হাঙ্গর

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

হাঙ্গর
সময়গত পরিসীমা: Silurian–Recent
Grey reef shark
Grey reef shark (Carcharhinus amblyrhynchos)
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: Animalia
পর্ব: কর্ডাটা
শ্রেণী: Chondrichthyes
উপশ্রেণী: Elasmobranchii
মহাবর্গ: Selachimorpha
Orders

Carcharhiniformes
Heterodontiformes
Hexanchiformes
Lamniformes
Orectolobiformes
Pristiophoriformes
Squaliformes
Squatiniformes

হাঙ্গর বা হাঙর (ইংরেজি: Shark) তরুণাস্থিবিশিষ্ট এক ধরনের সামুদ্রিক মাছের প্রায় ২২৫টি প্রজাতির জন্য ব্যবহৃত সাধারণ নাম।এদের শরীরে কোনো হাঁড় নেই।পৃথিবীর প্রায় সকল সাগর-মহাসাগরে এদের অস্তিত্ব থাকলেও মূলত গ্রীষ্মমণ্ডলীয় এবং অর্ধ-গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলে এদের প্রাচুর্য দেখা যায়। কয়েকটি প্রজাতি সমুদ্র উপকূলে বসবাস করলেও অধিকাংশ গভীর সমুদ্রের উপরের তলে বসবাস করে। গভীর সমুদ্রে বসবাসকারী কিছু প্রজাতি আলোদায়ক অর্থাৎ আলো বিচ্ছুরণ করতে পারে। ধ্বংস এবং পরজীবীর হাত থেকে রক্ষার জন্য এদের দেহত্বকীয় ডেন্টিক্‌ল রয়েছে। এই ডেন্টিক্‌লের কারণে এদের প্রবাহী গতিবিদ্যায়ও প্রভূত সহায়তা হয়ে থাকে। এছাড়া তাদের প্রতিস্থাপনযোগ্য দাঁত রয়েছে। দাঁতগুলো খুব সুন্দর এবং প্রাচীন হাঙ্গরের এই একটি বৈশিষ্ট্যই তাদের মধ্যে রয়েছে। এদের প্রজাতিতে ব্যাপক তারতম্য পরিলক্ষিত হয়। এক হাতের সমান আকারের পিগমি হাঙ্গর রয়েছে, যেমন: Euprotomicrus bispinatus নামক গভীর সমুদ্রের হাঙ্গরের দৈর্ঘ্য মাত্র ২২ সেমি তথা ৯ ইঞ্চি। আবার তিমি হাঙ্গর হল বৃহত্তম মাছ যারা প্রায় ১২ মিটারের (৩৯ ফিট) মত লম্বা হতে পারে। যেমন: Rhincodon typus নামক প্রজাতিটি। Carcharhinus leucas প্রজাতিটি ষাঁড় হাঙ্গর হিসেবে পরিচিত। এই ষাঁড় হাঙ্গরই একমাত্র লবণাক্ত এবং মিঠা - উভয় পানিতে এমনকি ডেল্টার ভিতরেও সাঁতার কাটতে পারে।[১]

গাঠনিক বৈশিষ্ট্য[সম্পাদনা]

কঙ্কাল[সম্পাদনা]

হাড়বিশিষ্ট মাছ এবং ভূমিস্থিত মেরুদণ্ডী প্রাণী থেকে হাঙ্গরের কঙ্কাল অনেক পৃথক ধরনের। হাঙ্গর এবং অন্যান্য তরুণাস্থিবিশিষ্ট মাছের (চাঁদা মাছ এবং শংকর মাছ) কঙ্কাল রাবারের মতো তরুণাস্থি দ্বারা গঠিত। তরুণাস্থি এক ধরনের কলা যা হাড়ের থেকে অনেক হালকা এবং নমনীয়। চাঁদা এবং শংকর মাছের মতো হাঙ্গরের চোয়াল ক্রেনিয়ামের সাথে সংযুক্ত নয়। চোয়ালের সমতল পৃষ্ঠ মেরুদণ্ডী এবং গ্রিল আর্চের মতো যার অতিরিক্ত অবলম্বন ও শক্তির দরকার হয়। কারণ শারীরিক পীড়নের অনেকাংশ বহন করতে হয় এই চোয়ালকে। চোয়ালের এই পৃষ্ঠে এক ধরনের ষড়ভূজীয় ক্ষুদ্র তলের স্তর রয়েছে যার নাম "টেসেরি"। এটি মূলত ক্যালসিয়াম লবণের কেলাসিত ব্লকের সমন্বয়ে গঠিত একটি মোজাইকের মত। এই মোজাইক এই অঞ্চলে বিশেষ শক্তি যুগিয়ে থাকে যা হাড়বিশিষ্ট মাছের চেয়ে বেশি।

সাধারণত হাঙ্গরের চোয়ালে টেসেরির কেবল একটি স্তর থাকে। কিন্তু বৃহৎ নমুনা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, তাদের ক্ষেত্রে (যেমন: ষাঁড় হাঙ্গর, বাঘ হাঙ্গর এবং বৃহৎ সাদা হাঙ্গর) শরীরের আকারের উপর নির্ভর করে দুই বা ততোধিক স্তর থাকতে পারে। একটি বৃহৎ সাদা হাঙ্গরের চোয়ালে এমনকি পাঁচটি স্তর পাওয়া গিয়েছিল। এদের রস্ট্রামের (ঠোঁটের) তরুণাস্থি শক্তির প্রভাব শোষণের জন্য অনেকটা স্পঞ্জি এবং নমনীয় হতে পারে। এদের ডানার কঙ্কাল অনেক দীর্ঘ এবং এক ধরনের নরম ও অবিচ্ছিন্ন রশ্মি দ্বারা ঠেস দেয়া থাকে। এই রশ্মির নাম সেরাটোট্রিকিয়া। চুল এবং পালকের মধ্যে শৃঙ্গের মত কঠিন কেরাটিন সজ্জিত করে গঠিত স্থিতিস্থাপক প্রোটিনের ফিলামেন্ট থাকে। পুরুষ হাঙ্গরের পেলভিক ডানার ভিতরের অংশ পরিবর্তিত হয়ে এক জোড়া সিগার বা সসেজে পরিণত হয়েছে। এরাই জননাঙ্গ গঠন করে যার অপর নাম "ক্ল্যাসপার"। ক্ল্যাসপারের মাধ্যমেই অন্তর্নিষেক সাধিত হয়।

শ্বসন[সম্পাদনা]

প্লবতা[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Allen, Thomas B. (1999). The Shark Almanac. New York: The Lyons Press. আইএসবিএন ১-৫৫৮২১-৫৮২-৪. OCLC 39627633.

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]