বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গেস্টরুম কালচার
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গেস্টরুম কালচার | |
---|---|
গেস্টরুম কালচার ও ছাত্রলীগের সহিংসতা-এর অংশ | |
স্থান | |
লক্ষ্য |
|
হামলার ধরন |
|
আহত | ১৫০০+ শিক্ষার্থী |
কারণ |
|
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গেস্টরুম কালচার হলো ছাত্রলীগের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে সিনিয়র কর্তৃক জুনিয়রদের ক্যাম্পাস ও হলে চলাচলের আদব-কায়দা শেখানোর ব্যবস্থা ও সংস্কৃতি।[১][২] তবে এই সংস্কৃতির সময় অনেক সময় শিক্ষার্থী উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচারের শিকার হয়েছে, এইজন্য সাধারণ শিক্ষার্থী ছাত্রলীগের গেস্টরুম কালচারকে ভয় পায়।[৩][৪] সাধারণ শিক্ষার্থী ও দেশীয় পত্রিকাসমূহ এই সংস্কৃতিকে ছাত্রলীগের টর্চার সেল বলে আখ্যায়িত করেছে।[৫][৬] ছাত্রলীগের গেস্টরুম কালচারের মূলকেন্দ্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা আবাসিক হল। ছাত্রলীগ বিশ্ববিদ্যালয় হল নিজেদের দখলে রাখা এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের দলীয় কর্মী বানানোর উদ্দেশ্যে এই গেস্টরুম কালচার তৈরি করেছে।[৭][৮] তবে ছাত্রলীগের ছাত্রনেতারা বলেছে, আমরা গেস্টরুমে সবার সাথে সাধারণ মতবিনিময় করি, এখানে কাউকে জোর করে আনা হয়না।[৮]
গেস্টরুমের প্রকৃতি
[সম্পাদনা]বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটা হল গেস্টরুম নির্যাতন সংস্কৃতির কেন্দ্র বানিয়েছে।[৫] এছাড়াও বাংলাদেশের প্রায় সবগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে ছাত্রলীগের গেস্টরুমের নামে টর্চার সেল রয়েছে।[৯] যদি গেস্টরুম না থাকে, তাহলে ছাত্রলীগের ব্যক্তিগত কক্ষ টর্চার সেল হিসাবে ব্যবহার করে। বিশ্ববিদ্যালয় ভেদে গেস্টরুম বা টর্চার সেল মোটামুটি দুই বা তিন ধরণের দেখা যায়। সেটি বড় গেস্টরুম এবং ছোট গেস্টরুম।[১০] বেশি শিক্ষার্থীদের জন্য বড় গেস্টরুম ব্যবহার করা হয়, এটি সপ্তাহে এক-দুইদিন হতে পারে। আর অল্প শিক্ষার্থীদের জন্য মিনি গেস্টরুম ব্যবহার করা হয়, এটি সপ্তাহে তিন-চারদিন হতে পারে। এটি সাধারণত রাত ১০টা থেকে রাত ১২টা বা অধিক সময় পর্যন্ত চলতে পারে।[৮] প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের গেস্টরুমে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়, পর্যায়ক্রমে সিনিয়ররা বসার অনুমতি পান। শিক্ষার্থীদের কথা মোতাবেক গেস্টরুম কালচারের দুইটা পর্ব থাকে। প্রথম পর্বে এক ব্যাচ বা দুই ব্যাচ সিনিয়ররা জুনিয়রদের নানান আদব-কায়দা, ম্যানার, চলাফেরার নিয়মনীতি প্রভৃতি ধমের শুরে শেখান। দ্বিতীয় পর্বে সবচেয়ে সিনিয়রা সকল জুনিয়রদের উদ্দেশ্যে কিছু কথা বলেন।[১১]
নির্যাতনের ব্যপকতা
[সম্পাদনা]তদন্ত মোতাবেক ২০০৯ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে ছাত্রলীগের শারীরিক নির্যাতনে কমপক্ষে ১৫০০ জন গুরুতর আহত হয়েছে। স্টুডেন্টস অ্যাগেইনস্ট টর্চার নামক এক মানবাধিকার সংগঠনের প্রতিবেদনে শুধুমাত্র ২০২২ সালেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০টি ঘটনায় ২৭ জন সাধারণ শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছে।[১২][১৩] দৈনিক শিক্ষা পত্রিকার অনুসন্ধান মতে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৩-২০১৯ সাল পর্যন্ত ১৩টি আবাসিক হলে ৫৮টি নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে এবং নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৫০+ শিক্ষার্থী।[১৪] রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২১-২০২২ সালের মধ্যে ছাত্রলীগের আক্রমণের শিকার হয়েছে শতাধিক শিক্ষার্থী। এই সময়ের মধ্যে অন্তত ২৩ জন শিক্ষার্থীকে নির্যাতন করে হল থেকে বের করে দিয়েছে। এসবের মধ্যে অন্তত ৪২টি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক ১৩টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তবে প্রশাসন কাউকেই শাস্তি দিতে পারেনি।[১৫]
বুয়েটের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা ২০১৭ সালের ৩১ মার্চ ছাত্র নির্যাতনের অভিযোগ জানাতে একটা ওয়েবসাইট খোলে। ২.৫ বছর মধ্যে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে ১৬৬টি অভিযোগ পড়েছিলো।[১৬] ভিপি নুরুল হক নূর বলেন, ২০১৩-২০১৯ পর্যন্ত গেস্টরুমে ২৮২ জন শিক্ষার্থী নিপীড়নের শিকার হয়েছেন।[১৭] বাংলাদেশ ছাত্রলীগের এই র্যাগিং ও গেস্টরুম নির্যাতনের ফলে ২০১৪ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বুয়েটের অন্তত ৩০ জন শিক্ষার্থী বুয়েট ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।[১৬]
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গেস্টরুম কালচার
[সম্পাদনা]ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিট সবচেয়ে বেশি সক্রিয়, এই ইউনিটের ছাত্রলীগই কেন্দ্রীয়ভাবে দায়িত্ব পালন করে। এইজন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সবচেয়ে বেশি পরিমাণ গেস্টরুম অত্যাচারের খবর পাওয়া যায়।[১৮][১৯] ২৩ জানুয়ারি ২০২০ সালে ঢাবির শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের গেস্টরুমে ৪ জন শিক্ষার্থীকে ছাত্রশিবিরের সাথে সম্পৃক্ততার অভিযোগে আবাসিক শিক্ষকের সামনেই রাতভর মারধর করা হয়।[২০] পরে গুরুতর আহত অবস্থায় পুলিশ তাদের হাসপাতালে ভর্তি করেন।[২১] ২০২১ সালের শেষ তিন মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কমপক্ষে ৩০ জন শিক্ষার্থী শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে।[১৮] ২৪ এপ্রিল ২০২৪ সালে ঢাবিতে গেস্টরুম নির্যাতনে এক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে অচেতন হয়ে যায়।[২২][২৩]
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮টি হলে ছাত্রলীগের নিয়ন্ত্রণে অন্তত ১৬০টি গণরুম আছে। এরমধ্যে ১৩টি হলের ৮০ শতাংশ কক্ষও ছাত্রলীগ নিয়ন্ত্রণ করে। এরমধ্যে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ হলের ২৯৬টির প্রায় সবগুলো কক্ষ, স্যার এ এফ রহমান হলের ১০৪টি কক্ষের ১০০টি কক্ষ, মাস্টারদা সূর্য সেন হলের ৩৮৮টি কক্ষের ৭০ শতাংশ কক্ষ, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের ৩৮৮ কক্ষের প্রায় সবগুলো কক্ষ ছাত্রলীগ নিয়ন্ত্রণ করে। এমনকি গেস্টরুম নির্যাতন চালানোর জন্য অনেক হলেই "মন্ত্রীপাড়া" নামে রাজনৈতিক ব্লক আছে।[২৪]
১৯৯০ দশকের পর থেকেই গেস্টরুমে শিক্ষার্থীদের হেনস্তার অভিযোগ পাওয়া যায়।[২৫] ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মিজানুর রহমান নামে এক শিক্ষার্থী বলেন,
“ | শীতের রাতে খালি গায়ে পুরো ক্যাম্পাস ঘুরতে হবে। পুরো রাত হলের বাইরে থাকতে হবে, তবে অন্য কোনো হলে যাওয়া যাবে না। হাতিরঝিলে গিয়ে রাতে ছয় ঘণ্টা বসে থাকতে হবে। এসবের আবার সেলফি তুলে এনে বড় ভাইদের প্রমাণ দিতে হবে। এছাড়াও হকিস্টিক, লাঠি ইত্যাদি দিয়ে পেটানো হয়। কানধরে ওঠবস করানো হয়। শিবির ট্যাগের ভয় দেখানো হয়.... এগুলো সইতে না পেরে অনেক ছাত্র হল ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়। | ” |
— মিজানুর রহমান, শিক্ষার্থী (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়), https://www.dw.com/bn/a-52140839 |
ঢাবিতে গেস্টরুম অত্যাচার এতো বেরে গিয়েছিলো যে, ২০২৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক সিনেট অধিবেশনে ঢাবি সাদা দলের একজন শিক্ষক অধ্যাপক লুৎফর রহমান তার বক্তব্যে আবাসিক হলসমূহে গেস্টরুম কালচার ও নির্যাতনের কথা উল্লেখ করেন।[২৬] তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মোহাম্মাদ আখতারুজ্জামান গেস্টরুম নির্যাতন শব্দযুগল প্রত্যাহার করে দেন।[২৭] ফলে প্রতিবাদ হিসাবে দুইজন শিক্ষক তৎক্ষণাৎ সিনেট অধিবেশন বর্জন করেন।[২৮][২৯] এই উপাচার্যের এই আচরণে অনেক দল সংগঠন প্রতিবাদ করেছে।[৩০]
অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়
[সম্পাদনা]বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঢাবি, রাবি, চবি, জাবি, ইবি প্রভৃতি বিশ্ববিদ্যালয়ে গেস্টরুম সংস্কৃতি গড়ে তুলেছিলো।[৩১] ১৯ জুন ২০২৩ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সালাম-বরকত হলের পলিটিক্যাল ব্লকে এক শিক্ষার্থীকে নির্যাতন করা হয়।[৩২] একই বছরের ২১ আগস্ট জাবিতে গেস্টরুম নির্যাতনের ভিডিও করেছে, এমন সন্দেহে এক সাংবাদিককে পেটানো হয়।[৩৩] ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের লালন শাহ হলের গেস্টরুমে এক ছাত্রকে উলঙ্গ করে নির্যাতন করা হয়,[৩৪] এই ঘটনার প্রতিবাদে মানবাধিকার কমিশন প্রতিবাদ জানিয়েছে।[৩৫] ১১ জুন ২০২৪ যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এক ছাত্রকে রাতভর নির্যাতন করে এবং গুলি করার হুমকি দেন।[৩৬] ছাত্রলীগের এই নির্যাতনের কারণে অনেকে বিশ্ববিদ্যালয় হল ছেড়ে দিয়েছেন।[৩৭][৩৮] এবং ছাত্রলীগের সদস্যগণ সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন।
উল্লেখযোগ্য ঘটনা
[সম্পাদনা]স্টুডেন্টস অ্যাগেইনস্ট টর্চার নামক এক মানবাধিকার সংগঠনের তথ্য মোতাবেক, শুধুমাত্র ২০২২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০টি ঘটনায় ২৭ জন সাধারণ শিক্ষার্থী ছাত্রলীগের শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে, এমনকি এই প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য স্টুডেন্টস অ্যাগেইনস্ট টর্চারের নেতৃত্বদানকারীরাও ছাত্রলীগের নির্যাতনের শিকার হন।[১৩][৩৯] এসব ঘটনার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু হলো:
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কর্তৃক ২০১৯ সালে বুয়েটের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।[৪০] এটি মূলত ছাত্রলীগের গেস্টরুম সংস্কৃতির একটা অংশ ছিলো,[৪১] তাকে ইসলামি ছাত্রশিবির সন্দেহে ছাত্রলীগের নির্বাচিত একটি কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। তাকে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা তাকে পিটিয়ে হত্যা করে, তার হাঁটু, পা, পায়ের তালু ও বাহুতে স্টাম্প দিয়ে মারা হয়। সন্ত্রাসীরা অনিয়ন্ত্রিতভাবে পাগলের মত স্টাম্প দিয়ে তাকে আঘাত করে মারতে থাকেন।[৪২]
২০২৩ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কর্তৃক কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুলপরী খাতুন নামক এক ছাত্রীর উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়।[৪৩][৪৪] এটিও ছাত্রলীগের গেস্টরুম সংস্কৃতির একটি উদাহরণ। ফুলপরীকে রাত ১১ টায় ডেকে নিয়ে রাত ৩.৩০ মিনিট পর্যন্ত নির্যাতন করা হয়।[৪৫] তাকে কিল, ঘুষি ও থাপ্পর ও অশ্লীল গালিগালাজ করা হয়।[৪৬] জোর করে ডাইনিংয়ের ময়লা গ্লাস চাটানো হয়, যৌন হয়রানি করা হয় এবং বিবস্ত্র করে মুঠোফোনে ভিডিও ধারণ করা হয়।[৪৭][৪৮]
ইডেন মহিলা কলেজের কেলেঙ্কারি ২০২২ এর ছাত্রলীগের একটি অপকর্ম ও ধারাবাহিক ঘটনা। ইডেন কলেজের ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দের মেয়েদের রুমে ডেকে জোরপূর্বক পতিতাবৃত্তি ও নির্যাতন করতো।[৪৯] ভিন্নমত পোষণকারী ছাত্রীরা যারা রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যোগ দেয় না এবং ছাত্রাবাসের বাসিন্দারা যারা মাসিক 'প্রটেকশন মানি' দিতে ব্যর্থ হয় তাদের উপর নির্ধারিত রুমে নিয়ে নির্যাতন করা হতো।[৫০][৫১]
২০১৪ সালের ৩১ মার্চ রাতে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের আশরাফুল হক হলের ২০৫ নং কক্ষে সাদ ইবনে মমতাজকে ছাত্রলীগের কর্মীরা বেধড়ক পিটিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে।[৫২] তাকে কয়েক ঘন্টা সময় ধরে কার্পেট দিয়ে মুড়িয়ে লোহার রড, লাঠি, হকিস্টিক ইত্যাদি দিয়ে পেটানো হয়।[৫৩] পরে তিনি ময়মনসিংহ শহরের একটি ক্লিনিকে মারা যান। সাদ নিজেও ছাত্রলীগের একজন কর্মী ছিলেন। হত্যার ৭ম দিনে সাধারণ শিক্ষার্থীরা হত্যাকারীদের বিচার চেয়ে সমাবেশ এবং পরে বিক্ষোভ মিছিল করে।[৫৪][৫৫] তদন্ত কমিটি অনুযায়ী ৬ ছাত্রলীগ নেতাকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়।[৫৬]
হাফিজুর মোল্লা মৃত্যু
[সম্পাদনা]হাফিজুর দরিদ্র পরিবারের সন্তান, সে সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের ছাত্রলীগ মাধ্যমে দোতলার দক্ষিণ পাশের বারান্দায় থাকতো।[৫৭] তবে শীতের মধ্যে বারান্দায় থাকা এবং রাতের বেলায় ছাত্রলীগের গেস্টরুম কর্মসূচিতে যাওয়ার কারণে ঠাণ্ডা রোগে আক্রান্ত হয়ে যায়।[৫৮] নিউমোনিয়া ও টাইফয়েড রোগে আক্রান্ত হয়ে বাসায় চলে যায়,[৫৯] এবং এই রোগেই ২০১৬ সালের ২ ফেব্রুয়ারিতে মারা যায়।[৬০] তার মৃত্যুতে অন্তত ১০টি ছাত্রজোট একত্রে হত্যা বিচার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে।[৬১]
সাল অনুসারে নির্যাতন
[সম্পাদনা]ছাত্রলীগ দেশের বিশ্ববিদ্যালয় হল দখল ও ক্যাম্পাসে নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখার জন্য নানা সময়ে ছাত্রদের উপর নির্যাতন করেছে।[৬২] এসব অত্যাচারের ঘটনা দেশ ও বিদেশের গণমাধ্যমে প্রচার হয়েছে। এসব ঘটনার মধ্যে সাল অনুসারে কিছু উল্লেখযোগ্য ঘটনা:
১৯৯৬ - ২০০৮
[সম্পাদনা]- বাংলাদেশে রাজনৈতিক দলের সাথে ছাত্রদের উইং প্রতিষ্ঠার পরে আওয়ামীলীগ ১৯৯৬-২০০০ পর্যন্ত সরকার গঠন করে। তখন ছাত্রলীগ বাংলাদেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় হল দখলে রেখেছিলো।[১৪]
২০০৯ - ২০১৪
[সম্পাদনা]- ২০১৩ সালের ১৯ নভেম্বর, ছাত্রলীগের হল কমিটিতে পদ বন্টন করা হলে, দুই শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম ও মোস্তাফিজুর রহমান পদ নিতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেন। এবং তারা ছাত্রলীগের প্রোগ্রামে নিয়মিত অংশগ্রহণ না করায় তাদেরকে 'শিবির কর্মী সন্দেহে' ভয়াবহ নির্যাতন করা হয়। তারা দু'জনই পঙ্গুত্ব বরণ করেন।[৬৩]
- ২০১৪ সালের ৩১ মার্চ, রাতে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের আশরাফুল হক হলে, সাদ ইবনে মমতাজকে ছাত্রলীগের কর্মীরা বেধড়ক পিটিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে। পরে তিনি ময়মনসিংহ শহরের একটি ক্লিনিকে মারা যান।[৫৩]
- ২০১৩ সালের মাঝামাঝি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল মাবুদকে "সোনার বাংলা" নামক ফেসবুকে পেজে লাইক দেওয়া নিয়ে পেটানো হয়। সে আলিয়া মাদ্রাসায় পড়েছে, এই জন্য শিবির সন্দেহে তাকে সারা রাতভরে পেটানো হয়।[৬৪]
২০১৫ - ২০১৭
[সম্পাদনা]- ২০১৫ সালে বুয়েট ছাত্রলীগ সভাপতি শুভ্র জ্যোতি টিকাদার এক ছাত্রকে নির্মমভাবে মারধর করে। সভাপতি তার মুখে লাথি মেরে রক্তাক্ত করে দেয়, আরেক ছাত্রলীগ নেতা ক্ষতস্থানে লবণ ছিটিয়ে দেয়।[১৬]
- মার্চ ২০১৫, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সূর্যসেন হলের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থীদের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থীদের গেস্টরুম করানোর কথা ছিলো। তবে সামান্য কারণে ২য় বর্ষ কর্তৃক ১ম বর্ষের এক শিক্ষার্থী মারধরের শিকার হলে, ১ম বর্ষের শিক্ষার্থীরা গেস্টরুম করতে অস্বীকৃতি জানায়। এই ঘটনায় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ১ম বর্ষের শিক্ষার্থীদের উপর প্রচণ্ড মারধর করে।[৬৩]
- ২০১৫ সালের ২ আগস্ট, ঢাবি বিজয় একাত্তর হলে আন্তর্জাতিক ব্যবসায় বিভাগের শিক্ষার্থী হোসাইন মিয়াকে ছাত্রশিবিরের সদস্য আখ্যা দিয়ে নির্মমভাবে মারধর করেন ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা।[৬৫]
- ২০১৬ সালের ৪ নভেম্বর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারদা সূর্য সেন হলের গেস্টরুমে চতুর্থ বর্ষের ১৪-১৫ জন হলের বৈধ সাধারণ শিক্ষার্থীকে ডেকে পাঠানো হয়। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়, তারা ছাত্রলীগের প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করছেনা, এইজন্য তাদেরকে হল থেকে বের হয়ে যেতে হবে। এইভাবে সূর্য সেন হলের ছয়টি কক্ষ থেকে ৩০ ছাত্রকে হল থেকে বের করে দেওয়া হয়।[৬৩]
- ২০১৭ সালে বুয়েটের সোহরাওয়ার্দী হলের তড়িৎ প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী আসাদ রহমানকে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী কঠিন নির্যাতন করা হয়। পরের বছর তিনি বুয়েট ছেড়ে একটি পাবলিক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন।[১৬]
- ২০১৭ সালের ১৩ আগস্ট, ঢাবি মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলে প্রথম বর্ষের ছাত্র মনিরুল ইসলামকে ছাত্রশিবির আখ্যা দিয়ে পিটিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।[৬৫]
২০১৮
[সম্পাদনা]- ২৪ জানুয়ারি, বুয়েটের আরাফাত হোসেনকে ইসলামি ছাত্রশিবির সংশ্লিষ্টতার ট্যাগ দিয়ে ছাত্রলীগের ২০-২৫ জন ছাত্র তাকে জিমনেশিয়ামের নিকটে নিয়ে যায়। তাকে এলোপাথাড়িভাবে মারতে থাকে। ছাত্রলীগ স্ট্যাম্প-হকিস্টিক দিয়ে দফায় দফায় মারার ফলে সে চেতনাহীন হয়ে পরে এবং তার হাত ভেঙ্গে যায়।[৬৬]
- ৬ ফেব্রুয়ারি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের এহসান রফিক একটি কক্ষে আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়। এতে এহসানের একটি চোখের কর্নিয়া গুরুতর জখম হয় এবং তার কপাল ও নাক ফেটে যায়।[৬৫]
- ৯ আগস্ট, বুয়েটের সোহরাওয়ার্দী হলের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দাইয়্যান নাফিজকে ২০১৮ নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের পক্ষে অবস্থান করার জন্য বুয়েট ছাত্রলীগের সভাপতির নেতৃত্বে মারধর করা হয়।[১৬]
- ১২ সেপ্টেম্বর, কুয়েটের জাহিদুর রহমানকে ছাত্রশবির সন্দেহে নির্যাতন করা হয়।[৬৭] ১০-১২ জন মিলে তাকে পাইপ দিয়ে পাগলের মত পেটাতে থাকে। তাকে কিল, লাথি, চড়, ঘুষি মারতে থাকে, এক পর্যায়ে অবস্থা গুরুতর হলে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা এবং তার বিরুদ্ধে মিথা আইসিটি মামলা দায়ের করা হয়।[৬৮][৬৯]
২০১৯
[সম্পাদনা]- ৫ জানুয়ারি, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচিতি পর্বে রাত। রাত ১২টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের সাথে সাধারণ ব্যবহার করা হয়। তবে রাত ১২টার পরে তাদের গেস্টরুমে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রথম বর্ষের ৫০-৬০ জন শিক্ষার্থী ছিলো। ছাত্রলীগের সিনিয়রদের হাতে ক্রিকেট খেলার স্টাম্প, চাপাতি ছিলো। রাতভর প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের মুরগি হয়ে বসা, হাটু ভেঙ্গে বসা এরকম নানা র্যাগিং ও মানসিক নির্যাতন করা হয়।[৭০]
- ২৭ জুন, বুয়েটের আহসানউল্লাহ হলে ছাত্র নির্যাতনের প্রতিবাদ করায় অভিজিৎ কর নামে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে কানে আঘাত করা হয়, এতে সে একটি কানের শ্রবণশক্তি হারিয়ে ফেলে।[১৬]
- ৩ অক্টোবর, বুয়েটের শেরে বাংলা হলের ২০২ নং কক্ষে এহতেশাম নামে এক ছাত্রকে বেধড়ক পিটিয়ে হল থেকে বের করে দেওয়া হয়। এমনকি ছাত্রলীগ তার কক্ষে থাকা কাপড়, কম্পিউটার ও অন্যান্য জিনিস লুটপাট করে।[৭১]
২০২০
[সম্পাদনা]- ২৩ জানুয়ারি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের চার ছাত্রকে ছাত্রশিবির সন্দেহে নির্মমভাবে পিটানো হয়। নির্যাতিত চার শিক্ষার্থী হলো ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি বিভাগের মো. মুকিম চৌধুরী, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সানওয়ার হোসেন, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী মিনহাজ উদ্দীন ও আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী আফসার উদ্দিন। গেস্টরুম কর্মসূচির কথাবলে তাদেরকে রাত ১১ টা থেকে শুরু করে রাত ২টা পর্যন্ত স্টাম্প, রড, হাতুড়ি ও স্যান্ডেল দিয়ে পেটানো হয়।[৭২] পরে তিন শতাধিক শিক্ষার্থীরা এই আক্রমণের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করে।[৭৩]
২০২১
[সম্পাদনা]- ১ অক্টোবর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের গেস্টরুমে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের মারধর ও নির্যাতন করা হয়। বড় ভাইদের সালাম না দেওয়া, হ্যান্ডশেক না করা, প্রোগ্রামে যেতে সামান্য দেরি হওয়া প্রভৃতি কারণে মারধর করে।[৭৪]
- ৩০ অক্টোবর ২০২১, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মাহাদি জে আকিবকে পিটিয়ে গুরুতরভাবে আহত করা হয়। ক্ষুর দিয়ে তার মাথা থেঁতলে দেওয়া হয়, এতে মাথার হাড় ভেঙ্গে যায় এবং মস্তিষ্কে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়।[৭৫] তার মাথার খুলি দীর্ঘ ৪ মাস পেতের অভ্যন্তরে রাখা হয়েছিলো, এবং মাথায় একাধিক অস্ত্রোপচার করাতে হয়।[৭৬]
২০২২
[সম্পাদনা]- ২৭ জানুয়ারি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় ৭১ হলে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের আকতারুল ইসলামকে লাইটের দিকে ১০ মিনিট তাকিয়ে থাকতে বাধ্য করা হয়। ফলে প্রথম বর্ষের এই শিক্ষার্থী অজ্ঞান হয়ে যায়।[৭৭]
- ১৭ ফেব্রুয়ারি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের মোল্লা তৈমুর রহমানকে বিজয় একাত্তর হলের ১০৮ নং কক্ষে ডেকে নিয়ে নির্যাতন করা হয়। তার কানে থাপ্পর মারার কারণে কানের পর্দা ফেটে যায়।[৭৮]
- ২৮ ফেব্রুয়ারি, ময়মনসিংহে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ওয়ালিদ নিহাদকে গলায় ও বুকের ওপর দাঁড়িয়ে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয়। ছাত্রলীগের নেতারা শেখ মুজিবুর রহমান হলের ৩২৪ নম্বর কক্ষে এই নির্যাতন চালায়, পরে নির্যাতিতকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।[৭৯]
- ২৫ জুলাই, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে তথ্য বিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিপন মিয়াকে গেস্টরুমে উপস্থিত না থাকার কারণে মারধর করা হয়। তাকে স্টাম্প দিয়ে পেটে কয়েক বার খোঁচা দেওয়া হয়, বিশ্রি ভাষায় গালিগালাজ করা হয়।[৮০]
- ২৩ আগস্ট, ইডেন কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি তামান্না জেসমিন রিভা মেসের দুই ২ নারী শিক্ষার্থীকে রুমে ডেকে নিয়ে আটকে রেখে মানসিক নির্যাতন করে। এছাড়াও এই শিক্ষার্থীদের অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ ও হত্যার হুমকি দেন।[৮১]
- ৩১ আগস্ট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে গেস্টরুমে থাকাকালীন সময়ে এক শিক্ষার্থী ফোনের স্ক্রিন অন করে, এইজন্য ছাত্রলীগের কর্মীরা তিন শিক্ষার্থীকে মারধর করে। নির্যাতিত তিন শিক্ষার্থীরা হলেন টুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্টের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার সোহাগ ও ফিরোজ এবং ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের নাঈম।[৮২]
- ১ সেপ্টেম্বর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে ৬ শিক্ষার্থীকে নির্যাতন করা হয়। ছাত্রলীগের বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে গেস্টরুমে উপস্থিত না হতে পারার জন্য হলের ১০২৭ নং রুমে নিয়ে গিয়ে রাতভর চড়-থাপ্পর ও লাঠিপেটা করে নির্যাতন করা হয়।[৮৩]
- ২৪ অক্টোবর, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী সামছুল ইসলামের গলায় ছুরি ধরে মানিব্যাগে থাকা ২০ হাজার টাকা কেড়ে নেন এবং রড ও স্টাম্প দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। এই আক্রমণে অংশ নেয় মতিহার হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ভাস্কর সাহা ও তার চার সদস্যের একটি টিম।[৮৪]
- ১৩ ডিসেম্বর, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষার্থী মো. হাবিবুর রহমানকে শিবির সন্দেহে গেস্টরুম ডেকে নিয়ে যায় এবং ফোন তল্লাশি করে। পরে তাকে কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতা পাশবিক নির্যাতন করে। কানের উপর কয়েকটি থাপ্পর দেন এবং রড দিয়ে পেটাতে থাকেন। তার কানের পর্দা ফেটে যায় এবং সে ৭ দিন বিছানায় শুয়ে থাকতে হয়।[৮৫] মো. তৌহিদুল ইসলাম নামে আরেক শিক্ষার্থীকে ছাত্রলীগের ১২/১৩ জন সদস্য মিলে রড দিয়ে হাটুতে পেটানো থাকে। ফলে তৌহিদুল অসুস্থ হয়ে বমি করতে থাকে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।[৮৫]
২০২৩
[সম্পাদনা]- ১০ ফেব্রুয়ারি, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ৪ শিক্ষার্থীকে ছাত্রশিবির সন্দেহে কলেজ ছাত্রাবাসে আটকে রেখে শারীরিক নির্যাতন করা হয়। তাদের হাত ও পায়ের বেশিরভাগ স্থানে নির্মমভাবে আঘাত করা হয়। দুইজনের অবস্থা আশংকাজনক হলে তাদের আইসিইউ রেখে চিকিৎসা করা হয়।[৮৬]
- ১৪ ফেব্রুয়ারি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী কৃষ্ণ রায়কে শিবির সন্দেহে পেটানো হয়। এই আক্রমণে অংশ নেয় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহরাওয়ার্দী হল ছাত্রলীগের কিছু নেতা ও কর্মী।[৮৭]
- ২১ মার্চ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলের ৩১৭ নং গেস্টরুমে ছাত্রলীগের নেতা মোস্তাফিজুর রহমান গেস্টরুম চলাকালীন এক জুনিয়র ছাত্রকে চড় মেরে কান ফাটিয়ে দেয়।[৮৮]
- ৫ এপ্রিল, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ শিক্ষার্থীকে নির্যাতন করে আহত করা হয়। ছাত্রলীগ কর্মীরা তাদের স্ট্যাম্প, রড, হকিস্টিক, হাতুড়ি, জিআই পাইপ দিয়ে মারধর করে। এবং পুলিশের হাতে সোর্পদ করে, পুলিশ পরে তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করে।[৮৯]
- ৩ জুন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী জাহিদ হাসানকে শিবির ট্যাগ দিয়ে মারধর করে ছাত্রলীগের কর্মীরা। শিবিরের সদস্যের স্বীকারোক্তি আদায়ের জন্য এলোপাতাড়ি কিল, লাথি-ঘুষি মেরে জখম করা হয়। এমনকি ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে ছাত্রলীগ।[৯০]
- ৪ আগস্ট, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শের-ই-বাংলা ফজলুল হক হলের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী মো. নজরুল ইসলামকে মারধর করা হয়। হলের গেস্টরুমে নিয়ে দরজা বন্ধ করে তাকে এলোপাতাড়ি মারা হয়। মারধরের একপর্যায়ে সে মাটিতে পড়ে যায় এবং কান দিয়ে রক্ত বের হতে থাকে।[৯১]
- ২১ আগস্ট, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্তা সংস্থা ইউএনবিরের প্রতিনিধি সাংবাদিক আসিফ আল মামুনকে গেস্টরুম নির্যাতনের ভিডিও করার সন্দেহে পিটানো হয়, সাংবাদিক পরিচয় দিলে আরেক দফা মারধর করা হয়।[৯২]
- ২৮ সেপ্টেম্বর, ছাত্রলীগের কর্মীসভা বাস্তবায়ন করতে ঢাকা কলেজের সকল সাধারণ শিক্ষার্থীদের গেস্টরুমে ডাকা হয়। ঢাকা কলেজের ডেইলি বাংলাদেশের সাংবাদিক ফয়সাল আহমেদ গেস্টরুমে প্রবেশে দেরি করে। এইজন্য ছাত্রলীগ কর্মীরা রেগে গিয়ে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে, চর-থাপ্পর মারে, লাঠি দিয়ে পিটায়, এতে করে সাংবাদিকের ঠোঁট ফেটে রক্ত বের হয়।[৯৩]
- ১২ অক্টোবর, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ইংরেজি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মুকুলকে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা রাতভর শারীরিক নির্যাতন করে। তাকে শিবির নেতা ট্যাগ দিয়ে এই হামলা করা হয়, এতে মুকুলের বাঁ হাত ভেঙে যায়।[৯৪]
- ২৩ নভেম্বর, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের তাপসী রাবেয়া হলে মধ্যরাতে গেস্টরুমে ডেকে নিয়ে এক শিক্ষার্থীকে নির্যাতন করা হয়। মুরছালিন মুস্তাকি মাফি নামক শিক্ষার্থী ডাইনিংয়ের খাবারের নিম্নমান ও মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে প্রতিবাদ করায় তাকে গেস্টরুমে ডেকে গালিগালাজ ও নির্যাতন করা হয়।[৯৫]
- ০৪ ডিসেম্বর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী আহসান হাবীবকে গেস্টরুমে ম্যানার শিখানোর নামে মানসিক নির্যাতন ও অপমান করা হয়। এতে শিক্ষার্থী অজ্ঞান হয়ে যায়, তাকে ঢাকা মেডিকেল কলে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।[৯৬]
২০২৪
[সম্পাদনা]- ৪ ফেব্রুয়ারি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলের ১৩৭ নং রুম হলো টর্চার সেল। স্থানীয় জিরানি এলাকার এক ডেকোরেটর ব্যবসায়ীকে কক্ষটিতে আটকে নির্যাতন করা হয়। এমনকি তার বউকে মোবাইল করে ডেকে নিয়ে আসে, ছাত্রলীগের একটি দল লোকটির স্ত্রীকে হলসংলগ্ন বনাঞ্চলে দলবদ্ধভাবে গণধর্ষণ করে।[৮৮]
- ৭ ফেব্রুয়ারি, কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের লালন শাহ হলের ১৩৬ নম্বর কক্ষে ছাত্রলীগের কিছু নেতা এক শিক্ষার্থীকে উলঙ্গ করে নির্যাতন করে।[৯৭] এমনকি নাকে খত ও শরীরে রড দিয়ে আঘাত করা হয়।[৯৮]
- ১৮ ফেব্রুয়ারি, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন বায়োসায়েন্স বিভাগের মো. মানজুরুল হাসানকে সভাপতির সামনে লুঙ্গি পরিহিত অবস্থায় চলাচল ও সালাম না দেয়ায় তাকে নির্যাতন করা হয়।[৯৯]
- ১৮ মে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের এক হিন্দু শিক্ষার্থীকে বেধড়ক মারধর করে হল ছাড়া করে। এবং ছাত্রশিবির ট্যাগের কথা বলে হত্যার হুমকি দেয়। তাকে রাত ২টার দিকে হলের ছাদে নিয়ে গিয়ে ছাত্রলীগের ৮-১০ জন মিলে মারধর করে।[১০০]
- ৪ জুন, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহরীন রহমানকে রাতভর নির্যাতন কর হোয় এবং গুলি করার হুমকি দেওয়া হয়। তাকে ছাত্রলীগের একটি কক্ষে ডেকে নিয়ে ১০-১২ জন মিলে এলোপাতাড়ি কিলঘুষি মারতে থাকে। তাকে মোটা রড দিয়ে পেটানো হয়। ভোর ৫টা পর্যন্ত দফায় দফায় তাকে পেটানো হয়।[১০১]
প্রতিবাদ ও প্রতিক্রিয়া
[সম্পাদনা]কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শেখ আব্দুস সালাম গেস্টরুম নির্যাতনের অভিযোগ উঠলে শাস্তির আশ্বাস প্রদান করেন।[১০২] শিক্ষার্থীদের গেস্টরুম নির্যাতন, বুলিং র্যাগিং, হেনস্তা প্রতিহত করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বুলিং ও র্যাগিং প্রতিরোধ সংক্রান্ত নীতিমালা-২০২৩ আইন জারি করেন এবং গ্যাজেট আকারে প্রকাশ করেন।[১০৩]
২২ নভেম্বর ২০২৩ সালে গেস্টরুমে ছাত্র নির্যাতনের বিরোধিতা করে টিএসসিতে তিন ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন এক শিক্ষার্থী।[১০৪] ইউজিসির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীদের নির্যাতন করার এই সংস্কৃতি দ্রুত বন্ধে প্রয়োজনে আইন করা উচিত।[১১] জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র ইউনিয়ন গণরুম-গেস্টরুম সংস্কৃতি বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন।[১০৫] ইবিতে ছাত্র উলঙ্গ করে নির্যাতনের ঘটনায় ইসলামী ছাত্রশিবির নিন্দা জানিয়েছে।[১০৬] ১৫ মার্চ ২০২২ সালে ছাত্র অধিকার পরিষদ গেস্টরুম নির্যাতনবিরোধী আইনের দাবীতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।[১০৭] গেস্টরুম সংস্কৃতি বন্ধের জন্য সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ বিক্ষোভ মিছিল, সংক্ষিপ্ত সমাবেশ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে।[১০৮] ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সহসভাপতি ভিপি নুরুল হক নুরের নেতৃত্বাধীন ১২ ছাত্রসংগঠনের জোট সন্ত্রাসবিরোধী ছাত্র ঐক্য গতকাল ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে।[৬৫] সারা দেশে শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের নিপীড়ন ও নির্যাতনের প্রতিবাদে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ফরিদ উদ্দিন খান আমরণ অনশন কর্মসূচি করেছিলেন।[১০৯]
২০১৮ সাল এবং শিক্ষার্থীদের উপর অব্যাহত নির্যাতনের জন্য বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ Change.org নামক ওয়েবসাইটে বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করার জন্য একটি পিটিশন শুরু করেছিল।[১১০][১১১] ২০১৯ সালে বাংলাদেশের অন্যতম পত্রিকা ঢাকা ট্রিবিউন সংগঠনটিকে "লজ্জার ব্র্যান্ড" হিসাবে আখ্যা দিয়েছে।[১১২] ভিন্নমতাবলম্বী ছাত্রগোষ্ঠীর উপর ধারাবাহিক হামলার পরিপ্রেক্ষিতে, ২৬ মে ২০২২ সালে বাংলাদেশের আটটি বামপন্থী ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে 'সন্ত্রাসী সংগঠন' বলে অভিহিত করে।[১১৩]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ছানাউল্লাহ, মো (২০২২-০২-০১)। "গেস্টরুম ও র্যাগিং কালচার: যার নেই আদবকায়দা, সেই শেখায় অন্যকে"। দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-২৮।
- ↑ "ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে 'গেস্ট রুম কালচার' আসলে কী?"। www.campustimes.press। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১০।
- ↑ "ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: আতঙ্কের নাম গেস্টরুম"। www.shomoyeralo.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১০।
- ↑ "হলে হলে ছাত্রলীগের 'গেস্টরুম আদালত' – DW – 24.01.2020"। dw.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১১।
- ↑ ক খ আলদীন, আনোয়ার (১২ অক্টোবর ২০১৯)। "বিশ্ববিদ্যালয় হলে হলে 'টর্চার সেল' কালচার"। কালের কন্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ১১ অগাস্ট ২০২৪।
- ↑ হৃদয়, আমজাদ হোসেন (২০২২-০৩-১৪)। "গেস্টরুম যেন ছাত্রলীগের 'টর্চার সেল'!"। dhakapost.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১১।
- ↑ "গেস্টরুম: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল প্রশাসনের অধীনে নয়, থাকে 'ভাইদের আন্ডারে'"। বিবিসি বাংলা। ২০২১-১২-১১। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১১।
- ↑ ক খ গ "ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হলের 'গেস্টরুমে' কী হয়?"। Bangla Tribune। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-০৯।
- ↑ "বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিটি গেস্টরুমই যেন ছাত্রলীগের টর্চার সেল"। দৈনিক আমাদের সময়। ১১ অক্টোবর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১৬ আগস্ট ২০২৪।
- ↑ "'৩ ধরনের গেস্টরুমের মাধ্যমে টর্চার সেল বানিয়েছে ছাত্রলীগ'"। banglanews24.com। ২০১৯-১০-১৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১১।
- ↑ ক খ হাওলাদার, আসিফ (২০২২-০২-১২)। "নবীন শিক্ষার্থীদের আতঙ্ক 'গেস্টরুম'"। দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১০।
- ↑ প্রতিবেদক, বিশ্ববিদ্যালয় (২০২৩-০২-২৮)। "ঢাবিতে ১ বছরে ছাত্রলীগের নির্যাতনের শিকার ২৭ শিক্ষার্থী"। dhakapost.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-০৪।
- ↑ ক খ প্রতিবেদক (২০২৩-০২-২৮)। "ঢাবিতে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে এক বছরে ২৭ শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের অভিযোগ"। দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১৩।
- ↑ ক খ "বন্ধ হোক টর্চার সেল"। দৈনিক শিক্ষা। ১৬ অক্টোবর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১৭ আগস্ট ২০২৪।
- ↑ "ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে রাবি ছাত্রলীগ কর্তৃক শিক্ষার্থী নির্যাতন রক্ষা পাচ্ছে না শিক্ষকরাও"। amader-protidin.com (ইংরেজি ভাষায়)। জুলাই ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-১৩।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ "নির্যাতনের কারণে ৫ বছরে বুয়েট ছেড়েছেন ৩০ ছাত্র"। The Daily Sangram। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১৬।
- ↑ "ছাত্রলীগের নিপীড়নের শিকার ২৮২ শিক্ষার্থী: ভিপি নুর"। Bangladesh Journal Online। ৩০ অক্টোবর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১৬।
- ↑ ক খ "ঢাবির 'গেস্টরুম নির্যাতন' সংস্কৃতি"। দৈনিক যুগান্তর (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-০৯।
- ↑ "রাবিতে তিন দশকে ২৯ খুন, বিচার হয়নি একটিরও"। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১০।
- ↑ "বন্ধ করা হবে গেস্টরুম টর্চার ও প্রটোকল"। দৈনিক ইনকিলাব। ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১০ অগাস্ট ২০২৪।
- ↑ দিগন্ত, Daily Nayadiganta-নয়া। "ঢাবির গেস্টরুমে চার শিক্ষার্থীকে রাতভর ছাত্রলীগের নির্যাতন"। Daily Nayadiganta। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১০।
- ↑ প্রতিবেদক (২০২৪-০৪-২৪)। "ছাত্রলীগের 'গেস্টরুমে' অচেতন শিক্ষার্থী, তদন্তে কমিটি"। দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১০।
- ↑ "গেস্টরুমে 'ছাত্রলীগের র্যাগিংয়ে' অচেতন ঢাবি শিক্ষার্থী, তদন্ত কমিটি গঠন"। দৈনিক ইত্তেফাক। ২৪ এপ্রিল ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ১০ অগাস্ট ২০২৪।
- ↑ উদ্দিন, রাহাদ (১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩)। "ঢাবিতে গণরুম-গেস্টরুম আতঙ্ক"। দৈনিক ইনকিলাব। সংগ্রহের তারিখ ১১ অগাস্ট ২০২৪।
- ↑ "'গেস্টরুম' প্রথায় নির্যাতন"। দৈনিক যুগান্তর (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-০৯।
- ↑ bdnews24.com। "'গেস্ট রুম নির্যাতন' নিয়ে বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটে বিতর্ক"। বিডি নিউজ.২৪ (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১০।
- ↑ প্রতিবেদক (২০২৩-০৬-২১)। "'গেস্টরুম নির্যাতনের' কথা বলায় বক্তব্য এক্সপাঞ্জ"। দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১০।
- ↑ "ঢাবি সিনেটে 'গেস্টরুম নির্যাতন' শব্দযুগল এক্সপাঞ্জ, ২ শিক্ষকের ওয়াকআউট"। সমকাল। ২১ জুন ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ১০ অগাস্ট ২০২৪।
- ↑ "ঢাবির সিনেটে 'গেস্টরুম নির্যাতন' এক্সপাঞ্জ, সভা বর্জন বিএনপিপন্থী ২ শিক্ষকের"। Dainikbangla (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১০।
- ↑ রিপোর্ট, স্টার অনলাইন (২০২৩-০৬-২২)। "'গেস্টরুম নির্যাতনের আলোচনা এক্সপাঞ্জ করা দখলদারত্বের প্রতি প্রশাসনিক সমর্থনের প্রমাণ'"। The Daily Star Bangla (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১০।
- ↑ প্রতিবেদক, বিশ্ববিদ্যালয় (২০২২-০৩-১১)। "ছাত্রলীগের গেস্টরুম যেন একটি 'আদালত' : নির্যাতিত শিক্ষার্থী"। dhakapost.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১০।
- ↑ BonikBarta। "জাবির গেস্টরুমে নির্যাতন গড়াল মামলায়, অভিযুক্ত আট ছাত্রলীগ নেতা"। বণিকবার্তা (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১০।
- ↑ "জাবিতে গেস্টরুমের 'ভিডিও করেছে' সন্দেহে সাংবাদিককে পেটাল ছাত্রলীগ"। দৈনিক ইত্তেফাক। ২১ আগস্ট ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ১০ অগাস্ট ২০২৪।
- ↑ দিগন্ত, Daily Nayadiganta-নয়া। "ইবি ছাত্রকে উলঙ্গ করে র্যাগিং, ধামাচাপার চেষ্টা ছাত্রলীগের"। Daily Nayadiganta। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১০।
- ↑ "ইবি ছাত্রকে র্যাগিং, কর্তৃপক্ষের গৃহীত পদক্ষেপ জানতে চায় মানবাধিকার কমিশন"। দৈনিক ইত্তেফাক। ৬ জুন ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ১০ অগাস্ট ২০২৪।
- ↑ অফিস, যশোর (২০২৪-০৬-১১)। "শিক্ষার্থীকে রাতভর নির্যাতনের ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে তদন্ত কমিটি"। দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১০।
- ↑ "গেস্টরুম-গণরুম সংস্কৃতি মানতে না পেরে ঢাবি ছাড়লেন শিক্ষার্থী"। Barta24 (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২২-০৩-১৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১০।
- ↑ "ছাত্রলীগের 'গেস্টরুম' অত্যাচারে হল ছাড়ছেন জাবি শিক্ষার্থীরা"। মানবজমিন। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১০।
- ↑ "বাংলাদেশের ছাত্র রাজনীতি: বাস্তবে শিক্ষার্থীদের কতটা কাজে আসছে ছাত্র রাজনীতি?"। বিবিসি বাংলা। ২০১৯-১০-১১। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১০।
- ↑ "9 held over Buet student Abrar murder"। দ্য ডেইলি স্টার। সংগ্রহের তারিখ ৮ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "আবরারকে পেটানোর সিদ্ধান্ত গেস্টরুমে"। www.kalerkantho.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১১।
- ↑ "9 held over Buet student Abrar murder"। দ্য ডেইলি স্টার। সংগ্রহের তারিখ ৮ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ প্রতিবেদক, নিজস্ব (২০২৩-০২-১৪)। "ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে ছাত্রীকে সাড়ে ৪ ঘণ্টা নির্যাতন, নেতৃত্বে ছাত্রলীগ নেত্রী"। দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-২১।
- ↑ "অবশেষে ক্ষমা চাইলেন ইবির অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেত্রীরা – DW – 23.02.2023"। dw.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-২২।
- ↑ "ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের ৫ নেতা-কর্মীর সিট বাতিল – DW – 27.02.2023"। dw.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-২২।
- ↑ সংবাদদাতা, নিজস্ব; কুষ্টিয়া (২০২৩-০২-১৪)। "ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রী নির্যাতনের অভিযোগ ছাত্রলীগ নেত্রীর বিরুদ্ধে"। The Daily Star Bangla (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-২২।
- ↑ "ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী নির্যাতন: হাইকোর্টে তদন্ত প্রতিবেদন, ৬ শিক্ষার্থী অভিযুক্ত"। ভিওএ। ২০২৩-০২-২৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-২২।
- ↑ প্রতিবেদক, নিজস্ব (২০২৩-০২-১৪)। "'চিনিস আমাদের, আমরা কত খারাপ? আমরা তোর কী করতে পারি জানিস?'"। দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-২১।
- ↑ "Eden College principal believes solutions to students' 'mistakes' is in 'counselling'"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২। ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২।
- ↑ "'If I do not allot seats, which of your fathers will do?'"। Prothom Alo (ইংরেজি ভাষায়)। ২০ আগস্ট ২০২২। ২৪ আগস্ট ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২।
- ↑ "'We were confined, tortured for six hours'"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২২ আগস্ট ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২।
- ↑ bdnews24.com। "সাদ হত্যার তদন্ত কমিটিতে অনাস্থা শিক্ষকদের"। সাদ হত্যার তদন্ত কমিটিতে অনাস্থা শিক্ষকদের (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১৬।
- ↑ ক খ "ঝুলে আছে সাদ হত্যা মামলা: অভিযুক্ত ৬ জন পলাতক"। www.bd24live.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১৬।
- ↑ "সাদ হত্যা : বাকৃবিতে মিছিল-সমাবেশ অব্যাহত | শিক্ষা"। Risingbd Online (ইংরেজি ভাষায়)। ৭ এপ্রিল ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১৬।
- ↑ "সাদ হত্যার বিচার দাবিতে বিক্ষোভ"। www.kalerkantho.com। ২১ এপ্রিল ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১৬।
- ↑ bdnews24.com। "বাকৃবি শিক্ষার্থী সাদ হত্যা: আটক ১"। বাকৃবি শিক্ষার্থী সাদ হত্যা: আটক ১ (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১৬।
- ↑ প্রতিবেদক, নিজস্ব (২০১৬-০২-১০)। "হাফিজুরের মৃত্যুর দায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ছাত্রলীগের"। দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১৬।
- ↑ "হাফিজুর হত্যার বিচার দাবিতে ঢাবিতে সমাবেশ"। Bangla Tribune। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১৬।
- ↑ প্রতিবেদক, নিজস্ব (২০১৬-০২-০৭)। "বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের করুণ মৃত্যু"। দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১৬।
- ↑ "হাফিজুরের মৃত্যুর দায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ছাত্রলীগের"। দৈনিক প্রথম আলো। ২০১৬-০২-১০।
- ↑ "ঢাবি ছাত্র হাফিজুর হত্যার বিচার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল"। banglanews24.com। ২০১৬-০২-১৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১৬।
- ↑ ইসলাম, মনজুরুল (২০২৪-০৫-২১)। "রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগকে থামানোর কি কেউ নেই"। দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১৬।
- ↑ ক খ গ নেওয়াজ, সাব্বির (১৪ নভেম্বর ২০১৬)। "গেস্টরুম কালচারের নামে ছাত্রলীগের আদালত"। সমকাল। সংগ্রহের তারিখ ১৬ আগস্ট ২০২৪।
- ↑ "পেজে লাইক দেওয়ায় ঢাবি ছাত্রের উপর যেভাবে চলে গেস্টরুমে ছাত্রলীগের নির্যাতন"। thedailycampus.com। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-০৪।
- ↑ ক খ গ ঘ প্রতিবেদক, নিজস্ব (২০২০-০১-২৮)। "'গেস্টরুম' নির্যাতন চলছে, ঢাবি প্রশাসন নিষ্ক্রিয়"। দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১৬।
- ↑ "বুয়েটে ছাত্রলীগের নির্মম নির্যাতনের শিকার আরাফাত যে বর্ণনা দিলেন"। amarsangbad.com (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৪-০৪-০৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-২২।
- ↑ "তিন ঘণ্টা পেটানোর পর কুয়েট শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে আইসিটি মামলা"। banglanews24.com। ২০২২-০৯-১৩। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-২২।
- ↑ প্রতিনিধি (২০২২-০৯-১৩)। "ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দিয়ে শিক্ষার্থীকে পুলিশে দিল কুয়েট প্রশাসন"। দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-২২।
- ↑ "মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে কুয়েট ছাত্র জাহিদুরকে"। মানবজমিন। ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-২২।
- ↑ প্রতিবেদক, নিজস্ব (২০১৯-১১-০৬)। "বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে 'ডার্ক নাইট-গেস্টরুম' আতঙ্ক"। দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১৬।
- ↑ "বুয়েটে রাতে হলে হলে ছাত্রলীগের নির্যাতন"। www.shomoyeralo.com। ১১ অক্টোবর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-০৪।
- ↑ "শিবির সন্দেহে ৪ ছাত্রকে নির্যাতন ছাত্রলীগের"। দৈনিক যুগান্তর। ২৩ জানুয়ারি ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১৬ আগস্ট ২০২৪।
- ↑ "ছাত্রলীগের নির্যাতনের প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ"। NTV Online (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-০১-২৩। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-০৪।
- ↑ "জিয়া হলের গেস্টরুমে শিক্ষার্থীদের নির্যাতনের অভিযোগ"। thedailycampus.com। ২১ অক্টোবর ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১৬।
- ↑ "মাথায় দ্বিতীয় অস্ত্রোপচারের পর সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছাড়লেন আকিব"। দৈনিক সমকাল। ১২ এপ্রিল ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০২৪।
- ↑ আচার্য্য, শৈবাল (৬ মার্চ ২০২২)। "খুলি এখনও নেই মাথায় পেটে আছে সুরক্ষায়"। সমকাল। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০২৪।
- ↑ "ছাত্রলীগের গেস্টরুম নির্যাতনের নিন্দা জাসদ ছাত্রলীগের"। thedailycampus.com। ২৭ জানুয়ারি ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-০৯।
- ↑ প্রতিবেদক, বিশ্ববিদ্যালয় (২০২২-০২-১৭)। "গেস্টরুমে ছাত্রলীগ কর্মীর থাপ্পড়ে কয়েক ঘণ্টা 'বধির' ঢাবি ছাত্র"। dhakapost.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১৬।
- ↑ "ছাত্রলীগ না করায় বুকের উপর দাঁড়িয়ে নির্যাতনের অভিযোগ"। NTV Online (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২২-০২-২৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-০৪।
- ↑ সংবাদদাতা, নিজস্ব; ঢাবি (২০২২-০৭-২৫)। "গেস্টরুমে না যাওয়ায় ঢাবি শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের অভিযোগ ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে"। The Daily Star Bangla (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-০৪।
- ↑ সংবাদদাতা, নিজস্ব; ঢাবি (২০২২-০৮-২৪)। "স্বীকারোক্তি আদায়ে ২ ছাত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ ইডেন ছাত্রলীগ সভাপতির বিরুদ্ধে"। The Daily Star Bangla (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-০৯।
- ↑ "ঢাবির মুহসীন হলে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে ৩ শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ"। আজকের পত্রিকা। ৩১ আগস্ট ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ৫ অক্টোবর ২০২৪।
- ↑ রিপোর্টার, বিশ্ববিদ্যালয়। "৬ শিক্ষার্থীকে পেটালো ছাত্রলীগ"। DailyInqilabOnline (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১৬।
- ↑ প্রতিনিধি (২০২২-১০-২৪)। "'কাউকে বললে আবরারের যে অবস্থা হয়েছে, সে অবস্থা হবে'"। Prothomalo। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-০৪।
- ↑ ক খ প্রতিনিধি, বাকৃবি। "শিক্ষার্থীদের মুখে বাকৃবি ছাত্রলীগের নির্মম নির্যাতনের ঘটনা | কালবেলা"। কালবেলা | বাংলা নিউজ পেপার। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১৬।
- ↑ সংবাদদাতা, নিজস্ব; চট্টগ্রাম (২০২৩-০২-১০)। "৪ শিক্ষার্থীকে আটকে রেখে 'ছাত্রলীগের' নির্যাতন, ২ জন আইসিইউতে"। The Daily Star Bangla (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-২১।
- ↑ জনকণ্ঠ, দৈনিক (২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩)। "রাবির হিন্দু শিক্ষার্থীকে ছাত্রলীগের নির্যাতনের সত্যতা পেয়েছে তদন্ত কমিটি"। দৈনিক জনকণ্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-০৪।
- ↑ ক খ চৌধুরী, রাহাত। "টর্চার সেল ৩১৭"। Protidiner Sangbad। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১৬।
- ↑ সংবাদদাতা, নিজস্ব; পাবনা (২০২৩-০৪-০৫)। "ছাত্রলীগের নির্যাতনের শিকার ৩ শিক্ষার্থীকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর"। The Daily Star Bangla (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১৬।
- ↑ চবি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক (২০২৪-০৮-১৬)। "শিবির ট্যাগ দিয়ে শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে"। dhakapost.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১৬।
- ↑ রাবি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক (২০২৩-০৮-০৪)। "গেস্টরুমে রাবি ছাত্রকে মারধরের অভিযোগ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে"। dhakapost.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১৬।
- ↑ "জাবিতে সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় ৪ ছাত্রলীগ কর্মী বহিষ্কার"। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১৬।
- ↑ bvnews24.com। "সাংবাদিককে গেস্টরুমে পেটালো ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগ"। বিভিনিউজ২৪ (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১৬।
- ↑ প্রতিবেদক, নিজস্ব (২০২৩-১০-১৪)। "বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীকে রাতভর নির্যাতন করে ভেঙে দেওয়া হলো হাত"। Prothomalo। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-০৪।
- ↑ প্রতিনিধি (২০২৩-১১-২৩)। "বাকৃবিতে গেস্টরুমে ছাত্রলীগের নির্যাতনের ঘটনায় বিচার দাবি, তদন্ত কমিটি গঠন"। দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১৬।
- ↑ "ঢাবিতে ছাত্রলীগের গেস্টরুমে অজ্ঞান শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে ভর্তি, নির্যাতনের অভিযোগ"। আজকের পত্রিকা। ৪ ডিসেম্বর ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ৪ অক্টোবর ২০২৪।
- ↑ সংবাদদাতা, ইবি। "ইবি ছাত্রকে উলঙ্গ করে র্যাগিং, ধামাচাপার চেষ্টা ছাত্রলীগের"। Daily Nayadiganta। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১৬।
- ↑ "ইবির গণরুমে বিবস্ত্র করে র্যাগিং, হল কর্তৃপক্ষের তদন্ত কমিটি"। banglanews24.com। ২০২৪-০২-১৩। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১৬।
- ↑ "যবিপ্রবি শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের অভিযোগ ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে"। BonikBarta (ইংরেজি ভাষায়)। ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-০৪।
- ↑ "রাবিতে হিন্দু শিক্ষার্থীকে 'শিবির' আখ্যা দিয়ে মারধর, হত্যার হুমকি | খবরের কাগজ"। Khaborer Kagoj-খবরের কাগজ। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১৬।
- ↑ প্রতিনিধি, যবিপ্রবি। "'মনে হচ্ছিল আমিও বুয়েটের আবরারের মতো মরে যাবো' | কালবেলা"। কালবেলা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-২১।
- ↑ "ইবিতে গেস্টরুম নির্যাতন হলেই ব্যবস্থা"। www.campustimes.press। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১০।
- ↑ "ব্যতিক্রম ঢাবির গেস্টরুম"। amarsangbad.com (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৩-০৯-২২। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১০।
- ↑ প্রতিবেদক (২০২৩-১১-২২)। "'গেস্টরুমে' ছাত্রলীগের নির্যাতনের শিকার হয়ে টিএসসিতে অবস্থান, হলে তুললেন প্রাধ্যক্ষ"। দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১০।
- ↑ "জাবিতে গণরুম-গেস্টরুম সংস্কৃতি বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ"। দৈনিক ইত্তেফাক। ১৭ জানুয়ারি ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ১০ অগাস্ট ২০২৪।
- ↑ "ইবিতে নবীন ছাত্রকে ছাত্রলীগের নির্যাতন, শিবির নেতৃবৃন্দের নিন্দা"। The Daily Sangram। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১০।
- ↑ "গেস্টরুম নির্যাতনবিরোধী আইন চায় ছাত্র অধিকার পরিষদ"। জাগো নিউজ.২৪। ১৫ মার্চ ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ১০ অগাস্ট ২০২৪।
- ↑ "ঢাবিতে গণরুম-গেস্টরুমে নির্যাতন বন্ধের দাবি ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের"। দৈনিক ইনকিলাব। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১৬।
- ↑ "শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের নির্যাতনের প্রতিবাদে রাবি শিক্ষকের অনশন"। আজকের পত্রিকা। ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ১৪ অক্টোবর ২০২৪।
- ↑ "Awami League / Bangladesh Chhatra League (BCL)"। Terrorism Research & Analysis Consortium। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মে ২০১৯।
- ↑ "Bloody Sunday in Bangladesh"। Democracy News। ৫ আগস্ট ২০১৮।
- ↑ "The brand of shame that is Chhatra League"। Dhaka Tribune। সংগ্রহের তারিখ ১১ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "Student orgs for holding meeting at DU for peaceful atmosphere on campus"। The Daily Star। সংগ্রহের তারিখ ২৬ মে ২০২২।