কৃত্রিম শিশ্ন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
৫.৫ ইঞ্চি স্পষ্ট জেলি কৃত্রিম শিশ্ন

কৃত্রিম শিশ্ন (ইংরেজি: ডিল্ডো) পুংজননেন্দ্রি সদৃশ এক ধরনের যৌনখেলনা। বিশেষকরে হস্তমৈথুনের বা এধরনের বিকল্প রতিক্রিড়ার সময় অথবা সঙ্গীর সাথে যৌনকর্মে লিপ্ত হবার সময় যৌন প্রবেশের উদ্দেশ্যে কৃত্রিম শিশ্ন ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

বর্ণনা ও ব্যবহার[সম্পাদনা]

কৃত্রিম শিশ্ন আকৃতি-আকার, এবং সামগ্রিক চেহারার দিক দিয়ে দেখতে উলম্ব বা খাড়া পুরুষ শিশ্নের মতো। এর প্রসারিত বর্ণনা সংযুক্ত রয়েছে ভাইব্রেটর সামগ্রীতে। এটি প্রোসথেসিস এইডস অর্ন্তভুক্ত শিশ্ন যা "প্রসারণ" নামেও পরিচিত। এধরনের শিশ্ন-অকৃতির সরঞ্জাম যোনিপথে প্রবেশের জন্যে ব্যবহৃত হয়, যা মানসিকভাবে পুরুষ শিশ্নের ন্যায় ব্যবহার করা যায়। অনেকে পায়ূপথে প্রবেশের জন্যেও এটা ব্যবহার করে থাকে। মূলত কৃত্রিম শিশ্ন সব লিঙ্গের মানুষের দ্বারা ব্যবহৃত হয়ে থাকে হস্তমৈথুন এবং অন্যান্য যৌন কার্যকলাপের সময়।

ব্যবহার[সম্পাদনা]

যোনিতে কৃত্রিম শিশ্নের ব্যবহার

কৃত্রিম শিশ্নের সুস্পষ্ট ব্যবহার হচ্ছে যোনি অথবা মলদ্বারে প্রবেশ ঘটানো। কৃত্রিম শিশ্নের বস্তুকাম মূল্য রয়েছে। তবে কিছু ব্যবহারকারী অন্য উপায়েও এটি ব্যবহার করে থাকেন। উদাহরণসরূপ পূর্বরাগের সময় চামড়ার উপর চালনা করা। উপযুক্ত আকারের হলে, কৃত্রিম মুখমেহনের জন্য মৌখিক প্রবেশ কাজেও এর ব্যবহার হয়ে থাকে। কিছু সংখ্যক মূলত কৃত্রিম শিশ্ন ব্যবহার করে বিশেষভাবে জি-স্পট উদ্দীপিত করার কাজে।

স্ট্র্যাপ-অন ডিলডো[সম্পাদনা]

এই ধরনের ডিলডো ফাঁপা। পুরুষ তার লিংগ এই ডিলডো’র ভিতর পুরে নিয়ে নারীর সঙ্গে সঙ্গেম রত হতে পারে। যে সকল পুরুষের লিঙ্গোত্থান সমস্যা আছে তারা এই খেলনা ব্যবহার করতে পারে। এই ডিলডো কোমড়ে শক্ত করে বাঁধার জন্য চামড়ার স্ট্যাপ থাকে যার কারণে এর নাম স্ট্র্যাপ অন ডিলডো। অন্যদিকে নারী সমকামীরা যোনীভেদের আনন্দ লাভের উদ্দেশ্যে স্ট্র্যাপ-অন ডিলডো পরে নিয়ে একজন আরেকজনকে বিদ্ধ করতে পারে।

বাট প্লাগ[সম্পাদনা]

পায়ুপথে ঢোকানো এবং নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কৃত্রিম শিশ্নের অবস্থান করাকে বাট প্লাগ বলা হয়। কৃত্রিম শিশ্নে পায়ুপথে প্রবেশের পুনরাবৃত্তি অথবা দ্রুতলয়ে খোঁচানোর জন্য ব্যবহৃত।

আইনগত এবং নৈতিক বিষয়[সম্পাদনা]

ভারতে কিছু বিচার ব্যবস্থায় কৃত্রিম শিশ্নের বাজারজাতকরন এবং বিক্রয় অবৈধ।[১]

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র[সম্পাদনা]

এখন পর্যন্ত দক্ষিণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অনেক স্থানে এবং গ্রেট প্লেইন্‌সের কিছু স্থানে "অশ্লীল সরঞ্জাম" আইনে কৃত্রিম শিশ্ন বিক্রি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।[২] ২০০৭ সালে, ফেডারেল আপিল কোর্ট যৌনখেলনা বিক্রি নিষিদ্ধে আলাবামার আইন সমর্থন করে। ১৯৩৮ সালের অশ্লীলতা-বিরোধী আইনে প্রয়োগ (Anti-Obscenity Enforcement Act) বহাল রাখে সেপ্টেম্বর ১১, ২০০৯ সালে।[৩]

সংস্কৃতিতে কৃত্রিম শিশ্ন[সম্পাদনা]

কৃত্রিম শিশ্ন গ্রিক দানি শিল্পে দেখা যেতে পারে। কিছু টুকরায় দল যৌন বা একাকী মহিলার হস্তমৈথুন জাতীয় চিত্র দেখা যায়।[৪] খ্রিস্টপূর্ব ৬ষ্ট শতাব্দীতে, এধরনের দানি শিল্পে একটি দৃশ্য রচিত আছে যেখানে মৌখিক যৌনকর্মে লিপ্ত একজন মহিলা একজন পুরুষের উপর ঝুকে আছে এবং অন্য একজন পুরুষ তার পায়ুপথে কৃত্তিম শিশ্ন প্রবেশের চেষ্টা করছে।[৫]

৪১১ খ্রিস্টপূর্বের অ্যারিস্টোফেনিস' কমেডিতে তরা বহুবার উল্লেখিত, লাইসিসট্রাটা। ইংরেজি অনুবাদ:

LYSISTRATA
And so, girls, when fucking time comes… not the faintest whiff of it anywhere, right? From the time those Milesians betrayed us, we can’t even find our eight-fingered leather dildos. At least they’d serve as a sort of flesh-replacement for our poor cunts… So, then! Would you like me to find some mechanism by which we could end this war? [৬]

উপকরণ[সম্পাদনা]

মেহগনি কাঠের কৃত্রিম শিশ্ন

গঠন[সম্পাদনা]

লেটেক্স দ্বৈত কৃত্রিম শিশ্ন

সাধারনত, কৃত্রিম শিশ্ন, বিভিন্ন আকার-আকৃতির পুরুষ শিশ্নের বা পুংজনেন্দ্রীয় অকৃতিরও হয়ে থাকে। বর্তমানে নিখুঁতভাবে পুরুষ শারীরস্থান পুনর্গঠন করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ঢঙের, এবং আকারের কৃত্রিম শিশ্ন তৈরী হয়ে থাকে। জাপানে প্রাণী অনুরূপ এবং কার্টুন অনুরূপ কৃত্রিম শিশ্ন তৈরী হয়ে থাকে। যেমন হ্যালো কিটি। এরা মূলত খেলনা হিসেবেই বিক্রি হয়ে থাকে। ফলে অশ্লীলতা আইন থেকে বিরত থাকা যায়। কিছু কৃত্রিম শিশ্নে যৌন উদ্দীপনা র্ধক হিসেবে উপরিভাগে বুনটে লাগানো থাকে।

পাদটীকা[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. শেঠি, অতুল (২০০৮-১১-২৬)। "Palika - যৌনখেলনার স্বর্গ"Times of IndiaTimes Group। ২০১১-০৯-২৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০১-১৫ 
  2. "Lingere Store Accused of Violating State Obscenity Laws"। KBCD.com। ২৪ জানুয়ারি ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০১-১৫ 
  3. Rawls, Phillip. Court leaves Ala. sex toy ban intact, USA Today, Oct 1, 2007
  4. duBois, Paige (২০০৩)। Slaves and other objects। University of Chicago Press। পৃষ্ঠা 85। আইএসবিএন 0-226-16787-9 
  5. Boardman, John (১৯৭৫)। Athenian Red Figure Vases: the Archaic Period। Thames & Hudson। পৃষ্ঠা 85আইএসবিএন 0-500-20143-9 
  6. "Aristophanes' Lysistrata, Translated by George Theodoridis"। ২০০০। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১২-১৮ 

গ্রন্থপঞ্জি[সম্পাদনা]

  • Haberlandt, M. ১৮৯৯। "Conträre Sexual-Erscheinungen bei der Neger-Bevölkerung Zanzibars", Zeitschrift für Ethnologie, ৩১: ৬৬৮–৬৭০।
  • Marshack, A. ১৯৭২। The Roots of Civilization: The Cognitive Beginnings of Man's First Art, Symbol and Notation। নিউ ইয়র্ক: McGraw-Hill. আইএসিএন ০-২৯৭-৯৯৪৪৯-২
  • টেলর, টি.। ১৯৯৬। The Prehistory of Sex: Four Million Years of Human Sexual Culture। নিউ ইয়র্ক: বেনটাম। আইএসিএন ০-৫৫৩-০৯৬৯৪-X.
  • ভাসেই, পিএল। ১৯৯৮। "Intimate Sexual Relations in Prehistory: Lessons from Japanese Macaques", World Archaeology ২৯(০৩):৪০৭–৪২৫।
  • ওয়াগনার, পিটার (১৯৮৭)। "অধ্যায় ২: The discourse on sex - or sex as discourse: eighteenth-century medical and paramedical erotica"। পর্টার, রায়; সেবাস্টিয়ান রুশো, জর্জ। Sexual Underworlds of the Enlightenment। ম্যানচেস্টার ইউনিভার্সিটি প্রেস। আইএসবিএন ০-৭১৯-০১৯৬১-৩ |আইএসবিএন= এর মান পরীক্ষা করুন: invalid character (সাহায্য)