শহীদ মিনার (জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়)

স্থানাঙ্ক: ২৩°৪৪′০২″ উত্তর ৯০°২৩′৩২″ পূর্ব / ২৩.৭৩৩৮১৫৯° উত্তর ৯০.৩৯২৩৪০৭° পূর্ব / 23.7338159; 90.3923407
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
শহীদ মিনার
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থিত বাংলাদেশের সবচেয়ে উঁচু শহীদ মিনার
শিল্পীরবিউল হুসাইন
বছর২০০৮
অবস্থানজাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে
স্থানাঙ্ক
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শহীদ মিনার।
শহীদ মিনার (জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়)

শহীদ মিনার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থিত একটি মিনার। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন বাংলাদেশের জাতীয় জীবনের সদর্থক অর্জনে অন্তহীন প্রেরণার উৎস ও সূতিকাগার। এ আন্দোলনে নিহিত ছিল রাজনৈতিক স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা যা ইতিহাসের বাঁক তৈরী করে ১৯৭১ সালের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে মূর্ত হয়ে উঠে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের স্থাপত্যশৈলীতে বাংলাদেশের জাতীয় ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ বাকগুলোর ভূমিকাকে গৌরবময় মর্যাদায় বিধৃত করার চেষ্টা করা হয়েছে।

বিবরণ[সম্পাদনা]

১৯৫২ সালকে সকল অর্জনের ভিত্তি বিবেচনা করে এর ভিত্তিমঞ্চের ব্যাস রাখা হয়েছে ৫২ ফুট এবং ৭১ সালের অবিস্মরণীয় মর্যাদার প্রতি সম্মান জানিয়ে ভিত্তিমঞ্চ থেকে উন্মুক্ত আকাশগামী স্তম্ভত্রয়ের উচ্চতা রাখা হয়েছে ৭১ ফুট। দেশ বিভাগোত্তর বাংলাদেশের জাতীয় জীবনের স্বাধীনতা অভিমুখী নানা আন্দোলনে তাৎপর্যমন্ডিত ৮ টি বছর- ১৯৪৭, ১৯৫২, ১৯৫৪, ১৯৬২, ১৯৬৬, ১৯৬৯, ১৯৭০, ১৯৭১ কে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য ভিত্তিমঞ্চে ব্যবহার করা হয়েছে ৮টি সিঁড়ি যা ধারাবাহিকতার প্রতীক। দৃঢ়তার প্রতীক ত্রিভুজাকৃতির ঋজু কাঠামোর মিনারের স্থাপত্বশৈলীতে বিদৃত হয়েছে সেইসব জাতীয় বীরদের বীরত্বগাথা যারা মায়ের ভাষা-ভূমির জন্যে লড়েছেন, জীবন দিয়েছেন।[১]

এই স্থাপত্যকর্মটির নকশা করেছেন স্থপতি রবিউল হুসাইন। ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ সালে তৎকালীন উপাচার্য প্রফেসর ড. খন্দকার মুস্তাহিদূর রহমান এটি উদ্বোধন করেন।

চিত্রশালা[সম্পাদনা]

আরো দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "দেশের সর্বোচ্চ মিনার জাবিতে"jagonews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১০-১৫