জাতীয় মানবাধিকার কমিশন বাংলাদেশ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
জাতীয় মানবাধিকার কমিশন (এনএইচআরসিবি)
নীতিবাক্যসবার মানবধিকার রক্ষা, সাম্য
মানবাধিকার সবার জন্য, সর্বত্র, সমানভাবে
সংস্থা পরিদর্শন
প্রতিষ্ঠাকাল৯ ডিসেম্বর ২০০৭
কর্মচারী৪৯
অঞ্চল কাঠামো
জাতীয় সংস্থাগণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ
পরিচালনার অঞ্চল গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ
পরিচালনামূলক কাঠামো
প্রধান কার্যালয়ঢাকা, বাংলাদেশ
সংস্থার কার্যনির্বাহকগণ
ওয়েবসাইট
দাপ্তরিক ওয়েবসাইট

জাতীয় মানবাধিকার কমিশন (এনএইচআরসি) বাংলাদেশের একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রজাতন্ত্রের সংস্থা যা ২০০৭ সালের ডিসেম্বর মাসে অস্তিত্ব লাভ করে। এটি বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করেছিল। সংগঠনটি জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশের বিধানের অধীনে গঠিত হয়েছিল। মূল অধ্যাদেশ বিলোপ হওয়ার পরে এটি জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন, ২০০৯ দ্বারা পুনরায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।[১] এরপরে ২০০৯ সালে এটি মানবাধিকার প্রচার ও সুরক্ষার জন্য জাতীয় অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান হিসাবে পুনর্গঠিত হয়েছিল। এটি গণ-প্রজাতন্ত্রের সংবিধান এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সম্মেলন ও চুক্তিগুলোতে সংবিধান অনুসারে প্রতিটি মানুষের মর্যাদাবোধ, মূল্য এবং স্বাধীনতা সহ বিস্তৃত অর্থে মানবাধিকার অর্জনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যাতে বাংলাদেশ স্বাক্ষরকারী। এটি ২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে।

উদ্দেশ্যে[সম্পাদনা]

এ জাতীয় চমকপ্রদ প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য হল মানব মর্যাদা ও অখণ্ডতার মূর্ত প্রতীক এবং গণতন্ত্রের মৌলিক শৃঙ্খলা রক্ষায় অবদান রাখা যাতে সকল ব্যক্তির অবিচ্ছেদ্য মৌলিক মানবাধিকার সুরক্ষিত হয় এবং মানবাধিকারের মান উন্নত হয় দেশটি।

পদ্ধতি[সম্পাদনা]

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের প্রতি বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি অনুসারে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন, ২০০৯ প্রতিষ্ঠিত, কমিশন মানবাধিকার আদায় সমৃদ্ধ করার একটি ব্যবস্থা হিসাবে কাজ করে। বিভিন্ন দেশের মানবাধিকার ইস্যুতে জনসাধারণের জ্ঞানার্জনের মাধ্যমে মানবাধিকারের সংস্কৃতি তৈরী করাই এর যাত্রার লক্ষ্য, যাতে দেশের মানুষ মানবতার প্রগতিশীল আকাঙ্ক্ষাগুলোর সাথে তাল মিলিয়ে বৃহত্তর শান্তি ও সুরক্ষায় অবদান রাখতে পারে।

গঠনপ্রণালী[সম্পাদনা]

জাতীয় সংসদের স্পিকারের নেতৃত্বে সাত সদস্য সমন্বয়ে একটি বাছাই কমিটি গঠিত হয়। এর সুপারিশের ভিত্তিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মানবধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্য নিয়োগ করেন।[১]

কমিশনের চেয়ারম্যান ও সার্বক্ষণিক সদস্য ৩ বছরের জন্য নিয়োগপ্রাপ্ত হন। চেয়ার‌ম্যান সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতির পদমর্যাদা এবং সার্বক্ষণিক সদস্য হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতির পদমর্যাদা পান।

কমিশন[সম্পাদনা]

কার্যক্রম[সম্পাদনা]

  • এটি ভারতের জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কাছে ফেলানী হত্যা সম্পর্কে ভারতের সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে।[২]
  • এটি বাংলাদেশের মানবাধিকার সম্পর্কে ধারণা সম্পর্কে জরিপ চালিয়েছে।[৩]
  • এটি বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং বিচার বহির্ভূত হত্যার বিরুদ্ধে প্রচার চালায়।[৪]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "About"www.nhrc.org.bd। ৪ জানুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০১৬ 
  2. ET Bureau। "NHRC directs MHA to pay Rs 5 lakh to Felani Khatun's father"timesofindia-economictimes। Bennett, Coleman & Co. Ltd। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০১৬ 
  3. Ahmed, Kawser। "Decoding HR perceptions in Bangladesh"thedailystar.net। The Daily Star। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০১৬ 
  4. "BANGLADESH: Calls for end to torture, extrajudicial killings"IRINnews (ইংরেজি ভাষায়)। IRIN। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০১৬