কামাখ্যা মন্দির

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
কামাখ্যা মন্দির
কামাখ্যা মন্দির, গুয়াহাটি
ধর্ম
অন্তর্ভুক্তিহিন্দুধর্ম
জেলাকামরূপ মহানগর জেলা
অবস্থান
অবস্থাননীলাচল পর্বত, গুয়াহাটি
রাজ্যআসাম
দেশভারত
স্থাপত্য
ধরনপ্রস্তর স্থাপত্য
সৃষ্টিকারীচিলরায় (পুনর্গঠন) (কথিত আছে দেবী কামাখ্যা এটি নির্মাণ করেন)

কামাখ্যা মন্দির (অসমীয়া: কামাখ্যা মন্দিৰ) হল ভারতের আসাম রাজ্যের গুয়াহাটি শহরের পশ্চিমাংশে নীলাচল পর্বতে অবস্থিত হিন্দু দেবী কামাখ্যার একটি মন্দির। এটি ৫১ সতীপীঠের অন্যতম।[১] ৫১টি শক্তি পীঠের মধ্যে একটি এবং ৪টি আদি শক্তি পীঠগুলোর মধ্যে, কামাখ্যা মন্দিরটি বিশেষ কারণ দেবী সতীর গর্ভ এবং যোনি এখানে পড়েছিল এবং এইভাবে দেবী কামাখ্যাকে উর্বরতার দেবী বা "রক্তক্ষরণকারী দেবী" বলা হয়।[২] এই মন্দির চত্বরে দশমহাবিদ্যার মন্দিরও আছে। এই মন্দিরগুলোতে দশমহাবিদ্যাসহ মহাকালী, তারা, ষোড়শী বা ললিতাম্বা ত্রিপুরসুন্দরী, ভুবনেশ্বরী বা জগদ্ধাত্রী, কামাখ্যা, শৈলপুত্রী, ব্রহ্মচারিণী বা তপস্যাচারিণী, মঙ্গলচন্ডী, কুষ্মাণ্ডা, মহাগৌরী, চামুণ্ডা, কৌষিকী, দাক্ষায়ণী-সতী, চন্দ্রঘন্টা, স্কন্দমাতা, কালরাত্রি, কাত্যায়ণী, সিদ্ধিদাত্রী, শাকম্ভরী, হৈমবতী, শীতলা, সংকটনাশিনী, বনচণ্ডী, দেবী দুর্গা, মহাভৈরবী, ধূমাবতী, ছিন্নমস্তা, বগলামুখী, মাতঙ্গীদেবী কমলা – এই ত্রিশ দেবীর মন্দিরও রয়েছে।[৩] এর মধ্যে ত্রিপুরাসুন্দরী, মাতঙ্গী ও কমলা প্রধান মন্দিরে পূজিত হন। অন্যান্য দেবীদের জন্য পৃথক মন্দির আছে।[৪] হিন্দুদের, বিশেষত তন্ত্রসাধকদের কাছে এই মন্দির অন্যতম প্রাচীন এবং একটি পবিত্র তীর্থক্ষেত্র।[৫]

বর্ণনা[সম্পাদনা]

কামাখ্যা মন্দির

কামাখ্যা মন্দিরে চারটি কক্ষ আছে: গর্ভগৃহ ও তিনটি মণ্ডপ (যেগুলির স্থানীয় নাম চলন্ত, পঞ্চরত্ন ও নাটমন্দির)। গর্ভগৃহটি পঞ্চরথ স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত। [৬] অন্যগুলির স্থাপত্য তেজপুরের সূর্যমন্দিরের সমতুল্য। এগুলিতে খাজুরাহো বা অন্যান্য মধ্যভারতীয় মন্দিরের আদলে নির্মিত খোদাইচিত্র দেখা যায়।[৭] মন্দিরের চূড়াগুলি মৌচাকের মতো দেখতে। নিম্ন আসামের বহু মন্দিরে এই ধরনের চূড়া দেখা যায়।[৮] গর্ভগৃহটি আসলে ভূগর্ভস্থ একটি গুহা। এখানে কোনো মূর্তি নেই। শুধু একটি পাথরের সরু গর্ত দেখা যায়।

গর্ভগৃহটি ছোটো ও অন্ধকারাচ্ছন্ন। সরু খাড়াই সিঁড়ি পেরিয়ে এখানে পৌঁছাতে হয়। ভিতরে ঢালু পাথরের একটি খণ্ড আছে যেটি যোনি আকৃতিবিশিষ্ট। এটিতে প্রায় দশ ইঞ্চি গভীর একটি গর্ত দেখা যায়। একটি ভূগর্ভস্থ প্রস্রবনের জল বেরিয়ে এই গর্তটি সবসময় ভর্তি রাখে। এই শিলাখণ্ডটি দেবী কামাখ্যা নামে পূজিত এবং দেবীর পীঠ হিসেবে প্রসিদ্ধ।[৯]

কামাখ্যা মন্দির চত্বরের অন্যান্য মন্দিরগুলোতেই একই রকম যোনি-আকৃতিবিশিষ্ট পাথর দেখা যায়, যা ভূগর্ভস্থ প্রস্রবনের জল দ্বারা পূর্ণ থাকে।

কামাখ্যা মন্দিরের অধিষ্ঠান, এটির থেকে অনূমিত হয় মূল মন্দিরটি নাগারা স্থাপত্যশৈলীর মন্দির ছিল।
মধ্য আসামে এই ধরনের শিখর বা চূড়া অনেক মন্দিরেই দেখা যায়। এর চারপাশে বঙ্গীয় চারচালা স্থাপত্যে অঙ্গশিখর থাকে। অন্তরাল নামে এক ধরনের স্থাপত্য দেখা যায়, যা আটচালা স্থাপত্যের অনুরূপ।

বর্তমান মন্দির ভবনটি অহোম রাজাদের রাজত্বকালে নির্মিত।[১০] এর মধ্যে প্রাচীন কোচ স্থাপত্যটি সযত্নে রক্ষিত হয়েছে।[১১][১২][১৩] খ্রিস্টীয় দ্বিতীয় শতাব্দীর মাঝামাঝি সময় মন্দিরটি ধ্বংসপ্রাপ্ত হলে ১৫৬৫ সাল নাগাদ কোচ রাজা চিলরায় মধ্যযুগীয় মন্দিরের স্থাপত্যশৈলী অনুসারে মন্দিরটি পুনরায় নির্মাণ করে দেন।[১৪] এখন যে মৌচাক-আকারের চূড়াটি দেখা যায়, তা নিম্ন আসামের মন্দির স্থাপত্যের একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য।[১৫] মন্দিরের বাইরে গণেশ ও অন্যান্য হিন্দু দেবদেবীদের মূর্তি খোদিত আছে।[১৬] মন্দিরের তিনটি প্রধান কক্ষ। পশ্চিমের কক্ষটি বৃহৎ ও আয়তাকার। সাধারণ তীর্থযাত্রীরা এটি পূজার জন্য ব্যবহার করেন না। মাঝের কক্ষটি বর্গাকার। এখানে দেবীর একটি ছোটো মূর্তি আছে। এই মূর্তিটি পরবর্তীকালে এখানে স্থাপিত হয়। এই কক্ষের দেওয়ালে নরনারায়ণ, অন্যান্য দেবদেবী ও তৎসম্পর্কিত শিলালেখ খোদিত আছে।[১৭] মাঝের কক্ষটিই মূল গর্ভগৃহে নিয়ে যায়। এটি গুহার আকৃতিবিশিষ্ট। এখানে কোনো মূর্তি নেই। শুধু যোনি-আকৃতিবিশিষ্ট পাথর ও ভূগর্ভস্থ প্রস্রবনটি আছে। প্রতিবছর গ্রীষ্মকালে অম্বুবাচী মেলার সময় কামাখ্যা দেবীর ঋতুমতী হওয়ার ঘটনাকে উদ্‌যাপন করা হয়।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

প্রাচীন কামরূপ রাজ্যের বর্মণ রাজবংশের শাসনকালে (৩৫০-৬৫০ খ্রিষ্টাব্দ) এবং সপ্তম শতাব্দীর চীনা পর্যটক হিউয়েন সাং-এর রচনাতেও কামাখ্যা উপেক্ষিত হয়েছে। সেই সময় কামাখ্যাকে অব্রাহ্মণ কিরাত জাতীয় উপাস্য দেবী মনে করা হত।[১৮] নবম শতাব্দীতে ম্লেচ্ছ রাজবংশের বানমলবর্মদেবের তেজপুর লিপিতে প্রথম কামাখ্যার শিলালিপি-উল্লেখ পাওয়া যায়।[১৯] এই শিলালিপি থেকে প্রমাণিত হয় খ্রিস্টীয় অষ্টম-নবম শতাব্দীতে এখানে একটি বিশাল মন্দির ছিল।[২০] জনশ্রুতি অনুসারে, সুলেমান কিরানির (১৫৬৬-১৫৭২) সেনাপতি কালাপাহাড় এই মন্দির ধ্বংস করেছিলেন। তবে ঐতিহাসিক প্রমাণ থেকে জানা যায় যে, আলাউদ্দিন হুসেন শাহ কামতা রাজ্য ক্রামণ করার সময় (১৪৯৮ খ্রিষ্টাব্দ) এই মন্দির ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছিল।[২১] কথিত আছে, কোচ রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা বিশ্বসিংহ এই ধ্বংসাবশেষ খুজে পান। তিনিই এই মন্দিরে পূজার পুনর্প্রবর্তন করেন। তবে তার পুত্র নরনারায়ণের রাজত্বকালে ১৫৬৫ খ্রিষ্টাব্দে এই মন্দিরটি নির্মাণের কাজ শেষ হয়। পুনর্নির্মাণের সময় পুরনো মন্দিরের উপাদান ব্যবহৃত হয়েছিল। পরে অহোম রাজ্যের রাজারা এই মন্দিরটি আরও বড়ো করে তোলেন। অন্যান্য মন্দিরগুলি পরে নির্মিত হয়।

অহোম রাজত্বে কামাখ্যা[সম্পাদনা]

জনশ্রুতি অনুসারে, কোচবিহার রাজপরিবারকে দেবী কামাখ্যাই পূজার অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছিলেন। কোচবিহার রাজপরিবারের পৃষ্ঠপোষকতা ভিন্ন এই মন্দির পরিচালনা কষ্টকর হয়ে ওঠে। ১৬৫৮ সালে অহোম রাজা জয়ধ্বজ সিংহ নিম্ন আসাম জয় করলে এই মন্দির সম্পর্কে তাদের আগ্রহ বৃদ্ধি পায়। অহোম রাজারা শাক্ত বা শৈব ধর্মাবলম্বী হতেন। তারাই এই মন্দির সংস্কার ও পৃষ্ঠপোষকতার দায়িত্ব নিতেন।[২২]

রুদ্র সিংহ (রাজত্বকাল (১৬৯৬-১৭১৪) বৃদ্ধবয়সে গুরুর নিকট দীক্ষাগ্রহণের ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু প্রজা ব্রাহ্মণের কাছে মাথা নত করতে পারবেন না বলে তিনি পশ্চিমবঙ্গে দূত পাঠালেন। নদিয়া জেলার শান্তিপুরের কাছে মালিপোতার বিশিষ্ট শাক্ত পণ্ডিত কৃষ্ণরাম ভট্টাচার্যকে তিনি আসামে আসার অনুরোধ জানালেন। কৃষ্ণরাম জানালেন, কামাখ্যা মন্দিরের দায়িত্ব দিলে, তবেই তিনি আসাম যাবেন। রাজা নিজে দীক্ষা না নিলেও, তার পুত্রদের ও অন্যান্য ব্রাহ্মণদের কৃষ্ণরামের কাছে দীক্ষা নিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন।

রুদ্র সিংহের মৃত্যুর পর তার জ্যেষ্ঠপুত্র শিব সিংহ (রাজত্বকাল ১৭১৪-১৭৪৪) রাজা হন। তিনি কামাখ্যা মন্দির ও পার্শ্ববর্তী বিরাট একটি ভূখণ্ড কৃষ্ণরামকে দেবত্তোর সম্পত্তি হিসেবে দান করেন। তাকে ও তার বংশধরদের পর্বতীয়া গোঁসাই বলা হত। কারণ তারা নীলাচল পর্বতের উপর থাকতেন। কামাখ্যা মন্দিরের অনেক পুরোহিত ও আসামের অনেক আধুনিক শাক্ত এই পর্বতীয়া গোঁসাইদের শিষ্য।[২৩]

পূজা[সম্পাদনা]

মন্দিরগাত্রের ভাস্কর্য

অনুমিত হয়, প্রাচীনকালে কামাখ্যা ছিল খাসি উপজাতির বলিদানের জায়গা। এখনও বলিদান এখানে পূজার অঙ্গ। এখানে অনেক ভক্তই দেবীর উদ্দেশ্যে ছাগলবলি দেন।[২৪]

কালিকা পুরাণ অনুসারে, কামাখ্যায় পূজা করলে সকল ইচ্ছা পূর্ণ হয়। শিবের তরুণী স্ত্রী ও মোক্ষদাত্রী শক্তিই কামাখ্যা নামে পরিচিত।

১২ খ্রিস্টপূর্বাব্দে নীলাচল পর্বতে মঙ্গোলরা আক্রমণ কলে প্রথম তান্ত্রিক কামাখ্যা মন্দিরটি ধ্বংস হয়েছিল। দ্বিতীয় তান্ত্রিক মন্দিরটি ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছিল মুসলমান আক্রমণের সময়। আসামের অন্যান্য দেবীদের মতো, দেবী কামাখ্যার পূজাতেও আর্য ও অনার্য সংস্কৃতির মিশ্রণ দেখা যায়।[২৫] দেবীকে যেসব নামে পূজা করা হয় তার মধ্যে অনেক স্থানীয় আর্য ও অনার্য দেবদেবীর নাম আছে।[২৬] যোগিনী তন্ত্র অনুসারে, এই যোগিনী পীঠের ধর্মের উৎস কিরাতদের ধর্ম।[২৭] বাণীকান্ত কাকতির মতে, গারো উপজাতির মানুষেরা কামাখ্যায় শূকর বলি দিত। এই প্রথা নরনারায়ণ-কর্তৃক নিযুক্ত পুরোহিতদের মধ্যেও দেখা যেত।[২৮]

কামাখ্যার পূজা বামাচারদক্ষিণাচার উভয় মতেই হয়।[২৯] সাধারণত ফুল দিয়েই পূজা দেওয়া হয়। মাঝে মাঝে পশুবলি হয়। স্ত্রীপশু বলি সাধারণত নিষিদ্ধ হলেও, বহু পশুবলির ক্ষেত্রে এই নিয়মে ছাড় দেওয়া হয়।[৩০]

কিংবদন্তি[সম্পাদনা]

মন্দিরের পূর্ণাঙ্গ দৃশ্য

বারাণসীর বৈদিক ঋষি বাৎস্যায়ন খ্রিস্টীয় প্রথম শতাব্দীতে নেপালের রাজার দ্বারস্থ হয়ে উপজাতীয় গোষ্ঠীগুলিকে হিন্দুধর্মে ধর্মান্তরিত ও তাদের নরবলি প্রথার গ্রহণযোগ্য বিকল্প চালু করার জন্য অনুরোধ করেন। বাৎস্যায়নের মতে, পূর্ব হিমালয়ের গারো পাহাড়ে তারা দেবীর তান্ত্রিক পূজা প্রচলিত ছিল। সেখানে আদিবাসীরা দেবীর যোনিকে ‘কামাকি’ নামে পূজা করত। ব্রাহ্মণ্যযুগে কালিকাপুরাণে সব দেবীকেই মহাশক্তির অংশ বলা হয়েছে। সেই হিসেবে, কামাক্ষ্যাও মহাশক্তির অংশ হিসেবে পূজিত হন।

কালিকা পুরাণের মতে, কামাখ্যা মন্দিরে সতী শিবের সঙ্গে বিহার করেন। এখানে তার মৃতদেহের যোনি অংশটি বিষ্ণুর সুদর্শন চক্রে ছিন্ন হয়ে পড়েছিল।[৩১] দেবীভাগবত পুরাণের ১০৮ পীঠের তালিকায় যদিও এই তীর্থের নাম নেই। তবে অপর একটি তালিকায় কামাখ্যা নাম পাওয়া যায়।[৩২] যোগিনী তন্ত্রে অবশ্য কালিকা পুরাণের মতকে অগ্রাহ্য করে কামাখ্যা কালী বলা হয়েছে এবং যোনির প্রতীকতত্ত্বের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।[৩৩]

উৎসব[সম্পাদনা]

কামাক্ষ্যা মন্দিরে স্থানীয় গায়কদের ধর্মীয় সংগীতের অনুষ্ঠান

তন্ত্রসাধনার কেন্দ্র হওয়ায় বার্ষিক অম্বুবাচী মেলা অনুষ্ঠানে এখানে প্রচুর মানুষ আসেন। এছাড়া বার্ষিক মনসা পূজাও মহাসমারোহে আয়োজিত হয়, দুর্গাপূজা কামাক্ষ্যা মন্দিরের একটি অন্যতম প্রধান উৎসব।[৩৪]

পাদটীকা[সম্পাদনা]

  1. (Urban 2008, পৃ. 500)
  2. "Kamakhya Temple"Kamakha Temple - Kamakhya Temple Guwahati। ২০২০-০৪-১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-১২ 
  3. "About Kamakhya Temple"। ২৪ মে ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ ডিসেম্বর ২০১৩ 
  4. (Shin 2010, পৃ. 4)
  5. "Seated on top of Nilacala hill on the banks of the Brahmaputra river in the state of Assam, Northeast India, Kamakhya temple is one of the oldest and most revered centres of Tantric practice in South Asia." (Urban 2019:256)
  6. (Sarma 1983, পৃ. 47)
  7. (Banerji 1925, পৃ. 101)
  8. (Banerji ও 1925 100)
  9. (Shin 2010, পৃ. 5)
  10. The temple of the goddess Kali or Kamakhya on the top of the hill was built during the domination of the Ahoms." (Banerji 1925, পৃ. 100)
  11. "This temple was built on the ruins of another structure erected by king Sukladhvaja or Naranarayana, the first king and founder of the Koch dynasty of Cooch Bihar, whose inscription is still carefully preserved inside the mandapa. (Banerji 1925, পৃ. 100)
  12. Encyclopaedia Indica - Volume 2 - 1981 -Page 562 Statues of King Nara Narayan and his brother, general Chilarai were also enshrined on an inside wall of the temple.
  13. Tattvālokaḥ - Volume 29 - 2006 - Page 18 It was rebuilt by the Koch king, Nara Narayan. Statues of the king and his brother Sukladev and an inscription about them are found in the temple
  14. Sarkar 1992 p16. It is said that Viswa Simha revived worship at Kamakhya. According to an inscription in the temple, his son Chilarai built the temple during the reign of Naranarayana, the king of Koch Bihar and the son of Viswa Simha, in the year 1565.
  15. (Banerji 1925, পৃ. 100)
  16. "Kamakhya temple"। ২০০৬-০৩-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৬-০৯-১২ 
  17. "Kamakhya"। ২০০৬-০৮-২৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৬-০৯-১২ 
  18. "The cult of goddess Kamakhya seems to have remained beyond the brahmanical ambit till the end of the seventh century. The ruling family of Kamarupa during the Bhauma-Varmans dynasty did not pay any attention to her." (Shin 2010, পৃ. 7)
  19. "The first epigraphic references to the goddess Kamakhya are found in the Tezpur plates and the Parbatiya plates of Vanamaladeva in the mid-ninth century." (Shin 2010, পৃ. 7)
  20. "The steps which lead from the landing stage on the river to the top of Nilachala hill at Kamakhya are composed of immense blocks of stone some of which were evidently taken from a temple of great antiquity. The carvings on these slabs indicate that they must belong to the seventh or eighth century A.D., being slightly later than the carving on the stone door-frame at Dah Parbatiya. Some of the capitals of pillars are of such immense size that they indicate that the structure to which they belonged must^ have been as gigantic as the temple of the Sun god at Tezpur." (Banerji 1925, পৃ. 100)
  21. Karrani's expedition against the Koch kingdom under the command of Kalapahar took place in 1568, after Chilarai had the temple rebuilt in 1565. Kalapahar was in seize of the Koch capital when he was recalled to put down a rebellion in Orissa—and there is no evidence that he ventured further east to the Guwahati region. Therefore, Kalapahar, Karrani's general, was not the person who destroyed the Kamakhya temple. (Nath 1989, পৃ. 68–71)
  22. (Sarma 1983, পৃ. 39)
  23. Gait,Edward A History of Assam, 1905, pp172-173
  24. "Kamakhya temple"। ২০০৬-১১-০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৬-০৯-১২ 
  25. Satish Bhattacharyya in the Publishers' Note, Kakati 1989.
  26. Kakati suspects that Kama of Kamakhya is of extra-Aryan origin, and cites correspondence with Austric formations: Kamoi, Kamoit, Komin, Kamet etc. (Kakati 1989, পৃ. 38)
  27. Kakati 1989, p9: Yogini Tantra (2/9/13) siddhesi yogini pithe dharmah kairatajah matah.
  28. (Kakati 1989, পৃ. 37)
  29. (Kakati 1989, পৃ. 45)
  30. Kakati mentions that the list of animals that are fit for sacrifice as given in the Kalika Purana and the Yogini Tantra are made up of animals that are sacrificed by different tribal groups in the region.(Kakati 1989, পৃ. 65)
  31. Kakati 1989, p34
  32. Kakati, 1989, p42
  33. Kakati, 1989 p35
  34. "Kamakhya Temple"। ২০০৬-১১-০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৬-০৯-১২ 

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  • Banerji, R D (১৯২৫), "Kamakhya", Annual Report 1924-25, Archeological Survey of India, পৃষ্ঠা 100–101, সংগ্রহের তারিখ মার্চ ২, ২০১৩ 
  • Das Gupta, Rajatananda (১৯৬০), An Architectural Survey of the Kamakhya Temple, Guwahati: Nilima Das Gupta 
  • Kakati, Banikanta (1989) The Mother Goddess Kamakhya, Publication Board, Guwahati
  • Gait, Edward (1905) A History of Assam
  • Sarkar, J. N. (1992) Chapter I: The Sources in The Comprehensive History of Assam, (ed H K Barpujari) Publication Board, Assam.
  • Sarma, P (১৯৮৩)। "A Study of Temple Architecture under Ahoms"। Journal of Assam Research Society 
  • Shin, Jae-Eun (২০১০)। "Yoni, Yoginis and Mahavidyas : Feminine Divinities from Early Medieval Kamarupa to Medieval Koch Behar"। Studies in History26 (1): 1–29। ডিওআই:10.1177/025764301002600101 
  • Urban, Hugh B. (২০০৮)। "Matrix of Power: Tantra, Kingship, and Sacrifice in the Worship of Mother Goddess Kāmākhyā"। The Journal of South Asian Studies। Routledge। 31 (3): 500–534। ডিওআই:10.1080/00856400802441946 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]