গৌড় রাজ্য
গৌড়ীয় সাম্রাজ্য গৌড় রাজ্য (Gāur Rājya) | |
---|---|
৫৯০–৬২৬ | |
![]() | |
রাজধানী | কর্ণসুবর্ণ |
ধর্ম | হিন্দুধর্ম, বৌদ্ধধর্ম |
সরকার | রাজতন্ত্র |
রাজা | |
• ৫৯৯–৬২৫ | শশাঙ্ক |
• ৬২৫–৬২৬ | মানব |
ঐতিহাসিক যুগ | মধ্যযুগ |
• প্রতিষ্ঠা | ৫৯০ |
• বিলুপ্ত | ৬২৬ |
বাংলার ইতিহাস |
---|
ধারাবাহিকের একটি অংশ |
![]() |
গৌড় রাজ্য ধ্রুপদী যুগে ভারতীয় উপমহাদেশের একটি রাজ্য ছিল, যার উৎপত্তি খ্রিস্টপূর্ব ৪র্থ শতাব্দীতে বা সম্ভবত তার আগে।[১] বঙ্গ অঞ্চলে (আধুনিক পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ) হয়েছিল।[২][৩]
অবস্থান ও বিস্তৃতি[সম্পাদনা]
গৌড় রাজ্য বাংলার ইতিহাসে বাঙালীদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত প্রথম স্বাধীন রাজ্য ছিল যার প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন রাজা শশাঙ্ক। তিনি ৭ম শতাব্দী পর্যন্ত রাজত্ব করেছিলেন; তবে কিছু ঐতিহাসিকের মতে তিনি ৫৯০ হতে ৬২৫ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্তই রাজত্ব করেছিলেন। গৌড় রাজ্যের রাজধানী, বর্তমান মুর্শিদাবাদ জেলার সদরশহর বহরমপুর থেকে ৯.৬ কিলোমিটার (৬.০ মা) দক্ষিণ-পশ্চিমে কর্ণসুবর্ণ নামক স্থানে ছিল।[২]
চৈনিক পরিব্রাজক, হিউয়েন সাং রাজা শশাঙ্ক শাসিত উড়িষ্যার একটি এলাকা থেকে কর্ণসুবর্ণ পর্যন্ত ভ্রমণ করেছিলেন।[৩] পুণ্ড্রবর্ধনও যে গৌড়ের অংশ ছিল এটা নির্দিষ্ট কোন প্রাচীন নথিতে উল্লেখ নেই।[৪]
প্রমাণ অনুযায়ী গৌড় রাজ্যের সাথে রাঢ় অঞ্চলের বিবাদ ছিল। যদিও কৃষ্ণ মিশ্রের (একাদশ অথবা দ্বাদশ শতাব্দী) "প্রবোধ-চন্দ্রোদয়"-এ উল্লেখ, আছে যে (বর্তমান) হুগলি এবং হাওড়া জেলার রাঢ় (বা রাঢ়পুরি) ও ভূরিষরেষঠিকা গৌড় রাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্ত ছিল, কিন্তু যাদব রাজা প্রথম জাইতুগির শিলালেখে উল্লেখিত যে রাঢ় গৌড় রাজ্য থেকা আলাদা।[২]
ত্রয়োদশ ও চতুর্দশ শতাব্দীর জৈন লেখকদের বিভিন্ন পাণ্ডুলিপি অনুযায়ী গৌড় বর্তমান মালদা জেলার লক্ষণাবতীর সাথে একীভূত।[২]
শশাঙ্কের মৃত্যুর পর ক্ষমতায় বসেন তার পুত্র মানব, যিনি ৮ মাস পর্যন্ত গৌড়ের শাসনকার্য চালান। তার কিছুকাল পরই গৌড়, সম্রাট হর্ষবর্ধণ এবং কামরূপের রাজা ভাস্কর বর্মণ কর্তৃক দুভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। এমনকি তারা কর্ণসুবর্ণ পর্যন্ত দখল করে নেয়।
পাল রাজারা নিজেদের বঙ্গেশ্বর (বঙ্গের পালন কর্তা) ও গৌড়েশ্বর (গৌড়ের পালন কর্তা) বলে উল্লেখ করতেন। একইভাবে সেন রাজারাও তাদের গৌড়েশ্বর হিসেবে পরিচয় দিতেন। এভাবে গৌড় এবং বঙ্গ (vanga) নামদুটি একই অর্থে অর্থাৎ একসাথে সারা বাংলার জন্য প্রচলিত হতে থাকে।[২]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ K. P. Jayaswal (১৯৩৪)। An Imperial History Of India। পৃষ্ঠা 34।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ Majumdar, Dr. R.C., History of Ancient Bengal, first published 1971, reprint 2005, pp. 5-6, Tulshi Prakashani, Kolkata, আইএসবিএন ৮১-৮৯১১৮-০১-৩.
- ↑ ক খ Ghosh, Suchandra (২০১২)। "Gauda, Janapada"। Islam, Sirajul; Jamal, Ahmed A.। Banglapedia: National Encyclopedia of Bangladesh (Second সংস্করণ)। Asiatic Society of Bangladesh।
- ↑ Bandopadhyay, Rakhaldas, Bangalar Itihas, (বাংলা), first published 1928, revised edition 1971, vol I, p 101, Nababharat Publishers, 72 Mahatma Gandhi Road, Kolkata.