আর্টসেল

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
আর্টসেল
আর্টসেল ব্যান্ডের সরাসরি মঞ্চ পরিবেশনা
আর্টসেল ব্যান্ডের সরাসরি মঞ্চ পরিবেশনা
প্রাথমিক তথ্য
উদ্ভবঢাকা, বাংলাদেশ
ধরন
কার্যকাল১৯৯৯–বর্তমান
লেবেলজি-সিরিজ
সদস্যসাজু—(ড্রামস)
লিংকন—(ভোকালিস্ট,রিফ গিটারিস্ট)
সেজান—(বেজিস্ট)
কাজী ফয়সাল আহমেদ—(লিড-গিটারিস্ট)
জুয়েল
প্রাক্তন
সদস্য
রূপক—(লিরিক্স লেখক)
রুম্মান—(লিরিক্স লেখক)
এরশাদ জামান—(লিড-গিটারিস্ট)
ওয়েবসাইটartcell.band

আর্টসেল (ArtCell বা Artcell) বাংলাদেশের একটি প্রগ্রেসিভ মেটাল ব্যান্ড। তারা অন্যান্য ধারার সঙ্গীতের উপরেও বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পরীক্ষা চালিয়েছে। ২০১৯ সালে ব্যান্ডটির ২০ বছর পূর্ণ হয়।[১]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

আর্টসেল ১৯৯৯ সালের আগস্ট মাসে গঠিত হলেও একই বছরে অক্টোবর মাসে তারা আনুষ্ঠানিক ভাবে আত্মপ্রকাশ করে। সেপালচুরা, ড্রিম থিয়েটার, মেটালিকা, পিংক ফ্লয়েডপ্যান্টেরা ব্যান্ড তাদের মূল অণুপ্রেরণা। তারা প্রাথমিক অবস্থায় আন্ডারগ্রাউন্ড কনসার্টে একদম মেটালিকাকে পুরোপুরি কাভার করত।[২] তারা অ্যালবাম প্রকাশের আগেই দারুণ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। মিশ্র অ্যালবামে তাদের গানগুলো ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে।তাদের প্রথম এবং দ্বিতীয় উভয় অ্যালবামই তাদের শ্রোতা ও সমালোচক মহলে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়। আর্টসেল ঢাকা ছাড়াও চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা, রাজশাহী এবং ভারতে বেশ কিছু কনসার্টে অংশ নেয়।

২০০৭-২০১৬[সম্পাদনা]

২০০৯ সালে আর্টসেল কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত পরিচ্ছন্নতা বিষয় দিনব্যাপী প্রচারণায় অংশ নেয়।[৩] তারা ২০১০ সালের ৩রা জানুয়ারি অস্ট্রেলিয়াতে কনসার্ট করে প্রবাসীদের জন্য বেলমোর স্পোর্টস গ্রাউন্ডে। ২০১০ সালের ডিসেম্বরে তারা কনসার্ট এগেইনস্ট ভায়োলেন্স টু উইম্যান-এ অংশ নেয়। প্রায় ১০ বছর পর আর্টসেল ২০১৬ সালে তাদের নতুন গান "অবিমৃষ্যতা" মুক্তি দেয়। এরপরে নিজেদের মধ্যকার কিছু সমস্যার কারণে ব্যান্ডের বাকি তিন সদস্য লিড গিটারিস্ট এরশাদ জামানের সাথে কাজ করতে অস্বীকৃতি জানায়। মো কিটু লিংকন ও তার ছাত্ররা মিলে কিছুদিন আর্টসেল এর শো করে। আর এভাবেই আর্টসেলের চার সেলের মধ্যে একজনের বিদায় হয়। ড্রামার সাজু ইউটিউব পডকাস্ট এ এরশাদ জামানের আর্টসেল এর গানে কন্ট্রিবিউশন নেই বলে উল্লেখ করে। সেই অনুষ্ঠানে মোটু লিংকন ও উপস্থিত ছিলেন। ২০১৯ সালে কাজী ফয়সাল আহমেদ লিড গিটারিস্ট হিসেবে যোগদান করেন। আর্টসেলের গিটারিস্ট হওয়ার লোভনীয় অফারে নিজের গড়ে তোলা ব্যান্ড মেটাল মেইজ ছেড়ে দেন। ডেভ মাস্টেইন এর মত চুলের স্টাইল দিয়ে দর্শকের মন ও জয় করেন। তার গিটার সলো তে এরশাদ জামানের গিটার সলোর কোনো ছাপ নেই। আর্টসেল এর গিটার টিউন এবং সলো নিজের মতো চালাতে থাকেন ।তাদের তৃতীয়

তীয় এলবামের একটি গান "সংশয়" ২০১৯ সালে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে উন্মুক্ত করে। এছাড়াও 'রক ফর পিস' প্রজেক্টের অধীনে "অভয়" নামের একটি একক মুক্তি দেয় আর্টসেল। ২০১৯ এর ২৪ ডিসেম্বর তাদের ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষে একটি জাঁকমকপূর্ণ সলো কনসার্টের আয়োজন করে যেখানে প্রায় ৮ হাজারেরও বেশি দর্শক উপস্থিত হয় তাদের বেশিরভাগ নতুন গান এবং ফেইসবুক পেজের কমেন্ট সেকশনে শ্রোতাদের নেতিবাচক মন্তব্য লক্ষণীয়। বেশির ভাগ শ্রোতা আর্টসেল বলতে যেটা বুঝতেন , সেটা তারা এখন আর দেখেন না বা শুনেন না। এভাবেই আর্টসেলের জনপ্রিয়তা হ্রাস পায়, যা কিনা আর্টসেল নিজেও স্বীকার করতে ভয় পায়।েছিলো।

অ্যালবাম সমূহ[সম্পাদনা]

নিজস্ব[সম্পাদনা]

অন্য সময় (২০০২)[সম্পাদনা]

সকল গানের গীতিকার রুম্মান আহমেদ, তরিকুল ইসলাম রূপক, এরশাদ জামান।

নং.শিরোনামদৈর্ঘ্য
১."অন্য সময়"৪:৫৩
২."ভুল জন্ম"৬:২৭
৩."পথ চলা"৭:০১
৪."রূপক (একটি গান)"৮:২৯
৫."মুখোশ"৫:৩১
৬."রাহুর গ্রাস"৭:৩১
৭."ইতিহাস ( সময় ও অদৃষ্ট)"৬:১২
৮."কৃত্রিম মানুষ"৬:১৮
৯."অবশ অনুভূতির দেয়াল"৬:৪৮
১০."অলস সময়ের পাড়ে"৬:২৩
মোট দৈর্ঘ্য:৬৫:৩৮

অনিকেত প্রান্তর (২০০৬)[সম্পাদনা]

নং.শিরোনামদৈর্ঘ্য
১."লীন"৪:৪৪
২."স্মৃতিস্মারক"৭:২৪
৩."ধূসর সময়"৬:৪৭
৪."পাথর বাগান"৫:৪৩
৫."শহীদ সরণি"৮:১৯
৬."ছায়ার নিনাদ" (Instrumental)৪:২৯
৭."ঘুনে খাওয়া রোদ"৭:২৬
৮."তোমাকে"৩:৫৬
৯."গন্তব্যহীন"৫:৫৩
১০."অনিকেত প্রান্তর"১৬:২০
মোট দৈর্ঘ্য:৭১:০৫

অতৃতীয় (২০২৩)[সম্পাদনা]

নং.শিরোনামদৈর্ঘ্য
১."প্রতীতি"১:৫২
২."বাক্স বন্দী"৬:৫১
৩."বিপ্রতীপ"৭:৫১
৪."স্মৃতির আয়না"৭:৩৩
৫."অসমাপ্ত সান্ত্বনা"৫:৫২
৬."অতৃতীয়"১১:১১
মোট দৈর্ঘ্য:৪১:১০

মিশ্র অ্যালবাম[সম্পাদনা]

ছাড়পত্র (২০০১)

"অদেখা স্বর্গ"

অনুশীলন (২০০২)

"অপ্সরী"

"দুঃখ বিলাস"

আগন্তুক (২০০৩)

"অস্তিত্বের দিকে পদধ্বনির সম্মোহন"

প্রজন্ম (২০০৩)

"স্বপ্নের কোরাস"

আগন্তুক ২ (২০০৪)

"চিলে কোঠার সেপাই"

লোকায়ত (২০০৪)

"ছেঁড়া আকাশ"

আগন্তুক ৩ (২০০৫)

"বাংলাদেশ...স্মৃতি ও আমরা"

Underground (২০০৫)

"উৎসবের উৎসাহে"

Live Now (২০০৭)

"এই বিদায়ে"

Rock 303 (২০০৯)

"কান্ডারী হুশিয়ার"

Riotous 14 (২০১৫)

"কারার ঐ লৌহ কপাট"

সিঙ্গেল[সম্পাদনা]

হুংকারের অপেক্ষায় (২০১১)

স্পর্শের অনুভূতি (২০১৬)

অবিমৃষ্যতা (২০১৬)

সংশয় (২০১৯)

অভয় (২০১৯)

হারানো চেতনা (২০২২)

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. http://www.thedailystar.net/newDesign/news-details.php?nid=111139
  2. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১৫ মার্চ ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮ 
  3. http://www.thefinancialexpress-bd.com/search_index.php?news_id=76218&page=detail_news

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]