প্রজননতন্ত্র: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
হটক্যাটের মাধ্যমে বিষয়শ্রেণী:উর্বরতা যোগ
জননে অংশগ্রহণকারী অঙ্গ গুলি মিলিত হয়ে যে তন্ত্রের গঠন করে তাকে জননতন্ত্র বলে
ট্যাগ: পুনর্বহালকৃত দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
জননী অংশগ্রহণকারী অঙ্গ গুলি মিলিয়ে যে তন্ত্র গঠিত হয় তাতে জননতন্ত্র বলে।{{Infobox Anatomy |
{{Infobox Anatomy |
Name = প্রজনন তন্ত্র |
Name = প্রজনন তন্ত্র |
Latin = systemata genitalia |
Latin = systemata genitalia |

১৩:০১, ১২ জুন ২০২১ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

জননী অংশগ্রহণকারী অঙ্গ গুলি মিলিয়ে যে তন্ত্র গঠিত হয় তাতে জননতন্ত্র বলে।

প্রজনন তন্ত্র
পুং মানবের প্রজনন তন্ত্র
বিস্তারিত
শনাক্তকারী
লাতিনsystemata genitalia
টিএ৯৮A09.0.00.000
টিএ২3467
শারীরস্থান পরিভাষা

পৃথিবীতে প্রতিটি জীব তার নিজস্ব প্রজাতির অস্বিত্ব বজায় রাখার জন্য , অপত্য সৃষ্টি করে, যা সাধারণতঃ নিজেই জন্মদাতা/দাতৃগণের সমগুণ সম্পন্ন এবং সম-আকৃতির হয় অথবা কোন কোন বিশেষ ক্ষেত্রে অপত্য সাময়িক ভাবে সমগুন সম্পন্ন এবং সম-আকৃতির না হলেও অপত্যের মাধ্যমে কিছু সময় পরে সমগুণ সম্পন্ন এবং সম-আকৃতির বংশধর সৃষ্টি হয়। যে পদ্ধতিতে সজীব বস্তু এই রুপ অপত্যের সৃষ্টি করে নিজের প্রজাতি রক্ষা করে তাকে জনন বলে। এই জনন বা প্রজনন ঘটার জন্য নির্দিষ্ট কিছু অঙ্গের মাধ্যমে এই জনন ক্রিয়া সম্পন্ন হয়, সেই অঙ্গগুলিকে মিলিত ভাবে প্রজন তন্ত্র বলে।প্রজনন প্রধানত দুই প্রকার যথা-অযৌন ও যৌন। সাধারণত নিম্নশ্রেণির জীবে যৌন প্রজনন হয় না।

প্রধান জনন অঙ্গ (Primary Sexual Organ) : ডিম্বাশয় বা ওভারি (Ovary) । ডিম্বাশয়ে ডিম্বাণু বা ডিম্ব তৈরি হয়। এই ডিম্বাণু পুরুষের শুক্রাণুর সাথে মিলিত হয়ে নতুন জীবন (Zygote) তৈরি করে ।

এখান থেকে ইস্ট্রোজেন ও প্রজেসটেরন নামক হরমোন নিঃসরণ হয় ।

সহযোগী অঙ্গসমূহ :জরায়ু, ফেলোপিয়ান টিউব বা ডিম্ব নালী, যৌন পথ, ক্লাইটরিস, স্তন ইত্যাদি ।

স্ত্রী সেকেন্ডারি যৌন বিশিষ্টসমূহ :সাধারণত ১২ থেকে ১৪ বৎসর বয়স হতে দেখা যায়।

  • ক) মাসিক শুরু হবে,
  • (খ) স্তন স্ফীত হওয়া শুরু হবে,
  • (গ) যৌনাঙ্গে ও বগলে কেশ দেখা দেবে,
  • (ঘ) কোমর বড় হবে ও নিতম্বে মেদ জমবে,
  • (ঙ) বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ জন্মাবে,
  • (চ) সমস্ত শরীরের ত্বকের নিচে মেদ জমে এর উজ্জ্বলতা বাড়বে ও শরীরকে নমর করবে, ইত্যাদি।

ইস্ট্রোজেন হরমোনের কাজ (Function of Estrogen):

  • ১) স্ত্রী জনন অঙ্গসমূহ আকারে বৃদ্ধি করে,
  • ২) ডিম্বকে পরিপক্ব করে,
  • ৩) মাসিকের পরে জরায়ুর আবরণীকে (Endometrium) পুরু করে এবং পূর্বের অবস্থায় নিয়ে আসে,
  • ৪) জুনি পথের আকৃতি বৃদ্ধি করে,
  • ৫) স্ত্রী লোকের মেয়েলী বৈশিষ্ট্যসমূহ প্রকাশে সাহায্য করে।
  • ৫) স্তনের নালীর পরিমাণ বৃদ্ধি করে।
  • ৬) স্তনে মেদ বৃদ্ধির মাধ্যমে এর আকার বড় করে।
  • ৭) জরায়ুতে প্রবিষ্ট শুক্রাণুকে ডিম্ব নালীর দিকে নিয়ে যায় ইত্যাদি।

প্রোজেসটেরনের কাজ (Function of Progesterone):

  • ১) মাসিকের পর জরায়ুর আবরণী কোষের নিঃসরণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ও একে পুরু করে।
  • ২) ডিম্ব নালীর কোষের নিঃসরণ বৃদ্ধি করে এবং শুক্র ও ডিম্বের মিলনে গঠিত জাইগোটকে (Zygote) খাবার যোগান দিতে সাহায্য করে।
  • ৩) গর্ভাবস্থায় স্তনে দুগ্ধ তৈরিতে সাহায্য করে।
  • ৪) যৌন পথের নিঃসরণ বাড়িয়ে একে পিচ্ছিল রাখে।
  • ৫) স্ত্রী লোকের মেয়েলী বৈশিষ্ট্যসমূহ প্রকাশে সাহায্য করে ইত্যাদি।


নিম্নলিখিত কারণগুলির জন্য গর্ভাবস্থায় প্রোজেস্টেরন খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

  • ১) এটি প্রতিস্থাপনে সক্ষম জরায়ুর আস্তরণ প্রস্তুত করে।
  • ২) এটি ডিম্বস্ফোটনের সময়কালের শেষ থেকে এবং পুরো ঋতুস্রাবের সময় শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
  • ৩) এটি গর্ভাবস্থার সাফল্য নিশ্চিত করতে জরায়ুর আস্তরণকে ঘন করে তোলে।
  • ৪) এই হরমোনটি জরায়ুর আস্তরণে রক্ত ​​এবং গ্লাইকোজেন প্রবাহকে বাড়িয়ে দেয়, যা শিশুটি পর্যাপ্ত পুষ্টি পায় তা নিশ্চিত করে।
  • ৫) প্রোজেস্টেরন হরমোন জরায়ুকে ঘন করে এবং শ্লেষ্মা ঝিল্লী তৈরি করে, যা জরায়ুতে জীবাণু প্রবেশ করতে আটকাতে ব্যাকটেরিয়াগুলিকে সহায়তা করে।
  • ৬) এটি জরায়ু সংকোচন প্রতিরোধে সহায়তা করে।
  • ৭) প্রোজেস্টেরন হরমোন আপনার মাসিক চক্রকেও নিয়ন্ত্রণ করে।