চার্লস লটন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
চার্লস লটন
Charles Laughton
দ্য ব্যারেটস্‌ অব উইম্পল স্ট্রিট চলচ্চিত্রের প্রচারণামূলক ছবিতে লটন
জন্ম(১৮৯৯-০৭-০১)১ জুলাই ১৮৯৯
স্কারবরা, ইয়র্কশায়ারের নর্থ রাইডিং, ইংল্যান্ড
মৃত্যু১৫ ডিসেম্বর ১৯৬২(1962-12-15) (বয়স ৬৩)
মৃত্যুর কারণমূত্রাশয়ের ক্যান্সার
সমাধিফরেস্ট লন মেমোরিয়াল পার্ক, হলিউড হিলস, ক্যালিফোর্নিয়া
নাগরিকত্ব ইংল্যান্ড
 মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
মাতৃশিক্ষায়তনরয়্যাল একাডেমি অব ড্রামাটিক আর্ট
পেশাঅভিনেতা, চিত্রনাট্যকার, পরিচালক, প্রযোজক
কর্মজীবন১৯২৬-১৯৬১
দাম্পত্য সঙ্গীএলসা ল্যাঙ্কেস্টার (বি. ১৯১৯; মৃ. ১৯৬২)
পুরস্কারনিচে দেখুন

চার্লস লটন (ইংরেজি: Charles Laughton; ১ জুলাই ১৮৯৯ - ১৫ ডিসেম্বর ১৯৬২) ছিলেন একজন ইংরেজ অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজক ও চিত্রনাট্যকার। তিনি ধ্রুপদী ও আধুনিকসহ বিভিন্ন ধরনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন এবং ওল্ড ভিসে শেকসপিয়ারীয় মঞ্চনাটকে তার অভিনয় দিয়ে প্রভাব বিস্তার করেন। তিনি দানব থেকে শুরু করে রাজা চরিত্রেও অভিনয় করেন।[১] কর্মজীবনের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি তিনটি শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন হতে একটি পুরস্কার লাভ করেন, একটি দাভিদ দি দোনাতেল্লো এবং একটি গ্র্যামি পুরস্কার লাভ করেন।

লন্ডনের রয়্যাল একাডেমি অব ড্রামাটিক আর্টে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত লটন ১৯২৬ সালে প্রথম মঞ্চে অভিনয় করেন। ১৯২৭ সালে তিনি এলসা ল্যাঙ্কেস্টারের সাথে একটি মঞ্চনাটকে অভিনয় করেন এবং পরবর্তীতে আরও অসংখ্য কাজে তাদের একসাথে দেখা যায়। লটন ১৯২৯ সালে তাকে বিয়ে করেন এবং তাদের বিয়ে আমৃত্যু টিকে ছিল।

১৯২০-এর দশকে শেষের দিকে লটনের চলচ্চিত্র কর্মজীবন শুরু হয় এবং এর সফলতার ধারাবাহিকতায় তিনি ব্রডওয়ে মঞ্চে ও হলিউডের অভিনয়ের সুযোগ পান। পাশাপাশি তিনি আলেকজান্ডার কর্ডার পরিচালনায় সে যুগের একাধিক উল্লেখযোগ্য ব্রিটিশ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। কর্ডার পরিচালনায় দ্য প্রাইভেট লাইফ অব এইটথ হেনরি চলচ্চিত্রে অভিনয় করে তিনি তার প্রথম শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন এবং পুরস্কার অর্জন করেন। এছাড়া তিনি মিউটিনি অন দ্য বাউন্টি (১৯৩৬) ও উইটনেস অব দ্য প্রসিকিউশন (১৯৫৭) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে তার অপর দুটি একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন পান। লটন অভিনীত হিট চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে দ্য ব্যারেটস্‌ অব উইম্পল স্ট্রিট (১৯৩৪), রাগলস্‌ অব রেড গ্যাপ (১৯৩৫), জামাইকা ইন (১৯৩৯), দ্য হাঞ্চব্যাক অব নটর ডেম (১৯৩৯), ও দ্য বিগ ক্লক (১৯৪৮)। কর্মজীবনের শেষের দিকে তিনি মঞ্চ পরিচালনায় জড়িত হন। তার নির্দেশিত উল্লেখযোগ্য মঞ্চনাটক হল দ্য কেইন মিউটিনি কোর্ট-মার্শালজর্জ বার্নাড শ'র ডন জুয়ান ইন হেল। এছাড়া তিনি একটি চলচ্চিত্র পরিচালনা করেন, তা হল দ্য নাইট অব দ্য হান্টার (১৯৫৫)।

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

১৯২০-এর দশকে শেষের দিকে লটনের চলচ্চিত্র কর্মজীবন শুরু হয় এবং এর সফলতার ধারাবাহিকতায় তিনি ব্রডওয়ে মঞ্চে ও হলিউডের অভিনয়ের সুযোগ পান। পাশাপাশি তিনি আলেকজান্ডার কর্ডার পরিচালনায় সে যুগের একাধিক উল্লেখযোগ্য ব্রিটিশ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। কর্ডার পরিচালনায় দ্য প্রাইভেট লাইফ অব এইটথ হেনরি (১৯৩৩) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে তিনি তার প্রথম শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে একাডেমি পুরস্কার অর্জন করেন। তিনি দ্য ব্যারেটস্‌ অব উইম্পল স্ট্রিট (১৯৩৪) চলচ্চিত্রে নর্মা শিয়েরারের পিতার চরিত্রে অভিনয় করেন, কিন্তু তিনি শিয়েরারের থেকে বয়সে মাত্র তিন বছরের বড় ছিলেন। তার অন্যতম বিখ্যাত কাজ ছিল ফ্র্যাংক লয়েডের মিউটিনি অন দ্য বাউন্টি (১৯৩৫) চলচ্চিত্রে উইলিয়াম ব্লাই চরিত্রে অভিনয়। এতে তার সহশিল্পী ছিলেন ক্লার্ক গেবল, যিনি ফ্লেচার ক্রিশ্চিয়ান চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। এই চলচ্চিত্রে অভিনয় করে লটন আরেকটি একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। এই সময়ে লটন অভিনীত অন্যান্য ব্যবসা সফল চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে, রাগলস্‌ অব রেড গ্যাপ (১৯৩৫), জামাইকা ইন (১৯৩৯), দ্য হাঞ্চব্যাক অব নটর ডেম (১৯৩৯), ও দ্য বিগ ক্লক (১৯৪৮)। কর্মজীবনের শেষের দিকে তিনি মঞ্চ পরিচালনায় জড়িত হন। তার নির্দেশিত উল্লেখযোগ্য মঞ্চনাটক হল দ্য কেইন মিউটিনি কোর্ট-মার্শালজর্জ বার্নাড শ'র ডন জুয়ান ইন হেল

লটন ১৯৫৪ সালে ব্রিটেন ফিরে আসেন এবং ডেভিড লিনের হবসন্‌স চয়েস চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। ১৯৫৫ সালে তিনি একটি চলচ্চিত্র পরিচালনা করেন, তা হল দ্য নাইট অব দ্য হান্টার। তিনি উইটনেস অব দ্য প্রসিকিউশন (১৯৫৭) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে একাডেমি পুরস্কারসেরা নাট্য চলচ্চিত্র অভিনেতা বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কারের মনোনয়ন পান। এরপর তিনি আন্ডার টেন ফ্ল্যাগস (১৯৬০) চলচ্চিত্রে একজন ব্রিটিশ অ্যাডমিরাল এবং কার্ক ডগলাসলরন্স অলিভিয়ের সাথে স্পার্টাকাস (১৯৬০) চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। তার অভিনীত সর্বশেষ চলচ্চিত্র ছিল অ্যাডভাইস অ্যান্ড কনসেন্ট (১৯৬২)। এতে তিনি একজন মার্কিন সিনেটর চরিত্রে অভিনয় করে ইতিবাচক পর্যালোচনা অর্জন করেন।

পুরস্কার ও মনোনয়ন[সম্পাদনা]

চলচ্চিত্রে শিল্পে অবদানের জন্য ৭০২১ হলিউড বলেভার্ডের হলিউড ওয়াক অব ফেমে তার নামাঙ্কিত একটি তারকা খচিত হয়।[২] তার গৃহীত অন্যান্য পুরস্কার ও মনোনয়নসমূহ হল:

একাডেমি পুরস্কার
গ্র্যামি পুরস্কার
  • বিজয়ী: শ্রেষ্ঠ কথ্য অ্যালবাম - দ্য স্টোরি-টেলার: আ সিজন উইথ চার্লস লটন (১৯৬৩)
দাভিদ দি দোনাতেল্লো
  • বিজয়ী: শ্রেষ্ঠ বিদেশি অভিনেতা - উইটনেস অব দ্য প্রসিকিউশন (১৯৫৭)
নিউ ইয়র্ক ফিল্ম ক্রিটিকস সার্কেল পুরস্কার
  • বিজয়ী: শ্রেষ্ঠ অভিনেতা - মিউটিনি অন দ্য বাউন্টিরাগলস অব রেড গ্যাপ (১৯৩৫)

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. ক্যালো, সিমন (২৪ নভেম্বর ২০১২)। "Charles Laughton: dazzling player of monsters, misfits and kings"দ্য টেলিগ্রাফ (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১ জুলাই ২০১৮ 
  2. "Charles Laughton | Hollywood Walk of Fame"ওয়াক অব ফেম (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৫ আগস্ট ২০১৮ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]