বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সহিংসতা
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ | |
---|---|
অন্য যে নামে পরিচিত | বিএসএল, বিসিএল, ছাত্রলীগ, স্টুডেন্টস লীগ |
নেতা | দলীয় প্রধান: শেখ হাসিনা সভাপতি: সাদ্দাম হোসেন সাধারণ সম্পাদক: শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান |
প্রতিষ্ঠা | ৪ জানুয়ারি ১৯৪৮ |
অপারেশনের তারিখ | ১৯৪৮–বর্তমান |
দেশ | বাংলাদেশ |
মতাদর্শ | মুজিববাদ |
প্রধান ক্রিয়াকলাপ | জাবিতে ধর্ষণ উৎযাপন জুলাই গণহত্যা |
উল্লেখযোগ্য আক্রমণ | বিশ্বজিৎ দাস হত্যাকাণ্ড আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ড নাহিদ হোসাইন হত্যাকাণ্ড তোফাজ্জল হোসেন হত্যাকাণ্ড |
অবস্থা | সক্রিয় |
এর অংশ | আওয়ামী লীগ |
বিপক্ষ | রাষ্ট্রীয় প্রতিপক্ষ সাংগঠনিক প্রতিপক্ষ |
যার দ্বারা সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসাবে মনোনীত | বাংলাদেশ |
পতাকা | |
ওয়েবসাইট | bsl |
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র লীগ, যাকে প্রায়শই ছাত্রলীগ বলা হয়, বাংলাদেশের একটি নিষিদ্ধঘোষিত সন্ত্রাসী ছাত্র সংগঠন[১], যা শেখ মুজিবুর রহমান ৪ঠা জানুয়ারি ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এটি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম ছাত্র সংঘটন। এটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ১৯৭২ সালের পর শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে জোটের ভিত্তিতে এটি দুটি উপদলে বিভক্ত হয়ে যায়।[২] কিন্তু পরবর্তীতে আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য নির্যাতন, চাঁদাবাজি, সহিংসতা, জোরপূর্বক পতিতাবৃত্তি এবং হত্যার জন্য বারবার অভিযোগ তোলা হয়েছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে।[৩] গেস্টরুম নির্যাতনের মাধ্যমে জোরপূর্বক দলীয় কর্মী বানানোর অভিযোগ রয়েছে।[৪][৫] ২০০৯ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে ছাত্রলীগের হামলায় কমপক্ষে ৩৩ জন নিহত এবং ১৫০০ জন গুরুতর আহত হয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে ছাত্রলীগ কর্তৃক ১২৯ জনের প্রাণহানি হয়েছে, এরমধ্যে শুধুমাত্র ২০১৭ সালে ৩১ জনের প্রাণহানি হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে ছাত্রলীগ নিজেদের মধ্যে কমপক্ষে ৫০০ বার সংঘর্ষে জড়িয়েছে, এতে নিজেদের ৫৫ জন কর্মী মারা গিয়েছে।[৬]
২০১৮ সালে ছাত্র বিক্ষোভকারীদের উপর হামলার পর, বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ Change.org ওয়েবসাইটে "বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে (বিএসএল) সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করার জন্য" একটি পিটিশন শুরু করেছিল।[৭][৮] ২০১৮ সালে, বাংলাদেশের বিশিষ্ট ইংরেজি-ভাষা দৈনিক পত্রিকা ঢাকা ট্রিবিউন সংস্থাটিকে "লজ্জার ব্র্যান্ড" হিসাবে আখ্যা দেয়।[৯] ২৬ মে ২০২২ সালে ভিন্নমতাবলম্বী ছাত্রগোষ্ঠীর উপর ধারাবাহিক হামলার পরিপ্রেক্ষিতে আটটি বামপন্থী ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে একটি 'সন্ত্রাসী সংগঠন' বলে অভিহিত করে।[১০]
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এর ব্যানারে নেতৃত্বাধীন ১৫ জুলাই, ২০২৪-এ বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলন এ বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও স্কুলের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়, এতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, বাংলাদেশ যুবলীগ, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ এবং বাংলাদেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহায়তায় অংশগ্রহণকারীদের ওপর ধারাবাহিক হামলা চালানো হয়।[১১] এই হামলাগুলোতে ১,০০০-এরও বেশি শিক্ষার্থী নিহত এবং ১৫,০০০-এরও বেশি শিক্ষার্থী আহত হয়। আহত শিক্ষার্থীরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ এ চিকিৎসা নিতে গেলে, এই সংগঠনের কর্মীরা তাদের ওপরও হামলা চালায়। এই সহিংস ঘটনাগুলোকে ব্যাপকভাবে 'জুলাই গণহত্যা' হিসেবে উল্লেখ করা হয়।[১২][১৩][১৪]
হত্যাকাণ্ড
[সম্পাদনা]বাংলাদেশ ছাত্রলীগ হল দখল, ক্যাম্পাস আধিপত্য, চাঁদাবাজি প্রভৃতির জন্য নানা হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ত হয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে ছাত্রলীগ ১২৯ জনকে হত্যা করেছে। এই সময়ে বহুবার সংঘর্ষে জড়িয়েছে এবং নিজেদের মধ্যে আন্তঃকোন্দলে নিজেদের ৫৫ জন কর্মীকে হত্যা করেছে।[৬]
আবরার ফাহাদ হত্যা
[সম্পাদনা]বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রকে শিবিরের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের লোকজন জিজ্ঞাসাবাদ করার পর তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।[১৫][১৬][১৭] অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা হলেন- সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মেহেদী হাসান রাসেল, বুয়েট বিএসএলের সাধারণ সম্পাদক, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সহ-সভাপতি মুহতাসিম ফুয়াদ, কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মেহেদী হাসান রবিন, সাংগঠনিক সম্পাদক, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অনিক সরকার, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মো., মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ইশতিয়াক আহমেদ মুন্না, প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক, বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যাচ-১৬-এর ইফতি মোশাররফ শাকাল, উপ-সমাজ কল্যাণ সম্পাদক, নৌ-স্থাপত্য ও মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, ক্রীড়া সম্পাদক মুজাহিদুর রহমান মুজাহিদ, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ডা. রাসায়নিক প্রকৌশল বিভাগের মুনতাসির আলম জেমী এবং যন্ত্র প্রকৌশল বিভাগের খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভীর, পানি সম্পদ প্রকৌশল বিভাগের মনিরুজ্জামান মনির, পুরকৌশল বিভাগের আকাশ হোসেন এবং বুয়েটের যান্ত্রিক প্রকৌশল বিভাগের শামসুল আরেফিন রাফাত।[১৮]
বিশ্বজিৎ দাস হত্যাকাণ্ড
[সম্পাদনা]বিশ্বজিৎ দাস, ঢাকার একজন ২৪ বছর বয়সী দর্জি। ২০১১ সালের ৯ই ডিসেম্বর, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সদস্যরা তাকে বিরোধীদল সমর্থক সন্দেহে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল। বিশ্বজিৎকে ধাওয়া করা হয় এবং ছুরি, লোহার বার এবং হকি স্টিক দিয়ে আক্রমণ করা হয়।[১৯] আহত অবস্থায় তাকে মিটফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে শীঘ্রই তার মৃত্যু হয়।[২০] ২১ জন ছাত্রলীগ কর্মীকে ১৮ ডিসেম্বর ২০১৩ সালের বিশ্বজিৎ হত্যার জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়। আটজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং তেরোজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।[২১] ২১ জন আসামীর মধ্যে মাত্র ৮ জন সাজার সময় হেফাজতে ছিলেন, বাকি ১৩ জনের অনুপস্থিতিতে বিচারকার্য সম্পন্ন করা হয়েছিল।[২২][২৩]
আবু বকর হত্যাকাণ্ড
[সম্পাদনা]আবু বকর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।[২৪] তিনি ২০১০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি স্যার এ এফ রহমান হলে সিট দখল নিয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় আহত হয়। ৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।[২৫] ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত ১০ ছাত্রকে সাময়িক বহিষ্কার করে।[২৬] ঘটনা তদন্তে অধ্যাপক মো. আবুল কাশেম প্রধান করে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।[২৭]
নাহিদ হোসেন হত্যা
[সম্পাদনা]ঢাকার নিউ মার্কেটের স্থানীয় দোকানদারদের সাথে সংঘর্ষের সময় ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের নেতৃত্বে একটি জনতা দরিদ্র ডেলিভারিম্যান নাহিদ হোসেনকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। বিশ বছরের যুবক নাহিদ হোসেন ২০ এপ্রিল ২০২২ সালে, কামরাঙ্গীরচরের বাড়ি থেকে শুরু করে এলিফ্যান্ট রোডের কর্মস্থলে যান। কিন্তু তার কর্মস্থল থেকে কয়েক গজ দূরে, তাকে ঢাকা কলেজের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা কথিত একটি জনতা দ্বারা ঘেরাও করে, যারা তাকে বেধড়ক পিটিয়ে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে রাস্তায় ফেলে রেখে যায়।[২৮]
জুবায়ের হত্যাকাণ্ড
[সম্পাদনা]জুবায়ের আহমেদ ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র।[২৯] ২০১২ সালের ৮ই জানুয়ারি ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে অন্তর্কলহ শুরু হয়। একপক্ষের হামলায় অপরপক্ষের ছাত্রলীগ কর্মী জুবায়ের আহত হয়ে একদিন পর মারা যান। পুলিশ বলেছে, প্রথমবর্ষের ছাত্রদের র্যাগিং এর শিকার হওয়া একদল ছাত্রলীগ সদস্য প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে থাকতে পারে।[৩০] এই ঘটনায় পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড এবং দু'জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়।[৩১] এমনকি বিচার চলাকালে জুবায়ের হত্যাকারীরা বাদি পক্ষদের আরো কয়েকজনে হত্যার হুমকি দেয়।[৩২] এই হত্যাকাণ্ডে ১৩ জন ছাত্রলীগ কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়।[৩৩]
সাদ ইবনে মমতাজ হত্যাকাণ্ড
[সম্পাদনা]২০১৪ সালের ৩১ মার্চ রাতে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের আশরাফুল হক হলের ২০৫ নং কক্ষে সাদ ইবনে মমতাজকে ছাত্রলীগের কর্মীরা বেধড়ক পিটিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে।[৩৪] তাকে কয়েক ঘন্টা সময় ধরে কার্পেট দিয়ে মুড়িয়ে লোহার রড, লাঠি, হকিস্টিক ইত্যাদি দিয়ে নির্মমভাবে পেটানো হয়।[৩৫] পরে তিনি ময়মনসিংহ শহরের একটি ক্লিনিকে মারা যান। সাদ নিজেও ছাত্রলীগের একজন কর্মী ছিলেন।[৩৬] হত্যার ৭ম দিনে সাধারণ শিক্ষার্থীরা হত্যাকারীদের বিচার চেয়ে সমাবেশ এবং পরে বিক্ষোভ মিছিল করে।[৩৭][৩৮] তদন্ত কমিটি অনুযায়ী ৬ ছাত্রলীগ নেতাকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়।[৩৯]
তোফাজ্জল হোসেন হত্যাকাণ্ড
[সম্পাদনা]২০২৪ সালের ১৮ সেপ্টেম্বরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলে এক মানসিকভাবে অসুস্থ ব্যক্তিকে মব জাস্টিসে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।[৪০][৪১][৪২] তাকে মোবাইল চুরির অভিযোগে আটক করা হয় এবং পরে শিক্ষার্থীরা তাকে নির্মমভাবে মারধর করে, যার ফলে তার মৃত্যু হয়।[৪৩][৪৪] হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি আটককৃত ছয়জনই ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য ছিলো।[৪৫] ডেমোক্রেটিক স্টুডেন্ট অ্যালায়েন্স, স্টুডেন্টস অ্যাগেইনস্ট রিপ্রেশন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র সমালোচনা করেন।[৪৬]
ধর্ষণ ও নারীর প্রতি সহিংসতা
[সম্পাদনা]১৯৯০ সাল থেকে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের দ্বারা সংগঠিত অসংখ্য ধর্ষণ ও যৌন সহিংসতার অভিযোগ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা প্রায়ই ধর্ষণকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে নারীদের দমন ও ভয়ের পরিবেশ তৈরি করে এসেছে।[৪৭] এমনকি, ছাত্রলীগের নেতারা নারীদের ধর্ষণের "শতধর্ষন বা সেঞ্চুরি উৎসব" উদযাপন করেছেন এমন অনেক ঘটনাও নথিভুক্ত রয়েছে।[৪৮]
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণ সংস্কৃতি
[সম্পাদনা]১৯৯৮ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক জসিমউদ্দিন মানিক ও তার অনুসারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত ২০জন ছাত্রীসহ ১০০তম ছাত্রীকে ধর্ষণের 'শতধর্ষন বা সেঞ্চুরি উৎসব' উদযাপন করেছিল। এটি ছাত্র -ছাত্রীদের একটি ধারাবাহিক বিক্ষোভের দিকে পরিচালিত করে। যার ফলস্বরূপ ১৯৯৯ সালে জাবি ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনের ঘটে এবং ১৯৯৯ সালের ২ আগস্ট মানিক এবং তার অনুসারীদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পলায়ন করে এবং তাদের বহিষ্কার করা হয়।[৪৯]
২০১৫ পহেলা বৈশাখে নারী হয়রানি
[সম্পাদনা]ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বাংলা নববর্ষ উদযাপনে ছাত্রলীগের একদল শিক্ষার্থী অনুষ্ঠানস্থলে নারীদের যৌন হয়রানি করে এবং তাদের বস্ত্রহরণ করার চেষ্টা করে।[৫০] প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা অনুসারে প্রশাসন এবং আইন প্রয়োগকারীরা আশেপাশে উপস্থিত ছিল, তবুও দুষ্কৃতীদের থামানো হয়নি এবং তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।[৫১]
ছাত্রলীগের আক্রমণে হাতের আঙুল ভেঙে যাওয়া আহত এক যুবক বলেছে, ছাত্রলীগ তিনটি দলে বিভক্ত ছিল এবং প্রতিটি দলে ১০-১২ জন করে ছিল। চতুর্দিকের সিসিটিভি ফুটেজ হতে অপরাধীদের স্পষ্টভাবে শনাক্ত করা গেলেও, কাউকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ। ডিবির উপ-পরিদর্শক দীপক কুমার দাস দীর্ঘ ৮ মাস তদন্তের পরে আদালতে একটি চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে বলেন যে, তিনি সন্দেহভাজনদের কাউকে সনাক্ত করতে ব্যর্থ হয়েছেন।[৫২]
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নিয়ন্ত্রণ থাকায় এবং ছাত্রলীগকে গ্রেপ্তার না করে এসব হামলা চালাতে সহায়তা করেছিল বলে ব্যাপকভাবে অনুমান করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, এ ঘটনার প্রতিবাদে ছাত্রলীগের নারী সদস্যদেরও বাধা দেয় ছাত্রলীগ।[৫৩]
ইবিতে ফুলপরী খাতুন নির্যাতন
[সম্পাদনা]২০২৩ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টার দিকে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সহসভাপতি সানজিদা চৌধুরী তাকে হলের "দোয়েল" নামক গণরুমে ডেকে নিয়ে যায়। ৫-৬ জনের একটি দল এই গণরুমে তাকে রাত ৩.৩০ পর্যন্ত নানাভাবে শারীরিক নির্যাতন করে।[৫৪] ফুলপরীকে কিল, ঘুষি ও থাপ্পর দেওয়া হয়, আলপিন দিয়ে পায়ে ফুটা করা হয়, অশ্লীল গালিগালাজ করা হয়।[৫৫] এছাড়াও তাকে জোর করে ডাইনিংয়ের ময়লা গ্লাস চাটানো, গামছা দিয়ে মুখ বেঁধে শরীরে আঘাত করা এবং যৌন হয়রানি করা হয়।[৫৬][৫৭] এক পর্যায়ে তাকে বিবস্ত্র করে মুঠোফোনে ভিডিও ধারণ করা হয়।[৫৮] এই ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়, এবং নির্যাতনের কথা বাইরে বললে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়।[৫৯] জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এই কাজকে "বর্বর ও কুরুচিপূর্ণ" বলে অভিহিত করেছিলো।[৬০]
মুরারিচাঁদ ছাত্রাবাসে গৃহবধু ধর্ষণ
[সম্পাদনা]২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর সিলেটের শাহ পরাণের মাজার ভ্রমণ করে ফেরার পথে মুরারিচাঁদ কলেজের ছাত্রাবাসে এক গৃহবধূ ধর্ষণের শিকার হয়।[৬১] এমসি কলেজের "বিসিএল মেনস রুমের" সামনে ছাত্রলীগ কর্মীরা গৃহবধূ ধর্ষণ করা হয়।[৬২] স্বামীর কাছ থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের এই ঘটনায় ৬ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়, যাদের সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত।[৬৩] ঘটনার পর পলাতক আসামিদের কয়েকজনকে দ্রুত গ্রেফতারে সক্ষম হয় পুলিশ।[৬৪][৬৫][৬৬] ধর্ষণের এই ঘটনায় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেন, “ধর্ষণ তো দূরের কথা, কেউ নারীর প্রতি বিন্দুমাত্র আড়চোখে তাকানোর সাহস করে, এমন কোনো কর্মী বাংলাদেশ ছাত্রলীগে নেই।”[৬৭]
কক্সবাজারে পর্যটককে ধর্ষণ
[সম্পাদনা]এক নারী পর্যটক, গৃহবধূ এবং আট মাস বয়সী এক শিশুর মাকে গণধর্ষণ করেছে জয়, আশিক ও বাবু নামের ৩ ছাত্রলীগ কর্মী। বাংলাদেশের পর্যটন রাজধানীতে নারী পর্যটক ধর্ষিত হওয়ার সময় ওই নারী পর্যটককে প্রথমে তার স্বামী ও সন্তানদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছিল, যাদেরকে তিনজন অভিযুক্ত ধর্ষকের হাতে জিম্মি করে রাখা হয়েছিল। বিশিষ্ট নারী অধিকার কর্মী শিরীন হক এই ঘটনাটিকে "সবচেয়ে খারাপ দৌরাত্ম্য এবং দস্যুতা" বলে মন্তব্য করেছেন।[৬৮]
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণ চেষ্টা
[সম্পাদনা]চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে উলঙ্গ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসের সামনে থেকে ছাত্রলীগের গুন্ডা তাকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়।[৬৯] পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তদন্তে দেখা যায়, অভিযুক্ত পাঁচজনই শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ সহযোগী রেজাউল হকের কর্মী।[৭০] রেজাউল হক ওই ছাত্রীকে অভিযোগ দায়ের করতে বাধা দেন যার জন্য তাকে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। কিন্তু এই ঘটনার আগে ক্যাম্পাসের ভেতরে উপ-শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী [৭১] এর অনুসারীদের দ্বারা আরো দুই শিক্ষার্থী যৌন হয়রানির শিকার হয় এবং ছাত্রলীগ ও মন্ত্রীকে জড়িত থাকায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে মামলাগুলো দাঁড় করায়।
ইডেন কলেজে যৌন শোষণ
[সম্পাদনা]২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে ইডেন মহিলা কলেজে ছাত্রলীগের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে মহিলা ছাত্রীদের যৌন শোষণের অভিযোগ মিডিয়াতে উঠে আসে।[৭২] ইডেন কলেজের ছাত্রলীগ নেতাদের একাংশ দাবি করেছেন যে সংগঠনের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের আশীর্বাদপ্রাপ্ত ইউনিটের সভাপতি তরুণ ছাত্রদের তাদের আপোষমূলক ছবি এবং ভিডিও দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে 'দলের পুরুষ নেতা ও উচ্চপদস্থদের কাছে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের জন্য'।[৭৩]
পুরুষদের প্রতি সহিংসতা ও নির্যাতন
[সম্পাদনা]এহসান রফিক নির্যাতন
[সম্পাদনা]২০১৮ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি রাতে সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে ধার দেওয়া ক্যালকুলেটর ফেরত চাওয়ায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মী দ্বারা নির্যাতিত শিকার হন এহসান রফিক।[৭৪] এতে তার চোখের কর্ণিয়া মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।[৭৫] হল সহসভাপতি আরিফুল ইসলাম তাকে নিয়ে ছাত্রলীগের কিছু ছাত্ররা মিলে তাকে দেড় ঘন্টা নির্যাতন করে হল থেকে বের করে দেন। পরে ওমর ফারুকের নেতৃত্বে আবারও তাকে মারধর করা হয়।[৭৬] এতে তার একটি চোখ মারাত্মক জখম হয় এবং কপাল ও নাক ফেটে রক্ত বের হয়ে যায়।[৭৭]
মাহাদি জে আকিব নির্যাতন
[সম্পাদনা]২০২১ সালের অক্টোবর মাসে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মাহাদি জে আকিবকে প্রধান ফটকের সামনে পিটিয়ে গুরুতরভাবে আহত করা হয়।[৭৮][৭৯] কাঁচের বোতল, ছুরি, রড, ক্ষুর, ক্রিকেটের স্ট্যাম্প প্রভৃতি দিয়ে তার উপর আক্রমণ করা হয়।[৮০] ক্ষুর দিয়ে তার মাথা থেঁতলে দেওয়া হয়, এতে মাথার হাড় ভেঙ্গে যায় এবং মস্তিষ্কে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়।[৮১] তার মাথা ফেটে যাওয়া খুলির একটি অংশ আলাদা করে পেটের চামড়ার নিচে রাখা হয়।[৮২] মাথা পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে মাথায় একাধিক অস্ত্রোপচার করাতে হয়।[৮৩]
কুয়েটে জাহিদুর নির্যাতন
[সম্পাদনা]২০২২ সালে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জাহিদুর রহমানকে ছাত্রশবির সন্দেহে নির্যাতন করা হয়।[৮৪] ১০-১২ জন মিলে তাকে পাইপ দিয়ে পাগলের মত পেটাতে থাকে। শব্দ যেন বাইরে না যায় এইজন্য রুমে সাউন্ড বক্সে উচ্চস্বরে গান বাজানো হয়। তাকে কিল, লাথি, চড়, ঘুষি মারতে থাকে, এক পর্যায়ে অবস্থা গুরুতর হলে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে ছাত্রলীগ তার বিরুদ্ধে মিথা আইসিটি মামলা দায়ের করে।[৮৫][৮৬] এই ঘটনার প্রতিবাদে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ৫ দফা নিয়ে মানববন্ধন করে।[৮৭]
ঢামেকে শিক্ষার্থী নির্যাতন
[সম্পাদনা]২০২১ সালের জানুয়ারিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজের শহীদ ডা. ফজলে রাব্বি হলে ইন্টার্ন চিকিৎসক এএসএম আলী ইমাম শীতলকে তার কোমর থেকে পা পর্যন্ত রড দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করাসহ হাঁটুর নিচের হাড় ভেঙে দেয়া হয়।[৮৮] মাথায় আঘাতের ফলে বমি শুরু হলে তাকে বের করে দেওয়া হয়।[৮৯] এর সঙ্গে কলেজ ছাত্রলীগ এবং ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের নেতারা জড়িত। শীতল নিজেও ঢামেক ছাত্রলীগের সাবেক উপদপ্তর সম্পাদক ছিলো।[৯০][৯১]
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে হামলা
[সম্পাদনা]বাংলাদেশ ছাত্রলীগ শিক্ষার্থী ভিত্তিক একটি সংগঠন হলেও তারা নানাসময়ে শিক্ষার্থীদের ন্যায্য আন্দোলনের বিরোধিতা করেছে, মারপিট করেছে, এমনকি গোষ্ঠীবদ্ধভাবে হামলা করেছে।[৯২][৯৩] ছাত্রলীগ সবসময়ই বাংলাদেশের বৃহৎ আন্দোলনের উপর হুমকি ও হামলা ও গুলি করেছে।[৯৪] এমনকি ২০২৪ সাল অসহযোগ আন্দোলনে শেখ হাসিনার পতনের পিছনে ছাত্রলীগের অতিরিক্ত নির্যাতন দায়ী ছিলো।[৯৫][৯৬]
সরকারি চাকরিতে কোটার পরিমাণ কমিয়ে আনার আন্দোলন। ২০১৩ সালে, ২০১৮ সালে এবং ২০২৪ সালে কোটা সংস্কার আন্দোলন সংগঠিত হয়েছিলো। তবে প্রতিটা আন্দোলনে ছাত্রলীগ এই আন্দোলনের বিরোধিতা করেছিলো।[৯৭][৯৮]
ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এলাকার সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা শিক্ষার্থীদের উপর প্রাণঘাতী অস্ত্র, লাঠিসোঁটা ও লোহার রড দিয়ে মারধর করে।[৯৯] রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের উপর হামলা করে।[১০০] এছাড়াও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনেও ছাত্রলীগ বিরুদ্ধে অবস্থান করে এবং প্রতিরোধ করে।[১০১]
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে মিছিল বের করে এবং বিভিন্ন সময় আন্দোলকারীদের উপর হামলা চালায়।[১০২] ছাত্রলীগ ঢাবিতে ‘শিবির ধর’, ‘শিবির ধর’ বলে আন্দোলনকারীদের ধাওয়া করে এবং তাদের মারধর করে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। আন্দোলনে সম্পৃক্ত থাকার কারণে ছাত্রলীগ কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের লালন শাহ হলের ২২ শিক্ষার্থীকে আবাসিক থেকে বের করে দেয়।[১০৩] ২ জুলাই একটি কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রতিবাদ মিছিলে নেতা তরিকুল ইসলামসহ ১৫ জনের ওপর লাঠিসোঁটা, বাঁশের খুঁটি, ছোরা ও হাতুড়ি দিয়ে হামলা করা হয়, হামলায় তরিকুল ইসলামের পা ভেঙ্গে যায়। দ্য ডেইলি স্টারের একজন সংবাদদাতা ১১ জন আক্রমণকারীর মধ্যে ১০ জনকে ছাত্রলীগের সদস্য হিসাবে চিহ্নিত করেছে।[১০৪][১০৫] হামলার ভিডিও এবং ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে, যা পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে সমালোচনার জন্ম দেয়।[১০৪] আন্দোলনের সংগঠক জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক এ পি এম সুহেলের হামলা করা হয়।[১০৬]
এই আন্দোলনে ছাত্রলীগের নেতৃত্বে শিক্ষার্থী ও আন্দোলনকারীদের উপর রড, লাঠি, হকি স্টিক, রামদা, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা করা হয়।[১০৭] ১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে হামলা করে ছাত্রলীগ। এতে শতাধিক ছাত্রের আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে।[১০৮] জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা ছাত্রলীগের হামলার ভয়ে উপাচার্যের বাসভবনের ভেতরে আশ্রয় নেন। সেখানেও ছাত্রলীগ ঢুকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মারধর করে।[১০৯] কোটা আন্দোলনকারীরা টাঙ্গাইল পৌরসভার সামনে থেকে মিছিল নিয়ে শহীদ মিনারের কাছে পৌঁছালে ছাত্রলীগ লাঠি ও লোহার রড নিয়ে তাদের ওপর হামলা করে।[১১০] ১৫ জুলাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার দুইজন কোটাবিরোধী বিক্ষোভকারীর মৃত্যু দাবি করে ছাত্রলীগের বিক্ষোভকারীদের উপর হামলার নিন্দা করেন।[১১১] সব সহিংসতা শেষে অসহযোগ আন্দোলনের মাধ্যমে শেখ হাসিনার পদত্যাগ হয়।[৯৬] বিশেষজ্ঞরা শেখ হাসিনার পতনের জন্য ছাত্রলীগের নির্যাতনকে একটি কারণ হিসাবে চিহ্নিত করেছে।[৯৫]
নিরাপদ সড়ক আন্দোলন
[সম্পাদনা]২৯ জুলাই ২০১৮ তারিখে, ঢাকার একটি বাসস্টপে বাস চাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহত এবং আরও বারো জন আহত হয়। কিছুক্ষণ পরেই উন্নত সড়ক নিরাপত্তার দাবিতে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভ চলাকালীন, ছাত্রলীগ সদস্যরা সারা বাংলাদেশে বিক্ষোভকারীদের উপর অসংখ্য হামলার সাথে জড়িত বলে অভিযোগ ছিলো।[১১২] ৫ আগস্ট ২০১৮-এ হেলমেট পরা ছাত্রলীগ সদস্যদের দ্বারা বেশ কয়েকজন ফটো সাংবাদিকের উপর হামলা হয়েছিল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকলেও হামলা ঠেকানোর কোনো চেষ্টা করেননি।[১১৩][১১৪]
ভ্যাট বিরোধী ছাত্র বিক্ষোভ
[সম্পাদনা]২০১৫ সালের ১০ সেপ্টেম্বর ভ্যাট বিরোধী আন্দোলনে ছাত্রলীগ জয় বাংলা স্লোগান দিতে দিতে হামলা করে।[১১৫] তারা ধানমন্ডি ২৭ নম্বরে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর দুই দফা হামলা চালায়, এতে বেশ কিছু শিক্ষার্থী আহত হয়।[১১৬] এছাড়াও ছাত্রলীগ কাকলি মোড়ে ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলনরত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়।[১১৭] তবে ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুর রহমান লিখিত বক্তব্যে জানান তারা ভ্যাট বিরোধী আন্দোলনের পক্ষেই আছেন।[১১৮]
নিপীড়ন ও সন্ত্রাসবাদ
[সম্পাদনা]২০১৮ সালের আন্তঃদ্বন্দ্ব
[সম্পাদনা]২০১৮ সালের মার্চ মাসে, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্র ছাত্রলীগের দুই উপদলের মধ্যে সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ হন।[১১৯] জানা গেছে, ছাত্রলীগের শাবিপ্রবি ইউনিটের দুটি উপদল, ইউনিটের সহ-সভাপতিদের নেতৃত্বে, ক্যাম্পাসে আধিপত্য প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করেছিল। আকন্দো ও সহকর্মীদের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের একদল লোক বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে একটি রেস্তোরাঁয় আরেক ব্যক্তির ওপর হামলা চালায়। লোকটি বন্দুক দিয়ে জবাব দেয় যা অন্য একজন ছাত্রকে আহত করে।[১১৯]
সাংবাদিকদের উপর হামলা
[সম্পাদনা]রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস এর ২০২০ কান্ট্রি রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে ২০২০ ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের সময়, ছাত্রলীগের গুন্ডারা নির্বাচনের সময় ব্যাপক কারচুপি কভার করার চেষ্টা করার সময় কমপক্ষে ১০ জন সাংবাদিককে নির্মমভাবে আক্রমণ করে এবং মারধর করে।[১২০]
মোদী বিরোধী বিক্ষোভে হামলা
[সম্পাদনা]ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ শাখার নেতা সঞ্জিত চন্দ্র দাস বিক্ষোভকারীদের "চামড়া খোসা" ঘোষণা করেছেন যদি তারা ২০২১ সালের মার্চ মাসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে।[১২১] তার সমর্থকরা প্রগতিশীল ছাত্রদের উপর, ঢাকার জাতীয় মসজিদ প্রাঙ্গণের ভিতরে মুসলমানদের উপর আক্রমণ করে,[১২২] এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি মাদ্রাসা কম্পাউন্ডের ভিতরে ছাত্ররা মোদীর বিরুদ্ধে তাদের বিক্ষোভ দমন করার জন্য সারাদেশে একটি সহিংস মোদী বিরোধী বিক্ষোভ শুরু করে যা ২৭শে মার্চ পর্যন্ত ১০ জন প্রাণ হারিয়েছিল।[১২৩]
সাম্প্রদায়িক সহিংসতা
[সম্পাদনা]হিন্দুদের উপর হামলা
[সম্পাদনা]২০২১ সালের বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সহিংসতা চাঁদপুর ও রংপুরে অন্তত দুটি জেলায় বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর সমন্বিত হামলায় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া যায়। রংপুরে কারমাইকেল কলেজের দর্শন বিভাগ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সৈকত মন্ডল, যার সাথে স্থানীয় এক হিন্দু যুবক পরিতোষ সরকারের ব্যক্তিগত বিরোধ ছিল, স্থানীয় একটি মসজিদের ইমামের সাথে যোগসাজশ করে স্থানীয় মুসলিম জনগণকে উসকানি দেয়। ফলাফল স্বরূপ এই ছাত্রলীগের কর্মীর উসকানিতে ওই এলাকার হিন্দু গ্রামে হামলা চালায় স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা।[১২৪][১২৫] চাঁদপুরে, দুই ছাত্রলীগ কর্মী কথিত "কুরআনের অবমাননা" এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু করে যা স্থানীয় মন্দির ও প্যান্ডেলে হামলার দিকে পরিচালিত করে।[১২৬]
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করেছে সরকার"। প্রথম আলো। ২৩ অক্টোবর ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০২৪।
- ↑ "Bangladesh students attacked during Dhaka protest"। BBC News (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-০৮-০৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১২-০৬।
- ↑ "Father demands justice after student beaten to death in Bangladesh"। the Guardian (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-১০-১০। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১২-০৬।
- ↑ "গেস্টরুম: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল প্রশাসনের অধীনে নয়, থাকে 'ভাইদের আন্ডারে'"। বিবিসি বাংলা। ২০২১-১২-১১। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১১।
- ↑ "ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হলের 'গেস্টরুমে' কী হয়?"। Bangla Tribune। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-০৯।
- ↑ ক খ "কোন পথে ছাত্র রাজনীতি? – DW – 05.02.2018"। dw.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১৩।
- ↑ "Awami League / Bangladesh Chhatra League (BCL)"। Terrorism Research & Analysis Consortium। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মে ২০১৯।
- ↑ "Bloody Sunday in Bangladesh"। Democracy News। ৫ আগস্ট ২০১৮।
- ↑ "The brand of shame that is Chhatra League"। Dhaka Tribune। সংগ্রহের তারিখ ১১ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "Student orgs for holding meeting at DU for peaceful atmosphere on campus"। দ্য ডেইলি স্টার। সংগ্রহের তারিখ ২৬ মে ২০২২।
- ↑ "Six killed as clashes erupt all over" (ইংরেজি ভাষায়)। ১৬ জুলাই ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০২৪।
- ↑ "BCL unleashes fury on quota protesters"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ১৬ জুলাই ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০২৪।
- ↑ "Chhatra League activists storm DMCH premises in search of protesters"। Daily Sun (ইংরেজি ভাষায়)। জুলাই ২০২৪।
- ↑ "DU clash: Injured quota reform protesters attacked again at DMCH"। Dhaka Tribune। ১৬ জুলাই ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০২৪।
- ↑ "Buet student murdered after 'BCL men grilled' him"। দ্য ডেইলি স্টার। সংগ্রহের তারিখ ৮ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "Terror Rising"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-১০-১১। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১০-১৪।
- ↑ "Four hours of torture led to Abrar's death"। Dhaka Tribune। ২০১৯-১০-০৯। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১০-১৪।
- ↑ "Abrar murder: 3 more Buet students arrested"। দ্য ডেইলি স্টার। সংগ্রহের তারিখ ৮ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "21 BCL men indicted"। দ্য ডেইলি স্টার। ৩ জুন ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৮-০৩।
- ↑ "Eight to die for Biswajit murder, 13 get life"। bdnews24.com। ১৮ ডিসেম্বর ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৮-০৩।
- ↑ "Bangladesh sentences eight students to death for murder"। LiveMint। Agence France-Presse। ১৮ ডিসেম্বর ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৮-০৩।
- ↑ "Bangladesh sentences eight students to death for murder"। BBC News। ১৮ ডিসেম্বর ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০১-২৯।
- ↑ "8 Awami activists get death for murder of Hindu man"। The Hindu। Press Trust of India। ১৮ ডিসেম্বর ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০১-২৯।
- ↑ "আবরার হত্যার দিনে ঢাবির সেই আবু বকরকে স্মরণ"। যুগান্তর। ৭ অক্টোবর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ৮ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ আসাদুজ্জামান (৭ অক্টোবর ২০১৯)। "আবু বকরকে কেউ খুন করেনি!"। দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ৮ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "আবু বকর ছিদ্দিক: সবাই যাকে ভুলে গেল"। thedailycampus.com। ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১৮।
- ↑ "অগ্রগতি নেই আবু বকর হত্যা তদন্তে"। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১৮।
- ↑ "A murder Most foul"। দ্য ডেইলি স্টার। ২০২২-০৪-২২। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৪-২২।
- ↑ "জুবায়ের হত্যার এক যুগ: রায় কার্যকর না হওয়ায় পরিবারের ক্ষোভ"। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১৮।
- ↑ "জুবায়ের হত্যার কারণ নিয়ে এখনও অস্পষ্ট পুলিশ"। banglanews24.com। ২০১২-০১-১০। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১৮।
- ↑ "জুবায়ের হত্যা: 'ছাত্র সংগঠনগুলোর অনৈতিক কর্মকাণ্ডের পরিণতি'"। বিবিসি বাংলা। ২৪ জানুয়ারি ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৮ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "আরো লাশ ফেলার 'হুমকি' জুবায়ের হত্যার আসামির"। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১৮।
- ↑ "জুবায়ের হত্যা: ১৩ ছাত্রলীগ কর্মী অভিযুক্ত"। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম (ইংরেজি ভাষায়)। ৮ সেপ্টে ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১৮।
- ↑ bdnews24.com। "সাদ হত্যার তদন্ত কমিটিতে অনাস্থা শিক্ষকদের"। সাদ হত্যার তদন্ত কমিটিতে অনাস্থা শিক্ষকদের (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১৬।
- ↑ "ঝুলে আছে সাদ হত্যা মামলা: অভিযুক্ত ৬ জন পলাতক"। www.bd24live.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১৬।
- ↑ "পিটিয়ে বাকৃবি ছাত্র হত্যা : আট বছরেও বিচার হয়নি ছাত্রলীগ নেতাদের"। দৈনিক শিক্ষা। ৩১ মার্চ ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ১৮ আগস্ট ২০২৪।
- ↑ "সাদ হত্যা : বাকৃবিতে মিছিল-সমাবেশ অব্যাহত | শিক্ষা"। Risingbd Online (ইংরেজি ভাষায়)। ৭ এপ্রিল ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১৬।
- ↑ "সাদ হত্যার বিচার দাবিতে বিক্ষোভ"। www.kalerkantho.com। ২১ এপ্রিল ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১৬।
- ↑ bdnews24.com। "বাকৃবি শিক্ষার্থী সাদ হত্যা: আটক ১"। বাকৃবি শিক্ষার্থী সাদ হত্যা: আটক ১ (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১৬।
- ↑ "Suspected thief killed in 'mass beating' at Dhaka University"। Bdnews24.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪।
We have learnt that he was mentally unstable.
- ↑ "Tofazzal: The man who lost everything"। Somoy TV। ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪।
- ↑ "Who was Tofazzal, killed at Dhaka University?"। The Financial Express (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪।
- ↑ "Youth suspected of theft beaten to death at DU"। The Business Standard (ইংরেজি ভাষায়)। ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪।
- ↑ "Suspected thief killed in 'mass beating' at DU"। The South Asian Times (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪।
- ↑ "ঢাবিতে যুবককে পিটিয়ে হত্যায় ছাত্রলীগ নেতাসহ গ্রেফতার ৬"। Jugantor। ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-২৩।
- ↑ "Protests erupt as two beaten to death at DU, JU"। New Age। ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪।
- ↑ "Fear, a part of the curriculum"। দ্য ডেইলি স্টার। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুন ২০২০।
- ↑ "Rape, impunity and power—then and now"। দ্য ডেইলি স্টার। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুন ২০২০।
- ↑ "Rape, impunity and power—then and now"। দ্য ডেইলি স্টার। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুন ২০২০।
- ↑ "Boishakh celebration: Women harassed near TSC"। Dhaka Tribune। ২০১৫-০৪-১৫। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১০-১৪।
- ↑ "Outrage over sex assault"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৫-০৪-১৬। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১০-১৪।
- ↑ "4 years on, no progress in Pohela Boishakh sexual harassment trial"। Dhaka Tribune। ২০১৯-০৪-১৪। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১০-১৪।
- ↑ "Chhatra League reins in its women"। Dhaka Tribune। ২০১৫-০৪-১৯। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১০-১৫।
- ↑ "ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের ৫ নেতা-কর্মীর সিট বাতিল – DW – 27.02.2023"। dw.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-২২।
- ↑ সংবাদদাতা, নিজস্ব; কুষ্টিয়া (২০২৩-০২-১৪)। "ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রী নির্যাতনের অভিযোগ ছাত্রলীগ নেত্রীর বিরুদ্ধে"। দ্য ডেইলি স্টার Bangla (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-২২।
- ↑ ওয়ারা, গওহার নঈম (২০২৩-০২-২৪)। "যৌন হয়রানিকে র্যাগিং বলবেন না"। দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-২২।
- ↑ "ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী নির্যাতন: হাইকোর্টে তদন্ত প্রতিবেদন, ৬ শিক্ষার্থী অভিযুক্ত"। ভিওএ। ২০২৩-০২-২৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-২২।
- ↑ মাসুম, সরকার (১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩)। "সেই রাতের ভয়াবহ নির্যাতনের বর্ণনা দিলেন ইবি ছাত্রী"। দৈনিক যুগান্তর। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-২১।
- ↑ রিপোর্ট, স্টার অনলাইন (২০২৩-০২-১৬)। "ইবিতে শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনায় জেলা প্রশাসককে তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ"। দ্য ডেইলি স্টার Bangla (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-২২।
- ↑ প্রতিবেদক, নিজস্ব (২০২৩-০২-১৬)। "ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীকে ছাত্রলীগের নির্যাতন: 'বর্বর', 'কুরুচিপূর্ণ' বলল মানবাধিকার কমিশন"। দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-২১।
- ↑ "এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গৃহবধূ ধর্ষিত, সিলেটে তোলপাড়"। বিবিসি বাংলা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-০১।
- ↑ "Husband held hostage, wife gang-raped before 'BCL men's room' in college hostel"। Prothom Alo (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-২৯।
- ↑ "এমসি কলেজে ধর্ষণ ঘটনায় 'ছাত্রলীগ'র ৬ জনের নামে মামলা"। দ্য ডেইলি স্টার Bangla। ২০২০-০৯-২৬। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-০১।
- ↑ "এমসি কলেজে ধর্ষণের ঘটনায় এ পর্যন্ত গ্রেফতার চারজন"। বিবিসি বাংলা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-০১।
- ↑ "এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে ধর্ষণ, ছাত্রলীগের কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা | banglatribune.com"। Bangla Tribune। ২০২০-১০-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-৩০।
- ↑ "এমসি কলেজে ধর্ষণ: সেদিনের ঘটনার বর্ণনায় যা বলেছেন স্বামী"। Dhaka Tribune Bangla। ২০২০-০৯-২৮। ২০২০-০৯-২৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-৩০।
- ↑ "নারীর দিকে আড়চোখে তাকাবে, এমন কর্মী ছাত্রলীগে নেই: লেখক"। বাংলাদেশ প্রতিদিন। ২০২০-০৯-২৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-৩০।
- ↑ "Tourist raped in Cox's Bazar"। দ্য ডেইলি স্টার। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ডিসেম্বর ২০২১।
- ↑ "CU sexual assault: Fingers pointed at BCL men"। দ্য ডেইলি স্টার। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুলাই ২০২২।
- ↑ "CU sexual assault: Arrestees are BCL activists, supporters, Rab says"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ২৩ জুলাই ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুলাই ২০২২।
- ↑ "Two other students demand justice for previous incidents"। Prothom Alo (ইংরেজি ভাষায়)। ২৫ জুলাই ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুলাই ২০২২।
- ↑ "সুন্দরীদের বাছাই করে ব্যবসা, ইডেন কলেজ ছাত্রলীগ নেত্রীর অভিযোগ"। Banglanews24.com। ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২। ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২।
- ↑ "Women leaders seek probe into allegations"। New Age (Bangladesh)। ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২। ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২।
- ↑ "ছাত্রলীগের হামলায় চোখ হারানোর পথে রফিক!"। বাংলা ট্রিবিউন। ৮ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে খুন, নির্যাতন, নৃশংসতার পাঁচ চাঞ্চল্যকর অভিযোগ"। বিবিসি বাংলা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-২১।
- ↑ প্রতিনিধি, ঢাবি (৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮)। "ঢাবি শিক্ষার্থীকে মেরে রক্তাক্ত করল ছাত্রলীগ"। দৈনিক যুগান্তর। সংগ্রহের তারিখ ২১ আগস্ট ২০২৪।
- ↑ রিপোর্ট, স্টার অনলাইন (২০১৮-০২-২৮)। "এহসান নির্যাতনের ঘটনায় ঢাবি থেকে ছাত্রলীগের ৭ জন বহিষ্কার"। দ্য ডেইলি স্টার Bangla (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-২১।
- ↑ "'কোল খালি করে দেওয়া এ কেমন রাজনীতি!' আর্তি আকিবের মায়ের"। Eisamay। ২ নভে ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-২১।
- ↑ "আকিবের শারীরিক অবস্থার উন্নতি, করছেন হাঁটাহাঁটি"। ভোরের কাগজ। ৪ নভেম্বর ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০২৪।
- ↑ "হামলায় মস্তিষ্কে ক্ষত, সার্জারির পর অবস্থার উন্নতি চমেক ছাত্র আকিবের"। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-২১।
- ↑ "মাথায় দ্বিতীয় অস্ত্রোপচারের পর সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছাড়লেন আকিব"। দৈনিক সমকাল। ১২ এপ্রিল ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০২৪।
- ↑ "হামলায় মস্তিষ্কে ক্ষত, সার্জারির পর অবস্থার উন্নতি চমেক ছাত্র আকিবের"। banglanews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-২১।
- ↑ আচার্য্য, শৈবাল (৬ মার্চ ২০২২)। "খুলি এখনও নেই মাথায় পেটে আছে সুরক্ষায়"। সমকাল। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০২৪।
- ↑ "তিন ঘণ্টা পেটানোর পর কুয়েট শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে আইসিটি মামলা"। banglanews24.com। ২০২২-০৯-১৩। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-২২।
- ↑ প্রতিনিধি (২০২২-০৯-১৩)। "ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দিয়ে শিক্ষার্থীকে পুলিশে দিল কুয়েট প্রশাসন"। দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-২২।
- ↑ "মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে কুয়েট ছাত্র জাহিদুরকে"। মানবজমিন। ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-২২।
- ↑ "ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের বিচারসহ ৫ দফা দাবিতে কুয়েটে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন"। The Daily Sangram। ২০ আগস্ট ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-২২।
- ↑ "ছাত্রলীগের পিটুনিতে বমি করে দেন শীতল, দেয়া হয়নি পানিও!"। সময় টিভি। ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১।
- ↑ "বুয়েটের পর ঢামেকে শিক্ষার্থী নির্যাতন, ফজলে রাব্বি হলে নৃশংসতা"। দৈনিক যুগান্তর। ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১।
- ↑ "বুয়েটের পর ঢামেকে শিক্ষার্থী নির্যাতন, ফজলে রাব্বি হলে নৃশংসতা"। যমুনা টিভি। ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১।
- ↑ "ছাত্রলীগের নির্যাতন থেকে বাঁচতে গ্রামে চলে গেলেন ঢামেক শিক্ষার্থী"। দৈনিক মানবকণ্ঠ। ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১। ৩১ মার্চ ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১।
- ↑ "কোটা আন্দোলন: গত ১৬ বছরে এবারের ছাত্র বিক্ষোভই কি সরকারকে সবচেয়ে বেশী নাড়া দিয়েছে?"। বিবিসি বাংলা। ২০২৪-০৭-২৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-২২।
- ↑ প্রতিবেদক (২০২৪-০৭-১৫)। "আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা, মারধর"। দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-২২।
- ↑ "মধ্যরাতে কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা, পুলিশের গুলি"। দৈনিক যুগান্তর। ১৬ জুলাই ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০২৪।
- ↑ ক খ "হাসিনার বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থানে ভূমিকা রেখেছে যেসব কারণ"। বিবিসি বাংলা। ২০২৪-০৮-১১। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-২২।
- ↑ ক খ কল্লোল, কাদির (২০২৪-০৮-০৬)। "শেখ হাসিনার পতন যেসব কারণে"। দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-২২।
- ↑ "কোটা সংস্কার আন্দোলন : নতুন কর্মসূচি ঘোষণা"। দৈনিক নয়া দিগন্ত। ২০২৪-০৭-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৬।
- ↑ "Bangladesh students clash in job quota protests, at least 100 injured" en [কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০০ আহত]। দ্য রয়টার্স (ইংরেজি ভাষায়)। জুলাই ১৫, ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ১৫, ২০২৪।
- ↑ "Anti-quota protesters battle with police"। New Age (ইংরেজি ভাষায়)। Dhaka। ১২ জুলাই ২০১৩। ১ জুলাই ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "Medhamullayon Mancha strike Sunday"। natunbarta (ইংরেজি ভাষায়)। ১৬ জুলাই ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুলাই ২০১৩।
- ↑ "Anti-quota movement continues in cities"। The Independent (ইংরেজি ভাষায়)। ১৪ জুলাই ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জুলাই ২০১৩।
- ↑ "কোটা সংস্কার আন্দোলন: এ পর্যন্ত যা যা হলো"। বাংলা ট্রিবিউন। ১১ এপ্রিল ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ এপ্রিল ২০১৮।
- ↑ "কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশ নেয়ায় হল ছাড়া ইবির ২২ শিক্ষার্থী"। সমকাল। ২০২১-০৭-২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-২২।
- ↑ ক খ "Rajshahi police saw nothing!"। দ্য ডেইলি স্টার। ৯ জুলাই ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ১৬ আগস্ট ২০১৮।
- ↑ "Injured quota protester Tariqul moved to Dhaka"। Dhaka Tribune। ৮ জুলাই ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ১৬ আগস্ট ২০১৮।
- ↑ "কোটা আন্দোলনকারী নেতার ওপর হামলার বিচার দাবি"। প্রথম আলো। ২৭ মে ২০১৮।
- ↑ "কোটা সংস্কার আন্দোলনে কে এই অস্ত্রধারী?"। দৈনিক সমকাল। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুলাই ২০২৪।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা আন্দোলকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা, শতাধিক আহত"। বিবিসি বাংলা। ১৫ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুলাই ২০২৪।
- ↑ "গভীর রাতে জাহাঙ্গীরনগরে আন্দোলনকারীদের মারধর,পরে ছাত্রলীগকে ধাওয়া"। প্রথম আলো। ১৬ জুলাই ২০২৪। ১৫ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুলাই ২০২৪।
- ↑ সংবাদদাতা, নিজস্ব; টাঙ্গাইল (২০২৪-০৭-১৬)। "টাঙ্গাইলে কোটা আন্দোলনকারীদের মিছিলে লাঠি-রড নিয়ে ছাত্রলীগের হামলা, আহত ১"। ডেইলি স্টার। ২০২৪-০৭-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৬।
- ↑ "কোটা আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের নিন্দা"। দৈনিক আমার সংবাদ। ১৬ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০২৪।
- ↑ "Minute by the minute: Saturday's protest ends with violence in Jigatola"। Dhaka Tribune (ইংরেজি ভাষায়)। ৪ আগস্ট ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৮-০৪।
- ↑ "5 photojournalists hurt in 'BCL attack'"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ৫ আগস্ট ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৮-০৫।
- ↑ "6 photojournalists injured in attacks by 'BCL'"। The Independent। Bangladesh। ৫ আগস্ট ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ২৪ নভেম্বর ২০১৯।
- ↑ "ভ্যাট আরোপের নৈতিকতা এবং ভ্যাট-বিরোধী আন্দোলন"। এনটিভি বাংলাদেশ। ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০২৪।
- ↑ "'জয় বাংলা' বলে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা"। প্রথম আলো। ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৫।
- ↑ "কাকলিতে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা"। বিডিনিউজ২৪.কম। ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫।
- ↑ প্রতিবেদক, নিজস্ব (২০১৫-০৯-১৪)। "ভ্যাট প্রত্যাহারের অনুরোধ ছাত্রলীগের"। দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-২২।
- ↑ ক খ "Student shot during BCL infighting at SUST"। The Independent। Dhaka। ২১ মার্চ ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ১৬ আগস্ট ২০১৮।
- ↑ "Tougher politics, more press freedom violations"। Reporters Without Borders (ইংরেজি ভাষায়)। ২৯ এপ্রিল ২০২০। ২৯ এপ্রিল ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-১২।
- ↑ "DU BCL president threatens to 'peel off the skin' of anti-Modi protesters on campus"। দ্য ডেইলি স্টার। সংগ্রহের তারিখ ২৭ মার্চ ২০২১।
- ↑ "Clashes break out in Baitul Mukarram area"। Prothom Alo। সংগ্রহের তারিখ ২৭ মার্চ ২০২১।
- ↑ "5 shot dead during clashes in Brahmanbaria"। দ্য ডেইলি স্টার। সংগ্রহের তারিখ ২৭ মার্চ ২০২১।
- ↑ "রংপুরের পীরগঞ্জে 'হামলার হোতা' সৈকত মণ্ডল ছাত্রলীগ নেতা"। The Business Standard (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২১-১০-২৩। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৪-১৩।
- ↑ "Pirganj Communal Violence: BCL man sparked the blaze"। দ্য ডেইলি স্টার। ২৩ অক্টোবর ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ২৪ অক্টোবর ২০২১।
- ↑ "Hajiganj mayhem began with Facebook post like previous incidents of communal violence"। ২০ অক্টোবর ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ২৪ অক্টোবর ২০২১।