কামরাঙ্গীরচর থানা

স্থানাঙ্ক: ২৩°৪২.৯′ উত্তর ৯০°২২.৪′ পূর্ব / ২৩.৭১৫০° উত্তর ৯০.৩৭৩৩° পূর্ব / 23.7150; 90.3733
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
কামরাঙ্গীরচর
থানা
কামরাঙ্গীরচর বাংলাদেশ-এ অবস্থিত
কামরাঙ্গীরচর
কামরাঙ্গীরচর
কামরাঙ্গীরচরের অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২৩°৪২.৯′ উত্তর ৯০°২২.৪′ পূর্ব / ২৩.৭১৫০° উত্তর ৯০.৩৭৩৩° পূর্ব / 23.7150; 90.3733
দেশ বাংলাদেশ
বিভাগঢাকা
জেলাঢাকা
প্রতিষ্ঠিত৩০ আগস্ট ২০০৯
আয়তন
 • মোট২.৮৭ বর্গকিমি (১.১১ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০২০)
 • মোট১৬,০০,০০০
 • জনঘনত্ব২৩,০০০/বর্গকিমি (৬০,০০০/বর্গমাইল)
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+০৬:০০)

কামরাঙ্গীরচর বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার একটি থানা

ভৌগোলিক অবস্থান[সম্পাদনা]

কামরাঙ্গীরচর থানা প্রায় ২৩°৪২′৫৫″ উত্তর ৯০°২২′২৫″ পূর্ব / ২৩.৭১৫২৭৮° উত্তর ৯০.৩৭৩৬১১° পূর্ব / 23.715278; 90.373611 এ অবস্থিত। এর আয়তন প্রায় ২.৮৭ কিমি

নামকরণ[সম্পাদনা]

এ চরে কামরাঙ্গি নামে এক অপূর্ব সুন্দরী মেয়ে ছিল। একদিন নৌকাডুবিতে তাঁর মৃত্যু হলে তাঁর প্রেমিক নদীর জলে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করে। এ ঘটনার পর চরটি কামরাঙ্গীর চর হিসেবে পরিচিতি পায়। অনেকের মতে এই ঘটনাটি কল্পিত। কামরাঙ্গা মরিচ হতেই এই থানা টির নামকরণ কামরাঙ্গীরচর করা হয়েছিলো বলে তাঁরা মনে করেন। [১] তবে উক্ত বিষয়গুলোকে গুজব ও কাকতালীয় বলে উড়িয়ে দিলেন তরুণ রাজনৈতিক গবেষক ও বিশ্লেষক এবং স্থানীয় বাসিন্দা রাইতুল সোহাগ। তিনি আরো বলেন, এদেশের মানুষ নানা ঘটনাকে রটনা আকারে প্রকাশ করতে পারদর্শী, এবং তা প্রকাশ পেলে দিনে দিনে এইসব ঘটনায় বিশ্বাসী লোকের অভাব হয় না। এখানেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি।

জনসংখ্যা[সম্পাদনা]

২০০১ সালের আদমশুমারী অনুযায়ী কামরাঙ্গীরচর থানার জনসংখ্যা ছিল প্রায় ১,৪৩,২০৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ও মহিলার সংখ্যা যথাক্রমে ৭৬,৩২৫ ও ৬৬,৮৮৩।[২] ঢাকা মহানগরের মধ্যে এখানেই মধ্যবিত্তের সংখ্যা বেশি। ২০০৬ সালে বাংলাদেশের বস্তিগুলোর ওপর পরিচালিত একটি সমীক্ষায় দেখা যায় কামরাঙ্গীরচরে প্রায় ৩ লক্ষ অধিবাসীর মধ্যে প্রায় ২ লক্ষ ৬৫ হাজার বস্তিতে বসবাস করে। কিন্তু ২০০৯ সালের বিডিআর বিদ্রোহ পর আশেপাশের অনেকেই আশ্রয় জন্যে কামরাঙ্গীরচর এসে ভৌগোলিক চিন্তা করে এখানে অনেক ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প কারখানা গড়ে তোলেন। ২০২২ সালের ভেতর রাজধানীর সব থানার চেয়ে ক্রমবর্ধমান হারে উন্নত হয়েছে কামরাঙ্গীরচর। [৩]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "বাংলাদেশের জেলা উপজেলা ও নদ-নদীর নামকরণের ইতিহাস - ড. মোহাম্মদ আমীন" (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-১৪  অজানা প্যারামিটার |তবে এইসব স্রেফ কাকতালীয় বলে উড়িয়ে দিলেন তরুণ রাজনৈতিক গবেষক ও বিশ্লেষক এবং স্থানীয় বাসিন্দা রাইতুল সোহাগ। তিনি আরো বলেন,“ এদেশের মানুষ নানা ঘটনাকে রটনা করে মানে মিথে বিশ্বাসী, ক্রমাগত গুজব বা প্রপাগাণ্ডা এক সময় সত্যি বলে মনে হয়। ওয়েবসাইট= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)
  2. মো. তুহীন মোল্লা (২০১২)। "কামরাঙ্গীরচর থানা"। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশ জাতীয় জ্ঞানকোষ (দ্বিতীয় সংস্করণ)। বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। সংগ্রহের তারিখ ১ এপ্রিল ২০১৯ 
  3. "Slums of urban Bangladesh: mapping and census, 2005" (পিডিএফ)। সেন্টার ফর আরবান স্টাডিজ, মেজার ইভানুয়েশন, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ পপুলেশন রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং। ২০০৬। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুন ২০০৭ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]