বিষয়বস্তুতে চলুন

জ্যাকব ওরাম

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
জ্যাকব ওরাম
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
জ্যাকব ডেভিড ফিলিপ ওরাম
জন্ম (1978-07-28) ২৮ জুলাই ১৯৭৮ (বয়স ৪৬)
পালমারস্টোন নর্থ, মানাওয়াতু, নিউজিল্যান্ড
ডাকনামবিগ জ্যাক
উচ্চতা৬ ফুট ৬.৫ ইঞ্চি (১.৯৯ মিটার)
ব্যাটিংয়ের ধরনবামহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম
ভূমিকাঅল-রাউন্ডার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ২২২)
১২ ডিসেম্বর ২০০২ বনাম ভারত
শেষ টেস্ট২৬ আগস্ট ২০০৯ বনাম শ্রীলঙ্কা
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ১২০)
৪ জানুয়ারি ২০০১ বনাম জিম্বাবুয়ে
শেষ ওডিআই৬ নভেম্বর ২০১২ বনাম শ্রীলঙ্কা
ওডিআই শার্ট নং২৪
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৯৭–বর্তমানসেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্টস্‌
২০০৮–২০০৯চেন্নাই সুপার কিংস
২০১১-২০১২রাজস্থান রয়্যালস
২০১২-ইউভা নেক্সট
২০১৩-চিটাগং কিংস
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই টি২০আই এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ৩৩ ১৬০ ৩৬ ৮৫
রানের সংখ্যা ১,৭৮০ ২,৪৩৪ ৪৭৪ ৩,৯৯২
ব্যাটিং গড় ৩৬.৩২ ২৪.০৯ ২০.৬০ ৩৩.৮৩
১০০/৫০ ৫/৬ ১/১৩ ০/২ ৮/১৮
সর্বোচ্চ রান ১৩৩ ১০১* ৬৬* ১৫৫
বল করেছে ৪,৯৬৪ ৬,৯১১ ৫৪৬ ১০,৬৮২
উইকেট ৬০ ১৭৩ ১৯ ১৫৫
বোলিং গড় ৩৩.০৫ ২৯.১৭ ৪১.৭৩ ২৬.৯১
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ৪/৪১ ৫/২৬ ৩/৩৩ ৬/৪৫
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ১৫/০ ৫১/০ ১২/০ ৩৬/০
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৩ মার্চ ২০১৬

জ্যাকব ডেভিড ফিলিপ ওরাম (ইংরেজি: Jacob David Philip Oram; জন্ম: ২৮ জুলাই, ১৯৭৮) মানাওয়াতু'র পালমারস্টোন নর্থ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী নিউজিল্যান্ডের সাবেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। বামহাতি ব্যাটসম্যান এবং ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম বোলার হিসেবে ক্রিকেট খেলায় অংশ নিয়ে থাকেন।

নিউজিল্যান্ডের পক্ষ হয়ে নিয়মিতভাবে ব্যাট ও বলে সমান পারদর্শিতা দেখিয়ে অল-রাউন্ডারের মর্যাদা উপভোগ করেছেন ‘বিগ জ্যাক’ ডাকনামে পরিচিত জ্যাকব ওরাম। মার্চ, ২০১৩ সালে আইসিসি প্লেয়ার র‌্যাঙ্কিং প্রথায় একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অল-রাউন্ডার বিভাগে তিনি দশম স্থানে ছিলেন।[]

খেলোয়াড়ী জীবন

[সম্পাদনা]

২৮ জানুয়ারি, ২০০৭ তারিখে একদিনের আন্তর্জাতিকে পার্থে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাত্র ৭২ বলে অপরাজিত ১০১* রান সংগ্রহ করেন। নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটের ইতিহাসে এটি ছিল সবচেয়ে দ্রুততম সময়ে সেঞ্চুরি করার কীর্তিগাঁথা। ব্রেন্ডন ম্যাককুলামের সাথে গড়া ঐ খেলায় ৬ষ্ঠ উইকেটে ১৩৭ রানের জুটিটিও সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড ছিল যা পরের মাসেই ভেঙ্গে যায়।[]

২০০৭ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতা শুরুর কিছুদিন পূর্বে তার বামহাতের অনামিকায় আঘাতপ্রাপ্তি ঘটে। তিনি বিশ্বকাপে খেলার ইচ্ছেও পোষণ করেছিলেন।[] পরবর্তীতে ওরাম কৌতুহলবশতঃ এ ইচ্ছে পোষণ করেছিলেন বলে জানান যা প্রতিযোগিতায় তার ঐকান্তিক আগ্রহ ও মনোবলের বহিঃপ্রকাশ ছিল মাত্র।[]

সাফল্যগাঁথা

[সম্পাদনা]

২ সেপ্টেম্বর, ২০০৯ তারিখে কলম্বোতে অনুষ্ঠিত টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিকে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হ্যাট্রিক করেন।[] ঐদিন তার শিকারে পরিণত হয়েছিলেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস, মালিঙ্গা বান্দারা এবং নুয়ান কুলাসেকারা

২০১১ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেটে প্রতিযোগিতার সেরা ক্যাচ হিসেবে বিবেচিত হয় তার শূন্যে থেকে বল লুফে নেয়ার ঘটনাটি। মাঝ উইকেটের সীমানা থেকে নিশ্চিত ছয় রান রক্ষা করে ব্ল্যাক ক্যাপদেরকে শক্তিশালী দক্ষিণ আফ্রিকার জয়লাভ করা থেকে বিচ্যুত করেন ওরাম।

সম্মাননা

[সম্পাদনা]

২০০৮ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তার টেস্ট সেঞ্চুরির জন্য লর্ডস অনার্স বোর্ডে নাম অন্তর্ভুক্ত হয়। এছাড়াও তিনি বেশ কয়েকবার বিশ্বের ১নং অল-রাউন্ডার হিসেবে স্থান দখল করেছিলেন।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. ক্রিকেট রেটিংস.কম, সংগ্রহ: ১১ মার্চ, ২০১৩ খ্রিঃ
  2. "Highest partnership for the sixth wicket"। Cricinfo.com। সংগ্রহের তারিখ ১১ অক্টোবর ২০০৮ 
  3. "Oram talks about amputating injured finger"। Cricinfo.com। ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৭। 
  4. "Oram confident broken finger is fine"। Cricinfo.com। ৯ মার্চ ২০০৭। 
  5. Alter, Jamie। "Fighting NZ overcome Dilshan blitz"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ৩ সেপ্টেম্বর ২০০৯ 

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]