বিষয়বস্তুতে চলুন

শিরোনামহীন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(কাজী আহমাদ শাফিন থেকে পুনর্নির্দেশিত)
শিরোনামহীন
২০১৯ সালে শিরোনামহীন (বাম থেকে): সাইমন চৌধুরী, কাজী আহমাদ শাফিন, শেখ ইশতিয়াক, দিয়াত খান, এবং জিয়াউর রহমান জিয়া
প্রাথমিক তথ্য
উদ্ভবঢাকা, বাংলাদেশ
ধরন
কার্যকাল১৯৯৬-বর্তমান
লেবেল
সদস্য
  • জিয়াউর রহমান জিয়া (১৯৯৬–বর্তমান)
  • কাজী আহমাদ শাফিন (২০০৩-বর্তমান)
  • শেখ ইশতিয়াক (২০১৭-বর্তমান)
  • সাইমন চৌধুরী (২০১৭-বর্তমান)
  • দিপু সিনহা (?-বর্তমান)
প্রাক্তন
সদস্য
  • তানজির তুহিন (২০০০-২০১৭)
  • রাসেল কবির (২০১১-২০১৭)
  • দিয়াত খান (২০১০-বর্তমান)
  • রাজিব (২০০৮-২০১০)
  • ইয়াসির তুষার (২০০২-২০০৯)
  • ফারহান করিম (২০০২-২০০৬)
  • প্রিন্স (২০০৫-২০০৬)
  • মহিন (২০০০)
  • জুয়েল (১৯৯৬-১৯৯৯)
  • বুলবুল হাসান (১৯৯৬–২০০০; ২০০৩-২০০৫)
ওয়েবসাইটshironamhin.net

শিরোনামহীন ১৯৯৬ সালে গঠিত ঢাকা ভিত্তিক বাংলা রক ব্যান্ড। ১৯৯০-এর দশকের শেষের দিকে ঢাকার আন্ডারগ্রাউন্ড সঙ্গীত থেকে উঠে এসে প্রোগ্রেসিভ রক, সাইকেডেলিক রক এবং লোক ধাঁচের সঙ্গীতের জন্য তারা খ্যাতি অর্জন করে। গানের দর্শন, সুর এবং জনবহুল সরাসরি পরিবেশনার জন্য দলটি বাংলা প্রোগ্রেসিভ রক ধারার শীর্ষস্থানীয় ব্যান্ডগুলির একটি হয়ে ওঠে।

শিরোনামহীন ১৯৯৬ সালে স্থাপত্য প্রকৌশল শিক্ষার্থী জিয়াউর রহমান জিয়া (বেস), জুয়েল (গিটার) ও বুলবুল হাসান (কণ্ঠ)- এই তিনজন তরুণের সমন্বয়ে গঠিত হয়। ২০০২ সালে চতুর্থ সদস্য হিসেবে কণ্ঠশিল্পী তানজির তুহিন দলে যোগ দেন। জিয়া, ব্যান্ডের প্রাথমিক গীতিকার এবং ধারণাগত নেতা হয়ে ওঠে এবং ২০০৪ সালে তাদের প্রথম অ্যালবাম জাহাজী প্রকাশ করে। পরবর্তীতে তারা সমালোচনাপূর্ণ এবং বাণিজ্যিকভাবে সফল অ্যালবাম ইচ্ছে ঘুড়ি (২০০৬), বন্ধ জানালা (২০০৯), রবীন্দ্রনাথ (২০১০) এবং শিরোনামহীন (২০১৩) প্রকাশ করে। তাদের "হাসিমুখ" (২০০৪) গানটি মুক্তির পর ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। এছাড়াও তাদের জনপ্রিয় গানের মধ্যে "পাখি" ২০০৬ সালে সেরা গান বিভাগে সিটিসেল-চ্যানেল আই মিউজিক পুরস্কার লাভ করে। ব্যান্ডটি এছাড়াও দুটি চলচ্চিত্রের স্কোর পরিচালনা করেছে।

ব্যক্তিগত অন্তর্দ্বন্দ্বের কারণে ২০১৭ সালে তুহিন শিরোনামহীন ত্যাগ করেন। পরবর্তীতে নতুন ভোকাল হিসেবে শেখ ইশতিয়াক ব্যান্ডে যোগ দেন। এরপর ব্যান্ডটি ২০২২ সালে অনলাইন প্লাটফর্মে তাদের ষষ্ঠ অ্যালবাম পারফিউম মুক্তি দেয়। একই বছর ব্যান্ডের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে দা অনলি হেডলাইনার নামে একটি লাইভ অ্যালবাম প্রকাশ করে।

২০০৮ সালের ১ আগস্ট শিরোনামহীন বাংলাদেশ মিউজিকাল ব্যান্ড সমিতির (বামবা) সদস্যপদ লাভ করে। ২০১০ সালে শিরোনামহীন ব্যান্ডের ওপর একটি তথ্যচিত্র প্রকাশিত হয়।

ইতিহাস

[সম্পাদনা]

১৯৯৬–২০০৪: প্রারম্ভিক বছর

[সম্পাদনা]

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) স্থাপত্য প্রকৌশল বিষয়ে অধ্যয়নকালে জুয়েলের সঙ্গে পরিচত ছিলেন জিয়াউর রহমান জিয়া। ইতোপূর্বে জিয়া ১৯৯২ গঠিত থ্র্যাশোল্ড নামের একটি থ্রাশ মেটাল ঘরানার ব্যান্ডে বাজাতেন।[১] নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি বুলবুল হাসানের সাথে জিয়ার সাক্ষাত ঘটে। বুলবুল সে সময় ছায়ানটে অধ্যয়নরত।[২] ১৯৯৬ সালে তারা তিনজন মিলে একটি ব্যান্ড গঠন করেন।[বিদ্র ১][৪] মূল কণ্ঠে বুলবুল এবং গিটারে জুয়েল ও জিয়া মিলে প্রথমদিকে তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আঙিনা, টিএসসি, মধুর ক্যান্টিন, হাকিম চত্বর, আর্টস ক্যাফেটেরিয়া এবং কাছাকাছি জনাকীর্ণ স্থানে ঘরোয়া পরিবেশনে অংশ নিতে থাকে।[৫] শুরু থেকেই গান লেখা আর সুর করতেন জিয়া।[৪] প্রাথমিকভাবে তারা প্রায় পঞ্চাশটি গান তৈরি করে।[৬] ১৯৯৬ সালের পহেলা বৈশাখে,[৭] ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে পদাতিক নাট্য সংসদের আয়োজনে শিরোনামহীন নামে তারা প্রথম মঞ্চে পরিবশেন করে।[বিদ্র ২][৪] শিক্ষাঙ্গণভিত্তিক প্রাথমিক জনপ্রিয়তা লাভের পর তারা একের পর এক পরিবেশনের আমন্ত্রণ পেতে শুরু করে।[৫] এর কিছুদিন পর চারুকলা অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বকুলতলায় পরিবেশন করে শিরোনামহীন।[২] সে সময়ে ব্যান্ডটির বাদ্যযন্ত্রেও পরিবর্তন আসে। তারা পরিবেশনায় প্লাগ্ড গিটার, সরোদড্রাম ব্যবহার শুরু করে। সে সময়ের মঞ্চে পরিবেশনকৃত সব গানই তাদের নিজেদের রচিত ছিল বলে শ্রুোতাদের আগ্রহের বিষয় হয়ে ওঠে। তাদের ভিন্নধর্মী সঙ্গীতশৈলী ও গানের কথা সেসময় তাদের খ্যাতি অর্জনে সহায়তা করে।

রবীন্দ্রসঙ্গীতনজরুলগীতিতে পারদর্শী তাদের তৎকালীন ভোকাল বুলবুল ব্যান্ডের সাথে নিজেকে মানিয়ে তুলতে না পারায় ২০০০ সালে দল ত্যাগ করেন। ব্যান্ডে ভোকাল হিসেবে যোগ দেন মহিন।[৪] এরপর সম্পূর্ণ বাদ্রযন্ত্র সমন্বয়ে শিরোনামহীন পরিবেশনা শুরু করে।[৫] একই বছর "স্টার সার্চ: বেনসন অ্যান্ড হেজেস" প্রতিযোগিতায় রানার্সআপ হয় শিরোনামহীন।[৪] অন্যদিকে মহিন দেশ ত্যাগ করায়, ২০০০ সালের ডিসেম্বরে নতুন ভোকাল হিসেবে মহিনের স্থলাভিষিক্ত হন তানজির তুহিন[বিদ্র ৩][৪] জিয়া এবং তুহিন দুজনই সে সময়ে বুয়েটে সহপাঠী ছিলেন।[বিদ্র ৪] ২০০৩ সালে ফারহান করিম (সরোদ) ও ইয়াসির তুষার (গিটার) ও কাজী আহমাদ শাফিন (ড্রাম) দলে যোগদান করেন।[বিদ্র ৫][৪]

জাহাজী (২০০৪)

[সম্পাদনা]
জাহাজী
জাহাজী অ্যালবামের শিল্পকর্ম

নতুন লাইনআপে প্রায় বছর তিনেক কাজের পর এবং ব্যান্ড গঠনের প্রায় আট বছর পর শিরোনামহীন তাদের প্রথম অ্যালবাম প্রকাশ করে। ২০০৩ ডিসেম্বরে র‍্যাবিট কমিউনিকেশন স্টুডিওতে শিরোনামহীন তাদের কিছু গান রেকর্ড করে। বিভিন্ন সেশনে তারা গানগুলি রেকর্ডের কাজ করেছিল। একটি সেশনে তারা "শুভ্র রঙিন", "শহরের কথা" এবং "হাসিমুখ" গানগুলি রেকর্ড করে।[৮] ২০০৪ সালের জানুয়ারিতে জি-সিরিজ থেকে জাহাজী অ্যালবামটি মুক্তি পায়। অ্যালবামটিতে শিরোনাম ট্র্যাকসহ ১১টি গান সংকলিত হয়েছে। সাতটি গান এককভাবে রচনা করেছেন জিয়া। অন্যদিকে তুহিন এবং ফারহান দুইটি করে যথাক্রমে "নদী" ও "হয় না", "নিশ্চুপ আঁধার" ও "ঘুম" গানগুলি রচনা করেন। ব্যান্ডের একমাত্র অ্যালবাম হিসেবে জাহাজি প্রাথমিকভাবে অধিকাংশ রেকর্ড লেবেল সংস্থা কর্তৃক প্রকাশে অস্বীকৃত এবং প্রত্যাখ্যাত হয়েছিল।[৮] নগরজীবন এবং জীবনসংগ্রাম মূলত অ্যালবামটির ভিত্তি, যার প্রকাশ রয়েছে শিরোনাম ট্র্যাকে। যুবক নাবিকের স্বাভাবিক দৈনন্দিন জীবনচিত্র সন্ধানের উপাদানগুলি চিত্রিত করার চেষ্টা করা হয়েছে অ্যলবামের সুর ও গানের কথায়। সাংস্কৃতিক আগ্রহ, জনাকীর্ণ নগরদৃশ্য, ব্যস্ত ট্রাফিকের জীবন ইত্যাদি রূপক এবং ঘটনাগুলি অ্যালবামটির উপজীব্য হয়ে উঠেছে। মূলত আধুনিক শহুরে মানুষের জীবনবোধ এবং নিত্য সংগ্রামচিত্র বিবৃত করার চেষ্টা করা হয়েছে অ্যালবামটিতে। মুক্তির পর অ্যালবামটি প্রাথমিক সাফল্য পেয়েছিল।[৫] অ্যালবামের সাইকেডালিক রক ঘরানার "হাসিমুখ" গানটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে।[৯] বলা যায় "হাসিমুখ" গানটাই শিরোনামহীনকে পরিচিতি এনে দিয়েছে। জিয়া ১৯৯৮ সালে গানটি রচনা ও সুর করেছিলেন।[৯] টেলিভিশন বিজ্ঞাপনেও গানটি ব্যবহৃত হয়েছিল। অ্যালবামের প্রচ্ছদে একজন স্যুট-টাই পরিহিত লোকের লাফ দেয়ার ছবি রয়েছে, যেই লোকটি রূপক অর্থে একজন জাহাজী।[১০] অ্যালবামটি মুক্তির কিছুদিন পরই পিএইচডি করতে অস্ট্রেলিয়ায় চলে যান দলটির সরোদবাদক ফারহান। পরে জিয়া ও শাফিন সরোদ বাজানো শুরু করেন।[৪]

২০০৫–২০১৩: অবস্থান্তর ও সাফল্য

[সম্পাদনা]

২০০৫ সালের দিকে শিরোনামহীন বিভিন্ন সঙ্গীত উপাদান নিয়ে কাজ করতে থাকে। এসময়ে তারা মিক্স-অ্যালবামে নিজেদের সংকলন শুরু করে। ২০০৬ সালে জি-সিরিজের ব্যানারে প্রকাশিত স্বপ্নচূড়া ২ অ্যালবামে তাদের "গোধূলী" গানটি প্রকাশিত হয়।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

ইচ্ছে ঘুড়ি (২০০৬)

[সম্পাদনা]

২০০৬ সালে, শিরোনামহীন তাদের দ্বিতীয় অ্যালবাম ইচ্ছে ঘুড়ি রেকর্ডের জন্য জি-সিরিজ স্টুডিওসে ফিরে আসে। অ্যালবামটিতে তারা কিছু নিরীক্ষা করার চেষ্টা করেছিল। সরাসরি পরিবেশনার জন্য উপযুক্ত রচনাগুলিতে পরিপক্কতা আনতে নিজস্ব শৈলী ঠিক করার প্রচেষ্টা করে তারা। গানের কথায় শহুরে সংকট প্রকাশের চেষ্টা রয়েছে যদিও তারা কোনও মন্তব্য বা পরামর্শ প্রদানের চেষ্টা করেননি। "ক্যাফেটেরিয়া" গানটি স্বতন্ত্র কোণ থেকে বিচার করার গল্প। এটি এমন এক মুহুর্তের উপর ভিত্তি করে তৈরি যে কেউ তার ক্যাম্পাসের ক্যাফেটেরিয়ায় প্রবেশ করে এবং আড্ডায় চারপাশের শব্দ এবং ধোঁয়ার মধ্যে দুটি নীরব চোখ অনুভব করে। মূলত এটি নস্টালজিক গান। পরবর্তীতে ২০২০ সালে "ক্যাফেটেরিয়া পেরিয়ে" শিরোনামে গানটির একটি সিক্যুয়েল প্রকাশিত হয়।[১১] এছাড়াও অ্যালবামের জনপ্রিয় গানের মধ্যে "পাখি" ২০০৬ সালে সেরা গান বিভাগে সিটিসেল-চ্যানেল আই মিউজিক পুরস্কার লাভ করে।[৪]

বন্ধ জানালা (২০০৯)

[সম্পাদনা]

২০০৮ সালে নতুন সদস্য হিসেবে রাজীব (কিবোর্ড) যোগ দেয়ার পর পর তারা বন্ধ জানালা অ্যালবামের কাজ শুরু করে।[৪] ২০০৯ সালে জি-সিরিজ এবং অগ্নিবীণার প্রযোজনায় অ্যালবামটি প্রকাশিত হয়।[১২] অ্যালবামটিতে শিরোনাম ট্যাকসহ ১০টি গান সংকলিত হয়েছে। অ্যালবামটিতে এসরাজ, বোধন (আইরিশ উপকরণ), ব্যাঞ্জো, স্যাক্সোফোন এবং ট্রাম্পেটের ব্যবহার রয়েছে যা মূলধারার পপ বা রক সঙ্গীতে প্রায়শই ব্যবহৃত হয় না।[১২] সেদিক থেকে বন্ধ জানালা শিরোনামহীনের জন্য কিছুটা চ্যালেঞ্জ ছিল। অ্যালবামটি প্রাণবন্ত সুরসংযোজনে সমৃদ্ধ ছিল। গীতিধর্মীর দিক থেকে শিরোনামহীন তাদের ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠিত শহুরে জীবনধারা ও তার কিছু বড় দৃষ্টিকোণ নিয়ে, সেই সাথে ঐতিহাসিক ঘটনা বা আন্দোলন নিয়ে কাজ করতে চেয়েছে। তাদের "বাস স্টপেজ" গানটি একটি বাস স্টপের চারপাশে নিয়মিত জীবনচিত্রের ওপর ভিত্তি করে। যার একটি চরিত্র তার স্বপ্নকে কোনো কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে। তাই জিয়া লিখেছে, "কিছু স্বপ্ন বিক্রি করে যারা"।[১০]

রবীন্দ্রনাথ (২০১০)

[সম্পাদনা]
শিরোনামহীন রবীন্দ্রনাথ
রবীন্দ্রনাথ (২০১০) অ্যালবাম প্রচ্ছদের সম্পাদিত ছবিতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে দলের সদস্যরা

"আমরা বিশ্বাস করি রবীন্দ্রনাথ নিজেই একটি সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান।"

—শিরোনামহীন

২০১০ সালে তুষারের পরিবর্তে গিটারবাদক হিসেবে দিয়াত খান ব্যান্ডে যোগ দেন।[বিদ্র ৬][৪] বন্ধ জানালা অ্যালবামের সাফল্যের পর শিরোনামহীন ভিন্নধারায় তাদের চতুর্থ অ্যালবাম প্রকাশের ঝুঁকি নেয়।[১৩] বাঙ্গালি বহুবিদ্যাবিশারদ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সার্ধশত মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ২০১০ সালে প্রকাশিত অ্যালবামের নাম রবীন্দ্রনাথ,[২] যেটি মূলত দলটির রক ধারায় রবীন্দ্রসঙ্গীত সংকলন।[১৪] একইসাথে বাংলাদেশে কোনো ব্যান্ডের এটিই ছিল প্রথম রবীন্দ্রসঙ্গীত অ্যালাবাম।[৫] বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে অধ্যয়নকালে তুহিন রবীন্দ্রসঙ্গীতে তামিল নিয়েছিলেন।[১৫] ফলে মূলত তুহিনের আগ্রহ এবং পরিকল্পনায় অ্যালবামটির কাজ শুরু হয়।[১৬] শিরোনামহীন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে বাঙালি সংস্কৃতির একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিবেচনা করে মনে করে, বাঙালি হিসাবে সংস্কৃতি বিষয়ে ন্যূনতম সংবেদনশীল যে কারো রবীন্দ্রনাথকে জানা উচিত। অ্যালবামটিতে তারা ঠাকুরকে শ্রদ্ধা জানায়। রবীন্দ্রনাথের প্রেমের গান থেকে শুরু করে পশ্চিমা ধাঁচের গানও স্থান পেয়েছে অ্যালবামটি।[১৩] তুহিনের মতে, রবীন্দ্রসঙ্গীতের গানের কথায় বৈষ্ণবউপনিষদিক আদর্শের সমন্বয়ের পাশাপাশি ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীত, লোকসঙ্গীত ও পাশ্চাত্য সুরের ত্রিবেণীসংগম ঘটেছে।[১৩] জিয়া মনে করেন, শিরোনামহীনের অনেক ভক্ত, বিশেষত কিশোর-কিশোরীরা রবীন্দ্রসঙ্গীতের সাথে তেমন পরিচিত নন। ফলে এটি তরুণ শ্রোতাদের মধ্যে রবীন্দ্রনাথের প্রতি আগ্রহ বাড়ানোর প্রয়াস।[১৪]

রবীন্দ্রনাথ রচিত ২২১২টি গানের মধ্য থেকে কালজয়ী নয়টি গান অ্যালবামটিতে যুক্ত হয়েছে।[১৩][১৬] রবীন্দ্র স্বরলিপির মূল কথা ও সুর ঠিক রাখতে ৬৪টি খণ্ডে প্রকাশিত স্বরবিতানের সহায়তায় নেয় তারা।[১৩] অ্যালবামের সঙ্গীত রচনায় ধ্রুপদী, বাউল, লোক, র্কীতন, ভাবানুবাদ এমনকি পশ্চিমা সঙ্গীতের মিশ্রণ ঘটেছে।[১৩] রবীন্দ্রসঙ্গীতগুলোর সুরোরোপে তারা দেশি-বিদেশি ৩৯টি বাদ্যযন্ত্র ব্যবহার করে।[৮][১৩] এই অ্যালবামের জন্য তারা রেইনমেকার, দারবুকা, টিনের বাঁশি এবং বোধ্রান ইত্যাদি বাদ্যযন্ত্র ব্যবহার করে। রবীন্দ্রগবেষক ও ছায়ানটের শিল্পীদের মতামত গ্রহণের মাধ্যমে অ্যালবামটি প্রকাশিত হয়েছিল।[১৩] প্রাথমিকভাবে অ্যালবামটির কাজ শেষ হওয়ার প্রায় চার মাস পরও দলটি পছন্দসই প্রকাশনা সংস্থা পায় নি।[১৬] অ্যালবামের প্রচ্ছদেচিত্রে রবীন্দ্রনাথের চারপাশে দলটির সদস্যরা শিষ্য হিসেবে উপস্থিত হয়েছে।[১৪][১৬] মূলত এটি ছিল রক ধারায় ধ্রপদী সঙ্গীতের পরিবেশন।[১৭] প্রকাশের পর অ্যালবামটি বাণিজ্যিক সাফল্য লাভ করেছিল।[১৮]

শিরোনামহীন (২০১৩)

[সম্পাদনা]
শিরোনামহীন
তুহিনের পরিকল্পনায় জিয়ার নকশাকৃত[১৯] শিরোনামহীনের সর্বশেষ অ্যালবাম শিরোনামহীন (২০১৩)

রবীন্দ্রনাথ প্রকল্পের পর ২০১০ সাল থেকে শিরোনামহীন নতুন অ্যালবামের গান নিয়ে কাজ শুরু করে।[১৯] ২০১১ সালে রাজীবের পরিবর্তে রাসেল কবির (কিবোর্ড) ব্যান্ডে যোগ দেন।[বিদ্র ৭][৪] ১৭ বছরের সঙ্গীত সফরের পরে শিরোনামহীন ২০১৩ সালে তাদের প্রথম স্ব-শিরোনাম[বিদ্র ৮] এবং পঞ্চম অ্যালবাম "শিরোনামহীন" প্রকাশ করে। ২৫টি গানের মধ্য থেকে নির্বাচিত ১০টি গান অ্যালবামটিতে প্রকাশিত হয়েছে। গানগুলি ঢাকার বাংলামোটরের ইনকার্সন মিউজিকে রেকর্ড করা হয়।[২০] অ্যালবামের "আবার হাসিমুখ" গানটি তাদের পূর্রবর্তী "হাসিমুখ" গানের একটি সংস্করণ।[২১] তানিম রহমান অংশুর পরিচালনায় "আবার হাসিমুখ" গানটির একটি মিউজিক ভিডিও নির্মাণ করা হয়েছে, যেখানে অভিনয় করেছেন ২০০৭ সালের মিস বাংলাদেশ বিজয়ী জান্নাতুল ফেরদৌস পিয়া[২২][২৩] অ্যালবামটির মাধ্যমে শিরোনামহীন অতীতের জানালার মাধ্যমে নতুন আলোকে আমন্ত্রণ জানাতে তাদের স্বীকারোক্তি, চাহিদা, ক্রোধ, আশা এবং প্রত্যাশা সংকলনের প্রচেষ্টা চালায়। গীতিকথার দৃষ্টিকোণ থেকে অ্যালবামটি নেতিবাচক জীবনযাপনের ইতিবাচক দিক বর্ণনা করে। সাঙ্গীতিকভাবে শিরোনামহীন বেহালা, চেলো, পাবলিক ক্লাসিক অর্কেস্ট্রেশনে রক গিটার, বেস এবং ড্রামের সাথে মিশ্রিত কনট্রাবাস বিভাগের উপর ভিত্তি করে সঙ্গীত রচনা করে।

প্রথমবারের মত দলটি তাদের কোনো অ্যালবামের সংগ্রাহক সংস্করণ প্রকাশ করে। সংস্করণে যুক্ত হয়েছে সিডি, ও কাপড়ের মলাটে বাধাইকৃত বই যুক্ত করা হয়ছে। যেখানে গানের লিরিক, লিরিকের পটভূমিসহ প্রাসঙ্গিক তথ্য সংকলিত হয়েছে। অ্যালবামটিতে শিরোনামহীন দলের সদস্য এবং সাথে জড়িত ব্যক্তিদের স্মরণ করিয়েছেন, যারা অন্তত একবার হলেও শিরোনামহীনের হয়ে কাজ করেছিল।[২৪] তানজির তুহিনের পরিকল্পনায় জিয়া নিজেই অ্যালবাম প্রচ্ছদ নকশা করেছেন। ২০১৪ সালে ১৪ এপ্রিল লেজার ভিশন অ্যালবামটির একটি কালেক্টরস সংস্করণ প্রকাশ হয়।[১৯]

২০১৪ থেকে সাম্প্রতিক বছরগুলি

[সম্পাদনা]

অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশন

[সম্পাদনা]

২০১৪ সালের ১৩ এপ্রিল, প্রথম বাংলা ব্যান্ড হিসেবে ব্যান্ডটি শিরোনামহীন নামে তাদের প্রাতিষ্ঠানিক অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশন চালু করে। ব্যান্ড সদস্যদের সম্পর্কে বিস্তারিত, পঞ্চম অ্যালবামের গানসমূহ, গানের কথা, আলোকচিত্র এবং ব্যান্ডের কার্যক্রমের হালনাগাদ এই অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে পাওয়া গিয়েছে।[৭][২৫] অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে বিনামূল্যে ব্যান্ডের শিরোনামহীন অ্যালবামের সবকটি গান শুনতে পারার সুযোগ রয়েছিল।[২৬]

২০১৭: তুহিনের প্রস্থান এবং আইনি যুদ্ধ

[সম্পাদনা]
২০১৪ সালে শিরোনামহীনের কনসার্টে তুহিন

২০১৭ সালের দিকে প্রধান ভোকাল তানজির তুহিন অন্তর্দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ে,[২৭][২৮] পরবর্তীতে ৭ অক্টোবর তিনি ব্যান্ড ত্যাগ করেন।[২৯] সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তিনি জানান যে "আমি তানযীর তুহিন, ব্যক্তিগত কারণে শিরোনামহীন ছাড়ছি, কিন্তু গান নয়।"[৩০][৩১] বাকিদের নিয়ে জিয়া শিরোনামহীন হিসেবে নিজেদের অব্যহত রাখেন।[৩২] শেখ ইশতিয়াক নতুন ভোকাল হিসেবে যোগ দেন।[২][২৯] তুহিনের ব্যান্ড ত্যাগের মুহূর্তে শিরোনামহীন একাধিক অডিশনের মাধ্যমে ভোলাল সন্ধানের প্রক্রিয়া চালায়। ব্যান্ডটি তাদের "যাদুকর" গানটি ভিন্ন দুইজন ভোকালকে দিয়ে রেকর্ডিং করানোর মধ্য দিয়ে ইশতিয়াকে নির্বাচন করে।[১০]

২০১৮ সালে তুহিন আভাস নামে নতুন ব্যন্ড গঠন করেন। ২০১৯ সালে বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসের ভাষ্য অনুযায়ী শিরোনামহীনের গানসমূহের গীতিকার এবং সুরকার সূত্রে আইনগত সত্ত্বাধিকারী ছিলেন দলটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য জিয়া।[৩৩] সেক্ষেত্রে তার অনুমতিসাপেক্ষে গানগুলির পরিবেশনের আইনত বাধ্যবাধকতা রয়েছে।[৩৪][৩৩] সে বছরই আগস্টে কপিরাইট অফিসের রায়কে তুহিন মতামত অগ্রাহ্য করেন। শিরোনামহীন আগস্টেই আদালতে অভিযোগ জানায়। আদালত তুহিন এবং তার ব্যান্ড আভাসকে শিরোনামহীনের গান পরিবেশনে আইনগত নিষেধাজ্ঞা জারি করে।[৩৪][৩৩] পরবর্তীতে রায়ের বিরুদ্ধে আভাস ব্যান্ড আপিল জানায়। ২০১৯ সালের ২১ অক্টোবর শিরোনামহীন ব্যান্ডের ৪৯টি গানের বিষয়ে আদালতের দেয়া নিষেধাজ্ঞার আদেশ ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে উচ্চ আদালত[৩৪][৩৩] ফলে ২০২০ সাল নাগাদ তুহিন এবং তার নতুন ব্যান্ড ‘আভাস’ গানগুলো পরিবেশন করতে পারছিলেন।[৩৪][৩৩] পরবর্তীতে উক্ত আইনেই প্রেক্ষিতে শিরোনামহীন ব্যান্ড দল পুনারায় উচ্চ আদালতে আপিল জানালে ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি শিরোনামহীন নিজেদের পক্ষে মাললা জিতে।[৩৩][৩৫]

পারফিউম (২০২২)

[সম্পাদনা]

মূল কণ্ঠশিল্পী হিসেবে তুহিনের স্থানে শেখ ইশতিয়াক স্থালভিষিক্ত হবার পর, শিরোনামহীন আটটি একক গান প্রকাশ করে।[৩৬] সবগুলি গানই রচনা করেন জিয়া। গানগুলি শিরোনামহীনের সর্বশেষ পারফিউম অ্যালবামে প্রকাশিত হয়, যেটি ২০২২ সালের ১৯ মে অনলাইন প্লাটফর্মে মুক্তি পায়।

২০১৭ সালের ৭ ডিসেম্বর দিয়াত খানের সুরে "জাদুকর" গানটি প্রকাশিত হয়।[২৯] এটি ইশতিয়াকের গাওয়া দলটির জন্য প্রথম গান।[৩৭] গানটির সঙ্গীত ভিডিও পরিচালনা করেছেন পরিচালক আশরাফ শিশির[৩৮] প্রকাশের পর গানটি মিশ্র প্রতিক্রিয়া লাভ করে।[৩৯] ২০১৮ সালের ৭ জানুয়ারি শাফিনের সুরে "বোহেমিয়ান" গানটি প্রকাশিত হয়। শিরোনামহীনের সাথে এটি ইশতিয়াকের দ্বিতীয় গান।[৪০] গানটির সঙ্গীত ভিডিও পরিচালনা করেছেন শিশির।[৪১] একই বছরের ৮ মার্চ শাফিন এবং জিয়ার যৌথ সুরে প্রকাশিত হয় "বারুদ সমুদ্র"।[৪২] ২০১৯ সালের ৩০ মে শাফিনের সুরে "এই অবেলায়" গানটি প্রকাশিত হয়।[৪৩] গানটির সঙ্গীত ভিডিও নির্মাণ করছেন ব্যান্ডটির "বন্ধ জানালা" গানের নির্মাতা মীর শরীফুল করিম শ্রাবণ।[৪৪]

২০২০ সালে দলটি তাদের দুই যুগ পূর্তি পালন করে। ২০২০ সালের ১৪ এপ্রিল শিরোনামহীন "ক্যাফেটেরিয়া পেরিয়ে" শিরোনামে একটি গান প্রকাশ করে।[৪৫] এটি তাদের পূর্ববর্তী ইচ্ছে গুড়ি (২০০৬) অ্যালবামের "ক্যাফেটেরিয়া" গানের সিক্যুয়েল। গানের কথা ও সুর করেছেন জিয়া এছাড়াও তিনি গানটিতে চেলো বাজিয়েছেন। পাশাপাশি সরোদ বাজিয়েছেন শাফিন।[১১] শিরোনামহীনের অন্যান্য গানের মতোন এই গানটির মিউজিক ভিডিও নির্মাণ করেছেন শিশির।[৪৬] এছাড়াও অর্থহীন ব্যন্ডের গিটারবাদক শিশির আহমেদ গানটির মিউজিক ভিডিওতে অতিথি শিল্পী হিসেবে গিটার পরিবেশন করেন।[৪৭] ২০২১ সালের ৭ মে "কাশফুলের শহর দেখা" শিরোনামে এই অ্যালবামের সপ্তম গান প্রকাশিত হয়। এই গান সম্পর্কে ব্যান্ডের দলনেতা জিয়া বলেন, ‘ভাইরালের যুগে বিপন্ন সময়ে বোতলভর্তি আশা নিয়ে এসেছে শিরোনামহীন। সবার বোধকে নাড়া দেয়ার শক্তি এই ছোট্ট বোতলভর্তি কাশফুলের হয়তো নেই। কিন্তু শিরোনামহীন রুচিশীল শ্রোতাদের জন্যই গান তৈরি করে। তাদের হতাশাকে আশায় পরিণত করতেই এ গান।’[৪৮] গানটির সঙ্গীত ভিডিও নির্মাণ করছেন নাইমুল বানিন।[৪৯] ২০২২ সালের ১৯ মে এই অ্যালবামের সর্বশেষ গান "পারফিউম" মুক্তি পায়।[৫০]

বাতিঘর (২০২৪)

[সম্পাদনা]

শিরোনামহীনের অষ্টম অ্যালবাম ‘বাতিঘর’ এর গানগুলো একটা একটা করে তারা প্রকাশ করা শুরু করে। এই অ্যালবামের প্রথম গান 'বাতিঘর' ২০২৪ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি তাদের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ পায়। এই অ্যালবামের মোট ১০টি গান থাকবে।[৫১]

সাঙ্গীতিক দক্ষতা

[সম্পাদনা]
২০১৮ সালে ঢাকায় জয় বাংলা কনসার্টে দিয়াত ও জিয়া

বাংলাদেশের প্রথম দিককার প্রোগ্রেসিভ এবং সাইকেডেলিক সঙ্গীত দলগুলির অগ্রদূত হিসেবে বিবেচিত শিরোনামহীন তাদের সঙ্গীতজীবন শুরু করেছিল ঢাকার আন্ডারগ্রাউন্ড সঙ্গীতের মাধ্যমে। বহুবাদ্যযন্ত্রবিশিষ্ট দল হিসেবে সঙ্গীতে বিভিন্ন যন্ত্রের সমন্বয় শিরোনামহীনকে অনন্য করে তুলেছে। ২০১১ সালে বিবিসির সাথে এক সাক্ষাৎকারে তুহিন জানান, শিরোনামহীনের গানে প্রেম বা বিরহের তুলনায় জীবনবোধ এবং দর্শন রয়েছে।[৫২] শুরু থেকেই গতানুগতিক বাংলা গানের ধারার বাইরে তারা গান করে আসছেন।[৫২]

চলচ্চিত্রের সুর

[সম্পাদনা]

শিরোনামহীন, ২০১৫ সালে, তন্ময় তানসেন পরিচালিত পদ্ম পাতার জল চলচ্চিত্রের জন্য "পদ্ম পাতার জল" শিরোনামে একটি গান রচনা এবং পরিবেশন করে। ২০১৯ সালের ২৮ এপ্রিল আশরাফ শিশির পরিচালিত চলচ্চিত্র ইতিহাসের দীর্ঘতম চলচ্চিত্র (২০১৯-এর হিসেবে[৫৩]) আমরা একটা সিনেমা বানাবো চলচ্চিত্রের জন্য জিয়াউর রহমানের কথা ও সুরে "এই রাতে" গানটি মুক্তি দেয়া হয়।[৫৪]

সরাসরি পরিবেশনা

[সম্পাদনা]

সরাসরি সঙ্গীত পরিবেশনায় শিরোনামহীন তাদের ক্যাম্পাসভিত্তিক কনসার্টের জন্য পরিচিত। ২০১৪ সালে শ্রীলঙ্কায় গল মিউজিক উৎসবে অংশ নেয় শিরোনামহীন।[৫৫] যেখানে নরওয়ে, ব্রাজিল, ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে শ্রোতা ও ব্যান্ডের সমারোহ ঘটেছিল।[৮][৫৬][৫৭] ২০১৬ সালের নভেম্বরে মালয় বিশ্ববিদ্যালয়ে শিরোনামহীন পরিবেশন করে।[৫৮]

স্বীকৃতি ও প্রভাব

[সম্পাদনা]

শিরোনামহীন বাংলাদেশের সর্বাধিক বাণিজ্যিকভাবে সফল এবং প্রভাবশালী রক ব্যান্ডগুলির একটি। ২০০৮ সালের ১ আগস্ট দলটি বামবার সদস্যপদ লাভ করে।[৫৯]

পুরস্কার এবং মনোনয়নের তালিকা
সংগঠন অনুষ্ঠানের তারিখ বিভাগ কাজ ফলাফল তথ্যসূত্র
বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক সাংবাদিক ফোরাম ২০০৫ সেরা ব্যান্ড শিরোনামহীন বিজয়ী
সিটিসেল-চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস ২০০৬ শ্রেষ্ঠ গান পাখি বিজয়ী [৪]
সিম্ফনি-চ্যানেল আই মিউজিক পুরস্কার ৭ মে ২০১৬ সেরা ব্যান্ড শিরোনামহীন বিজয়ী সমালোচক পুরস্কার[৬০][৬১][৬২]
ঐক্য-চ্যানেল আই মিউজিক পুরস্কার ২০১৯ সেরা ব্যান্ড শিরোনামহীন বিজয়ী [৬৩]
২০২০ সেরা ব্যান্ড শিরোনামহীন বিজয়ী [৬৪]

সদস্য

[সম্পাদনা]

বর্তমান সদস্য

[সম্পাদনা]

প্রাক্তন সদস্য

[সম্পাদনা]
  • বুলবুল হাসান - কণ্ঠ (১৯৯৬–২০০০; ২০০৩-২০০৫)
  • জুয়েল - গিটার (১৯৯৬-১৯৯৯)
  • মহিন - কণ্ঠ (২০০০)
  • তানজির তুহিন - কণ্ঠ (২০০০-২০১৭)
  • ফারহান করিম - সরোদ, দোতারা (২০০২-২০০৬)
  • ইয়াসির তুষার - গিটার (২০০২-২০০৯)
  • প্রিন্স - কিবোর্ড (২০০৫-২০০৬)
  • রাজিব - কিবোর্ড (২০০৮-২০১০)
  • দিয়াত খান - লিড (২০১০-?)
  • রাসেল কবির - কিবোর্ড (২০১১-২০১৭)

ডিস্কোগ্রাফি

[সম্পাদনা]
স্টুডিও অ্যালবাম
  1. জিয়া প্রাথমিকভাবে জুয়েল (গিটার) এবং বুলবলকে (কণ্ঠ) নিয়ে ব্যান্ডটি গঠন করেছিলেন। (প্রাথমিক উৎস)[৩]
  2. ১৯৯৬ সালের পহেলা বৈশাখে পদাতিক নাট্যচক্রের মঞ্চ নাটক পরিবেশনার সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে শিরোনামহীন তাদের সরাসরি পরিবেশনার অভিষেক ঘটে। (প্রাথমিক উৎস)[৩]
  3. তুহিন ২০০০ সালে শিরোনামহীনে যোগ দিয়েছিলেন। (প্রাথমিক উৎস)[৩]
  4. তিনি (তুহিন) জিয়ার সাথে একই বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এবং একই শাখা (স্থাপত্য প্রকৌশল) থেকে এসেছিলেন। (প্রাথমিক উৎস)[৩]
  5. ফারহান, তুষার ও শাফিন ২০০৩ সালে যোগদান করেছিলেন। (প্রাথমিক উৎস)[৩]
  6. দিয়াত (গিটার) ২০১০ সালে যোগদান করেছেন। (প্রাথমিক উৎস)[৩]
  7. রাসেল (কিবোর্ড) ২০১১ সালে যোগদান করেছেন। (প্রাথমিক উৎস)[৩]
  8. সঙ্গীত সফরের ১৭ বছর পরে শিরোনামহীন তাদের স্ব-শিরোনাম অ্যালবাম প্রকাশের সাহস করছে। (প্রাথমিক উৎস)[৩]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "উদ্দেশ্য সহজ ও স্বাভাবিক: জিয়া"দৈনিক প্রথম আলো। ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯। ৭ জুলাই ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ জুলাই ২০২০ 
  2. তারেক, মোহাম্মদ। "২০ বছরে শিরোনামহীন"। আনন্দ আলো। ১৮ নভেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০২০ 
  3. শিরোনামহীন
  4. "দুই দশকের শিরোনামহীন"কালের কণ্ঠ। ২৬ মে ২০১৬। ১৩ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০২০ 
  5. "হেঁটে হেঁটে বহুদূর শিরোনামহীন"বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। ২৭ মার্চ ২০১২। ৫ জুলাই ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০২০ 
  6. "'জাহাজী' থেকে 'ক্যাফেটেরিয়া পেরিয়ে': শিরোনামহীনের ২৪ বছর"বিজয় টিভি। ১৮ এপ্রিল ২০২০। ১২ জুলাই ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০২০ 
  7. "দুই দশক পূর্তিতে শিরোনামহীন"জাগো নিউজ। ৩০ এপ্রিল ২০১৫। ৬ জুলাই ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০২০ 
  8. "'বড় বড় প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আমাদের ফিরিয়ে দিয়েছিল'" (সাক্ষাৎকার)। সাক্ষাত্কার গ্রহণ করেন মুসাব্বির হুসাইন। দৈনিক প্রথম আলো। ১ আগস্ট ২০১৯। ৬ জুলাই ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০২০ 
  9. আজাদ, মেমী (৫ আগস্ট ২০১৫)। "হাসিমুখের অতীত"সমকাল। ৬ জুলাই ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০২০ 
  10. জিয়া, জিয়াউর রহমান (২৩ মে ২০১৮)। "'আমাদের বিশ্বমানের গিটারিস্ট আছে, বিশ্বমানের ভোকাল নেই'" (সাক্ষাৎকার)। সাক্ষাত্কার গ্রহণ করেন তুহিন সাইফুল। সারাবাংলা। ৫ জুলাই ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০২০ 
  11. "১৪ বছর পর শিরোনামহীনের 'ক্যাফেটেরিয়া'র সিক্যুয়েল"দৈনিক প্রথম আলো। ১৫ এপ্রিল ২০২০। ৯ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০২০ 
  12. "Shironamhin launches its third album Bondho Janala" [শিরোনামহীন তাদের তৃতীয় অ্যালবাম বন্ধ জানালা লঞ্চ করেছে] (ইংরেজি ভাষায়)। দ্য ডেইলি স্টার। ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০০২। ২৬ আগস্ট ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০২০ 
  13. "রবীন্দ্রসঙ্গীত নিয়ে শিরোনামহীন"বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। ২১ মে ২০১০। ৭ জুলাই ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ জুলাই ২০২০ 
  14. মাহমুদ, জামিল (২৮ আগস্ট ২০১০)। "Shironamhin Rabindranath to be released on Eid" [ঈদে মুক্তি পাবে "শিরোনামহীন রবীন্দ্রনাথ"] (ইংরেজি ভাষায়)। দ্য ডেইলি স্টার। ২ জুলাই ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০২০ 
  15. মাহমুদ, জামিল (৪ আগস্ট ২০১১)। "Realism vs Romance: In conversation with Tanzir Tuhin" [বাস্তবতা বনাম রোমান্স: তানজির তুহিনের সাথে কথোপকথনে]। দ্য ডেইলি স্টার। ২২ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০২০ 
  16. "শিরোনামহীন রবীন্দ্রনাথ"দৈনিক প্রথম আলো। ২৯ আগস্ট ২০১০। ২০১৯-১২-২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০২০ 
  17. আদনিন, নাজিয়া নুসরত (৬ আগস্ট ২০১৮)। "Influence of Tagore in contemporary music" [সমসাময়িক সঙ্গীতে ঠাকুরের প্রভাব] (ইংরেজি ভাষায়)। ঢাকা ট্রিবিউন। ২১ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুলাই ২০২০ 
  18. খান, তৌহিদুল ইসলাম খান। "The Rocking Young Ones" [দ্য রকিং ইয়াং ওয়ানস] (ইংরেজি ভাষায়)। দ্য ডেইলি স্টার। ৮ জুলাই ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ জুলাই ২০২০ 
  19. "এবার সবার জন্য শিরোনামহীন শিরোনামহীন"দৈনিক প্রথম আলো। ৫ এপ্রিল ২০১৪। ৯ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ জুলাই ২০২০ 
  20. "আজ আসছে 'শিরোনামহীন'"দৈনিক প্রথম আলো। ২৩ জুলাই ২০১৩। ২০২০-০৭-০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ জুলাই ২০২০ 
  21. আদনিন, নাজিয়া নুসরত (১৯ জুন ২০১২)। "Shironamhin to release self-titled album" [স্ব-শিরোনামের অ্যালবাম প্রকাশ করছে শিরোনামহীন] (ইংরেজি ভাষায়)। নিউ এজ। ১৭ মে ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুলাই ২০১৩ 
  22. "নামহীন ব্যান্ডদলটির নাম 'শিরোনামহীন'"বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। ২৮ মে ২০১৩। ৭ জুলাই ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ জুলাই ২০২০ 
  23. "স্টার ওমেন"দ্য ডেইলি স্টার। ৮ মার্চ ২০১৭। ২ এপ্রিল ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ জুলাই ২০২০ 
  24. "অনেক চমক নিয়ে আসছে 'শিরোনামহীন'"দৈনিক প্রথম আলো। ১৭ জুন ২০১৩। ২০২০-০৭-০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুন ২০২০ 
  25. "Shironamhin launches android app" [শিরোনামহীন অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ চালু করেছে]। নিউ এজ। ১৪ এপ্রিল ২০১৪। ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ 
  26. "নিজস্ব অ্যাপ নিয়ে হাজির শিরোনামহীন"বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। ১৬ মে ২০১৪। ৭ জুলাই ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ জুলাই ২০২০ 
  27. আহমেদ, মিতুল (৯ অক্টোবর ২০১৭)। "তুহীনের অভিযোগ, শিরোনামহীনের জবাব"চ্যানেল আই। ১১ নভেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ 
  28. "Tuhin reveals the reason behind leaving Shironamhin" [শিরোনামহীন ছাড়ার কারণ জানালেন তুহিন] (ইংরেজি ভাষায়)। ঢাকা ট্রিবিউন। ৭ অক্টোবর ২০১৭। ১০ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ অক্টোবর ২০১৭ 
  29. "নতুন সদস্য নিয়ে শিরোনামহীন"দৈনিক প্রথম আলো। ২৬ নভেম্বর ২০১৭। ৬ জুলাই ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০২০ 
  30. মাসুদ, মেহেদী (৭ অক্টোবর ২০১৭)। "'তাঁদের কাছে বন্ধুত্বের চেয়ে টাকা মুখ্য'"দৈনিক প্রথম আলো। ৮ জুলাই ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ জুলাই ২০২০ 
  31. "'এই তুহিনকে আমরা চিনি না'"দৈনিক প্রথম আলো। ৭ অক্টোবর ২০১৭। ৯ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ জুলাই ২০২০ 
  32. "ব্যান্ড ভাঙার নেপথ্য কারণ"ঢাকা: দৈনিক প্রথম আলো। ১৫ জুলাই ২০১৯। ৯ জুলাই ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুলাই ২০২০ 
  33. "শিরোনামহীন'র গান গাইতে পারবেন না তুহিন"কালের কণ্ঠ। ২১ জানুয়ারি ২০২০। ১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০২০ 
  34. "'শিরোনামহীন'র গান গাইতে পারবে না 'আভাস'"সময় টিভি। ২০ জানুয়ারি ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০২০ 
  35. "'শিরোনামহীন' ব্যান্ডের গান গাইতে পারবে না তুহিনের 'আভাস'"বাংলা ট্রিবিউন। ২০ জানুয়ারি ২০২০। ৬ জুলাই ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০২০ 
  36. "একক গান নয়, অ্যালবাম নিয়ে আসছে শিরোনামহীন"দৈনিক সমকাল। ২ সেপ্টেম্বর ২০১৯। ৫ জুলাই ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০২০ 
  37. "'জাদুকর' নিয়ে শিরোনামহীন"দৈনিক প্রথম আলো। ৮ ডিসেম্বর ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ৭ জুলাই ২০২০ 
  38. "শিরোনামহীন: নতুন কণ্ঠের গান ‌'জাদুকর'"বাংলা ট্রিবিউন। ১০ ডিসেম্বর ২০১৭। ৬ জুলাই ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুলাই ২০২০ 
  39. "নতুন কণ্ঠে প্রকাশ হলো শিরোনামহীনের নতুন গান"জাগো নিউজ। ৯ ডিসেম্বর ২০১৭। ৮ জুলাই ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ জুলাই ২০২০ 
  40. "শিরোনামহীনের 'বোহিমিয়ান'"দৈনিক প্রথম আলো। ৮ জানুয়ারি ২০১৮। ৩ জুলাই ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ জুলাই ২০২০ 
  41. "শিরোনামহীনের নতুন গান 'বোহেমিয়ান'"বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। ৮ জানুয়ারি ২০১৮। ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুলাই ২০২০ 
  42. আহমেদ, মিতুল (১১ মার্চ ২০১৮)। "বারুদ সমুদ্রে ভেসে উঠা শিরোনামহীন"চ্যানেল আই। ১২ জুলাই ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ 
  43. "Shironamhin releases Ei Obelai" ["এই ওবেলায়" মুক্তি দিয়েছে শিরোনামহীন] (ইংরেজি ভাষায়)। নিউ এজ। ২ জুন ২০১৯। ১৯ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুলাই ২০২০ 
  44. "গানের শুটিংয়ে শিরোনামহীন"বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। ১৮ মে ২০১৯। ২৪ মে ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ জুলাই ২০২০ 
  45. হাসান, রাকিব (১৭ এপ্রিল ২০২০)। "Shironamhin turns 24" (ইংরেজি ভাষায়)। নিউ এজ। ৬ জুলাই ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুলাই ২০২০ 
  46. "শিরোনামহীন ব্যান্ডের নতুন মিউজিক ভিডিও"দৈনিক ইনকিলাব। ১০ এপ্রিল ২০২০। ৫ জুলাই ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০২০ 
  47. "Shironamhin releases sequel to 'Cafeteria'" ['ক্যাফেটেরিয়া'-এর সিক্যুয়েল মুক্তি দিচ্ছে শিরোনামহীন] (ইংরেজি ভাষায়)। ঢাকা ট্রিবিউন। ১৬ এপ্রিল ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুলাই ২০২০ 
  48. ফিচার প্রতিবেদক (৯ মে ২০২১)। "শিরোনামহীনের 'কাশফুলের শহর দেখা'"বণিক বার্তা। ২০ জুন ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুলাই ২০২৪ 
  49. "Shironamhin releases new music video 'Kashfuler Shohor Dekha'" [শিরোনামহীন নতুন মিউজিক ভিডিও ‘কাশফুলের সুন্দর দেখা’ প্রকাশ করেছে]। দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড। ৮ মে ২০২১। ২২ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুলাই ২০২৪ 
  50. স্টার অনলাইন রিপোর্ট (২১ মে ২০২২)। "শিরোনামহীনের 'পারফিউম'"দ্যা ডেইলি স্টার (বাংলাদেশ)। ৭ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুলাই ২০২৪ 
  51. হোসেন, মকফুল (২০২৪-০২-২৮)। "'বাতিঘর' অ্যালবামের বেশির ভাগ গানেই একাকিত্ব আছে"। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৭ 
  52. "ঢাকার রক ব্যান্ড শিরোনামহীন"বিবিসি নিউজ। ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১১। ১২ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০২০ 
  53. "বাংলাদেশে নির্মিত হলো বিশ্বের সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র"সময় টিভি। ৭ অক্টোবর ২০১৭। ১৬ আগস্ট ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ জুলাই ২০২০ 
  54. ফেরদৌস, ফাহিম (৩০ এপ্রিল ২০১৮)। "Shironamhin release "E Raate"" [শিরোনামহীন "এই রাতে" মুক্তি দিয়েছে] (ইংরেজি ভাষায়)। দ্য ডেইলি স্টার। ১২ মে ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুলাই ২০২০ 
  55. "দেশের বাইরে যাচ্ছে 'শিরোনামহীন'"দৈনিক প্রথম আলো। ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪। ৮ জুলাই ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ জুলাই ২০২০ 
  56. "Shironamhin Rocks Lanka"দ্য ডেইলি অবজার্ভার। ২২ মার্চ ২০১৪। ৩১ মে ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  57. "'Galle Music Festival 2014': Third season" ['গ্যালে মিউজিক ফেস্টিভ্যাল ২০১৪': তৃতীয় সিজন]। সানডে টাইমস (শ্রীলঙ্কা)। ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০২০ 
  58. "গান শোনাতে মালয়েশিয়া যাচ্ছে 'শিরোনামহীন'"দৈনিক প্রথম আলো। ২৬ অক্টোবর ২০১৬। ৭ জুলাই ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ জুলাই ২০২০ 
  59. "নতুন জয়রথে শিরোনামহীন"কালের কণ্ঠ। ৯ জানুয়ারি ২০১৪। ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০২০ 
  60. "সিম্ফনি-চ্যানেল আই সংগীত পুরস্কারপ্রাপ্তদের অনুভূতি"দৈনিক প্রথম আলো। ১ জুন ২০১৬। ১০ জুলাই ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ জুলাই ২০২০ 
  61. "'Symphony Channel i Music Award 2016' conferred" ['সিম্ফনি চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ড ২০১৬' প্রদান]। ঢাকা: দি ইন্ডিপেন্ডেন্ট। ২৯ মে ২০১৬। ২১ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০২০ 
  62. "Shahnaz Rahmatullah among others receives Symphony-Channel i Music Award" [সিম্ফনি-চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন শাহনাজ রহমতুল্লাহ] (ইংরেজি ভাষায়)। দ্য ডেইলি অবজার্ভার। ২৯ মে ২০১৬। ১৮ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০২০ 
  63. "'Oikko Channel i Music Awards 2019' honours Bangladeshi musicians" (ইংরেজি ভাষায়)। দ্য ডেইলি স্টার। ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০। ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ 
  64. "এবারও 'সেরা ব্যান্ড' এর পুরস্কার শিরোনামহীনের দখলে"চ্যানেল আই অনলাইন। ২০২০-১২-১১। ২০২০-১২-১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-১১ 
  • শিরোনামহীন। "সম্পর্কে" (ইংরেজি ভাষায়)। শিরোনামহীন। ৯ জুলাই ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ জুলাই ২০২০ 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]