প্লাসাস দে সোবেরানিয়া

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
প্লাসাস দে সোবেরানিয়া
Plazas de soberanía
প্লাসাস দে সোবেরানিয়া অঞ্চলসমূহের মানচিত্র; এছাড়া আফ্রিকার মহাদেশীয় ভূখণ্ডে স্বায়ত্তশাসিত সেউতা (পেরেহিল দ্বীপসহ) ও মেলিইয়া নগরী এবং আফ্রিকার উপকূল থেকে ৫০ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত আলবোরান দ্বীপ দেখানো হয়েছে।
প্লাসাস দে সোবেরানিয়া অঞ্চলসমূহের মানচিত্র; এছাড়া আফ্রিকার মহাদেশীয় ভূখণ্ডে স্বায়ত্তশাসিত সেউতা (পেরেহিল দ্বীপসহ) ও মেলিইয়া নগরী এবং আফ্রিকার উপকূল থেকে ৫০ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত আলবোরান দ্বীপ দেখানো হয়েছে।
দেশস্পেন
সরকার
 • ধরনস্বায়ত্তশাসিত নগরীসমূহ (মূল প্লাসাস দে সোবেরানিয়া)
কার্যত স্পেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্তৃত্বাধীন অ-অঙ্গীভূত এলাকা[১]; [২] (গৌণপ্লাসাস দে সোবেরানিয়া)
আয়তন
 • মোট০.৫৯ বর্গকিমি (০.২৩ বর্গমাইল)
সময় অঞ্চলকেইস (CET) (ইউটিসি+01:00)
 • গ্রীষ্মকালীন (দিসস)কেইগ্রীস (CEST) (ইউটিসি+02:00)

প্লাসাস দে সোবেরানিয়া (স্পেনীয়: Plazas de soberanía; আ-ধ্ব-ব: [ˈplaθas ðe soβeɾaˈni.a], আক্ষরিক অর্থে "সার্বভৌমত্বের ঘাঁটিসমূহ") একটি পরিভাষা যেটি দিয়ে ইউরোপীয় মূল ভূখণ্ড থেকে দূরে ও উত্তর আফ্রিকা, বিশেষ করে মরক্কোর উপকূলের কাছে বিক্ষিপ্তভাবে অবস্থিত স্পেনের অধীনস্থ কিছু গৌণ সামুদ্রিক অঞ্চলকে নির্দেশ করা হয়। এগুলি মূলত সেইসব অঞ্চল যেগুলি ১৪৯২ থেকে ১৫৫৬ সাল পর্যন্ত আধুনিক স্পেনের জন্মলগ্নের সময় স্পেনের অংশ ছিল। ১৯শ ও ২০শ শতকে আফ্রিকা দখলের লড়াইয়ে স্পেনের অধিকৃত অঞ্চলগুলি এর মধ্যে পড়ে না।

ঐতিহাসিকভাবে আফ্রিকাতে স্পেনের অধীন কিন্তু স্বায়ত্তশাসিত সেইতা ও মেলিইয়া নগরীগুলিকে সার্বভৌমত্বের প্রধান ঘাঁটি (প্লাসাস মাইয়োরেস দে লা সোবেরানিয়া) এবং অন্যান্য কিছু সামুদ্রিক দ্বীপপুঞ্জ ও একটি ক্ষুদ্র উপদ্বীপকে সার্বভৌমত্বের গৌণ ঘাঁটি (প্লাসাস মেনোরেস দে লা সোবেরানিয়া) নামে ডাকা হত। বর্তমানে ঐ গৌণ ঘাঁটিগুলিকেই বর্তমানে প্লাসাস দে সোবেরানিয়া নামে ডাকা হয়।

প্লাসাস দে লা সোবেরানিয়ার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত অঞ্চলগুলি হল পেনিওন দে ভেলেস দে লা গোমেরা উপদ্বীপ, আলুসেনাস দ্বীপপুঞ্জচাফারিনাস দ্বীপপুঞ্জ। স্পেনের কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে সামরিক বাহিনী এগুলির প্রতিরক্ষায় নিয়োজিত। এগুলি স্পেনের অংশ বলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অংশ ও এদের মুদ্রা হল ইউরো

তবে মরক্কো এই অঞ্চলগুলির উপর নিজেদের সার্বভৌমত্ব দাবী করে আসছে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. del Valle, Alejandro (২০ ডিসেম্বর ২০১১)। "Ceuta, Melilla, Chafarinas, Vélez y Alhucemas: tomar la iniciativa (ARI)"Real Instituto Elcano (স্পেনীয় ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মার্চ ২০২০ 
  2. Mariñas Otero, Eugenio (১৯৯৮)। "Las Plazas Menores de soberanía española en África"MILITARIA. Revista de Cultura Militar. (স্পেনীয় ভাষায়) (12)। Madrid: UCM। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মার্চ ২০২০