মৈথিলী ভাষাভাষী অনুযায়ী ভারতের রাজ্যসমূহ
মৈথিলী ভাষা হল ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা-পরিবারের অন্তর্ভুক্ত ইন্দো-আর্য ভাষার বিহারি ভাষাসমূহের অন্তর্গত। এটি ভারতের বিহার রাজ্যের স্থানীয় এবং অন্যতম সরকারি ভাষা।[১] ভারতের অষ্টম তফসিল অনুযায়ী এটি মান্যতাপ্রাপ্ত একটি সরকারি ভাষা।[২] এছাড়াও ২০১৮ খ্রিস্টাব্দের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে এটি ঝাড়খণ্ড রাজ্যের একাধিক দ্বিতীয় ভাষার মধ্যে একটি।[৩] ভারতের ২০১১ সালের জনগননা অনুযায়ী এটি মাতৃভাষীর সংখ্যা অনুসারে ভারতের ১৩তম সর্বাধিক প্রচলিত ভাষা এবং ভারতে এই ভাষার বক্তার সংখ্যা ১ কোটি ৩৬ লক্ষ যা ভারতের মোট জনসংখ্যার ১.১২%।[৪] মাতৃভাষী বক্তার সংখ্যা অনুসারে এই ভাষাটি বিশ্বের ৪৬তম সর্বাধিক প্রচলিত ভাষা।[৫] তবে অনেকে মনে করেন সচেতনতার অভাবে বহু মৈথিলীভাষী নিজেদের হিন্দিভাষী বলে চিহ্নিত করেন৷
নিচের তালিকাটি মৈথিলী-ভাষী জনসংখ্যা অনুযায়ী ভারতীয় রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির তালিকা।
২০১১[৬][সম্পাদনা]
ক্রম | রাজ্য | মৈথিলী ভাষাভাষী সংখ্যার শতকরা হার | মৈথিলীভাষীর সংখ্যা | জনসংখ্যা অনুযায়ী ক্রম |
---|---|---|---|---|
১ | বিহার | ১২.৫৫% | ১৩০৬৩০৪২ | ১ম |
২ | দিল্লি | ০.৭৩% | ১২২৯৫৬ | ৩য় |
৩ | দাদরা ও নগর হাভেলি | ০.৬৪% | ২১৮৭ | ২০তম |
৪ | উত্তরাখণ্ড | ০.৫৪% | ৫৪৫৫৩ | ৪র্থ |
৫ | দমন ও দিউ | ০.৪৩% | ১০৪৪ | ২৩তম |
৬ | ঝাড়খণ্ড | ০.৪২% | ১৩৮১৬৭ | ২য় |
৭ | চণ্ডীগড় | ০.৩০% | ৩১৬৪ | ১৬তম |
৮ | অরুণাচল প্রদেশ | ০.২১% | ২৯৬৩ | ১৭তম |
৯ | হরিয়ানা | ০.১০% | ২৫৬৮৫ | ৭ম |
১০ | সিকিম | ০.০৯% | ৫৯৬ | ২৬তম |
১১ | হিমাচল প্রদেশ | ০.০৭% | ৪৭২৩ | ১৪তম |
১২ | নাগাল্যান্ড | ০.০৭% | ১৪৭৩ | ২২তম |
১৩ | মহারাষ্ট্র | ০.০৪% | ৪৬৯৯৬ | ৫ম |
১৪ | ছত্তিশগড় | ০.০৪% | ৯০৯৪ | ১১তম |
১৫ | আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ | ০.০৪% | ১৩৪ | ৩২তম |
১৬ | পশ্চিমবঙ্গ | ০.০৩% | ২৯৭৪১ | ৬ষ্ঠ |
১৭ | পাঞ্জাব | ০.০৩% | ৯০৫৪ | ১২তম |
১৮ | মেঘালয় | ০.০৩% | ৮৮১ | ২৫তম |
১৯ | রাজস্থান | ০.০২% | ১১৬৬৬ | ৯ম |
২০ | গুজরাত | ০.০২% | ১০৮৬৪ | ১০ম |
২১ | আসাম | ০.০২% | ৬০৩৪ | ১৩তম |
২২ | গোয়া | ০.০২% | ২৮৯ | ২৯তম |
২৩ | উত্তরপ্রদেশ | ০.০১% | ২৪৮৩১ | ৮ম |
২৪ | জম্মু ও কাশ্মীর | ০.০১% | ৮৯৭ | ২৪তম |
২৫ | ত্রিপুরা | ০.০১% | ২৯৪ | ২৮তম |
২৬ | মণিপুর | ০.০১% | ২১৩ | ৩১তম |
২৭ | মিজোরাম | ০.০১% | ১১১ | ৩৩তম |
২৮ | মধ্যপ্রদেশ | - | ৪১২৯ | ১৫তম |
২৯ | অন্ধ্রপ্রদেশ | - | ২৮২৭ | ১৮তম |
৩০ | ওড়িশা | - | ২৪৩৮ | ১৯তম |
৩১ | কর্ণাটক | - | ১৮১০ | ২১তম |
৩২ | তামিলনাড়ু | - | ৩৮০ | ২৭তম |
৩৩ | কেরালা | - | ২১৪ | ৩০তম |
৩৪ | পুদুচেরি | - | ১৪ | ৩৪তম |
৩৫ | লাক্ষাদ্বীপ | - | - | - |
ভারত | ১.১২% | ১,৩৫,৮৩,৪৬৪ | ত্রয়োদশ প্রচলিত ভাষা |
জেলাভিত্তিক পরিসংখ্যান[৭][সম্পাদনা]
- বিহার
- মধুবনী জেলা - ৩৭৭২৩৮৬ (৮৪.০৭%)
- সুপৌল জেলা - ১৭০১০৬৫ (৭৬.৩১%)
- দ্বারভাঙা জেলা - ২৮৬৪৪০৫ (৭২.৭৫%)
- সহর্সা জেলা - ১৩০৮৯৩৫ (৬৮.৮৬%)
- মাধেপুরা জেলা - ৭৬৯২১১ (৩৮.৪৩%)
- সমস্তিপুর জেলা - ১৩১২৩২২ (৩০.৭৯%)
- আরারিয়া জেলা - ৫৭৮৩৯১ (২০.৫৭%)
- পূর্ণিয়া জেলা - ৩৪৯৮৭৫ (১০.৭২%)
- সীতামঢ়ী জেলা - ১১১৪২৭ (৩.২৫%)
- কিশানগঞ্জ জেলা - ৪৪৪১৯ (২.৬৩%)
- বেগুসরাই জেলা - ৭২১৯৮ (২.৪৩%)
- মজঃফরপুর জেলা - ৬৪০২৮ (১.৩৩%)
- পাটনা জেলা - ৭২২৬৮ (১.২৪%)
- কাটিহার জেলা - ১৮৫৪১ (০.৬০%)
- লক্ষ্মীসরাই জেলা - ৫১৭৬ (০.৫২%)
- দিল্লি
- দক্ষিণ দিল্লি জেলা - ৩১১৭৪ (১.১৪%)
- উত্তর পশ্চিম দিল্লি জেলা - ৩৫৮৭০ (০.৯৮%)
- দক্ষিণ পশ্চিম দিল্লি জেলা - ১৯৯০০ (০.৮৭%)
- পশ্চিম দিল্লি জেলা - ১৭০৩১ (০.৬৭%)
- উত্তর দিল্লি জেলা - ৫৫৬৭ (০.৬৩%)
- নয়াদিল্লি - ৭৪৪ (০.৫২%)
- দাদরা ও নগর হাভেলি
- দাদরা ও নগর হাভেলি - ২১৮৭ (০.৬৪%)
- উত্তরাখণ্ড
- উধম সিং নগর জেলা - ৪৯৩৭৮ (৩.০০%)
- দমন ও দিউ
- দমন জেলা - ১০৪৪ (০.৫৫%)
- ঝাড়খণ্ড
- পূর্ব সিংভূম জেলা - ২৯৩৮৮ (১.২৮%)
- বোকারো জেলা - ২৩৪৯৭ (১.১৪%)
- সরাইকেল্লা খরসোয়া জেলা - ১১১৫৬ (১.০৫%)
- ধানবাদ জেলা - ২১৮৩৮ (০.৮১%)
- রাঁচি জেলা - ২০৩৭২ (০.৭০%)
- হাজারিবাগ জেলা - ১২০৯৭ (০.৭০%)
- রামগড় জেলা - ৬৪২০ (০.৬৮%)
- হরিয়ানা
- গুরগাঁও জেলা - ৭৪৬০ (০.৫০%)
- উত্তরপ্রদেশ
- গৌতম বুদ্ধ নগর জেলা - ৮০৪১ (০.৫০%)
২০০১[সম্পাদনা]
২০০১ খ্রিস্টাব্দের জনগণনা অনুসারে বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বসবাসকারী মৈথিলীভাষীর তালিকা নিম্নরূপ:[৮][৯]
রাজ্য ক্রম | রাজ্য | মৈথিলীভাষী সংখ্যা |
---|---|---|
— | ভারত | ১,২১,৭৯,১২২ ১.১৮% |
১ | জম্মু ও কাশ্মীর | ৫৭৫ |
২ | হিমাচল প্রদেশ | ২০১৫ |
৩ | পাঞ্জার | ৩২৭৭ |
৪ | চণ্ডীগড় | ১২৪৮ |
৫ | উত্তরাখণ্ড | ১৬৪৬ |
৬ | হরিয়ানা | ১১৭৯৯ |
৭ | দিল্লি | ৮৫৩৩১ |
৮ | রাজস্থান | ৭৪৪৭ |
৯ | উত্তর প্রদেশ | ৭২২৪ |
১০ | বিহার | ১১৮৩০৮৬৮ |
১১ | সিকিম | ৫৪৩ |
১২ | অরুণাচল প্রদেশ | ২৮৩৬ |
১৩ | নাগাল্যান্ড | ৭২৩ |
১৪ | মণিপুর | ৪৩৩ |
১৫ | মিজোরাম | ৯২ |
১৬ | ত্রিপুরা | ২৩৮ |
১৭ | মেঘালয় | ৫২৪ |
১৮ | আসাম | ৪৩৪৬ |
১৯ | পশ্চিমবঙ্গ | ২২০৬৪ |
২০ | ঝাড়খণ্ড | ১৪১১৮৪ |
২১ | ওড়িশা | ২০১৬ |
২২ | ছত্তিশগড় | ৬২৯৩ |
২৩ | মধ্যপ্রদেশ | ২৬৮৭ |
২৪ | গুজরাত | ৩৫৫০ |
২৫ | দমন ও দিউ | ৩৭৫ |
২৬ | দাদরা ও নগর হাভেলি | ৭৯৩ |
২৭ | মহারাষ্ট্র | ৩৭৫২৫ |
২৮ | অন্ধ্রপ্রদেশ | ৬৬৭ |
২৯ | কর্ণাটক | ৪৫৫ |
৩০ | গোয়া | ১৬৪ |
৩১ | লাক্ষাদ্বীপ | - |
৩২ | কেরল | ৪৮ |
৩৩ | তামিলনাড়ু | ৭৯ |
৩৪ | পুদুচেরি | ২ |
৩৫ | আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ | ৫৫ |
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ Benedikter, Thomas (২০০৯)। Language Policy and Linguistic Minorities in India: An Appraisal of the Linguistic Rights of Minorities in India। Münster: LIT Verlag। পৃষ্ঠা 89। আইএসবিএন 978-3-643-10231-7। ১৯ অক্টোবর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ এপ্রিল ২০১৫।
- ↑ "Archived copy" (পিডিএফ)। ৫ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ মে ২০১৬।
- ↑ "झारखंड : रघुवर कैबिनेट से मगही, भोजपुरी, मैथिली व अंगिका को द्वितीय भाषा का दर्जा"। ২১ মার্চ ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ জানুয়ারি ২০২০।
- ↑ "বক্তার সংখ্যা অনুসারে তফসিলভুক্ত ভাষা - ২০০১"। ভারতের জনগননা। ২ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ Mikael Parkvall, "Världens 100 största språk 2007" (২০০৭-এ পৃথিবীর ১০০টি বৃহত্তম ভাষা), Nationalencyklopedin।
- ↑ http://www.censusindia.gov.in/2011census/C-16.html
- ↑ https://censusindia.gov.in/2011Census/Language_MTs.html
- ↑ https://censusindia.gov.in/Census_Data_2001/Census_Data_Online/Language/parta.htm
- ↑ http://www.censusindia.gov.in/Census_Data_2001/Census_Data_Online/Language/Statement3.htm