ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়ক
জাতীয় মহাসড়ক ১ | ||||
---|---|---|---|---|
পথের তথ্য | ||||
দৈর্ঘ্য | ৪৬৫ কিমি[১] (২৮৯ মা) | |||
প্রধান সংযোগস্থল | ||||
ঢাকা প্রান্ত: | সায়দাবাদের সাথে সংযুক্ত যাত্রাবাড়ি ফ্লাইওভার | |||
তালিকা
| ||||
পর্যন্ত: | টেকনাফ, কক্সবাজার | |||
মহাসড়ক ব্যবস্থা | ||||
|
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক বা এন-১ বাংলাদেশের একটি অন্যতম ব্যস্ত মহাসড়ক, যা ঢাকা থেকে শুরু হয়ে টেকনাফ পর্যন্ত গেছে। আনুমানিক ৪৬৫ কিলোমিটার (২৮৯ মাইল) মহাসড়কটি বাংলাদেশের দুই বৃহত্তম শহর ঢাকা ও চট্টগ্রামকে সংযুক্ত করেছে। মহাসড়কটি চট্টগ্রাম শহর ছাড়াও ফেনী শহরের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। দুই লেইনের এ মহাসড়কটি বর্তমানে চার লেইনে উন্নীত করা হয়েছে।[২]
চার-লেন প্রকল্প
[সম্পাদনা]১৯২ দশমিক ৪৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ঢাকা-কুমিল্লা-চট্টগ্রাম চার-লেন প্রকল্পটি ২০০৬ সালে একনেকে অনুমোদিত হয়। দু'দফা দরপত্র আহ্বান বাতিল হওয়ার পর, মহাসড়কটি চার-লেন তৈরীতে প্রথম দফায় প্রকল্পের মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়েছিল ২০০৬ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১২ সালের জুন পর্যন্ত। দ্বিতীয় ধাপে, কাজ শেষ করতে সময় বাড়ানো হয় ২০১৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। তৃতীয় ধাপে নির্ধারণ করা হয় ২০১৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। আর সর্বশেষ চতুর্থ ধাপে বাড়ানো হয় ২০১৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত।[১]
২০০৬ সালে সরকার ২ হাজার ১৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ঢাকা-কুমিল্লা-চট্টগ্রাম চারলেন মহাসড়ক প্রকল্প অনুমোদন করে। পরবর্তীতে সড়কটির সম্প্রসারণ কাজে প্রকল্প ব্যয় বৃদ্ধি পেয়ে হয় ৩ হাজার ৮১৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। দীর্ঘ দশ বছর কাজ চলার পর, ২০১৬ সালের ২রা জুলাই কুমিল্লার দাউদকান্দি টোলপ্লাজা থেকে চট্টগ্রাম তোরণ পর্যন্ত ১৯০ দশমিক ৪৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ঢাকা-কুমিল্লা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চার লেন প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।[৩]
রাস্তার বিবরণ
[সম্পাদনা]ঢাকা অংশ
[সম্পাদনা]যাত্রাবাড়ি থেকে সাইনবোর্ড পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার।
নারায়ণগঞ্জ অংশ
[সম্পাদনা]এ মহাসড়কটি নারায়ণগঞ্জ জেলার তিনটি উপজেলা নারায়ণগঞ্জ সদর, বন্দর এবং সোনারগাঁও এর উপর দিয়ে অতিক্রম করেছে। এ জেলার অংশের দৈর্ঘ্য সাইনবোর্ড থেকে মেঘনা সেতু পর্য্যন্ত ২৯ কিলোমিটার।
মুন্সীগঞ্জ অংশ
[সম্পাদনা]মুন্সীগঞ্জ জেলার একমাত্র উপজেলা গজারিয়ার উপর দিয়ে এই মহাসড়ক অতিক্রম করেছে। এই জেলায় মেঘনা সেতু থেকে মেঘনা-গোমতী সেতু পর্য্যন্ত ১১ কিলোমিটার।
কুমিল্লা অংশ
[সম্পাদনা]এন১ কুমিল্লা জেলার মেঘনা, দাউদকান্দি, চান্দিনা, বুড়িচং, কুমিল্লা সদর উত্তর, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন চৌদ্দগ্রাম এই সাতটি উপজেলা এবং একটি সিটি কর্পোরেশন উপর দিয়ে অতিক্রম করেছে। এ জেলায় দৈর্ঘ্য কুমিল্লার মেঘনা মেঘনা সেতু থেকে ফেনী সীমান্ত পর্য্যন্ত ৯৭ কিলোমিটার।
ফেনী অংশ
[সম্পাদনা]ফেনী জেলার দুটি উপজেলা ফেনী সদর ও ছাগলনাইয়ার উপর দিয়ে এন১ অতিক্রম করেছে। ফেনী জেলায় এই মহাসড়কের দৈর্ঘ্য ৩১ কিলোমিটার।
চট্টগ্রাম অংশ
[সম্পাদনা]চট্টগ্রাম শহর ব্যতীত চট্টগ্রাম জেলার সাতটি উপজেলার উপর দিয়ে এন১ অতিক্রম করেছে। উপজেলাগুলো হলো, মীরসরাই, সীতাকুণ্ড, বোয়ালখালী, পটিয়া, চন্দনাইশ, সাতকানিয়া এবং লোহাগাড়া উপজেলা। এন১ উত্তর চট্টগ্রাম অংশের দৈর্ঘ্য ৭৬ কিলোমিটার এবং দক্ষিণ চট্টগ্রাম অংশের দৈর্ঘ্য ৬৯ কিলোমিটার।
কক্সবাজার অংশ
[সম্পাদনা]এন১ কক্সবাজার জেলার চারটি উপজেলা তথা চকরিয়া, রামু, উখিয়া এবং টেকনাফ উপজেলার উপর দিয়ে অতিক্রম করেছে। কক্সবাজার জেলায় এ মহাসড়কের দৈর্ঘ্য ১৪৮.৮৭ কিলোমিটার।[৪]
চিত্র
[সম্পাদনা]-
এন ১ চকরিয়া, কক্সবাজার
-
চৌদ্দগ্রাম, কুমিল্লা।
-
ইলিয়টগঞ্জ, কুমিল্লা।
-
চট্টগ্রাম বাইপাস,যা নগরীর যানজট নিরসনের জন্য পতেঙ্গার মধ্য দিয়ে সংযুক্ত করেছে চট্টগ্রাম বন্দর এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ককে।
-
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ "Road Master Plan" (পিডিএফ)। Bangladesh Roads and Highways Department। ১৩ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ ডিসেম্বর ২০১২।
- ↑ "RHD misses target of bitumen work"। The Financial Express। ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ৮ মার্চ ২০১৩।
- ↑ প্রথম আলো
- ↑ "সড়ক ও জনপথ বিভাগ"। ১ নভেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ জানুয়ারি ২০১৫।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- উইকিমিডিয়া কমন্সে ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়ক সম্পর্কিত মিডিয়া দেখুন।
KML ফাইল (সম্পাদনা • সাহায্য)
|