খাটসারা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
অ টেমপ্লেটে সংশোধন |
সম্পাদনা সারাংশ নেই ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা |
||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
'''খাটসারা''' [[ভারত|ভারতের]] [[পশ্চিমবঙ্গ]] রাজ্যের [[দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা জেলা|দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা জেলার]] জয়নগর থানার অন্তর্গত একটি গ্রাম। এই গ্রামের পূরাতাত্ত্বিক নিদর্শন হল ঊনবিংশ শতাব্দীতে নির্মিত তিনটি শিব মন্দির। |
'''খাটসারা''' [[ভারত|ভারতের]] [[পশ্চিমবঙ্গ]] রাজ্যের [[দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা জেলা|দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা জেলার]] [[জয়নগর]] থানার অন্তর্গত একটি গ্রাম। এই গ্রামের পূরাতাত্ত্বিক নিদর্শন হল ঊনবিংশ শতাব্দীতে নির্মিত তিনটি শিব মন্দির। |
||
== শিব মন্দির== |
== শিব মন্দির== |
১৬:৩৫, ২৮ জুলাই ২০১৮ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
খাটসারা ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা জেলার জয়নগর থানার অন্তর্গত একটি গ্রাম। এই গ্রামের পূরাতাত্ত্বিক নিদর্শন হল ঊনবিংশ শতাব্দীতে নির্মিত তিনটি শিব মন্দির।
শিব মন্দির
খাটসারা গ্রামে ঊনবিংশ শতাব্দীতে নির্মিত তিনটি পশ্চিমমুখী আটচালা শিব মন্দির মন্দির অবস্থিত। ব্রিটিশ আমলে বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার দেওয়ান কৃষ্ণচন্দ্র বসু, তাঁর ভ্রাতা কৃপারাম বসু ও ভগিনী ভুবনেশ্বরী দেবী নিজেদের নামে এই মন্দির তিনটি নির্মাণ করেন।[১]:৮৪
দক্ষিণ দিকের শিবমন্দির
১২ ফুট ৪ ইঞ্চি X ১০ ফুট ৮ ইঞ্চি মাপের ও ২৮ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট দক্ষিণ দিকের শিবমন্দির ১২১৫ বঙ্গাব্দ বা ১৮০৮ খ্রিস্টাব্দে নির্মিত হয়। মন্দিরের নকশাযুক্ত প্রবেশপথে খিলান বহু-পত্রাকৃতি বিশিষ্ট। ৭ ফুট ১.৫ ইঞ্চি X ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি মাপের গর্ভগৃহের ছাদ গম্বুজাকৃতিবিশিষ্ট। মন্দিরটি ২২ সেন্টিমিটার X ১১ সেন্টিমিটার X ৪.৫ সেন্টিমিটার মাপের পাতলা ইট দিয়ে নির্মিত।[১]:৮৩ শ্লেটপাথরে সংস্কৃত ভাষায় বাংলা হরফে প্রতিষ্ঠালিপি উৎকীর্ণ রয়েছে, লিপিটি নিম্নরূপ
“ |
শাকেনভোরামমুনিক্ষৌনীমানে |
” |
মধ্যের শিবমন্দির
১৩ ফুট ৫ ইঞ্চি X ১২ ফুট মাপের ও ৩০ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট উত্তর দিকের শিবমন্দির ১২০৭ বঙ্গাব্দ বা ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে নির্মিত হয়। এই মন্দিরের প্রবেশপথে পোড়ামাটির পদ্ম, চক্র ও জ্যামিতিক অলঙ্করণ লক্ষ্য করা যায়। ৭ ফুট ১.৫ ইঞ্চি X ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি মাপের গর্ভগৃহের ছাদ গম্বুজাকৃতিবিশিষ্ট।[১]:৮৪
উত্তর দিকের শিবমন্দির
১৩ ফুট ৫ ইঞ্চি X ১২ ফুট মাপের ও ৩০ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট উত্তর দিকের শিবমন্দির ১২০৭ বঙ্গাব্দ বা ১৮০৮ খ্রিস্টাব্দে নির্মিত হয়। এই মন্দিরে পোড়ামাটির পদ্ম, চক্র ইত্যাদি নকশা লক্ষ্য করা যায়। মন্দিরের প্রবেশপথে কালো পাথরের গোবরাটে চন্দ্রমুখী ফুলের একটি সুন্দর নকশা দেখা যায়।[১]:৮৪