১০ম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (বাংলাদেশ)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
১০ম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার
পুরস্কার দেওয়া হয়১৯৮৫ সালে চলচ্চিত্রশিল্পে গৌরবোজ্জ্বল ও অসাধারণ অবদানের জন্য
পুরস্কার প্রদান করেবাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি
আয়োজকতথ্য মন্ত্রণালয়
তারিখ১৮ ডিসেম্বর ১৯৮৬
স্থানঢাকা, বাংলাদেশ
অফিসিয়াল ওয়েবসাইটদাপ্তরিক ওয়েবসাইট
আলোকপাত
শ্রেষ্ঠ পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রপ্রদান করা হয়নি
শ্রেষ্ঠ অভিনেতাআলমগীর
মা ও ছেলে
শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীববিতা
রামের সুমতি
সর্বাধিক পুরস্কারদহন, মা ও ছেলেপ্রেমিক(৩)
 ← ৯ম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ১১তম → 

১০ম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক চলচ্চিত্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখার জন্য প্রদত্ত ১০ম আয়োজন; যা ১৯৮৫ সালে বাংলাদেশের মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র সমূহের জন্য দেওয়া হয়। ১৯৭৫ সাল থেকে প্রতি বছর এটি দেয়া হচ্ছে। সরকার কর্তৃক নিযুক্ত একটি জাতীয় প্যানেল বিজয়ীদের নির্বাচন করে থাকে। এই বছর শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র বিভাগে কোন পুরস্কার দেওয়া হয় নি।[১] দহন, মা ও ছেলেপ্রেমিক চলচ্চিত্রগুলো ৩টি এবং রামের সুমতিতিন কন্যা ২টি করে পুরস্কার লাভ করে।[২]

অনুষ্ঠান[সম্পাদনা]

১৮ ডিসেম্বর, ১৯৮৬ সালে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পুরস্কার বিতরণ করেন তৎকালীন তথ্যমন্ত্রী আনোয়ার জাহিদ। এই বছর ১৯টি শাখার মধ্যে ১৩টি শাখায় পুরস্কার প্রদান করা হয়।[৩]

বিজয়ী[সম্পাদনা]

শেখ নিয়ামত আলী দ্বিতীয়বারের মত শ্রেষ্ঠ পরিচালক বিভাগে এই পুরস্কার অর্জন করেন। তবে আগের বার সূর্য দীঘল বাড়ী চলচ্চিত্রের জন্য তিনি মসিহউদ্দিন শাকেরের সাথে যৌথভাবে এই পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন। এছাড়া তিনি এই বছর শ্রেষ্ঠ কাহিনীকার বিভাগেও পুরস্কার লাভ করেন। প্রথম তিন বছর টানা শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে পুরস্কার লাভের পর ববিতার এটি চতুর্থ পুরস্কার। শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে প্রথমবারের মত এই পুরস্কার লাভ করেন আলমগীর[৪] শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেতাপার্শ্বচরিত্রে অভিনেত্রী বিভাগে প্রথমবারের মত এই পুরস্কার লাভ করেন যথাক্রমে আবুল খায়েররেহানা জলিআলম খান দ্বিতীয়বারের মত শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক বিভাগে পুরস্কৃত হন।[৫] সাবিনা ইয়াসমিন ষষ্ঠবারের মত শ্রেষ্ঠ নারী কণ্ঠশিল্পী বিভাগে পুরস্কার লাভ করেন।[৬]

বিজয়ীদের তালিকা[সম্পাদনা]

মেধা পুরস্কার[সম্পাদনা]

পুরস্কারের নাম বিজয়ী চলচ্চিত্র
শ্রেষ্ঠ পরিচালক শেখ নিয়ামত আলী দহন
শ্রেষ্ঠ অভিনেতা আলমগীর মা ও ছেলে
শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী ববিতা রামের সুমতি
শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেতা আবুল খায়ের দহন
শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেত্রী রেহানা জলি মা ও ছেলে
শ্রেষ্ঠ শিশু শিল্পী মাস্টার জয় রামের সুমতি
শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক আলম খান তিন কন্যা
শ্রেষ্ঠ গীতিকার আলাউদ্দিন আলী প্রেমিক
শ্রেষ্ঠ নারী কণ্ঠশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন প্রেমিক

কারিগরী পুরস্কার[সম্পাদনা]

পুরস্কারের নাম বিজয়ী চলচ্চিত্র
শ্রেষ্ঠ কাহিনীকার শেখ নিয়ামত আলী দহন
শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার ইসমাইল মোহাম্মদ মা ও ছেলে
শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক (রঙ্গিন) বেবী ইসলাম প্রেমিক
শ্রেষ্ঠ সম্পাদক মুজিবুর রহমান দুলু তিন কন্যা

একাধিক পুরস্কারপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র[সম্পাদনা]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. রাশেদ শাওন। "চার দশকে আমাদের সেরা চলচ্চিত্রগুলো"বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ২৮ ডিসেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ৪, ২০১২ 
  2. "বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ১৯৮৫" (পিডিএফ)বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ। Archived from the original on নভেম্বর ১৮, ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ৪, ২০১৫ 
  3. "জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্তদের নামের তালিকা (১৯৭৫-২০১২)"fdc.gov.bdবাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন। ২৩ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ডিসেম্বর ২০১৮ 
  4. মারিয়া, শান্তা (৩ এপ্রিল ২০১৬)। "চিরসবুজ আলমগীর"বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ২৬ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জানুয়ারি ২০১৭ 
  5. কবির বকুল (অক্টোবর ২৯, ২০১৫)। "আলম খানের গান ও গল্প"দৈনিক আজাদী। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জানুয়ারি ২০১৭ 
  6. "সংগীতের অহংকার সাবিনা ইয়াসমিন"দৈনিক আজাদী। ২৪ জানুয়ারি ২০১৩। ২০১৫-১২-০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ নভেম্বর ২০১৬