কৃষ্ণমাচারী শ্রীকান্ত

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
কৃষ শ্রীকান্ত
সামাজিক সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানে কৃষ্ণমাচারী শ্রীকান্ত
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামকৃষ্ণমাচারী শ্রীকান্ত
জন্ম (1959-12-21) ২১ ডিসেম্বর ১৯৫৯ (বয়স ৬৪)
মাদ্রাজ, ভারত
ডাকনামচিকা
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনঅফ-স্পিন
সম্পর্কঅনিরুদ্ধ শ্রীকান্ত (পুত্র)
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৪৩)
২৭ নভেম্বর ১৯৮১ বনাম ইংল্যান্ড
শেষ টেস্ট১ ফেব্রুয়ারি ১৯৯২ বনাম অস্ট্রেলিয়া
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ১৪৬)
২৫ নভেম্বর ১৯৮১ বনাম ইংল্যান্ড
শেষ ওডিআই১৫ মার্চ ১৯৯২ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
তামিলনাড়ু
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই
ম্যাচ সংখ্যা ৪৩ ১৪৬
রানের সংখ্যা ২০৬২ ৪০৯১
ব্যাটিং গড় ২৯.৮৮ ২৯.০১
১০০/৫০ ২/১২ ৪/২৭
সর্বোচ্চ রান ১২৩ ১২৩
বল করেছে ২১৬ ৭১২
উইকেট ২৫
বোলিং গড় ২৫.৬৪
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ৫/২৭
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৪০/০ ৪২/০
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

কৃষ্ণমাচারী শ্রীকান্ত (উচ্চারণ; জন্ম: ২১ ডিসেম্বর, ১৯৫৯) মাদ্রাজে জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা ও সাবেক ভারতীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। তিনি ভারত জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ছিলেন। দলে তিনি মূলতঃ উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানের দায়িত্ব পালনসহ আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের জন্য পরিচিতি পান। ১৯৮১ থেকে ১৯৯২ সময়কালে ভারত ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি।

ডানহাতে ব্যাটিং উদ্বোধনের পাশাপাশি অফ-স্পিন বোলিংয়ে দক্ষ ছিলেন ‘চিকা’ ডাকনামে পরিচিত কৃষ শ্রীকান্ত। ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপ জয়ী ভারতীয় দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটে তামিলনাড়ু দলের হয়ে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলেছেন। এছাড়াও তিনি ভারতীয় দল নির্বাচক কমিটির সভাপতিরও দায়িত্ব পালন করেছেন।

খেলোয়াড়ী জীবন[সম্পাদনা]

১৯৮১ সালে আহমেদাবাদে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত একদিনের আন্তর্জাতিকে অভিষেক ঘটে শ্রীকান্তের। এর দুইদিন পর ২১ বছর বয়সে একই দলের বিপক্ষে বোম্বেতে অনুষ্ঠিত টেস্টে অভিষিক্ত হন তিনি। তিনি সুনীল গাভাস্কারের সাথে ইনিংস উদ্বোধন করেন। ভারত ক্রিকেট দলের অন্যতম ব্যাটিং স্তম্ভ ছিলেন তিনি।

১৯৮৩ সালের প্রুডেন্সিয়াল বিশ্বকাপের চূড়ান্ত খেলায় শ্রীকান্ত দলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। কুইন্সল্যান্ডের রে মিচেল ওভালে অনুষ্ঠিত ১৯৯২ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের গ্রুপ-পর্বের ৯ম খেলায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিনি মাত্র এক রান সংগ্রহ করেছিলেন। ঐ মাঠে বিশ্বকাপের একমাত্র খেলাটিতে দুই বল মাঠে গড়ানোর পরপরই বৃষ্টি নামে ও হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হলেও পুনরায় মুষলধারে বৃষ্টি নামায় পরিত্যক্ত হয়।[১] এছাড়াও, ১৯৮৫ সালের বেনসন এন্ড হেজেস ক্রিকেট বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশীপ জয়ী দলের সদস্য ছিলেন।

অবসর পরবর্তী জীবন[সম্পাদনা]

খেলোয়াড়ী জীবন থেকে অবসর নেয়ার পর ভারত এ দলের কোচ হিসেবে নিযুক্ত হন। এছাড়াও, বিভিন্ন ক্রীড়া ও সংবাদ চ্যানেলে সম্প্রচারক ও ধারাভাষ্যকার হিসেবে কাজ করছেন। ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ তারিখে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগের চেন্নাই সুপার কিংসের শুভেচ্ছা দূতরূপে মনোনীত হন।[২] ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০০৮ তারিখে ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান নির্বাচক হিসেবে মনোনীত হন তিনি।[৩] ২০১২ সাল পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্বে ছিলেন। ২০ ডিসেম্বর, ২০১২ তারিখে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের শুভেচ্ছা দূত নিযুক্ত হন।[৪]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "India vs Sri Lanka"। Cricket Archive। সংগ্রহের তারিখ ১১ ডিসে ২০১১ 
  2. "Sport / Cricket : It is Chennai Super Kings"। The Hindu। ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০০৮। ২ মার্চ ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৯-২৩ 
  3. "Mental strength as important as talent - Srikkanth | India Cricket News | Cricinfo.com"। Content-eap.cricinfo.com। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৯-২৩ 
  4. "Kris Srikkanth appointed mentor of Hyderabad Sunrisers"। ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ডিসেম্বর ২০, ২০১২ 

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

পূর্বসূরী
দিলীপ বেঙ্গসরকার
ভারতীয় জাতীয় টেস্ট ক্রিকেট অধিনায়ক
১৯৮৯/৯০
উত্তরসূরী
মোহাম্মদ আজহারউদ্দীন
পূর্বসূরী
দিলীপ বেঙ্গসরকার
সভাপতি, নির্বাচন কমিটি
সেপ্টেম্বর, ২০০৮-২০১২
উত্তরসূরী
সন্দ্বীপ পাতিল