বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ভাস্কর্য ও স্মৃতিস্তম্ভের তালিকা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ভাস্কর্য হলো ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে নির্মিত ভাস্কর্য ও স্মৃতিস্তম্ভ।[১][২] বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটা জেলা উপজেলায় এমন স্মৃতিস্তম্ভ ও ভাস্কর্য রয়েছে।[৩] এসব ভাস্কর্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ভাস্কর্য হলো:

ভাস্কর্যের তালিকা[সম্পাদনা]

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ভাস্কর্যের তালিকা।[৪][ক]
নাম প্রতিষ্ঠা সাল উচ্চতা ভাস্কর অবস্থান চিত্র
শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ মিরপুর ১৯৭২ - মোস্তফা হারুন কুদ্দুস হিলি ঢাকা, (মিরপুর ১)
জাগ্রত চৌরঙ্গী ১৯৭৩ ৪২ ফুট আবদুর রাজ্জাক (চিত্রশিল্পী) গাজীপুর জেলা, (জয়দেবপুর)
অপরাজেয় বাংলা ১৯৭৯ ১৮ ফুট সৈয়দ আবদুল্লাহ খালিদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, (কলা ভবন)
সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ ১৯৮২ ১৫০ ফুট সৈয়দ মাইনুল হোসেন ঢাকা, (সাভার)
বুদ্ধিজীবী স্মৃতিস্তম্ভ ১৯৮৫ - রশিদ চৌধুরী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহীদ স্মৃতিসৌধ ১৯৮৫ - মহিউদ্দিন আহাম্মেদ খান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা, (ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর)
মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ ১৯৮৬ ২৫ ফুট তানভীর করিম মেহেরপুর জেলা, (মুজিবনগর)
স্বোপার্জিত স্বাধীনতা ১৯৮৮ ১৩ ফুট শামীম শিকদার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, (টিএসসি)
অঙ্গীকার স্মৃতিসৌধ ১৯৮৯ ১৫ ফুট সৈয়দ আবদুল্লাহ খালিদ চাঁদপুর জেলা
সংশপ্তক ১৯৯০ ১৫ ফুট হামিদুজ্জামান খান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, (কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার)
স্মৃতি অম্লান ১৯৯১ ৮০ ফুট রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজশাহী শহর, (ভদ্রা)
সাবাশ বাংলাদেশ ১৯৯১ ৩৬ ফুট নিতুন কুণ্ডু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
দুর্জয় বাংলা ১৯৯২ ২৮ ফুট আমিনুল করিম দুলাল সিরাজগঞ্জ জেলা, (চন্ডিদাসগাঁতি বাজার)।[৫]
মুক্তবাংলা ১৯৯৬ ২০ ফুট আনু. রশিদ আহমেদ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া, (প্রধান ফটক)
বিজয় ৭১, যশোর ১৯৯৮ ৩৫ ফুট খন্দকার বদরুল আলম নান্নু যশোর জেলা, (পালবাড়ী মোড়)।[৬]
স্বাধীনতা সংগ্রাম ১৯৯৯ ৭০ ফুট শামীম শিকদার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, (ফুলার রোড)
মোহাম্মাদপুর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ ১৯৯৯ ৫৮ ফুট ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, জামে-আল-শফি ঢাকা, (মোহাম্মদপুর)
বিজয় ৭১ ২০০০ - শ্যামল চৌধুরী বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
শহীদ স্মৃতিসৌধ ২০০১ ৭১ ফুট রবিউল ইসলাম ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া, (প্রধান ফটক)
বধ্যভূমি স্মৃতিস্তম্ভ ২০০৪ ৪২ ফুট রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, (শহীদ শামসুজ্জোহা হল)
জাবি শহীদ মিনার ২০০৮ ৭১ ফুট রবিউল হুসাইন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
বীরের প্রত্যাবর্তন ২০০৮ ৫৯ ফুট গোবিন্দ পাল, ডামি নারায়ণ পাল ঢাকা, (মার্কিন দূতাবাস)
একাত্তরের গণহত্যা ২০০৮ - ভাস্কর রাসা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
স্মরণ স্মৃতিস্তম্ভ ২০০৯ - সৈয়দ সাইফুল কবীর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, (প্রধান ফটক)
চেতনা ৭১ ২০১১ ১২ ফুট মোবারক হোসেন নৃপাল শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
বিদ্যার্ঘ ২০১১ ৫ ফুট রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, (শহীদ হবিবুর রহমান হল)
রক্তধারা স্মৃতিসৌধ ২০১১ - চঞ্চল কর্মকার চাঁদপুর জেলা
অপরাজেয় ৭‌১ ২০১২ ৭১ ফুট মুহম্মদ শহীদুজ্জামান ঠাকুরগাঁও জেলা, (টাঙ্গন নদীর তীরে)।[৭]
অদম্য বাংলা ২০১২ ২৩ ফুট গোপাল চন্দ্র পাল খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়
প্রত্যয় ৭১ ২০১২ ১৭ ফুট মৃণাল হক মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
স্ফুলিঙ্গ ২০১২ ১৫ ফুট কনক কুমার পাঠক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, (শহীদ শামসুজ্জোহা হল)
স্বাধীনতা চত্বর ২০১৩ ৫২ ফুট শ্যামল চৌধুরী পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
দুর্বার বাংলা ২০১৩ - গোপাল চন্দ্র পাল খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
বিজয় একাত্তর, টাঙ্গাইল ২০১৪ ৩৭ ফুট সৈয়দ সাইফুল কবীর রনজু বঙ্গবন্ধু টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, টাঙ্গাইল।[৮]
জয়িতা–৭১ ২০১৪ - এহসানুল আহসান খান ইডেন মহিলা কলেজ
স্মৃতি চিরন্তন ২০১৫ - আব্দুল মোহায়মেন ও মশিউদ্দিন শাকের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, (সোহরাওয়ার্দী উদ্যান)।[৯]
সাত বীরশ্রেষ্ঠের আবক্ষ ভাস্কর্য ২০১৬ ৬ ফুট পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
বীর ২০১৭ ৫৩ ফুট হাজ্জাজ কায়সার ঢাকা, নিকুঞ্জ আবাসিক এলাকা।[১০]
বিমূর্ত মুক্তিযুদ্ধ ২০১৭ ১৬ ফুট শ্যামল চৌধুরী বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
জয় বাংলা ২০১৮ ২০ ফুট সৈয়দ মোহাম্মদ সোহরাব জাহান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, (বুদ্ধিজীবী চত্বর)
মুক্তির আহ্বান ও শ্বাশত মুজিব ২০১৯ ১২ ফুট কনক কুমার পাঠক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া, (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান হল)
মুক্তির ডাক তর্জনী ভাস্কর্য ২০২০ ৪১ ফুট অলি মাহমুদ নরসিংদী জেলা।[১১]
মুক্তির সংগ্রাম ২০২৩ - অভিজিৎ কান্তি দাশ সিরাজগঞ্জ জেলা, যমুনা নদীর তীরে।[১২]

উচ্চতা অনুযায়ী ১০ ভাস্কর্য[সম্পাদনা]

বাংলাদেশে স্বাধীনতা যুদ্ধ ভিত্তিক বহু উল্লেখযোগ্য উচু ভাস্কর্য রয়েছে। এদের মধ্যে সর্বোচ্চ উচ্চতা অনুসারে ভাস্কর্যের তালিকা:

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সর্বোচ্চ উচ্চতার ১০ ভাস্কর্যের তালিকা।[৪]
নং নাম প্রতিষ্ঠা সাল উচ্চতা ভাস্কর অবস্থান সূত্র
০১ সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ ১৯৮২ ১৫০ ফুট সৈয়দ মাইনুল হোসেন সাভার, বাংলাদেশ [১৩]
০২ স্মৃতি অম্লান ১৯৯১ ৮০ ফুট রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজশাহী শহর, (ভদ্রা) [১৪]
০৩ শহীদ স্মৃতিসৌধ ২০০১ ৭১ ফুট রবিউল ইসলাম ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া, (প্রধান ফটক) [১৫]
০৪ জাবি শহীদ মিনার ২০০৮ ৭১ ফুট রবিউল হুসাইন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় [১৬]
০৫ অপরাজেয় ৭‌১ ২০১২ ৭১ ফুট মুহম্মদ শহীদুজ্জামান ঠাকুরগাঁও জেলা, (টাঙ্গন নদীর তীরে)। [৭]
০৬ স্বাধীনতা সংগ্রাম ১৯৯৯ ৭০ ফুট শামীম শিকদার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, (ফুলার রোড) [১৭]
০৭ বীরের প্রত্যাবর্তন ২০০৮ ৫৯ ফুট গোবিন্দ পাল, ডামি নারায়ণ পাল ঢাকা, (মার্কিন দূতাবাস) [১৮]
০৮ মোহাম্মাদপুর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ ১৯৯৯ ৫৮ ফুট ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, জামে-আল-শফি ঢাকা, (মোহাম্মদপুর) [১৯]
০৯ বীর ২০১৭ ৫৩ ফুট হাজ্জাজ কায়সার ঢাকা, (নিকুঞ্জ আবাসিক এলাকা) [১০]
১০ স্বাধীনতা চত্বর ২০১৩ ৫২ ফুট শ্যামল চৌধুরী পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় [২০]
১১ জাগ্রত চৌরঙ্গী ১৯৭৩ ৪২ ফুট আবদুর রাজ্জাক গাজীপুর জেলা, (জয়দেবপুর) [২১]

টীকা[সম্পাদনা]

  1. এই তালিকাটা সাজানো হয়েছে ভাস্কর্য বা স্মৃতিস্তম্ভের উদ্বোধনী সাল অনুসারে, যে সালে ভাস্কর্যের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে সেই সালকে প্রতিষ্ঠা সাল ধরা হয়েছে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. প্রতিবেদক, নিজস্ব (২০১৯-১২-১৫)। "ভাস্কর্যে ভাস্বর মুক্তিযুদ্ধের চেতনা"Prothomalo। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-১৫ 
  2. সুমন, শরীফুল আলম (২৭ মার্চ ২০২১)। "মুক্তিযুদ্ধের লালন ভাস্কর্যে ভাস্কর্যে"কালেরকন্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-১৫ 
  3. "ঢাকায় অবস্থিত মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক স্থাপত্য ও ভাস্কর্য"unb.com.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-১৬ 
  4. "বাংলাদেশর ভাস্কর্য"EDPDU। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-১৫ 
  5. "বিজয়ের প্রেরণা 'দুর্জয় বাংলা'"Newsbangla24। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-১৬ 
  6. "বিজয় ৭১"www.kalerkantho.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-১৬ 
  7. "অঅপরাজেয় ৭১"www.onushilon.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-১৬ 
  8. রিপোর্টার, দৈনিক। "বিজয় একাত্তর"Daily Janakantha (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-১৬ 
  9. প্রতিবেদক, নিজস্ব (২০১৯-০৩-২৭)। "ঢাবি ক্যাম্পাসে স্বাধীনতার স্মারক"Prothomalo। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-১৫ 
  10. অর্ক, আরিয়ান (১২ এপ্রিল ২০১৭)। "মুক্তিযুদ্ধের সবচেয়ে উঁচু ভাস্কর্য"www.kalerkantho.com। সংগ্রহের তারিখ ১৬ আগস্ট ২০২৩ 
  11. "নরসিংদীতে তৈরি হচ্ছে দেশের প্রথম তর্জনি ভাস্কর্য"Risingbd Online (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-১৬ 
  12. প্রতিনিধি, সিরাজগঞ্জ। "সিরাজগঞ্জে যমুনা পারে হলো ভাস্কর্য 'মুক্তির সংগ্রাম'"bdnews24। ২০২৩-০৮-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-১৬ 
  13. এম শহিদুল আমিন ও এম যাকিউল ইসলাম (২০১২)। "জাতীয় স্মৃতিসৌধ"ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটিআইএসবিএন 9843205901ওএল 30677644Mওসিএলসি 883871743 
  14. "স্মৃতি অম্লান"onushilon.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-১৬ – শিশু বিশ্বকোষ : পঞ্চম খণ্ড। শিশু একাডেমী, ডিসেম্বর ১৯৯৭।-এর মাধ্যমে। 
  15. "স্থাপত্য শিল্পের অনন্য নিদর্শন ইবি'র শহীদ স্মৃতিসৌধ"www.bd24live.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-১৬ 
  16. "জাবিতে দেশের সর্বোচ্চ শহীদ মিনার"banglanews24.com। ২০১২-০২-১৬। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-১৬ 
  17. "স্বাধীনতা সংগ্রাম"onushilon.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-১৬ 
  18. "ঢাকায় অবস্থিত মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক স্থাপত্য ও ভাস্কর্য"Sangbad Sarabela (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-১৬ 
  19. "শহীদ-বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ"onushilon.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-১৬ 
  20. "পাবিপ্রবি'তে স্বাধীনতা চত্বর উদ্বোধন ও শেখ হাসিনা হল এর নাম ফলক উন্মোচোন"bdtoday24। ২০১৩-১০-০৬। ২০২৩-০৮-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-১৬ 
  21. "জাগ্রত চৌরঙ্গী স্মৃতিসৌধ"onushilon.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-১৬