পূর্ব রেল

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

এটি এই পাতার একটি পুরনো সংস্করণ, যা Mouryan (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ১৭:০৯, ১৯ আগস্ট ২০১৯ তারিখে সম্পাদিত হয়েছিল (লোগো যুক্ত করা হলো।)। উপস্থিত ঠিকানাটি (ইউআরএল) এই সংস্করণের একটি স্থায়ী লিঙ্ক, যা বর্তমান সংস্করণ থেকে ব্যাপকভাবে ভিন্ন হতে পারে।

পূর্ব রেল
চিত্র:Eastern Railway.jpg
4-পূর্ব রেল
রাজ্যপশ্চিমবঙ্গবিহার
কার্যকাল১৯৫১–বর্তমান
পূর্বসূরিইস্ট ইন্ডিয়ান রেলওয়ে
ট্র্যাক গেজমিশ্র
দৈর্ঘ্য২৪১৪
প্রধান কার্যালয়ফেয়ারলি প্লেস, কলকাতা
ওয়েবসাইটপূর্ব রেলের সরকারি ওয়েবসাইট

পূর্ব রেল বা পূর্ব রেলওয়ে (সংক্ষেপে পূ রে বা ইআর) ভারতীয় রেলের ষোলোটি অঞ্চল বা জোনের অন্যতম। এই অঞ্চলের প্রধান কার্যালয় অবস্থিত কলকাতার ফেয়ারলি প্লেসে। পূর্ব রেল চারটি বিভাগ বা ডিভিশন নিয়ে গঠিত: হাওড়া রেল বিভাগ, মালদহ রেল বিভাগ, শিয়ালদহ রেল বিভাগআসানসোল রেল বিভাগ। এই চারটি বিভাগের নাম নির্ধারিত হয়েছে যে যে শহরে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলির সদর দফতর অবস্থিত সেই সেই শহরের নামানুসারে।

এই রেল অঞ্চলের তিনটি প্রধান ওয়ার্কশপ রয়েছে: জামালপুর, লিলুয়াকাঁচড়াপাড়া। জামালপুর ওয়ার্কশপটি ওয়াগন মেরামতি, ডিজেল ইঞ্জিনের রুটিনমাফিক রক্ষণাবেক্ষণ, ক্রেন ও টাওয়ার-ওয়াগন উৎপাদনের জন্য; লিলিয়া ওয়ার্কশপটি কোচ ও পণ্যবাহী যানের রুটিনমাফিক রক্ষণাবেক্ষণের জন্য; এবং কাঁচড়াপাড়ার ওয়ার্কশপটি ইলেকট্রিক ইঞ্জিন, ইএমইউ লোকাল ও কোচের রুটিনমাফিক রক্ষণাবেক্ষণের জন্য।

ইতিহাস

ইস্ট ইন্ডিয়ান রেলওয়ের প্রথম ট্রেন, ১৮৫৪

১৮৪৫ সালে পূর্ব ভারতদিল্লির সঙ্গে যোগাযোগসাধনের উদ্দেশ্যে প্রতিষ্টিত হয় ইস্ট ইন্ডিয়ান রেলওয়ে (ইআইআর)। ১৮৫৪ সালের ১৫ অগস্ট হাওড়াহুগলির মধ্যে চলেছিল প্রথম ট্রেনটি। সকাল সাড়ে আটটায় হাওড়া স্টেশন ছেড়ে ৯১ মিনিটে হুগলি পৌছেছিল ট্রেনটি। ১৯২৫ সালের ১ জানুয়ারি ব্রিটিশ ভারত সরকার ইস্ট ইন্ডিয়ান রেলওয়ের পরিচালনভার স্বহস্তে তুলে নেয়।[১]

১৯৫২ সালের ১৪ এপ্রিল ইস্ট ইন্ডিয়ান রেলওয়ের তিনটি লোয়ার ডিভিশন হাওড়া, আসানসোল ও দানাপুর, সমগ্র বেঙ্গল নাগপুর রেলওয়ে (বিএনআর) ও পূর্বতন বেঙ্গল আসাম রেলওয়ে শিয়ালদহ ডিভিশনটিকে সংযুক্ত করে গঠিত হয় পূর্ব রেল।[২] শেষোক্ত বিভাগটি অবশ্য ১৯৪৭ সালের ১৫ অগস্টই ইস্ট ইন্ডিয়ান রেলওয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল। ১৯৫৫ সালের ১ অগস্ট হাওড়া থেকে দক্ষিণে বিশাখাপত্তনম পর্যন্ত প্রসারিত বিএনআর-এর অংশটি, মধ্যাঞ্চলে হাওড়া থেকে নাগপুর পর্যন্ত এবং কাটনি পর্যন্ত উত্তর-মধ্যাঞ্চলীয় অংশটি পূর্ব রেল থেকে বিচ্ছিন্ন করে নিয়ে দক্ষিণ পূর্ব রেল গঠিত হয়।[৩][৪] ধানবাদ, মুঘলসরাই ও মালদহ বিভাগ তিনটিও পরে গঠিত হয়।[৫] ২০০২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পূর্ব রেলের বিভাগের সংখ্যা ছিল সাত: হাওড়া, শিয়ালদহ, আসানসোল, মালদহ, দানাপুর, ধানবাদ ও মুঘলসরাই।

২০০২ সালের ১ অক্টোবর, পূর্ব রেলের দানাপুর, ধানবাদ ও মুঘলসরাই বিভাগ তিনটিপূর্ব মধ্য রেলের অন্তর্ভুক্ত করা হয়।[৪] বর্তমানে পূর্ব রেলের বিভাগ চারটি: হাওড়া, শিয়ালদহ, আসানসোল ও মালদহ।

রুট

শিয়ালদহ মেন স্টেশন

গুরুত্বপূর্ণ ট্রেন

  • হাওড়া রাঁচি শতাব্দী এক্সপ্রেস - পূর্ব রেলের একমাত্র শতাব্দী এক্সপ্রেস

পাদটীকা

  1. Rao, M.A. (1988). Indian Railways, New Delhi: National Book Trust, pp.13,34
  2. "Sealdah division-Engineering details"। The Eastern Railway, Sealdah division। ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ নভেম্বর ২০০৯ 
  3. Rao, M.A. (1988). Indian Railways, New Delhi: National Book Trust, pp.42-3
  4. "The Eastern Railway-About us"। The Eastern Railway। ১৪ সেপ্টেম্বর ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ নভেম্বর ২০০৯ 
  5. "Focus-Eastern Railway"। Press Information Bureau, Government of India। 

বহিঃসংযোগ