বদরুল কর্তৃক খাদিজা বেগমকে হত্যাচেষ্টা
বদরুল আলম কর্তৃক খাদিজা বেগমকে হত্যাচেষ্টা সিলেটে খাদিজা বেগম হত্যাচেষ্টা | |
---|---|
ছাত্রলীগের সহিংসতা-এর অংশ | |
স্থান | সিলেট এমসি কলেজের পুকুরপাড় |
তারিখ | ৩ অক্টোবর ২০১৬ বিকাল ৩টা |
লক্ষ্য | খাদিজা বেগম নার্গিস |
হামলার ধরন | চাপাতি দিয়ে মাথায় কোপানো |
ব্যবহৃত অস্ত্র | চাপাতি |
আহত | মাথা মারাত্নকভাবে জখম |
ভুক্তভোগী | খাদিজা বেগম নার্গিস |
হামলাকারী দল | বদরুল আলম |
অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা | ১ জন |
কারণ | প্রেমে ব্যর্থ হওয়া |
বদরুল আলম কর্তৃক খাদিজা বেগম হত্যাচেষ্টা হলো ২০১৬ সালের ৩ অক্টোবর সিলেটে ছাত্রলীগ নেতা বদরুল কর্তৃক তার প্রেমিকাকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টার ঘটনা।[১] ঘটনাটি বাংলাদেশে তুমুল আলোড়নের সৃষ্টি করেছিলো। বদরুল শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহসম্পাদক ছিলেন।[২] হামলার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এটা নিয়ে সারাদেশে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।[৩][৪] খাদিজা এতোটাই আহত হয়েছিলো যে, তার বেঁচে থাকার সম্ভাবনা মাত্র ৫% ছিলো।[৫] এই ঘটনায় আদালত করা বদরুল আলম যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে, শাবিপ্রবি প্রশাসন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে।[৬] সমাজবিজ্ঞানী ও অপরাধ বিজ্ঞানীরা এই হামলাকে স্পষ্ট জঙ্গিদের প্রভাব বলে ব্যাখ্যা করেছেন।[৭] এই হামলার প্রতিবাদে ভোলা,[৮] পাবনা,[৯] ময়মনসিংহ,[১০] বাংলাদেশের নানাস্থানে মানববন্ধন, বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ দেখা গিয়েছিলো।[১১]
প্রেক্ষাপট
[সম্পাদনা]খাদিজা বেগম নার্গিস সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের স্নাতক শ্রেণীর দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলো। বদরুল আলম সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে শেষ বর্ষে পড়াকালীন অবস্থায় স্থানীয় আলহাজ আয়াজুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ে খণ্ডকালীন শিক্ষকতা করতো। বদরুলের বাসা সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলার দক্ষিণ খুরিমা ইউনিয়নের মনিরগাতি গ্রামে। বদরুল কলেজে পড়াকালীন সময়ে খাদিজাদের বাসায় লজিং থাকতো। সেই সময়ে খাদিজা স্কুলে পড়াশোনা করতো, তখন থেকেই বদরুল তাকে প্রেম ভালোবাসার কথা বলে পথে-রাস্তায় উত্ত্যক্ত করতো। তাকে বারবার প্রেমের প্রস্তাব দিতো, কিন্তু প্রতিবারই প্রত্যাখাত হয়েছে। বদরুলের পক্ষ থেকে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্কের দাবী করা হলেও খাদিজা সবসময় এটাকে অস্বীকার করেছে।[১২]
এছাড়াও সে ২০১২ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি খাদিজাকে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে ঘোপাল এলাকায় উত্ত্যক্ত করতে গিয়ে গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছে। পরে বদরুল এই গনপিটুনির ঘটনাকে জামায়াত-শিবিরের আক্রমণ বলে মিথ্যা প্রচার করে। এছাড়াও এই গনপিটুনি ঘটনায় সে স্থানীয় ইসলামি ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে। এই আক্রমণের দোহাই দিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাদের নিকট থেকে আর্থিক সুবিধাও গ্রহণ করে। বদরুল এলাকার নতুনবাজার বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পড়াশোনা করেছেন, স্কুলে পড়াকালীন সময়েই সে উচ্ছৃঙ্খল স্বভাবের ছিলো। সে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনাকালীন সময়েই এইচএসসি পরীক্ষার সার্টিফিকেট দেখিয়ে স্থানীয় ২০১৪ সালে আলহাজ আয়াজুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসাবে যোগদান করেছিলেন।[১৩]
বদরুল নিজের জবানবন্দিতে জানান, তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। তাদের মধ্যে নিয়মিত কথাবার্তা ও যোগাযোগ হতো। কিন্তু ঘটনার ৮-১০ মাস আগে খাদিজার পরিবার তাদের প্রেমের সম্পর্কের কথা জেনে যায়। এরপরেই খাদিজা তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এরপরে সে খাদিজাকে প্রেমের সম্পর্কটি টিকিয়ে রাখার জন্য অনেকভাবে অনুরোধ, অনুনয়, বিনয় করে। তবে বরাবরই তাকে সরাসরি প্রত্যাখান করেছে।[১৪]
আক্রমণের ঘটনা
[সম্পাদনা]৩ অক্টোবর বদরুল খাদিজার উপর হামলার জন্য পূর্বে থেকেই প্রস্তুতি গ্রহণ করেছিলো। খাদিজার পরীক্ষার দিন হলের মধ্যে পিয়নের মাধ্যমে একটি কোমল পানীয় ও পানির বোতল পাঠান। তবে খাদিজা এসব নিতে অস্বীকৃতি জানান। বদরুল এই ঘটনায় বিরক্ত হয়ে সিলেট শহরের আম্বরখানা এলাকা থেকে ২৬০ টাকা দিয়ে একটা চাপাতি কিনে রাখে। পরীক্ষা শেষে খাদিজা বাসায় যাবার পথে বদরুল তাকে আবারো প্রেমের সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার জন্য অনুরোধ ও চাপ দিতে থাকে। খাদিজা নেতিবাচক উত্তর জানালে, বদরুল রাগান্বিত হয়ে যায়।[১৪] এক পর্যায়ে সিলেটের এমসি কলেজের পুকুরপাড়ে খাদিজাকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে মারাত্নকভাবে জখম করে। তার মাথায়, হাত ও শরীরের অন্যান্য স্থানে চাপাতির কোপে মারাত্নকভাবে আহত হয়। তাকে কোপানোর ভিডিও করলেও তাকে বাঁচানোর জন্য কেউ এগিয়ে আসেনি।[১৫] কুপিয়ে পালানোর চেষ্টা করলে সাধারণ জনতার হাতে ধরা পরে, জনতা তাকে গনপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে সোর্পদ করে।
চিকিৎসা
[সম্পাদনা]আর খাদিজাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, পরে অবস্থার উন্নতি না হলে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।[১৬] প্রাথমিকভাবে স্কয়ার হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়।[১৭] এখানে অস্ত্রোপচারের পর ডাক্তাররা তাকে ৭২ ঘণ্টা নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখে। তার অবস্থা এতোই আশঙ্কাজনক ছিলো, ডাক্তাররা বলেছিলো, তার মাত্র ৫% বাঁচার সম্ভাবনা রয়েছে।[১৮] ১৫ অক্টোবর লাইফ সাপোর্ট খুলে দিয়ে তাকে হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিটে ভর্তি করা হয়। সেই সময়েও তার শরীরের একটি অংশ সম্পূর্ণ অবশ ছিলো, অনুভূতি কাজ করলেও চোখ খুলে তাকাতে পারতোনা।[১৯] ১৭ অক্টোবর আবারো আরেকটি অস্ত্রোপচার করা হয়, সেই সময়ে খাদিজার মস্তিষ্ক সম্পূর্ণ কাজ করতোনা, সবাইকে চিনতেও পারতোনা।[২০] আবার ২০ অক্টোবর আরেক দফায় মাথায় অস্ত্রোপচার করা হয়।[২১] তার মাথায় একাধিক অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ঝুকি কিছুটা কমে যায় এবং অবস্থার উন্নতি হয়।[২২] ঢাকা স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা সম্পন্ন হবার পরে তার ২৮ নভেম্বর তাকে মানসিক চিকিৎসার জন্য সাভারের পক্ষাঘাতগ্রস্থদের পুনর্বাসন কেন্দ্র স্থানান্তর করা হয়।[২৩] সেই সময়ে খাদিজা মানসিক অবসাদ কাটানোর জন্য জাতীয় স্মৃতিসৌধে ঘুরতে যান।[২৪][২৫] ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসের দিকে সে স্বাভাবিক খাওয়াদাওয়া করতে পারতো এবং কিছু সময় বই পড়তে পারতো।[২৬] ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ সিআরপি থেকে থেকে রিলিজ নিয়ে নিজ গ্রামের বাড়িতে ফিরে যান।[২৭][২৮]
মামলা
[সম্পাদনা]৪ অক্টোবর খাদিজার চাচা আব্দুল কুদ্দুস বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। ৫ অক্টোবর বদরুল আদালতে ১৬৪ ধারায় হত্যাচেষ্টার সকল অভিযোগ স্বীকার করে নিজে জবানবন্দি দিয়েছে। ঐদিন বদরুল পুলিশের নিকট ১ ঘন্টা ২০ মিনিট সময় ধরে পুরো ঘটনা বর্ণনা করেন এবং হত্যাচেষ্টার দায় স্বীকার করেন। জবানবন্দি শেষে তাকে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ৮ নভেম্বর পুলিশ প্রাথমিক তদন্ত শেষে মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেন।[২৯] ২৯ নভেম্বর থেকে মামলার বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ সালে মামলার চূড়ান্ত শুনানি হয়, সেখানে খাদিজার পক্ষে ৩৩ জন সাক্ষ্য প্রদান করেন। তবে আসামি পক্ষের কোন সাক্ষী ছিলোনা। আসামি পক্ষের আইনজীবী বলেন, হামলার সময় বদরুল নেশাগ্রস্ত ছিল, এ অবস্থায় 'মানবিক কারণে' তিনি খাদিজাকে হত্যাচেষ্টা করেন।[৩০] মামলার সকল শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ৫ মার্চ সিলেটের মহানগর হাইকোর্টের বিচারক মামলার রায় ঘোষণা করেন।[৩১]
আলাদতে সাক্ষ্য দেওয়ার সময় খাদিজা এই হামলার বিচার চেয়ে বলে,
“ | বদরুল আমাকে কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত করেছে। আমাকে প্রতিবন্ধী করে দিয়েছে। আমি তার সর্বোচ্চ শাস্তি চাই। | ” |
— খাদিজা বেগম নার্গিস, https://dailyinqilab.com/article/66652 |
সিলেটে আদালতে খাদিজা আক্তার নার্গিসের সাক্ষ্য গ্রহণের সময় বদরুল চিৎকার করে বলে,
“ | আমার শাস্তি হোক, তুমি সুখে থেকো। | ” |
— বদরুল আলম, https://ntvbd.com/bangladesh/114693/ |
প্রতিবাদ ও প্রতিক্রিয়া
[সম্পাদনা]সমাজবিজ্ঞানী ও অপরাধ বিজ্ঞানীরা এই হামলাকে স্পষ্ট জঙ্গিদের প্রভাব বলে ব্যাখ্যা করেছেন।[৭] তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল খাদিজা বেগম নার্গিসকে এই হত্যাচেষ্টায় জড়িতদের বিচারের আশ্বাস প্রদান করে।[৩২]
হত্যাচেষ্টার পরের দিন ৪ অক্টোবর সিলেট সরকারি মহিলা কলেজ, এমসি কলেজের শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধসহ নানা কর্মসূচি পালন করে। দিনশেষে তারা তিন দফা দাবিতে তিন দিন ব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করে। তারা হত্যাচেষ্টা ছাত্রলীগ নেতার ফাঁসির দাবী জানায়।[৩৩]
৮ মার্চ ২০১৭ সালে বাংলাদেশ মানবাধিকার সাংবাদিক কমিশন একটা প্রতিবাদ সমাবেশ আয়োজন করে। সেখানে বদরুলের ছবি মুড়িয়ে ডাস্টবিন বানানো হয় এবং সেই ডাস্টবিনে গণভাবে থুতু ফেলিয়ে প্রতিবাদ জানানো হয়।[৩৪]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "খাদিজার উপর হামলাকারী বদরুলের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড"। বিবিসি বাংলা। ২০২৪-০৮-২৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-২৬।
- ↑ "কে এই ছাত্রলীগ নেতা বদরুল?"। amarsangbad.com (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৬-১০-০৬। ২০২৪-০৮-২৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-২৬।
- ↑ "'চাপাতি বদরুল' এর শাস্তির দাবিতে উত্তাল সিলেট"। Bangla Tribune। ৪ অক্টোবর ২০১৬। ২০২৪-০৮-২৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-২৬।
- ↑ "'খাদিজার ঘটনা মানুষের মনকে গভীরভাবে নাড়া দিয়েছে'"। বিবিসি বাংলা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-২৬।
- ↑ প্রতিবেদক, নিজস্ব (২০১৬-১০-০৫)। "জীবন-সংকটে খাদিজা"। Prothomalo। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-২৬।
- ↑ "নারী নির্যাতনের কারণ তাদের দুর্বল হিসাবে দেখা"। বিবিসি বাংলা। ২০১৭-১০-২৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-২৬।
- ↑ ক খ "ছাত্রলীগ নেতার 'জঙ্গি' নৃশংসতা"। Bangla Tribune। ৪ অক্টোবর ২০১৬। ২০২৪-০৮-২৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-২৬।
- ↑ "খাদিজার ওপর হামলাকারীর বিচার দাবিতে ভোলায় মানববন্ধন"। এনটিভি বাংলাদেশ। ১১ অক্টোবর ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২৭ আগস্ট ২০২৪।
- ↑ "খাদিজার ওপর হামলার প্রতিবাদে পাবনায় মানববন্ধন"। এনটিভি বাংলাদেশ। ৯ অক্টোবর ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২৭ আগস্ট ২০২৪।
- ↑ "বদরুলের শাস্তির দাবিতে ময়মনসিংহে বিক্ষোভ"। এনটিভি বাংলাদেশ। ৬ অক্টোবর ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২৭ আগস্ট ২০২৪।
- ↑ "ছাত্রলীগ নেতার ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ অব্যাহত"। এনটিভি বাংলাদেশ। ৫ অক্টোবর ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২৭ আগস্ট ২০২৪।
- ↑ "আট বছর ধরে খাদিজাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন বদরুল"। NTV Bangladesh। ৫ অক্টোবর ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২৭ আগস্ট ২০২৪।
- ↑ "বদরুল ছাত্রলীগকে প্রতারিত করেছে: শাবি ছাত্রলীগ"। এনটিভি বাংলাদেশ। ৫ অক্টোবর ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২৬ আগস্ট ২০২৪।
- ↑ ক খ প্রতিবেদক, নিজস্ব (২০১৬-১০-০৫)। "সকাল থেকেই খাদিজাকে নজরে রেখেছিলেন বদরুল"। Prothomalo। ২০২৪-০৮-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-২৬।
- ↑ "খাদিজাকে কোপানোর দৃশ্য ভিডিও করলেও বাঁচাতে এগিয়ে আসেনি কেউ"। বিবিসি বাংলা। ২০২৪-০৮-২৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-২৬।
- ↑ "মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে সিলেটের সেই ছাত্রী"। বিবিসি বাংলা। ২০২৪-০৮-২৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-২৬।
- ↑ "ছাত্রলীগ নেতার চাপাতির কোপে আহত নার্গিস লাইফ সাপোর্টে"। Bangla Tribune। ৪ অক্টোবর ২০১৬। ২০২৪-০৮-২৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-২৬।
- ↑ "খাদিজার বাঁচার সম্ভাবনা ৫ শতাংশ"। এনটিভি বাংলাদেশ। ৪ অক্টোবর ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২৬ আগস্ট ২০২৪।
- ↑ "খাদিজার শরীরের বামদিক এখনো পুরো অবশ"। বিবিসি বাংলা। ২০২২-০৬-২৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-২৬।
- ↑ "বাবাকে 'আব্বু' ডাকল খাদিজা, মাকে ডাকল 'আন্টি'"। বিবিসি বাংলা। ২০২৪-০৮-২৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-২৬।
- ↑ "তৃতীয় দফা অপারেশন, স্মৃতি 'ফিরেছে' খাদিজার"। Dhakatimes News। ৮ নভেম্বর ২০১৬। ২০২৪-০৮-২৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-২৬।
- ↑ "খাদিজা বেগমের অবস্থার সামান্য উন্নতি হয়েছে, বলছেন চিকিৎসক"। বিবিসি বাংলা। ২০২৪-০৮-২৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-২৬।
- ↑ "সাভারের সিআরপিতে খাদিজা"। এনটিভি বাংলাদেশ। ২৮ নভেম্বর ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২৭ আগস্ট ২০২৪।
- ↑ "জাতীয় স্মৃতিসৌধ ঘুরে দেখলেন খাদিজা"। The Daily Sangram। ২৪ জানুয়ারি ২০১৭। ২০২৪-০৮-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-২৬।
- ↑ "ভাইয়ের সঙ্গে স্মৃতিসৌধে খাদিজা"। জাগো নিউজ। ২৪ জানুয়ারি ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ২৭ আগস্ট ২০২৪।
- ↑ "সেই খাদিজা এখন হাঁটাচলা করেন, বললেন 'ভাল আছি'"। বিবিসি বাংলা। ২০২৪-০৮-২৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-২৬।
- ↑ "খাদিজা সুস্থ হয়ে ফেরায় স্বজনের মুখে হাসি | জাতীয়"। Risingbd Online (ইংরেজি ভাষায়)। ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-২৬।
- ↑ প্রতিবেদক, নিজস্ব (২০১৭-০২-২৫)। "খাদিজা ফিরেছেন, ফিরেছে পরিবারে হাসি"। Prothomalo। ২০২৪-০৮-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-২৬।
- ↑ "বাংলাদেশের সিলেটে আলোচিত খাদিজা হত্যা চেষ্টা মামলার অভিযোগপত্র দায়ের"। বিবিসি বাংলা। ২০২৪-০৮-২৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-২৬।
- ↑ "বদরুলকে চিহ্নিত করে হামলার বর্ণনা দিলেন খাদিজা"। সমকাল। ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ২৭ আগস্ট ২০২৪।
- ↑ প্রতিবেদক, নিজস্ব (২০১৭-০৩-০৮)। "খাদিজা হত্যাচেষ্টা মামলার রায় পড়া শুরু"। Prothomalo। ২০২৪-০৮-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-২৬।
- ↑ "নার্গিসকে হত্যাচেষ্টাকারীর বিচার হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী"। Bangla Tribune। ৪ অক্টোবর ২০১৬। ২০২৪-০৮-২৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-২৬।
- ↑ "ছাত্রলীগ নেতার ফাঁসির দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ"। এনটিভি বাংলাদেশ। ৪ অক্টোবর ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২৬ আগস্ট ২০২৪।
- ↑ প্রতিবেদক, নিজস্ব (২০১৬-১০-১১)। "হামলাকারী বদরুলের ঘৃণাস্তম্ভে থুতু"। Prothomalo। ২০২৪-০৮-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-২৬।