রথম শ্রেণীতে ২য় স্থান অধিকার করেন। তিনি ১৯৮২ তে [[ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়]] থেকে পিএইচ.ডি সম্পন্ন করে ১৯৮২ থেকে ১৯৮৮ পর্যন্ত ক্যালিফোর্নিয়া ইনিস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে সাফল্যের সাথে ডক্টরেটোত্তর গবেষণা সম্পন্ন করেন। ১৯৮৮ তে তিনি বিখ্যাত বেল কমিউনিকেশনস রিসার্চ (বেলকোর) এ গবেষক হিসাবে যোগদান করেন এবং ১৯৯৪ পর্যন্ত সেখানেই কাজ করেন। ওই বছরেই তিনি দেশে ফিরে আসেন এবং সিলেটের [[শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়|শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে]] কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে যোগদান করেন। তিনি একাধিকবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য মনোনীত হন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতি নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তিনি এক সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন শিক্ষক সমিতির সভাপতির দায়িত্বও পালন করেন। বর্তমানে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক এবং তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক্স প্রকৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত আছেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.sust.edu/department/eee/index.php/en/faculty/88-dr-muhammed-zafar-iqbal|শিরোনাম=Shahjalal University of Science & Technology|কর্ম=www.sust.edu}}</ref>


=== স্বত্ত্বসমূহ ===
=== স্বত্ত্বসমূহ ===
৬৯ নং লাইন: ৬৯ নং লাইন:


== পুরস্কার ও সম্মননা ==
== পুরস্কার ও সম্মননা ==
* [[বাংলা একাডেমি পুরস্কার]], [[২০০৪]];
* [[বাংলা একাডেমি পুরস্কার]], ২০০৪;
* শ্রেষ্ঠ নাট্যকার হিসেবে [[৮ম মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার|২০০৫]] সালে [[মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার]]<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://archive.thedailystar.net/2006/05/13/d6051301118.htm |শিরোনাম=Meril-Prothom Alo awards for 2005 given|অনূদিত-শিরোনাম=২০০৫-এর মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার দেয়া হয়েছে|ভাষা=ইংরেজি|সংবাদপত্র=[[দ্য ডেইলি স্টার (বাংলাদেশ)|দ্য ডেইলি স্টার]]|তারিখ=১৩ মে ২০০৯ |সংগ্রহের-তারিখ=১ এপ্রিল ২০১৮}}</ref>
* শ্রেষ্ঠ নাট্যকার হিসেবে [[৮ম মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার|২০০৫]] সালে [[মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার]]<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://archive.thedailystar.net/2006/05/13/d6051301118.htm |শিরোনাম=Meril-Prothom Alo awards for 2005 given|অনূদিত-শিরোনাম=২০০৫-এর মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার দেয়া হয়েছে|ভাষা=ইংরেজি|সংবাদপত্র=[[দ্য ডেইলি স্টার (বাংলাদেশ)|দ্য ডেইলি স্টার]]|তারিখ=১৩ মে ২০০৯ |সংগ্রহের-তারিখ=১ এপ্রিল ২০১৮}}</ref>
* কাজী মাহবুবুল্লা জেবুন্নেছা পদক, [[২০০২]];
* কাজী মাহবুবুল্লা জেবুন্নেছা পদক, ২০০২;
* খালেদা চৌধুরি সাহিত্য পদক, বাংলা ১৪১০;
* খালেদা চৌধুরি সাহিত্য পদক, বাংলা ১৪১০;
* শেলটেক সাহিত্য পদক [[২০০৩]]
* শেলটেক সাহিত্য পদক ২০০৩
* ইউরো শিশুসাহিত্য পদক ২০০৪
* ইউরো শিশুসাহিত্য পদক ২০০৪
* মোহা. মুদাব্বর-হুসনে আরা সাহিত্য পদক [[২০০৫]]
* মোহা. মুদাব্বর-হুসনে আরা সাহিত্য পদক ২০০৫
* মার্কেন্টাইল ব্যাংক সম্মাননা পদক ২০০৫
* মার্কেন্টাইল ব্যাংক সম্মাননা পদক ২০০৫
* আমেরিকা এল্যাইমনি এ্যসোসিয়েশন পদক ২০০৫
* আমেরিকা এল্যাইমনি এ্যসোসিয়েশন পদক ২০০৫
৮৪ নং লাইন: ৮৪ নং লাইন:
=== উপন্যাস ===
=== উপন্যাস ===
{{div col|3}}
{{div col|3}}
* আকাশ বাড়িয়ে দাও ([[১৯৮৭]])
* আকাশ বাড়িয়ে দাও (১৯৮৭)
* বিবর্ণ তুষার ([[১৯৯৩]])
* বিবর্ণ তুষার (১৯৯৩)
* দুঃস্বপ্নের দ্বিতীয় প্রহর ([[১৯৯৪]])
* দুঃস্বপ্নের দ্বিতীয় প্রহর (১৯৯৪)
* কাচসমুদ্র([[১৯৯৯]])
* কাচসমুদ্র(১৯৯৯)
* [[সবুজ ভেলভেট]] ([[২০০৩]])
* [[সবুজ ভেলভেট]] (২০০৩)
* [[ক্যাম্প (বই)|ক্যাম্প]] ([[২০০৪]])
* [[ক্যাম্প (বই)|ক্যাম্প]] (২০০৪)
* মহব্বত আলীর একদিন ([[২০০৬]])
* মহব্বত আলীর একদিন (২০০৬)
</div>
</div>


১০৫ নং লাইন: ১০৫ নং লাইন:
{|
{|
|
|
* কপোট্রনিক সুখ দুঃখ ([[১৯৭৬]])
* কপোট্রনিক সুখ দুঃখ (১৯৭৬)
* মহাকাশে মহাত্রাস ([[১৯৭৭]])
* মহাকাশে মহাত্রাস (১৯৭৭)
* ক্রুগো ([[১৯৮৮]])
* ক্রুগো (১৯৮৮)
* ট্রাইটন একটি গ্রহের নাম ([[১৯৮৮]])
* ট্রাইটন একটি গ্রহের নাম (১৯৮৮)
* বিজ্ঞানী সফদর আলীর মহা মহা আবিস্কার ([[১৯৯২]])
* বিজ্ঞানী সফদর আলীর মহা মহা আবিস্কার (১৯৯২)
* ওমিক্রমিক রূপান্তর ([[১৯৯২]])
* ওমিক্রমিক রূপান্তর (১৯৯২)
* টুকুনজিল ([[১৯৯৩]])
* টুকুনজিল (১৯৯৩)
* যারা বায়োবট ([[১৯৯৩]])
* যারা বায়োবট (১৯৯৩)
* নি:সঙ্গ গ্রহচারী ([[১৯৯৪]])
* নি:সঙ্গ গ্রহচারী (১৯৯৪)
* ক্রোমিয়াম অরণ্য ([[১৯৯৫]])
* ক্রোমিয়াম অরণ্য (১৯৯৫)
* ত্রিনিটি রাশিমালা ([[১৯৯৫]])
* ত্রিনিটি রাশিমালা (১৯৯৫)
* নয় নয় শূন্য তিন ([[১৯৯৬]])
* নয় নয় শূন্য তিন (১৯৯৬)
* অনুরণ গোলক ([[১৯৯৬]])
* অনুরণ গোলক (১৯৯৬)
* টুকি ও ঝায়ের (প্রায়) দুঃসাহসিক অভিযান ([[১৯৯৭]])
* টুকি ও ঝায়ের (প্রায়) দুঃসাহসিক অভিযান (১৯৯৭)
* পৃ ([[১৯৯৭]])
* পৃ (১৯৯৭)
* রবো নগরী ([[১৯৯৭]])
* রবো নগরী (১৯৯৭)
|
|
* একজন অতিমানবী ([[১৯৯৮]])
* একজন অতিমানবী (১৯৯৮)
* সিস্টেম এডিফাস ([[১৯৯৮]])
* সিস্টেম এডিফাস (১৯৯৮)
* মেতসিস ([[১৯৯৯]])
* মেতসিস (১৯৯৯)
* ইরন ([[২০০০]])
* ইরন (২০০০)
* জলজ ([[২০০০]])
* জলজ (২০০০)
* ফোবিয়ানের যাত্রী ([[২০০১]])
* ফোবিয়ানের যাত্রী (২০০১)
* প্রজেক্ট নেবুলা ([[২০০১]])
* প্রজেক্ট নেবুলা (২০০১)
* ত্রাতুলের জগৎ ([[২০০২]])
* ত্রাতুলের জগৎ (২০০২)
* বেজি ([[২০০২]])
* বেজি (২০০২)
* শাহনাজ ও ক্যাপ্টেন ডাবলু ([[২০০৩]])
* শাহনাজ ও ক্যাপ্টেন ডাবলু (২০০৩)
* সায়রা সায়েন্টিস্ট ([[২০০৩]])
* সায়রা সায়েন্টিস্ট (২০০৩)
* ফিনিক্স ([[২০০৩]])
* ফিনিক্স (২০০৩)
* সুহানের স্বপ্ন ([[২০০৪]])
* সুহানের স্বপ্ন (২০০৪)
* অবনীল ([[২০০৪|২০০৪)]]
* অবনীল (২০০৪)
* নায়ীরা ([[২০০৫]])
* নায়ীরা (২০০৫)
* বিজ্ঞানী অনিক লুম্বা ([[২০০৫]])
* বিজ্ঞানী অনিক লুম্বা (২০০৫)
|
|
* রুহান রুহান ([[২০০৬]])
* রুহান রুহান (২০০৬)
* জলমানব ([[২০০৭]])
* জলমানব (২০০৭)
* অন্ধকারের গ্রহ ([[২০০৮]])
* অন্ধকারের গ্রহ (২০০৮)
* অক্টোপাসের চোখ ([[২০০৯]])
* অক্টোপাসের চোখ (২০০৯)
* ইকারাস ([[২০০৯]])
* ইকারাস (২০০৯)
* রবোনিশি ([[২০১০]])
* রবোনিশি (২০১০)
* প্রডিজি ([[২০১১]])
* প্রডিজি (২০১১)
* কেপলার টুটুবি ([[২০১২]])
* কেপলার টুটুবি (২০১২)
* ব্ল্যাক হোলের বাচ্চা ([[২০১৩]])
* ব্ল্যাক হোলের বাচ্চা (২০১৩)
* এনিম্যান ([[২০১৪]])
* এনিম্যান (২০১৪)
*এখন তখন মানিক রতন (২০১৪)
*এখন তখন মানিক রতন (২০১৪)
* সেরিনা ([[২০১৫]])
* সেরিনা (২০১৫)
* ক্রেনিয়াল ([[২০১৬]])
* ক্রেনিয়াল (২০১৬)
* রিটিন ([[২০১৭]])
* রিটিন (২০১৭)
* ত্রাতিনা ([[২০১৮]])
* ত্রাতিনা (২০১৮)
|}
|}


১৮২ নং লাইন: ১৮২ নং লাইন:
* লাবু এল শহরে(২০০৭)
* লাবু এল শহরে(২০০৭)
* বৃষ্টির ঠিকানা(২০০৭)
* বৃষ্টির ঠিকানা(২০০৭)
* [[নাট বল্টু(২০০৮)]]
* [[নাট বল্টু]] (২০০৮)
* মেয়েটির নাম নারীনা(২০০৯)
* মেয়েটির নাম নারীনা(২০০৯)
* [[রাশা]](২০১০)
* [[রাশা]] (২০১০)
|
|
* আঁখি এবং আমরা ক'জন(২০১১)
* আঁখি এবং আমরা ক'জন (২০১১)
* দলের নাম ব্ল্যাক ড্রাগন(২০১১)
* দলের নাম ব্ল্যাক ড্রাগন (২০১১)
* রাতুলের রাত রাতুলের দিন(২০১২)
* রাতুলের রাত রাতুলের দিন (২০১২)
* রূপ-রূপালী(২০১২)
* রূপ-রূপালী (২০১২)
* ইস্টিশন(২০১৩)
* ইস্টিশন (২০১৩)
* গাব্বু(২০১৩)
* গাব্বু (২০১৩)
* টুনটুনি ও ছোটচাচ্চু(২০১৪)
* টুনটুনি ও ছোটচাচ্চু (২০১৪)
*গ্রামের নাম কাঁকনডুবি(২০১৪)
*গ্রামের নাম কাঁকনডুবি (২০১৪)
* আরো টুনটুনি ও আরো ছোটাচ্চু(২০১৫)
* আরো টুনটুনি ও আরো ছোটাচ্চু (২০১৫)
* আবারো টুনটুনি ও আবারো ছোটাচ্চু(২০১৭)
* আবারো টুনটুনি ও আবারো ছোটাচ্চু (২০১৭)
* তবুও টুনটুনি তবুও ছোটাচ্চু(২০১৮)
* তবুও টুনটুনি তবুও ছোটাচ্চু (২০১৮)
* সাইক্লোন(২০১৮)
* সাইক্লোন(২০১৮)

|}
|}


৩১৬ নং লাইন: ৩১৫ নং লাইন:


===হত্যা প্রচেষ্টা===
===হত্যা প্রচেষ্টা===
৩ মার্চ ২০১৮ রোজ শনিবার বিকালে সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবালকে ছুরিকাঘাত করা হয়।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল= http://www.ittefaq.com.bd/national/2018/03/03/149197.html |শিরোনাম=অধ্যাপক জাফর ইকবালকে ছুরিকাঘাত |সংবাদপত্র= ইত্তেফাক |তারিখ= ৩ মার্চ ২০১৮ |সংগ্রহের-তারিখ= ৩ মার্চ ২০১৮}}</ref> বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে ইলেকট্রিকাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) উৎসবের রোবটিক প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠান চলছিল। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে কয়েকজন হুলুস্থুল শুরু করে। সে সময় একজন অধ্যাপকের মাথায় হামলা চালায়।<ref name= ":65v">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল= http://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1442811/অধ্যাপক-জাফর-ইকবালকে-ছুরিকাঘাত |শিরোনাম= অধ্যাপক জাফর ইকবালকে ছুরিকাঘাত |সংবাদপত্র= প্রথম আলো |তারিখ= ৪ মার্চ ২০১৮ |সংগ্রহের-তারিখ= ৪ মার্চ ২০১৮}}</ref> হামলার পরপর জাফর ইকবালকে সিলেট এমএজি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে তার ক্ষত স্থান পরিষ্কার করে সেখানে সেলাই দেওয়া হয়।<ref name=":12a">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল= http://www.ittefaq.com.bd/national/2018/03/03/149221.html |শিরোনাম= প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকার পথে জাফর ইকবাল |সংবাদপত্র= ইত্তেফাক |তারিখ= ৩ মার্চ ২০১৮ |সংগ্রহের-তারিখ= ৩ মার্চ ২০১৮}}</ref> তাঁর মাথায় চারটি আঘাত করা হয়। এছাড়া তার বাঁ হাত ও পিঠে ছুরিকাঘাতের জখম রয়েছে। জাফর ইকবালের শরীরে ২৬টি সেলাই পড়েছে বলে জানা গিয়েছে।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল= https://m.bdnews24.com/bn/detail/bangladesh/1466726 |শিরোনাম= জাফর ইকবালের মাথায় আঘাত |সংবাদপত্র= bdnews24 |তারিখ= ৪ মার্চ ২০১৮ |সংগ্রহের-তারিখ= ৪ মার্চ ২০১৮}}</ref>
৩ মার্চ ২০১৮ রোজ শনিবার বিকালে সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবালকে ছুরিকাঘাত করা হয়।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল= http://www.ittefaq.com.bd/national/2018/03/03/149197.html |শিরোনাম=অধ্যাপক জাফর ইকবালকে ছুরিকাঘাত |সংবাদপত্র= ইত্তেফাক |তারিখ= ৩ মার্চ ২০১৮ |সংগ্রহের-তারিখ= ৩ মার্চ ২০১৮}}</ref> বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে ইলেকট্রিকাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) উৎসবের রোবটিক প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠান চলছিল। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে কয়েকজন হুলুস্থুল শুরু করে। সে সময় একজন অধ্যাপকের মাথায় হামলা চালায়।<ref name= ":65v">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল= http://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1442811/অধ্যাপক-জাফর-ইকবালকে-ছুরিকাঘাত |শিরোনাম= অধ্যাপক জাফর ইকবালকে ছুরিকাঘাত |সংবাদপত্র= প্রথম আলো |তারিখ= ৪ মার্চ ২০১৮ |সংগ্রহের-তারিখ= ৪ মার্চ ২০১৮}}</ref>

এদিকে হামলার পরপরই উপস্থিত শিক্ষার্থী ও পুলিশ সদস্যরা হামলাকারীকে ধরে ফেলে। পিটুনি দিয়ে ওই তরুণকে ধরে নেওয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশ কর্মকর্তারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।<ref name=":12a"/>

<!--এঘটনায় নিন্দা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, <ref name="15b"/> রাজনীতিবিদ ওবায়েদুল কাদের, <ref name="15b"> {{cite news |url= http://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1442851/জাফর-ইকবালের-ওপর-হামলার-নিন্দা-প্রধানমন্ত্রীর |title= জাফর অকবালের উপর আক্রমণে প্রধানমন্ত্রীর নিন্দা |newspaper= প্রথম আলো |date= ৩ মার্চ ২০১৮ |accessdate= ৪ মার্চ ২০১৮}}</ref> শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ <ref> {{cite news |url= http://www.sylhettoday24.org/news/details/National/54174 |title= আমরা ক্ষুদ্ধ ও উদ্বিগ্ন |newspaper= সিলেট টুডে |date= ৪ মার্চ ২০১৮ |accessdate= ৪ মার্চ ২০১৮}}</ref> নিন্দা জানিয়েছে বিএনপি <ref> {{cite news |url= http://www.sylhettoday24.org/news/details/bangladesh/54171 |title= জাফর ইকবালের উপর হামলার ঘটনায় বিনপির নিন্দা|newspaper= সিলেট টুডে |date= ৩ মার্চ ২০১৮ |accessdate= ৪ মার্চ ২০১৮}}</ref>, সিপিবি-বাসদ <ref> {{cite news |url= https://m.bdnews24.com/bn/detail/politics/1466698 |title= সিপিবি বাসদের নিন্দা|newspaper= বিডিনিউজ ২৪ |date= ৩ মার্চ ২০১৮ |accessdate= ৪ মার্চ ২০১৮}}</ref> সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল।-->
===হামলাকারীর পরিচয়===
বিভিন্ন পত্রিকার অনুসন্ধানী প্রতিবেদন অনুসারে লেখক জাফর ইকবালের উপর হামলাকারীর নাম ফয়জুর রহমান ওরফে ফয়জুল (২৪)। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের পার্শ্ববর্তী কুমারগাঁওয়ের শেখপাড়ার বাসিন্দা। তাঁর মূল বাড়ি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায়।<ref name=":0">{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.jugantor.com/todays-paper/first-page/24118/জঙ্গি-হামলা-ধরেই-তদন্ত|শিরোনাম=জঙ্গি হামলা ধরেই তদন্ত|ওয়েবসাইট=যুগান্তর|তারিখ=৫ মার্চ ২০১৮|কর্ম=|সংগ্রহের-তারিখ=৬ মার্চ ২০১৮|মাধ্যম=}}</ref> এলাকাবাসীর মতে, ফয়জুল মাদ্রাসা শিক্ষার্থী বলে এলাকায় পরিচয় দিতেন। তবে কোন মাদ্রাসায় পড়েন-সে বিষয়ে এলাকার কেউ ওয়াকিবহাল নয়। ফয়জুলের বাবা মাওলানা আতিকুর রহমান সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের পার্শ্ববর্তী টুকেরবাজারে শাহপুর মহিলা মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন বলে জানা গেছে। তবে ঘটনার পরপর ফয়জুলের পরিবার গা ঢাকা দেয়।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল= http://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1442981/কে-এই-হামলাকারী |শিরোনাম= কে এই হামলাকারী |সংবাদপত্র= প্রথম আলো |তারিখ= ৩ মার্চ ২০১৮ |সংগ্রহের-তারিখ= ৪ মার্চ ২০১৮}}</ref> টোরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) সূত্র জানায়, 'মাদ্রাসা থেকে দাখিল পাস করার পর সে আর পড়ালেখা করেনি। প্রায় ২০ বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় ফয়জুল পরিবারের সঙ্গে বসবাস করছিল। দুই বছর আগে শেখপাড়ায় জমি কিনে ফয়জুলের বাবা আধা পাকা বাড়ি করেন। শনিবার হামলার পরপরই শেখপাড়ার বাসাটি তালাবদ্ধ করে ফয়জুলের পরিবারের সদস্যরা সিএনজিচালিত অটোরিকশা করে অন্যত্র পালিয়ে গেছেন।'<ref name=":0" /> পরিবারের কাওকে না পাওয়ায় পাশের বাড়ি থেকে ফয়জুরের মামাকে আটক করা হয়।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল= http://www.sylhettoday24.org/news/details/Sylhet/54177 |শিরোনাম= হামলাকারীর মামা আটক |সংবাদপত্র= সিলেট টুডে |তারিখ= ৩ মার্চ ২০১৮ |সংগ্রহের-তারিখ= ৪ মার্চ ২০১৮}}</ref>

বিভিন্ন জিজ্ঞাসাবাদের পর হামলাকারী জাফর ইকবালকে ইসলামের শত্রু আখ্যা দিয়ে তাঁকে হত্যার কারণ সম্বন্ধে জানান। র‌্যাব-৯ এর অধিনায়ক এ তথ্য নিশ্চিত করেন।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল= http://m.banglatribune.com/others/news/299847/‘জাফর-ইকবাল-ইসলামের-শত্রু-তাই-তাকে-মেরেছি’ |শিরোনাম= জাফর ইকবাল ইসলামের শত্রু, তাই তাকে মেরেছি |সংবাদপত্র= banglatribune |তারিখ= ৩ মার্চ ২০১৮ |সংগ্রহের-তারিখ= ৪ মার্চ ২০১৮}}</ref> পরবর্তীতে ফয়জুল র‌্যাবকে জানায়, ‘[[ভূতের বাচ্চা সোলায়মান]]’ উপন্যাসের কারণে জাফর ইকবালের ওপর হামলা চালানো হয়েছে'।<ref name=":0" />

সিলেট ব্যুরো জানায়, হামলাকারী ফয়জুল হাসান জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হয়েই ড. জাফর ইকবালকে হত্যার চেষ্টা করে বলে স্বীকার করেছে। র‌্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ফয়জুল স্বীকার করে, জাফর ইকবালের ‘ভূতের বাচ্চা সোলায়মান’ নামক উপন্যাস লিখে নবী সোলায়মানকে (আ.) ব্যঙ্গ করায় অধ্যাপক ড. জাফর ইকবালের ওপর হামলা চালানো হয়েছে।(এখানে উল্লেখ যে ভূতের বাচ্চা সোলায়মান বইটি নিতান্তই কাল্পনিক। বইটিতে ধর্ম সম্পর্কে কিছু লেখা নেই) ফয়জুল দাবি করে, ‘জাফর ইকবাল ইসলামের শত্র“, তাই তাকে হত্যা করার জন্য হামলা করেছি। উনি নিজে নাস্তিক এবং অন্য সবাইকেও নাস্তিক বানানোর জন্য প্রচার করে বেড়াচ্ছেন। তার লেখা পড়ে মানুষ বিভ্রান্তির মধ্যে পড়ছে।’ রোববার ফয়জুলের এই স্বীকারোক্তির কথা জানান র‌্যাব-৯-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আলী হায়দার আজাদ আহমেদ। র‌্যাব কর্মকর্তা আজাদ আহমেদ জানান, হামলার সময় তার সঙ্গে অন্য কেউ ছিল না বলে ফয়জুল জানিয়েছে।<ref name=":0" />

হামলার পরপরই ফয়জুলকে আটক করে গণধোলাই দেয় শিক্ষার্থীরা। পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। জালালাবাদ সেনানিবাসে চিকিৎসা দিয়ে রোববার র‌্যাব কার্যালয়ে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পুলিশে দেয়া হয়।<ref name=":0" />

===হত্যাচেষ্টার তাৎক্ষণিক মুহুর্তে ড. ইকবালের প্রতিক্রিয়া===
===হত্যাচেষ্টার তাৎক্ষণিক মুহুর্তে ড. ইকবালের প্রতিক্রিয়া===
*প্রতিযোগিতার বিচারক এবং হামলা প্রচেষ্টার প্রত্যক্ষদর্শী নওশাদ সজীব এর ভাষ্যমতে, ছুরিকাঘাতের পরপরই লেখক উঠে দাঁড়িয়ে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেছিলেন, ''আই অ্যাম অলরাইট, তোমরা উত্তেজিত হয়ো না।'' তিনি আরো বলেন যে, সে সময় শিক্ষকের মাথা থেকে রক্ত গড়িয়ে পড়ে তাঁর মুখ ও শার্ট ভিজে যায়। ঐ কথা বলার পরপরই তিনি ক্ষতস্থানে এক হাত রেখে আরেক হাতে চেয়ার খুঁজে বসার চেষ্টা করেন। এর পরপরই শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা তাঁকে ধরেন এবং হাসপাতালে হস্তান্তর করেন <ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল= http://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1442996/‘আই-অ্যাম-অলরাইট-তোমরা-উত্তেজিত-হয়ো-না’ |শিরোনাম= আই অ্যাম অলরাইট তোমরা উত্তেজিত হয়ো না |সংবাদপত্র= প্রথম আলো |তারিখ= ৪ মার্চ ২০১৮ |সংগ্রহের-তারিখ= ৩ মার্চ ২০১৮}}</ref>
*প্রতিযোগিতার বিচারক এবং হামলা প্রচেষ্টার প্রত্যক্ষদর্শী নওশাদ সজীব এর ভাষ্যমতে, ছুরিকাঘাতের পরপরই লেখক উঠে দাঁড়িয়ে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেছিলেন, ''আই অ্যাম অলরাইট, তোমরা উত্তেজিত হয়ো না।'' তিনি আরো বলেন যে, সে সময় শিক্ষকের মাথা থেকে রক্ত গড়িয়ে পড়ে তাঁর মুখ ও শার্ট ভিজে যায়। ঐ কথা বলার পরপরই তিনি ক্ষতস্থানে এক হাত রেখে আরেক হাতে চেয়ার খুঁজে বসার চেষ্টা করেন। এর পরপরই শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা তাঁকে ধরেন এবং হাসপাতালে হস্তান্তর করেন <ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল= http://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1442996/‘আই-অ্যাম-অলরাইট-তোমরা-উত্তেজিত-হয়ো-না’ |শিরোনাম= আই অ্যাম অলরাইট তোমরা উত্তেজিত হয়ো না |সংবাদপত্র= প্রথম আলো |তারিখ= ৪ মার্চ ২০১৮ |সংগ্রহের-তারিখ= ৩ মার্চ ২০১৮}}</ref>
*সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়ার সময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ''ছেলেটা কই, ওকে তোমরা মারধর করো না''।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল= http://www.sylhettoday24.org/news/details/Sylhet/54170 |শিরোনাম= ছেলেটা কই, ওরে তোমরা মারধোর কোরো না |সংবাদপত্র= সিলেট টুডে |তারিখ= ৩ মার্চ ২০১৮ |সংগ্রহের-তারিখ= ৪ মার্চ ২০১৮}}</ref>
*সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়ার সময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ''ছেলেটা কই, ওকে তোমরা মারধর করো না''।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল= http://www.sylhettoday24.org/news/details/Sylhet/54170 |শিরোনাম= ছেলেটা কই, ওরে তোমরা মারধোর কোরো না |সংবাদপত্র= সিলেট টুডে |তারিখ= ৩ মার্চ ২০১৮ |সংগ্রহের-তারিখ= ৪ মার্চ ২০১৮}}</ref>
* অপারেশনে দায়িত্বে থাকা একজন চিকিৎসক ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, স্যারকে রিভার্স পর স্যার তার কাছে ঘুমের ঔষুধ চেয়েছেন। অপারেশন থিয়েটারের দায়িত্বে থাকা অপর একজন চিকিৎসক লিখেছেন, '' অধ্যাপক জাফর ইকবাল আমার দেখা একজন সাহসী মানুষ। অপারেশনের বিছানায় যখন তাকে এনস্থেশিয়া দেওয়া হচ্ছে তখনও তিনি বলেছেন- আমি ঠিক আছি। কিছু রক্তের প্রয়োজন।'' <ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল= http://www.sylhettoday24.org/news/details/Sylhet/54178 |শিরোনাম=আমাকে ঘুমের ঔষুধ দিন |সংবাদপত্র= সিলেটটুডে |তারিখ= ৪ মার্চ ২০১৮ |সংগ্রহের-তারিখ= ৪ মার্চ ২০১৮}}</ref>
* অপারেশনে দায়িত্বে থাকা একজন চিকিৎসক ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, স্যারকে রিভার্স পর স্যার তার কাছে ঘুমের ঔষুধ চেয়েছেন। অপারেশন থিয়েটারের দায়িত্বে থাকা অপর একজন চিকিৎসক লিখেছেন, '' অধ্যাপক জাফর ইকবাল আমার দেখা একজন সাহসী মানুষ। অপারেশনের বিছানায় যখন তাকে এনস্থেশিয়া দেওয়া হচ্ছে তখনও তিনি বলেছেন- আমি ঠিক আছি। কিছু রক্তের প্রয়োজন।'' <ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল= http://www.sylhettoday24.org/news/details/Sylhet/54178 |শিরোনাম=আমাকে ঘুমের ঔষুধ দিন |সংবাদপত্র= সিলেটটুডে |তারিখ= ৪ মার্চ ২০১৮ |সংগ্রহের-তারিখ= ৪ মার্চ ২০১৮}}</ref>

===বিক্ষোভ===
*জাফর ইকবালের উপর হামলার প্রতিবাদে তাৎক্ষণিকভাবে বিক্ষোভ মিছিল করে শাবিপ্রবি ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীরা<ref name= ":65v"/>
*তাঁর ওপর হামলার প্রতিবাদে জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ময়মংসিংহে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল= http://www.ittefaq.com.bd/wholecountry/2018/03/03/149209.html |শিরোনাম=হামলার প্রতিবাদে ময়মংসিংহে বিক্ষোভ |সংবাদপত্র= ইত্তেফাক |তারিখ= ৩ মার্চ ২০১৮ |সংগ্রহের-তারিখ= ৩ মার্চ ২০১৮}}</ref>
*শিক্ষকের উপর হামলার প্রতিবাদে শাহবাগে মশাল প্রজ্জ্বলন করে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়। সেখানে টিএসসির সংগঠন [স্লোগান'৭১] ইমরান এইচ সরকার সহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল= http://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1442941/শাহবাগে-মশাল-মিছিল-প্রতিবাদ-সমাবেশ |শিরোনাম=শাহবাগে মিছিল প্রতিবাদ সমাবেশ |সংবাদপত্র= প্রথম আলো |তারিখ= ৪ মার্চ ২০১৮ |সংগ্রহের-তারিখ= ৪ মার্চ ২০১৮}}</ref>
*লেখকের হত্যাপ্রচেষ্টার বিরুদ্ধে নিন্দা জানিয়ে রাত সাড়ে আটটায় বিক্ষোভ করেছে সিলেট গণজাগরণ মঞ্চ ছিলেন।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল= http://www.sylhettoday24.org/news/details/Sylhet/54169 |শিরোনাম=নগর গণজাগরণ মঞ্চের বিক্ষোভ |সংবাদপত্র= সিলেটটুডে |তারিখ= ৪ মার্চ ২০১৮ |সংগ্রহের-তারিখ= ৪ মার্চ ২০১৮}}</ref>
*লেখকের জন্মস্থান নেত্রকোনায় প্রতিবাদ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয় <ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল= https://m.bdnews24.com/samagrabangladesh/detail/samagrabangladesh/1466773? |শিরোনাম=নেত্রকোনায় বিক্ষোভ |সংবাদপত্র= বিডিনিউজ২৪ |তারিখ= ৩ মার্চ ২০১৮ |সংগ্রহের-তারিখ= ৪ মার্চ ২০১৮}}</ref>
*রাত ৮ টার দিকে একটি সংগঠন চট্টগ্রাম নগরীর প্রেসক্লাবে বিক্ষোভ সমাবেশ করে।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল= https://m.bdnews24.com/bn/detail/ctg/1466707 |শিরোনাম=চট্টগ্রাম নগরীতে বিক্ষোভ |সংবাদপত্র= বিডিনিউজ24 |তারিখ= ৩ মার্চ ২০১৮ |সংগ্রহের-তারিখ= ৪ মার্চ ২০১৮}}</ref>
*সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ায় লেখক হত্যাপ্রেচেষ্টার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল হয়।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল= https://m.bdnews24.com/samagrabangladesh/detail/home/1466705 |শিরোনাম=ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়াতে বিক্ষোভ |সংবাদপত্র= বিডিনিউজ24 |তারিখ= ৩ মার্চ ২০১৮ |সংগ্রহের-তারিখ= ৪ মার্চ ২০১৮}}</ref>

=== তদন্ত ===
==== হত্যাচেষ্টায় জঙ্গিসংস্লিষ্টতা ও তদন্তের অগ্রগতি ====
হামলার দিন, ৩ তারিখ, শনিবার রাতেই পুলিশ শহরতলির শেখপাড়া থেকে আটক করে ফয়জুল হাসানের মামা ফয়জুর রহমানকে। একই রাতে র‌্যাব মঈন কম্পিউটারের মালিক মঈনুল হক মঈনকে আটক করে (যেখানে ফয়জুল হাসান কাজ করত)। তাকে আটকের সময় দোকান থেকে র‌্যাব সদস্যরা কম্পিউটার জব্দ করে নিয়ে যান । রোববার ভোরে ফয়জুলের গ্রামের বাড়ি থেকে তার চাচা আবদুল কাহারকে আটক করা হয়। তাছাড়া আরও একজনকে আটকের কথা জানাজানি হলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে তার নাম জানানো হয়নি। শনিবার ঘটনার পর আটক ফয়জুলকে প্রথমে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাকে জালালাবাদ সেনানিবাসে নেয়া হয়। রোববার তাকে পুলিশ প্রহরায় ফের সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। এখন সে এই হাসপাতালের ২৭নং কেবিনে চিকিৎসাধীন আছে।<ref name=":0" />

চার তারিখ, রোববার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইশফাকুল হোসেন বাদী হয়ে ফয়জুল হাসানের নাম উল্লেখসহ কয়েকজনকে অজ্ঞাত আসামি করে এসএমপির জালালাবাদ থানায় মামলাটি দায়ের করেন। ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের ওপর হামলার ঘটনায় জঙ্গি সদস্যরা জড়িত বলে নিশ্চিত হয়েছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। তবে জঙ্গিদের কোন গ্রুপ এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা এখনও চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় হামলাকারী ফয়জুল ছাড়া আরও চারজনকে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিন (র‌্যাব)।<ref name=":0" />

পুলিশ সদর দফতরের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, হামলার আগে ঘটনাস্থলে জাফর ইকবালের পেছনে তিনজন লোক দাঁড়িয়েছিল। এদের মধ্যে কালো গেঞ্জি পরিহিত যুবকের নাম ফয়জুল হাসান। তিনি ছুরিকাঘাতের ঘটনাটি শিকার করেন। পুলিস হেফাজতে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে বলা হয়, ফয়জুল হাসানের পাশেরই সাদা-কালো গেঞ্জি ও জিন্সের প্যান্ট পরে অপর এক যুবক দাঁড়িয়েছিল। তাছাড়া জাফর ইকবালের পাশে আরও দু’জন অজ্ঞাত যুবক ছিল। পুলিশের আইজি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী জানান, 'পুলিস সেই ছবি দেখে ওই তিন যুবকের পরিচয় নিশ্চিতের চেষ্টা চালাচ্ছে এবং সন্দেহজনক যুবকদের খুঁজে বের করতে স্থানীয় পুলিশকে পুলিশ সদর দফতর থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের কয়েকটি দলে বিভক্ত হয়ে আলাদাভাবে কাজ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে"।<ref name=":0" />

পুলিস হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত ছুরিটি উদ্ধার করে এবং ছুরি এবং হামলার ধরন দেখে পুলিশ জানায়, তারা পুরোপুরি নিশ্চিত যে, এটি একটি জঙ্গি হামলা। এ অবস্থায় আইজিপি জঙ্গিদের ঘিরে তদন্ত এগিয়ে নেয়ার নির্দেশ দেন। ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে পুলিশ সদর দফতর থেকে একটি টিম সিলেটে পাঠানো হয়। অতিরিক্ত ডিআইজি পদমর্যাদার দুই কর্মকর্তা সদর দফতর থেকে তদন্ত সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। এছাড়া কাউন্টার টোরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটসহ পুলিশের অন্যান্য ইউনিটের সদস্যরা ঢাকা থেকে সিলেটে গিয়েছেন। ঘটনার সময় ওই এলাকায় যত মোবাইল ফোন চালু ছিল, সেগুলোকে প্রযুক্তির আওতায় এনে তদন্তকাজ শুরু করা হয়েছে। পুলিশ সদর দফতরের এক কর্মকর্তা বলেন, ঘটনার কোনো প্রত্যক্ষদর্শী ভিডিও দৃশ্য ধারণা করেছে কিনা, তা বের করার চেষ্টা চলছে।<ref name=":0" />

সিটিটিসি ইউনিটের প্রধান ডিআইজি মনিরুল ইসলাম বলেন,' আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর স্থানীয় বিভিন্ন ইউনিটের পাশাপাশি ঢাকা থেকে একাধিক টিম ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে কাজ করছে। দু’জন অতিরিক্ত উপ-কমিশনারের নেতৃত্বে সিটিটিসির ১০ সদস্যের একটি টিম এখন সিলেটে অবস্থান করছে। এটা যে একটি জঙ্গি হামলা তা আমরা নিশ্চিত। তবে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলাম বা আনসারুল্লাহ বাংলা টিম, সেলফ মোটিভেটেড কোনো জঙ্গি নাকি অন্য কোনো গ্রুপ এটি করেছে তা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হতে পারিনি।...হামলার পরপরই হামলাকারী ফয়জুল গণপিটুনির শিকার হয়। প্রাথমিকভাবে যতটুকু কথা বলেছে, তাতে মনে হয় সে একাই ছিল। তবে আমরা নিশ্চিত নই, ঘটনাস্থলে হামলাকারী কয়জন ছিল। ফয়জুলের সঙ্গে কোন জঙ্গি সংগঠনের লিংক আছে, তা খুঁজে বের করতে সিটিটিসির সদস্যরা কাজ করছেন।'<ref name=":0" />

পুলিশ সদর দফতরের অতিরিক্ত ডিআইজি (ইনটেলিজেন্স অ্যান্ড স্পেশাল অ্যাফেয়ার্স) মনিরুজ্জামান বলেন, 'দীর্ঘদিন ধরেই জাফর ইকবাল ছিলেন জঙ্গিদের টার্গেট। রহস্য উদ্ঘাটনে ফয়জুলকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তদন্তের স্বার্থে এখনই এ বিষয়ে বিস্তারিত বলা যাচ্ছে না।'<ref name=":0" />

==== আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গাফলতি ====
জাফর ইকবালের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তায় পুলিশ নিয়োজিত থাকার পরও কেন এমন ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সংশ্লিষ্টরা। এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো গাফিলতি ছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখতে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি) কমিশনারকে নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশের আইজি।<ref name=":0" />

পুলিশ সদর দফতরের এক কর্মকর্তা বলেন, 'জাফর ইকবাল হামলার আশঙ্কার মধ্যে থাকলেও ঘটনার সময় দায়িত্বশীল কোনো কর্মকর্তা সেখানে ছিলেন না। যারা ছিলেন তারা মোবাইল ফোনে গেমস খেলছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর বেশ দেরি করে সেখানে পুলিশ কর্মকর্তারা গিয়েছেন। ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে এমনকি যখন কোনো কর্মকর্তা সেখানে যান তার ৭-৮ মিনিট আগে গেলে সন্দেহজনক আরও একাধিক যুবককে গ্রেফতার করা যেত। একজন এসআই পদমর্যাদার কর্মকর্তা গেলেও হতো।'<ref name=":0" />

পুলিশের আইজি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, ‘পুলিশের দায়িত্বহীনতার বিষয়টিকে গভীরভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে সিলেট মেট্রোপলিটন কমিশনারের সঙ্গে কথা বলেছি। হামলায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার নির্দেশ দিয়েছি... পুলিশের কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার প্রমাণ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।"<ref name=":0" />


== তথ্যসূত্র ==
== তথ্যসূত্র ==
৩৭৭ নং লাইন: ৩৩৩ নং লাইন:
[[বিষয়শ্রেণী:জীবিত ব্যক্তি]]
[[বিষয়শ্রেণী:জীবিত ব্যক্তি]]
[[বিষয়শ্রেণী:১৯৫২-এ জন্ম]]
[[বিষয়শ্রেণী:১৯৫২-এ জন্ম]]
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশী লেখক]]
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশী বিজ্ঞান লেখক]]
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশী বিজ্ঞান লেখক]]
[[বিষয়শ্রেণী:বাঙালি শিশুসাহিত্যিক]]
[[বিষয়শ্রেণী:বাঙালি শিশুসাহিত্যিক]]

১৪:৩৪, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

মুহম্মদ জাফর ইকবাল
জন্ম (1952-12-23) ২৩ ডিসেম্বর ১৯৫২ (বয়স ৭১)
সিলেট, বাংলাদেশ
পেশালেখক, পদার্থবিদ ও শিক্ষাবিদ
জাতীয়তাবাংলাদেশি
নাগরিকত্ববাংলাদেশ
ধরনউপন্যাস, বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী
উল্লেখযোগ্য পুরস্কারবাংলা একাডেমি পুরস্কার
দাম্পত্যসঙ্গীড.ইয়াসমীন হক
সন্তাননাবিল ইকবাল (পুত্র)
ইয়েশিম ইকবাল (কন্যা)
আত্মীয়হুমায়ূন আহমেদ (ভাই)
আহসান হাবীব (ভাই)

স্বাক্ষর

মুহম্মদ জাফর ইকবাল (জন্ম: ২৩ ডিসেম্বর ১৯৫২) হলেন একজন বাংলাদেশী লেখক, পদার্থবিদ ও শিক্ষাবিদ। তাকে বাংলাদেশে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী লেখা ও জনপ্রিয়করণের পথিকৃৎ হিসাবে গণ্য করা হয়। এছাড়াও তিনি একজন জনপ্রিয় শিশুসাহিত্যিক এবং কলাম-লেখক। তার লেখা বেশ কয়েকটি উপন্যাস চলচ্চিত্রে রূপায়িত হয়েছে। তিনি বর্তমানে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার বিজ্ঞানপ্রকৌশল বিভাগের একজন অধ্যাপক এবং তড়িৎ কৌশল বিভাগের প্রধান।

একটি জরিপের তথ্য অনুসারে, তিনি লেখক হিসেবে বাংলাদেশের কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে জনপ্রিয়তার শীর্ষে; জরিপে অংশগ্রহণকারী ৪৫০ জনের মধ্যে ২৩৫ জনই (৫২.২২%) তার পক্ষে মত দিয়েছে।[১]

ব্যক্তিগত জীবন

ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও তার স্ত্রী ড.ইয়াসমীন হক।

জাফর ইকবালের জন্ম, ১৯৫২ সালের ২৩ ডিসেম্বর তারিখে সিলেটে। তার পিতা মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ফয়জুর রহমান আহমদ এবং মা আয়েশা আখতার খাতুন। বাবা ফয়জুর রহমান আহমদের পুলিশের চাকরির সুবাদে তার ছোটবেলা কেটেছে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায়। মুহম্মদ জাফর ইকবালের নাম আগে ছিল বাবুল। পিতা লেখালেখির চর্চা করতেন এবং পরিবারের এই সাহিত্যমনস্ক আবহাওয়ায় জাফর ইকবাল খুব অল্প বয়স থেকেই লিখতে শুরু করেন। এটিকেই তিনি তার সহজ ভাষায় লিখতে পারার গুণের কারণ বলে মনে করেন। তিনি তার প্রথম বিজ্ঞান কল্পকাহিনী লেখেন সাত বছর বয়সে। ১৯৭১ সালের ৫ মে পাকিস্তানী আর্মি এক নদীর ধারে তার দেশপ্রেমিক পিতাকে গুলি করে হত্যা করে। বিশ্ববিদ্যালয়-পড়ুয়া জাফর ইকবালকে পিতার কবর খুঁড়ে তার মাকে স্বামীর মৃত্যুর ব্যাপারটি বিশ্বাস করাতে হয়েছিল [২]

বাংলাদেশের অত্যন্ত জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক হুমায়ূন আহমেদ তার বড় ভাই এবং রম্য ম্যাগাজিন উন্মাদের সম্পাদক ও কার্টুনিস্ট, সাহিত্যিক আহসান হাবীব তার ছোট ভাই। কন্যা ইয়েশিম ইকবাল তার কিশোর উপন্যাস আমার বন্ধু রাশেদ ইংরেজিতে রূপান্তর করেছেন Rashed, my friend নামে ।

শিক্ষাজীবন

জাফর ইকবাল ১৯৬৮ সালে বগুড়া জিলা স্কুল থেকে এসএসসি এবং ১৯৭০ সালে ঢাকা কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। তিনি ১৯৭২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন। ১৯৭৬ সালে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যান। তাঁর বিষয় ছিল - 'Parity violation in Hydrogen Atom. সেখানে পিএইচডি করার পর বিখ্যাত ক্যালটেক থেকে তার ডক্টরেট-উত্তর গবেষণা সম্পন্ন করেন।

কর্মজীবন

ড. জাফর ইকবাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন যথাক্রমে ১৯৭৫ ও ১৯৭৬ সালে। ১৯৭৫ সালে অনার্স-এ দুই নম্বরের ব্যবধানে প্রথম শ্রেণীতে ২য় স্থান অধিকার করেন। তিনি ১৯৮২ তে ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচ.ডি সম্পন্ন করে ১৯৮২ থেকে ১৯৮৮ পর্যন্ত ক্যালিফোর্নিয়া ইনিস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে সাফল্যের সাথে ডক্টরেটোত্তর গবেষণা সম্পন্ন করেন। ১৯৮৮ তে তিনি বিখ্যাত বেল কমিউনিকেশনস রিসার্চ (বেলকোর) এ গবেষক হিসাবে যোগদান করেন এবং ১৯৯৪ পর্যন্ত সেখানেই কাজ করেন। ওই বছরেই তিনি দেশে ফিরে আসেন এবং সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে যোগদান করেন। তিনি একাধিকবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য মনোনীত হন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতি নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তিনি এক সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন শিক্ষক সমিতির সভাপতির দায়িত্বও পালন করেন। বর্তমানে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক এবং তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক্স প্রকৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত আছেন।[৩]

স্বত্ত্বসমূহ

  • Patent No: 5550818, Title: System for wavelength division multiplexing/asynchronous transfer mode switching for network communication.[৪]
  • Patent No: 622611, Title: Inter-ring cross-connect for survivable multi-wavelength optical communication networks.
  • Patent No: 5392154, Title: Self-regulating multi wave length optical amplifier module for scalable lightwave communications systems.[৫]

জার্নালে প্রকাশনা

  • A Technique for Measuring Parity non Conservation in Hydrogenic Atom, E. G. Adelberger, T. A. Trainor, E. N. Fortson, T. E. Chupp, M. Z. Iqbal and H. E. Swanson, Nucl. Inst. Meth. 179 (1981)181.
  • Study of Prototype Xenon TPC, M. Z. Iqbal, B. G. O'Callaghan, F. Boehm, Nucl. Inst. Meth. A243 (1986) 459.

আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে উপস্থাপিত সন্দর্ভসমূহ

  • 10 Gb/s Direct Detection Lightwave Technolog, M. Z. Iqbal, OFC 91, San Diego. 1991.
  • 10 Gbits/s DFB MODFET Transmitter OEICs for High Speed Transmission and Optical Interconnects., T. P. Lee, Y. H. Lo, R. Bhat, P. Grabbe, M. Bagheri, M. Z. Iqbal, Proc. OEC 90, 13A2-6, Chiba, Japan July 1990.
  • 10 Gbits/s Direct Differential Phase Shift Keying Modulation and Direct Detection Experiment, R. S. Vodhanel, M. Z. Iqbal, J. L. Gimlett and L. Curtis, CLEO '90, Anaheim, California, 1990.

আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে অবদানের নিবন্ধসমূহ

  • A Xenon Time Projection Chamber for Double Beta Decay, M. Z. Iqbal et al. Proc. of the 1987 Telemark Conference.

বইয়ের অনুচ্ছেদ

  • A Xenon Time Projection Chamber for Double Beta Decay, F. Boehm and M. Z. Iqbal, Festival- Festschrift for Val Talegdi, Ed K. Winter, Amsterdam, North Holland, 1988.

অভ্যন্তরীণ সঞ্চালনের জন্য প্রায়োগিক স্মারক

  • 10 Gb/s Optical Receiver using 978 om Diode Pumped Erbium Doped Fiber Preamplifier, M. Z. Iqbal, V. Shah, D. Daniel, L. Curtis, L. Curtis, J. L. Gimlett and R. I. Laming, TM ARH-016-877.

সাহিত্য

জাফর ইকবাল বিশ্ববিদ্যালয় জীবন থেকেই লেখালেখি করেন। তার প্রথম বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীমূলক গল্প কপোট্রনিক ভালোবাসা সাপ্তাহিক বিচিত্রায় প্রকাশিত হয়েছিল। গল্পটি পড়ে একজন পাঠক দাবি করেন সেটি বিদেশি গল্প থেকে চুরি করা। এর উত্তর হিসেবে তিনি একই ধরণের বেশ কয়েকটি বিচিত্রার পরপর কয়েকটি সংখ্যায় লিখে পাঠান। তার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকালে এই গল্পগুলো নিয়ে কপোট্রনিক সুখ-দুঃখ নামে একটি বই প্রকাশিত হয়। এই বইটি পড়ে শহীদ-জননী জাহানারা ইমাম খুবই প্রশংসা করেন এবং এই ঘটনায় তিনি এ ধরণের আরও বই লিখতে উৎসাহিত হন। তার প্রথম দিকের বিজ্ঞান কল্পকাহিনীগুলো পাঠকমহলে সমাদৃত হয়। সুদূর আমেরিকাতে বসে তিনি বেশ কয়েকটি বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী রচনা করেন। দেশে ফিরে এসেও তিনি নিয়মিত বিজ্ঞান-কল্পকাহিনী লিখে যাচ্ছেন, প্রতি বইমেলাতে তার নতুন সায়েন্স ফিকশান কেনার জন্যে পাঠকেরা ভীড় জমায়।

তিনি কিশোর উপন্যাসের লেখক হিসেবেও অত্যন্ত সফল। এই শাখাতেই তার প্রতিভা সর্বোচ্চ শিখর ছুঁয়েছে। তার লেখা অনেকগুলো কিশোর উপন্যাস বাংলা কিশোর-সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছে। তার একাধিক কিশোর উপন্যাস থেকে চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে।

তার বৈশিষ্ট্যসূচক সহজ ভাষায় লেখা কলামগুলো অত্যন্ত জনপ্রিয়। তিনি দৈনিক প্রথম আলো, দৈনিক কালের কন্ঠ সহ একাধিক পত্রিকায়সাদাসিধে কথা নামে নিয়মিত কলাম লিখে থাকেন। তাঁর লেখা কলামগুলোতে তাঁর রাজনৈতিক সচেতনা এবং দেশপ্রেমের পরিচয় পাওয়া যায়। তাঁর স্বাধীনতা-বিরোধী ও ধর্মীয় মৌলবাদের বিরুদ্ধে সরাসরি মত প্রকাশ এবং প্রগতিশীল চিন্তাধারার ধারক হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক সাহিত্য ও সংস্কৃতিসেবী ছাত্র সংগঠনের উপদেষ্টা হিসেবে অবস্থান বিভিন্ন সময় প্রতিক্রিয়াশীলদের রোষানলে পড়েছে। বেশকিছু দিন উনি প্রিয়.কম-এ কলাম লিখেছেন।[৬]

বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড গড়ে তোলার পিছনে তাঁর অসামান্য অবদান রয়েছে। গণিত শিক্ষার উপর তিনি ও অধ্যাপক মোহাম্মদ কায়কোবাদ বেশ কয়েকটি বই রচনা করেছেন। এর মাঝে "নিউরনে অনুরণন" ও "নিউরনে আবারো অনুরণন" বই দুটি গণিতে আগ্রহীদের কাছে খুব জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।

পুরস্কার ও সম্মননা

  • বাংলা একাডেমি পুরস্কার, ২০০৪;
  • শ্রেষ্ঠ নাট্যকার হিসেবে ২০০৫ সালে মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার[৭]
  • কাজী মাহবুবুল্লা জেবুন্নেছা পদক, ২০০২;
  • খালেদা চৌধুরি সাহিত্য পদক, বাংলা ১৪১০;
  • শেলটেক সাহিত্য পদক ২০০৩
  • ইউরো শিশুসাহিত্য পদক ২০০৪
  • মোহা. মুদাব্বর-হুসনে আরা সাহিত্য পদক ২০০৫
  • মার্কেন্টাইল ব্যাংক সম্মাননা পদক ২০০৫
  • আমেরিকা এল্যাইমনি এ্যসোসিয়েশন পদক ২০০৫
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এ্যালাইমনি এ্যাসোসিয়েশন পদক '০৫।[৮]

উল্লেখযোগ্য রচনাবলী

উপন্যাস

  • আকাশ বাড়িয়ে দাও (১৯৮৭)
  • বিবর্ণ তুষার (১৯৯৩)
  • দুঃস্বপ্নের দ্বিতীয় প্রহর (১৯৯৪)
  • কাচসমুদ্র(১৯৯৯)
  • সবুজ ভেলভেট (২০০৩)
  • ক্যাম্প (২০০৪)
  • মহব্বত আলীর একদিন (২০০৬)

ছোট গল্প

  • একজন দুর্বল মানুষ-(১৯৯২)
  • ক্যাম্প
  • ছেলেমানুষী-(১৯৯৩)
  • নুরূল ও তার নোটবই-(১৯৯৬)
  • মধ্যরাত্রিতে তিন দূর্ভাগা তরুণ-(২০০৪)

বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী

  • কপোট্রনিক সুখ দুঃখ (১৯৭৬)
  • মহাকাশে মহাত্রাস (১৯৭৭)
  • ক্রুগো (১৯৮৮)
  • ট্রাইটন একটি গ্রহের নাম (১৯৮৮)
  • বিজ্ঞানী সফদর আলীর মহা মহা আবিস্কার (১৯৯২)
  • ওমিক্রমিক রূপান্তর (১৯৯২)
  • টুকুনজিল (১৯৯৩)
  • যারা বায়োবট (১৯৯৩)
  • নি:সঙ্গ গ্রহচারী (১৯৯৪)
  • ক্রোমিয়াম অরণ্য (১৯৯৫)
  • ত্রিনিটি রাশিমালা (১৯৯৫)
  • নয় নয় শূন্য তিন (১৯৯৬)
  • অনুরণ গোলক (১৯৯৬)
  • টুকি ও ঝায়ের (প্রায়) দুঃসাহসিক অভিযান (১৯৯৭)
  • পৃ (১৯৯৭)
  • রবো নগরী (১৯৯৭)
  • একজন অতিমানবী (১৯৯৮)
  • সিস্টেম এডিফাস (১৯৯৮)
  • মেতসিস (১৯৯৯)
  • ইরন (২০০০)
  • জলজ (২০০০)
  • ফোবিয়ানের যাত্রী (২০০১)
  • প্রজেক্ট নেবুলা (২০০১)
  • ত্রাতুলের জগৎ (২০০২)
  • বেজি (২০০২)
  • শাহনাজ ও ক্যাপ্টেন ডাবলু (২০০৩)
  • সায়রা সায়েন্টিস্ট (২০০৩)
  • ফিনিক্স (২০০৩)
  • সুহানের স্বপ্ন (২০০৪)
  • অবনীল (২০০৪)
  • নায়ীরা (২০০৫)
  • বিজ্ঞানী অনিক লুম্বা (২০০৫)
  • রুহান রুহান (২০০৬)
  • জলমানব (২০০৭)
  • অন্ধকারের গ্রহ (২০০৮)
  • অক্টোপাসের চোখ (২০০৯)
  • ইকারাস (২০০৯)
  • রবোনিশি (২০১০)
  • প্রডিজি (২০১১)
  • কেপলার টুটুবি (২০১২)
  • ব্ল্যাক হোলের বাচ্চা (২০১৩)
  • এনিম্যান (২০১৪)
  • এখন তখন মানিক রতন (২০১৪)
  • সেরিনা (২০১৫)
  • ক্রেনিয়াল (২০১৬)
  • রিটিন (২০১৭)
  • ত্রাতিনা (২০১৮)

কিশোর সাহিত্য

কিশোর উপন্যাস

  • মেকু কাহিনী(২০০০)
  • শান্তা পরিবার(২০০২)
  • কাজলের দিনরাত্রি(২০০২)
  • কাবিল কোহকাফী(২০০৩)
  • দস্যি ক'জন(২০০৪)
  • আমি তপু(২০০৫)
  • লিটু বৃত্তান্ত(২০০৬)
  • লাবু এল শহরে(২০০৭)
  • বৃষ্টির ঠিকানা(২০০৭)
  • নাট বল্টু (২০০৮)
  • মেয়েটির নাম নারীনা(২০০৯)
  • রাশা (২০১০)
  • আঁখি এবং আমরা ক'জন (২০১১)
  • দলের নাম ব্ল্যাক ড্রাগন (২০১১)
  • রাতুলের রাত রাতুলের দিন (২০১২)
  • রূপ-রূপালী (২০১২)
  • ইস্টিশন (২০১৩)
  • গাব্বু (২০১৩)
  • টুনটুনি ও ছোটচাচ্চু (২০১৪)
  • গ্রামের নাম কাঁকনডুবি (২০১৪)
  • আরো টুনটুনি ও আরো ছোটাচ্চু (২০১৫)
  • আবারো টুনটুনি ও আবারো ছোটাচ্চু (২০১৭)
  • তবুও টুনটুনি তবুও ছোটাচ্চু (২০১৮)
  • সাইক্লোন(২০১৮)

কিশোর গল্প

  • আমড়া ও ক্র্যাব নেবুলা-(১৯৯৬)
  • আধুনিক ঈশপের গল্প-(১৯৯৬)
  • তিন্নি ও বন্যা-(১৯৯৮)

শিশুতোষ

  • বুগাবুগা-(২০০১)
  • সাগরের যত খেলনা-(২০০২)
  • রতন-(২০০৮)
  • ঘাস ফড়িং-(২০০৮)
  • হাকাহাকি ডাকাডাকি-(২০০৮)
  • ভূতের বাচ্চা কটকটি-(২০১১)
  • বাপ্পার বন্ধু - (২০১৪)
  • ইঁদুর এবং দুষ্ট হাতি - (২০১৬)
  • ভূতের বাচ্চা সোলায়মান - (২০১৭)
  • বড় হবে ঝিলমিল-(২০১৮)

ভ্রমণ ও স্মৃতিচারণ

  • দেশের বাইরে দেশ-(১৯৯৭)
  • আমেরিকা-(১৯৯৭)
  • সঙ্গি সাথী পশু পাখি-(১৯৯৩)
  • আধ ডজন স্কুল-(১৯৯৬)
  • তোমাদের প্রশ্ন আমার উত্তর-(২০০৪)
  • রঙিন চশমা-(২০০৭)
  • আরো প্রশ্ন আরো উত্তর-(২০১২)

বিজ্ঞান ও গণিত বিষয়ক

  • দেখা আলো না দেখা রূপ (১৯৮৬)
  • বিজ্ঞানের একশ মজার খেলা (১৯৯৪)
  • নিউরণে অনুরণন (২০০২)
  • নিউরণে আবারো অনুরণন (২০০৩)
  • গনিত এবং আরও গণিত (২০০৩)
  • আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াড: প্রশ্ন ও উত্তর (২০০৪)
  • একটু খানি বিজ্ঞান (২০০৭)
  • গণিতের মজা মজার গণিত (২০০৭)
  • থিওরি অফ রিলেটিভিটি (২০০৮)
  • কোয়ান্টাম মেকানিক্স (২০০৯)
  • আরো একটু খানি বিজ্ঞান (২০১০)
  • সহজ ক্যালকুলাস (২০১৭)
  • বিগ ব্যাং থেকে হোমো স্যাপিয়েনস (২০১৮)

কলাম সংকলন

  • দেশের বাইরে দেশ-(১৯৯৩)
  • সাদাসিধে কথা-(১৯৯৫)
  • নিঃসঙ্গ বচন-(১৯৯৮)
  • প্রিয় গগন ও অন্যান্য-(১৯৯৯)
  • হিমঘরে ঘুম ও অন্যান্য-(২০০০)
  • পৃথিবীর সৌন্দর্য এবং আলফ্রেড সরেন-(২০০১)
  • ২০৩০ সালের একদিন ও অন্যান্য-(২০০২)
  • দুঃস্বপ্নের রাত এবং দুর্ভাবনার দিন-(২০০৩)
  • এখনো স্বপ্ন দেখায়-(২০০৪)
  • ক্রসফায়ার এবং অন্যান্য-(২০০৫)
  • আরো একটি বিজয় চাই-(২০০৬)
  • ভবদহের গল্প এবং অন্যান্য-(২০০৭)
  • বৈশাখের হাহাকার ও অন্যান্য-(২০০৮)
  • স্বপ্নের দেশ ও অন্যান্য-(২০০৯)
  • ঢাকা নামের শহর ও অন্যান্য-(২০১০)
  • এক টুকরো লাল সবুজ কাপড়-(২০১১)
  • বদনখানি মলিন হলে-(২০১২)
  • রাজনীতি নিয়ে ভাবনা ও অন্যান্য-(২০১৩)
  • একজন সাদাসিধে মা এবং অন্যান্য-(২০১৫)
  • যখনি জাগিবে তুমি-(২০১৬)
  • তারুণ্যের এপিঠ-ওপিঠ-(২০১৭)
  • অনলাইন জীবন ও অন্যান্য-(২০১৮)

ভৌতিক সাহিত্য

  • প্রেত-(১৯৮৩)
  • পিশাচিনী-(১৯৯২)
  • নিশিকন্যা-(২০০৩)
  • ছায়ালীন-(২০০৬)
  • ও-(২০০৮)
  • দানব-(২০০৯)
  • অন্যজীবন-(২০১৬)

টিভি নাটক

  • গেস্ট হাউস
  • ঘাস ফড়িঙের স্বপ্ন
  • শান্তা পরিবার
  • একটি সুন্দর সকাল
  • লিরিক

রেডিও নাটক

মুক্তিযুদ্ধ

  • মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস-(২০০৯)
  • ছোটদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস-(২০০৯)

হত্যার হুমকি ও হত্যা প্রচেষ্টা

হত্যা প্রচেষ্টা

৩ মার্চ ২০১৮ রোজ শনিবার বিকালে সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবালকে ছুরিকাঘাত করা হয়।[৯] বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে ইলেকট্রিকাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) উৎসবের রোবটিক প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠান চলছিল। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে কয়েকজন হুলুস্থুল শুরু করে। সে সময় একজন অধ্যাপকের মাথায় হামলা চালায়।[১০]

হত্যাচেষ্টার তাৎক্ষণিক মুহুর্তে ড. ইকবালের প্রতিক্রিয়া

  • প্রতিযোগিতার বিচারক এবং হামলা প্রচেষ্টার প্রত্যক্ষদর্শী নওশাদ সজীব এর ভাষ্যমতে, ছুরিকাঘাতের পরপরই লেখক উঠে দাঁড়িয়ে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেছিলেন, আই অ্যাম অলরাইট, তোমরা উত্তেজিত হয়ো না। তিনি আরো বলেন যে, সে সময় শিক্ষকের মাথা থেকে রক্ত গড়িয়ে পড়ে তাঁর মুখ ও শার্ট ভিজে যায়। ঐ কথা বলার পরপরই তিনি ক্ষতস্থানে এক হাত রেখে আরেক হাতে চেয়ার খুঁজে বসার চেষ্টা করেন। এর পরপরই শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা তাঁকে ধরেন এবং হাসপাতালে হস্তান্তর করেন [১১]
  • সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়ার সময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ছেলেটা কই, ওকে তোমরা মারধর করো না[১২]
  • অপারেশনে দায়িত্বে থাকা একজন চিকিৎসক ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, স্যারকে রিভার্স পর স্যার তার কাছে ঘুমের ঔষুধ চেয়েছেন। অপারেশন থিয়েটারের দায়িত্বে থাকা অপর একজন চিকিৎসক লিখেছেন, অধ্যাপক জাফর ইকবাল আমার দেখা একজন সাহসী মানুষ। অপারেশনের বিছানায় যখন তাকে এনস্থেশিয়া দেওয়া হচ্ছে তখনও তিনি বলেছেন- আমি ঠিক আছি। কিছু রক্তের প্রয়োজন। [১৩]

তথ্যসূত্র

  1. তানজিনা হোসেন ও সিমু নাসের (ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০০২)। "নতুন প্রজন্ম: বই ও অন্যান্য"। ছুটির দিনে, দৈনিক প্রথম আলো (মুদ্রণ)। ঢাকা। পৃষ্ঠা ৫–৬। 
  2. মুহম্মদ জাফর ইকবাল (২০০৭)। রঙিন চশমা। প্রতীক প্রকাশনী। পৃষ্ঠা ৭-১১। আইএসবিএন 9844461057 
  3. "Shahjalal University of Science & Technology"www.sust.edu 
  4. "System for wavelength division multiplexing/asynchronous transfer mode switching for network communication" 
  5. "Self-regulating multiwavelength optical amplifier module for scalable lightwave communications systems" 
  6. "ডিসেম্বরের প্রথম প্রহর : মুহম্মদ জাফর ইকবাল"প্রিয়.কম। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১০-০৩ 
  7. "Meril-Prothom Alo awards for 2005 given" [২০০৫-এর মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার দেয়া হয়েছে]। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ১৩ মে ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ১ এপ্রিল ২০১৮ 
  8. ":: Welcome to GUNIJAN :: The Eminent :: Largest electronic journal of bangladeshi eminents :."gunijan.org.bd 
  9. "অধ্যাপক জাফর ইকবালকে ছুরিকাঘাত"ইত্তেফাক। ৩ মার্চ ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৩ মার্চ ২০১৮ 
  10. "অধ্যাপক জাফর ইকবালকে ছুরিকাঘাত"প্রথম আলো। ৪ মার্চ ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৪ মার্চ ২০১৮ 
  11. "আই অ্যাম অলরাইট তোমরা উত্তেজিত হয়ো না"প্রথম আলো। ৪ মার্চ ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৩ মার্চ ২০১৮ 
  12. "ছেলেটা কই, ওরে তোমরা মারধোর কোরো না"সিলেট টুডে। ৩ মার্চ ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৪ মার্চ ২০১৮ 
  13. "আমাকে ঘুমের ঔষুধ দিন"সিলেটটুডে। ৪ মার্চ ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৪ মার্চ ২০১৮ 

বহিঃসংযোগ