৪৩তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (বাংলাদেশ)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
৪৩তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার
পুরস্কার দেওয়া হয়২০১৮ সালে চলচ্চিত্রশিল্পে গৌরবোজ্জ্বল ও অসাধারণ অবদানের জন্য
আয়োজকতথ্য মন্ত্রণালয়
ঘোষণা৫ নভেম্বর ২০১৯
স্থানঢাকা, বাংলাদেশ
অফিসিয়াল ওয়েবসাইটঅফিসিয়াল ওয়েবসাইট
আলোকপাত
আজীবন সম্মাননাআলমগীরপ্রবীর মিত্র
শ্রেষ্ঠ পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রপুত্র
শ্রেষ্ঠ অভিনেতাফেরদৌস আহমেদসায়মন সাদিক
পুত্রজান্নাত
শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীজয়া আহসান
দেবী
সর্বাধিক পুরস্কারপুত্র (১১)
 ← ৪২তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ৪৪তম → 

৪৩তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বাংলাদেশের তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক চলচ্চিত্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখার জন্য প্রদত্ত পুরস্কার। তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে ২০১৯ সালের ৫ নভেম্বর 'জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১৮' ঘোষণা করা হয়।[১][২] এ বছর ২৮টি বিভাগে পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। এই বছর সর্বোচ্চ ১১টি বিভাগে পুরস্কার পায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর নির্মিত ‘পুত্র’ চলচ্চিত্র। আজীবন সম্মাননা পন অভিনেতা আলমগীরপ্রবীর মিত্র

বিজয়ীদের তালিকা[সম্পাদনা]

পুরস্কারের নাম বিজয়ী চলচ্চিত্র
শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর পুত্র
শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইন্সটিটিউট গল্প সংক্ষেপ
শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্য চলচ্চিত্র ফরিদুর রেজা সাগর রাজাধিরাজ রাজ্জাক
শ্রেষ্ঠ পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান মানিক জান্নাত
শ্রেষ্ঠ অভিনেতা ফেরদৌস আহমেদ
সায়মন সাদিক
পুত্র
জান্নাত
শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী জয়া আহসান দেবী
শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেতা আলীরাজ জান্নাত
শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেত্রী সুচরিতা মেঘকন্যা
শ্রেষ্ঠ খলচরিত্রে অভিনয়শিল্পী সাদেক বাচ্চু একটি সিনেমার গল্প
শ্রেষ্ঠ কৌতুক অভিনয়শিল্পী মোশাররফ করিম
আফজাল শরীফ
কমলা রকেট
পবিত্র ভালোবাসা
শ্রেষ্ঠ শিশু শিল্পী ফাহিম মোহতাসিম লাজিম পুত্র
শিশু শিল্পী শাখায় বিশেষ পুরস্কার মাহমুদুর রহমান অনিন্দ্য মাটির প্রজার দেশে
শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক ইমন সাহা জান্নাত
শ্রেষ্ঠ নৃত্য পরিচালক মাসুম বাবুল একটি সিনেমার গল্প
শ্রেষ্ঠ পুরুষ কন্ঠশিল্পী নাইমুল ইসলাম রাতুল পুত্র (গানঃ "যদি দুঃখ ছুঁয়ে...")
শ্রেষ্ঠ নারী কন্ঠশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন
আঁখি আলমগীর
পুত্র (গানঃ "ভুলে মান অভিমান...")
একটি সিনেমার গল্প (গানঃ "গল্প কথার ঐ...")
শ্রেষ্ঠ গীতিকার কবির বকুল
জুলফিকার রাসেল
নায়ক (গানঃ "যদি এভাবেই ভালোবাসা...")
পুত্র (গানঃ "যদি দুঃখ ছুঁয়ে...")
শ্রেষ্ঠ সুরকার রুনা লায়লা একটি সিনেমার গল্প (গানঃ "গল্প কথার ঐ...")
শ্রেষ্ঠ কাহিনীকার সুদীপ্ত সাঈদ খান জান্নাত
শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার সাইফুল ইসলাম মান্নু পুত্র
শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা এস. এম. হারুন-অর-রশীদ পুত্র
শ্রেষ্ঠ চিত্রসম্পাদক তারিক হোসেন বিদ্যুৎ পুত্র
শ্রেষ্ঠ শিল্প নির্দেশক উত্তম গুহ একটি সিনেমার গল্প
শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক জেড এইচ মিন্টু পোস্টমাস্টার ৭১
শ্রেষ্ঠ শব্দগ্রাহক আজম বাবু পুত্র
শ্রেষ্ঠ পোশাক ও সাজসজ্জা সাদিয়া শবনম শান্তু পুত্র
শ্রেষ্ঠ রূপসজ্জাকার ফরহাদ রেজা মিলন দেবী

বিশেষ পুরস্কার[সম্পাদনা]

সমালোচনা[সম্পাদনা]

এবছর কমলা রকেট চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ কৌতুক অভিনয়শিল্পী বিভাগে মোশাররফ করিমের নাম ঘোষণার পর, এ নিয়ে উঠে সমালোচনা ও বিতর্ক। মোশাররফ করিম এ পুরস্কার নিতে অস্বীকৃতি জানান, এবং তিনি জানান “কিন্তু ‘কমলা রকেট’ চলচ্চিত্রে আমি যে চরিত্রে অভিনয় করেছি সেটি কোনোভাবেই কমেডি বা কৌতুক চরিত্র নয়। ছবিটির চিত্রনাট্যকার, পরিচালকসহ সহশিল্পীরা নিশ্চয় অবগত আছেন। একই সঙ্গে যারা ছবিটি দেখেছেন তারাও নিশ্চয় উপলব্ধি করেছেন কমলা রকেট-এ আমার অভিনয় করা ‘মফিজুর’ চরিত্রটি কোনো কৌতুক চরিত্র নয়। এটি প্রধান চরিত্রগুলির একটি।”[৩][৪][৫]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০১৭ ও ২০১৮"। তথ্য মন্ত্রণালয়। ২২ অক্টোবর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ নভেম্বর ২০১৯ 
  2. "জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১৭-২০১৮" (পিডিএফ)তথ্য মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ। ২০১৯-১১-০৭ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-২১ 
  3. "ভারতের নাগরিককে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, কৌতুক অভিনেতা নিয়ে কৌতুক"প্রথম আলো। ২০১৯-১২-০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১২-০৮ 
  4. "জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার গ্রহণ করবেন না মোশাররফ করিম"দ্য ডেইলি স্টার। ৯ নভেম্বর ২০১৯। ২০ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ ডিসেম্বর ২০১৯ 
  5. "মোশাররফ করিম যাবেন না, কালাম পাবেন না"প্রথম আলো। ২০১৯-১২-০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১২-০৮