মৈথিলী ভাষাভাষী অনুযায়ী ভারতের রাজ্যসমূহ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

মৈথিলী ভাষা হল ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা-পরিবারের অন্তর্ভুক্ত ইন্দো-আর্য ভাষার বিহারি ভাষাসমূহের অন্তর্গত। এটি ভারতের বিহার রাজ্যের স্থানীয় এবং অন্যতম সরকারি ভাষা।[১] ভারতের অষ্টম তফসিল অনুযায়ী এটি মান্যতাপ্রাপ্ত একটি সরকারি ভাষা।[২] এছাড়াও ২০১৮ খ্রিস্টাব্দের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে এটি ঝাড়খণ্ড রাজ্যের একাধিক দ্বিতীয় ভাষার মধ্যে একটি।[৩] ভারতের ২০১১ সালের জনগননা অনুযায়ী এটি মাতৃভাষীর সংখ্যা অনুসারে ভারতের ১৩তম সর্বাধিক প্রচলিত ভাষা এবং ভারতে এই ভাষার বক্তার সংখ্যা ১ কোটি ৩৬ লক্ষ যা ভারতের মোট জনসংখ্যার ১.১২%।[৪] মাতৃভাষী বক্তার সংখ্যা অনুসারে এই ভাষাটি বিশ্বের ৪৬তম সর্বাধিক প্রচলিত ভাষা[৫] তবে অনেকে মনে করেন সচেতনতার অভাবে বহু মৈথিলীভাষী নিজেদের হিন্দিভাষী বলে চিহ্নিত করেন৷

নিচের তালিকাটি মৈথিলী-ভাষী জনসংখ্যা অনুযায়ী ভারতীয় রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির তালিকা।

২০১১[৬][সম্পাদনা]

ক্রম রাজ্য মৈথিলী ভাষাভাষী সংখ্যার শতকরা হার মৈথিলীভাষীর সংখ্যা জনসংখ্যা অনুযায়ী ক্রম
বিহার ১২.৫৫% ১৩০৬৩০৪২ ১ম
দিল্লি ০.৭৩% ১২২৯৫৬ ৩য়
দাদরা ও নগর হাভেলি ০.৬৪% ২১৮৭ ২০তম
উত্তরাখণ্ড ০.৫৪% ৫৪৫৫৩ ৪র্থ
দমন ও দিউ ০.৪৩% ১০৪৪ ২৩তম
ঝাড়খণ্ড ০.৪২% ১৩৮১৬৭ ২য়
চণ্ডীগড় ০.৩০% ৩১৬৪ ১৬তম
অরুণাচল প্রদেশ ০.২১% ২৯৬৩ ১৭তম
হরিয়ানা ০.১০% ২৫৬৮৫ ৭ম
১০ সিকিম ০.০৯% ৫৯৬ ২৬তম
১১ হিমাচল প্রদেশ ০.০৭% ৪৭২৩ ১৪তম
১২ নাগাল্যান্ড ০.০৭% ১৪৭৩ ২২তম
১৩ মহারাষ্ট্র ০.০৪% ৪৬৯৯৬ ৫ম
১৪ ছত্তিশগড় ০.০৪% ৯০৯৪ ১১তম
১৫ আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ ০.০৪% ১৩৪ ৩২তম
১৬ পশ্চিমবঙ্গ ০.০৩% ২৯৭৪১ ৬ষ্ঠ
১৭ পাঞ্জাব ০.০৩% ৯০৫৪ ১২তম
১৮ মেঘালয় ০.০৩% ৮৮১ ২৫তম
১৯ রাজস্থান ০.০২% ১১৬৬৬ ৯ম
২০ গুজরাত ০.০২% ১০৮৬৪ ১০ম
২১ আসাম ০.০২% ৬০৩৪ ১৩তম
২২ গোয়া ০.০২% ২৮৯ ২৯তম
২৩ উত্তরপ্রদেশ ০.০১% ২৪৮৩১ ৮ম
২৪ জম্মু ও কাশ্মীর ০.০১% ৮৯৭ ২৪তম
২৫ ত্রিপুরা ০.০১% ২৯৪ ২৮তম
২৬ মণিপুর ০.০১% ২১৩ ৩১তম
২৭ মিজোরাম ০.০১% ১১১ ৩৩তম
২৮ মধ্যপ্রদেশ - ৪১২৯ ১৫তম
২৯ অন্ধ্রপ্রদেশ - ২৮২৭ ১৮তম
৩০ ওড়িশা - ২৪৩৮ ১৯তম
৩১ কর্ণাটক - ১৮১০ ২১তম
৩২ তামিলনাড়ু - ৩৮০ ২৭তম
৩৩ কেরালা - ২১৪ ৩০তম
৩৪ পুদুচেরি - ১৪ ৩৪তম
৩৫ লাক্ষাদ্বীপ - - -
ভারত ১.১২% ১,৩৫,৮৩,৪৬৪ ত্রয়োদশ প্রচলিত ভাষা

জেলাভিত্তিক পরিসংখ্যান[৭][সম্পাদনা]

বিহার
  1. মধুবনী জেলা - ৩৭৭২৩৮৬ (৮৪.০৭%)
  2. সুপৌল জেলা - ১৭০১০৬৫ (৭৬.৩১%)
  3. দ্বারভাঙা জেলা - ২৮৬৪৪০৫ (৭২.৭৫%)
  4. সহর্সা জেলা - ১৩০৮৯৩৫ (৬৮.৮৬%)
  5. মাধেপুরা জেলা - ৭৬৯২১১ (৩৮.৪৩%)
  6. সমস্তিপুর জেলা - ১৩১২৩২২ (৩০.৭৯%)
  7. আরারিয়া জেলা - ৫৭৮৩৯১ (২০.৫৭%)
  8. পূর্ণিয়া জেলা - ৩৪৯৮৭৫ (১০.৭২%)
  9. সীতামঢ়ী জেলা - ১১১৪২৭ (৩.২৫%)
  10. কিশানগঞ্জ জেলা - ৪৪৪১৯ (২.৬৩%)
  11. বেগুসরাই জেলা - ৭২১৯৮ (২.৪৩%)
  12. মজঃফরপুর জেলা - ৬৪০২৮ (১.৩৩%)
  13. পাটনা জেলা - ৭২২৬৮ (১.২৪%)
  14. কাটিহার জেলা - ১৮৫৪১ (০.৬০%)
  15. লক্ষ্মীসরাই জেলা - ৫১৭৬ (০.৫২%)
দিল্লি
  1. দক্ষিণ দিল্লি জেলা - ৩১১৭৪ (১.১৪%)
  2. উত্তর পশ্চিম দিল্লি জেলা - ৩৫৮৭০ (০.৯৮%)
  3. দক্ষিণ পশ্চিম দিল্লি জেলা - ১৯৯০০ (০.৮৭%)
  4. পশ্চিম দিল্লি জেলা - ১৭০৩১ (০.৬৭%)
  5. উত্তর দিল্লি জেলা - ৫৫৬৭ (০.৬৩%)
  6. নয়াদিল্লি - ৭৪৪ (০.৫২%)
দাদরা ও নগর হাভেলি
  1. দাদরা ও নগর হাভেলি - ২১৮৭ (০.৬৪%)
উত্তরাখণ্ড
  1. উধম সিং নগর জেলা - ৪৯৩৭৮ (৩.০০%)
দমন ও দিউ
  1. দমন জেলা - ১০৪৪ (০.৫৫%)
ঝাড়খণ্ড
  1. পূর্ব সিংভূম জেলা - ২৯৩৮৮ (১.২৮%)
  2. বোকারো জেলা - ২৩৪৯৭ (১.১৪%)
  3. সরাইকেল্লা খরসোয়া জেলা - ১১১৫৬ (১.০৫%)
  4. ধানবাদ জেলা - ২১৮৩৮ (০.৮১%)
  5. রাঁচি জেলা - ২০৩৭২ (০.৭০%)
  6. হাজারিবাগ জেলা - ১২০৯৭ (০.৭০%)
  7. রামগড় জেলা - ৬৪২০ (০.৬৮%)
হরিয়ানা
  1. গুরগাঁও জেলা - ৭৪৬০ (০.৫০%)
উত্তরপ্রদেশ
  1. গৌতম বুদ্ধ নগর জেলা - ৮০৪১ (০.৫০%)

২০০১[সম্পাদনা]

২০০১ খ্রিস্টাব্দের জনগণনা অনুসারে বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বসবাসকারী মৈথিলীভাষীর তালিকা নিম্নরূপ:[৮][৯]

রাজ্য ক্রম রাজ্য মৈথিলীভাষী সংখ্যা
ভারত ১,২১,৭৯,১২২
১.১৮%
জম্মু ও কাশ্মীর ৫৭৫
হিমাচল প্রদেশ ২০১৫
পাঞ্জার ৩২৭৭
চণ্ডীগড় ১২৪৮
উত্তরাখণ্ড ১৬৪৬
হরিয়ানা ১১৭৯৯
দিল্লি ৮৫৩৩১
রাজস্থান ৭৪৪৭
উত্তর প্রদেশ ৭২২৪
১০ বিহার ১১৮৩০৮৬৮
১১ সিকিম ৫৪৩
১২ অরুণাচল প্রদেশ ২৮৩৬
১৩ নাগাল্যান্ড ৭২৩
১৪ মণিপুর ৪৩৩
১৫ মিজোরাম ৯২
১৬ ত্রিপুরা ২৩৮
১৭ মেঘালয় ৫২৪
১৮ আসাম ৪৩৪৬
১৯ পশ্চিমবঙ্গ ২২০৬৪
২০ ঝাড়খণ্ড ১৪১১৮৪
২১ ওড়িশা ২০১৬
২২ ছত্তিশগড় ৬২৯৩
২৩ মধ্যপ্রদেশ ২৬৮৭
২৪ গুজরাত ৩৫৫০
২৫ দমন ও দিউ ৩৭৫
২৬ দাদরা ও নগর হাভেলি ৭৯৩
২৭ মহারাষ্ট্র ৩৭৫২৫
২৮ অন্ধ্রপ্রদেশ ৬৬৭
২৯ কর্ণাটক ৪৫৫
৩০ গোয়া ১৬৪
৩১ লাক্ষাদ্বীপ -
৩২ কেরল ৪৮
৩৩ তামিলনাড়ু ৭৯
৩৪ পুদুচেরি
৩৫ আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ ৫৫

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Benedikter, Thomas (২০০৯)। Language Policy and Linguistic Minorities in India: An Appraisal of the Linguistic Rights of Minorities in India। Münster: LIT Verlag। পৃষ্ঠা 89। আইএসবিএন 978-3-643-10231-7। ১৯ অক্টোবর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ এপ্রিল ২০১৫ 
  2. "Archived copy" (পিডিএফ)। ৫ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ মে ২০১৬ 
  3. "झारखंड : रघुवर कैबिनेट से मगही, भोजपुरी, मैथिली व अंगिका को द्वितीय भाषा का दर्जा"। ২১ মার্চ ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ জানুয়ারি ২০২০ 
  4. "বক্তার সংখ্যা অনুসারে তফসিলভুক্ত ভাষা - ২০০১"ভারতের জনগননা। ২ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  5. Mikael Parkvall, "Världens 100 största språk 2007" (২০০৭-এ পৃথিবীর ১০০টি বৃহত্তম ভাষা), Nationalencyklopedin
  6. http://www.censusindia.gov.in/2011census/C-16.html
  7. https://censusindia.gov.in/2011Census/Language_MTs.html
  8. https://censusindia.gov.in/Census_Data_2001/Census_Data_Online/Language/parta.htm
  9. http://www.censusindia.gov.in/Census_Data_2001/Census_Data_Online/Language/Statement3.htm