মাকারোনেশিয়া
মাকারোনেশিয়া (পর্তুগিজ ভাষায়: Macaronésia) ইউরোপ ও আফ্রিকার উপকূলের কাছে উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরে অবস্থিত চারটি দ্বীপপুঞ্জের সমষ্টি।[১] প্রতিটি দ্বীপপুঞ্জ বেশ কিছু আটলান্টিক মহাসাগরীয় দ্বীপের সমষ্টি, যেগুলি মহাসমুদ্র তলদেশ থেকে সমুদ্র সমতলের উপরে উত্থিত সামুদ্রিক পর্বতের শীর্ষ দ্বারা গঠিত হয়েছে। মাকারোনেশীয় দ্বীপগুলি তিনটি সার্বভৌম রাষ্ট্রের অধীন: পর্তুগাল, স্পেন, ও কাবু ভের্দি।[২][৩][৪]
মাকারোনেশিয়া চারটি প্রধান দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে গঠিত। উত্তর থেকে দক্ষিণ দিক বরাবর এগুলি হল:[৫]
- আজোরেস দ্বীপপুঞ্জ, ইউরোপের পর্তুগাল রাষ্ট্রের অধীনস্থ একটি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল।
- মাদেইরা দ্বীপপুঞ্জ (স্যাভেজ দ্বীপপুঞ্জসহ), ইউরোপের পর্তুগাল রাষ্ট্রের অধীনস্থ একটি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল।
- কানারিয়াস দ্বীপপুঞ্জ, ইউরোপের স্পেন রাষ্ট্রের অধীনস্থ একটি স্বায়ত্তশাসিত সম্প্রদায় (অঞ্চল)।
- কাবু ভের্দি, পশ্চিম আফ্রিকার উপকূলের কাছে অবস্থিত একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র।
রাজনৈতিকভাবে পর্তুগাল ও স্পেনের অধীনস্থ দ্বীপগুলি ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত। ভূগাঠনিকভাবে মাকারোনেশিয়ার দ্বীপগুলি আফ্রিকান মহাদেশীয় পাতের অংশবিশেষ, এমনকি আজোরেস দ্বীপপুঞ্জটিও আফ্রিকান পাত, ইউরেশীয় পাত ও উত্তর আমেরিকা মহাদেশীয় পাতের সংযোগস্থলে অবস্থিত।[৫][৬]
ইউরোপীয় ইউনিয়ন সংস্থাটি ইউরোপের অন্তর্ভুক্ত তিনটি দ্বীপপুঞ্জকে (কাবু ভের্দি ব্যতীত) একটি স্বতন্ত্র জীব-ভৌগোলিক অঞ্চল বা রাজ্যের অংশ হিসেবে বিবেচনা করে থাকে, যার নাম মাকারোনেশীয় জীব-ভৌগোলিক অঞ্চল।[৭]
"মাকারোনেশিয়া" শব্দটি প্রাচীন গ্রিক পদগুচ্ছ "মাকারোন নেসোই" (μακάρων νῆσοι) থেকে এসেছে, যার অর্থ "সৌভাগ্যবানদের দ্বীপপুঞ্জ"। প্রাচীন গ্রিক ভূগোলবিদরা জিব্রাল্টার প্রণালীর পশ্চিমে অবস্থিত দ্বীপগুলিকে এই নাম দিয়েছিলেন।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Where Is Macaronesia?"। WorldAtlas (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-০৮।
- ↑ "Countries .::. UCLA Africa Studies Center"। www.international.ucla.edu। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুন ২০১৯।
- ↑ "Canary Islands - Spain"। greenwichmeantime.com। ১৮ জুন ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুন ২০১৯।
- ↑ "Makavol 2010 Teneguia Workshop" (পিডিএফ)। Avcan.org। ২০১২-০৪-২৫ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৯-০২।
- ↑ ক খ Brummitt, R.K. (২০০১)। World Geographical Scheme for Recording Plant Distributions: Edition 2 (পিডিএফ)। International Working Group on Taxonomic Databases For Plant Sciences (TDWG)। পৃষ্ঠা 37। Archived from the original on ২০১৬-০১-২৫। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৪-০৬।
- ↑ "Africa-Eurasia plate boundary - I. Jimenez-Munt"। diapiro.ictja.csic.es। ২০১৮-০৫-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৫-১৫।
- ↑ "The Macaronesian Region"। ec.europa.eu। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-০৮।