কানারি দ্বীপপুঞ্জ
কানারি দ্বীপপুঞ্জ Islas Canarias | |
---|---|
স্পেনের স্বায়ত্তশাসিত প্রদেশ | |
![]() | |
![]() কানারি দ্বীপপুঞ্জের অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৬°২৬′ উত্তর ১৮°১৮′ পূর্ব / ২৬.৪৩৩° উত্তর ১৮.৩০০° পূর্ব | |
শহর | ![]() |
রাজধানী | সান্তা ক্রুজ দে তেনেরিফে এবং লাস পালমাস দে গ্রান কানারিয়া |
সরকার | |
• রাষ্ট্রপতি | পাউলিনো রিভেরো (CC) |
আয়তন(স্পেনের ১.৫%; ১৩তম) | |
• মোট | ৭,৪৪৭ বর্গকিমি (২,৮৭৫ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)[৫] | |
• মোট | ২১,১৭,৫১৯ |
• জনঘনত্ব | ২৮১.৮/বর্গকিমি (৭৩০/বর্গমাইল) |
• নৃতাত্ত্বিক দল | ৮৫.৭% স্প্যানিশ (কানারিয়ান এবং পেনিন্সুলারেস) ১৪.৩% বিদেশী জাতীয় |
Demonym | |
সময় অঞ্চল | WET (UTC) |
• গ্রীষ্মকালীন (দিসস) | WEST (ইউটিসি+1) |
ISO 3166-2 | ES-CN |
সঙ্গীত | Arrorró "Anthem of the Canaries" |
সরকারী ভাষা | স্পেনীয় |
স্বায়ত্তশাসনের আইন | ১৬ই আগস্ট, ১৯৮২ |
পার্লামেন্ট | কোর্ট জেনেরাল |
কংগ্রেস আসনসমূহ | ১৫ |
সেনেট আসনসমূহ | ১৩ (১১ নির্বাচিত, ২ নি্রধার্য) |
ওয়েবসাইট | কানারিয়ানের সরকার |
কানারি দ্বীপপুঞ্জ (স্পেনীয় ভাষায়: Islas Canarias আ-ধ্ব-ব: [ˈizlas kaˈnarjas]; ইংরেজি ভাষায়: Canary Islands) আফ্রিকার উত্তর-পূর্ব উপকূল থেকে কিছু দূরে আটলান্টিক মহাসাগরে অবস্থিত কতগুলি দ্বীপের সমষ্টি। এগুলি স্পেনের অধীনস্থ একটি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল। অঞ্চলটি স্পেনের দুইটি প্রদেশ লাস পালমাস এবং সান্তা ক্রুজ দে তেনেরিফে নিয়ে গঠিত। প্রদেশ দুইটির রাজধানী যথাক্রমে লাস পালামাস দে গ্রান কানারিয়া এবং তেনেরিফে দ্বীপে অবস্থিত সান্তা ক্রুস দে তেনেরিফে শহর। শহর দুইটি এই দ্বীপপুঞ্জের দ্বৈত রাজধানী হিসেবে কাজ করে। বড় থেকে ছোট আয়তনের দিক থেকে প্রধান সাতটি দ্বীপ এরকম: তেনেরিফে; ফুয়ের্তেভেন্তুরা, যা আফ্রিকা মহাদেশের সবচেয়ে কাছে অবস্থিত; বৃহৎ কানারি বা গ্রান কানারিয়া; লানসারোতে; লা পালমা; গোমেরা এবং হিয়েরো। এছাড়াও আরও অনেকগুলি জনশূন্য ক্ষুদ্র দ্বীপ রয়েছে এখানে।
প্রকৃতি[সম্পাদনা]
দ্বীপগুলি আগ্নেয় দ্বীপ। আগ্নেয়গিরিগুলির মধ্যে সুপ্ত আগ্নেয়গিরি পিকো দে তেইদে অথবা পিকো দে তেনেরিফে সর্বোচ্চ; এর উচ্চতা ৩,৭১৫ মিটার। কানারি দ্বীপপুঞ্জগুলি নৈসর্গিক সৌন্দর্য এবং মৃদু, শুষ্ক জলবায়ুর জন্য খ্যাত। সাধারণত শীতকালে এখানে বৃষ্টিপাত হয়। সমুদ্রতল থেকে ৪০০ মিটার উচ্চতা পর্যন্ত উদ্ভিজ্জ উত্তর আফ্রিকান ধরনের। এর মধ্যে আছে খেজুর, ড্রাগন গাছ ও ক্যাকটাস। ৪০০ মিটারের বেশি উচ্চতায় লরেল, হলি, মার্টল, ইউক্যালিপ্টাস, পাইন এবং অন্যান্য সপুষ্পক উদ্ভিদ জন্মে থাকে।
ক্ষেতখামার ও মৎস্যশিকার এখানকার অধিবাসীদের প্রধান উপজীবিকা। কানারি দ্বীপপুঞ্জের আগ্নেয় মৃত্তিকা অত্যন্ত উর্বর। তবে দ্বীপগুলিতে কোন নদী নেই এবং এখানে প্রায়ই খরা হয়। বেশির ভাগ কৃষি এলাকাতে তাই সেচকাজের প্রয়োজন হয়। এখানে উৎপাদিত কৃষিদ্রব্যের মধ্যে আছে কলা, লেবু জাতীয় ফল, আখ, পিচ, ফিগ, ওয়াইনের আঙুর, টমেটো, পেঁয়াজ, আলু এবং অন্যান্য খাদ্যশস্য। এছাড়া এখানে বস্ত্র ও সূচিকার্যের শিল্প আছে। পর্যটন একটি গুরুত্বপূর্ণ শিল্প। শীতকালীন রিসর্ট হিসেবে এলাকাটি জনপ্রিয়।
ইতিহাস[সম্পাদনা]
ফিনিসীয় ও কার্থেজীয়রা সম্ভবত এই দ্বীপগুলি সম্পর্কে জানত। রোমান পণ্ডিত প্লিনি লিখেছেন দ্বীপুগুলিতে অনেক বন্য কুকুর ঘুরে বেড়াত। কুকুরদের লাতিন নাম কানেস থেকেই দ্বীপগুলির কানারি নামকরণ করা হয়েছে। ১২শ শতকে এখানে আরব নাবিকেরা এসে পৌঁছে। ১৩৩৪ সালে ফরাসি নাবিকেরা এটি আবিষ্কার করে। ১৩৪৪ সালে পোপ ৬ষ্ঠ ক্লেমেন্ট দ্বীপগুলিকে স্পেনের কাস্তিল শহরকে প্রদান করেন। ১৪০২ সালে ফরাসি নাবিক জঁ দ্য বেতঁকুর দ্বীপগুলি বিজয় শুরু করেন এবং ১৪০৪ সালে কাস্তিলের রাজা তৃতীয় হেনরি তাকে এখানকার রাজা উপাধি দেন। পর্তুগালও দ্বীপগুলিকে নিজের বলে দাবী করেছিল। শেষে ১৪৭৯ সালের এক চুক্তিতে এগুলিকে স্পেনীয় অঞ্চল হিসেবে মেনে নেওয়া হয়। ১৪৯০-এর দশকের শেষে দ্বীপগুলি সম্পূর্ণ স্পেনীয় নিয়ন্ত্রণে আসে। এখানে গুয়াঞ্চে আদিবাসী নামের যে আদিবাসী বার্বার জাতিটি বাস করত, তা শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ বিলুপ্ত হয়ে যায়।
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ Canaria de Avisos S.A. (২০১০-০৭-৩০)। "El Teide, el parque más visitado de Europa y el segundo del mundo"। Diariodeavisos.com। ২০১০-০৯-২৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৯-২০।
- ↑ "El parque nacional del Teide es el primero más visitado de Europa y el segundo del mundo"। Sanborondon.info। ২০১০-০৯-২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৯-২০।
- ↑ "El Teide (Tenerife) es el parque nacional más visitado de Canarias con 2,8 millones de visitantes en 2008"। Europapress.es। ২০০৯-০৮-৩১। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৪-২৬।
- ↑ "Official Website of Tenerife Tourism Corporation"। Webtenerife.com। ২০১০-০১-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৪-২৬।
- ↑ "Official Population Figures of Spain. Population on the 1 January 2009" (পিডিএফ)। Instituto Nacional de Estadística de España। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৬-০৩।
বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]
