শিশু দিবস
শিশু দিবস | |
---|---|
![]() উইকিপিডিয়া দ্বারা শিশু দিবসের জন্য প্রতীক | |
পালনকারী | বিশ্বব্যাপী |
ধরন | ঐতিহাসিক |
তারিখ | বিভিন্ন আঞ্চলিকভাবে (বিশ্ব শিশু দিবস ২০শে নভেম্বর উদ্যাপন করা হয়, এবং আন্তর্জাতিক শিশু দিবস ১লা জুন উদ্যাপন করা হয়) |
সম্পর্কিত | পিতৃ দিবস, মাতৃদিবস, আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস, আন্তর্জাতিক নারী দিবস, পিতামহ/মাতামহ দিবস |
শিশু দিবস শিশুদের নিয়ে উদযাপিত একটি দিবস। এটি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন সময় পালিত হয়ে থাকে। শিশু দিবসটি প্রথমবার ১৯২০ সালের ২৩ এপ্রিল তুরস্কে পালিত হয়েছিল। বিশ্ব শিশু দিবস ২০ নভেম্বর-এ উদ্যাপন করা হয়, এবং আন্তর্জাতিক শিশু দিবস জুন ১ তারিখে উদ্যাপন করা হয়। তবে বিভিন্ন দেশে নিজস্ব নির্দিষ্ট দিন আছে শিশু দিবসটিকে উদ্যাপন করার।
ভারতে[সম্পাদনা]
স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু শিশুদের কাছে ছিলেন প্রিয় "চাচা নেহেরু"। অন্যদিকে জওহরলাল নেহরুও ছোটদের সঙ্গে সময় কাটাতে খুব ভালোবাসতেন। জাতিসংঘ বা রাষ্ট্রসংঘ ১৯৫৪ সালের ২০ নভেম্বর দিনটিকে শিশু দিবস হিসাবে পালনের জন্যে ঘোষণা করেছিল। সেই ঘোষণা অনুযায়ী ভারতেও ২০ নভেম্বর শিশু দিবস হিসাবে পালন করা হত। তবে ১৯৬৪ সালের ২৭ মে,পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুর প্রয়াণের পর শিশুদের প্রতি তার চরিত্রের এই বিশেষ দিকটিকে স্মরণে রেখে সর্বসম্মতভাবে তার জন্মদিনটি ভারতে শিশু দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তারপর থেকেই প্রতিবছর ১৪ নভেম্বর দিনটি শিশু দিবস হিসাবে পালিত হয়ে আসছে।
দেশের ভবিষ্যৎ গঠনে শিশুদের গুরুত্বকে মনে করেই এই দিনটি পালিত হয়। এছাড়াও,এই দিনে শিশুদের অধিকার সম্পর্কে সব মানুষকে আরও সচেতন করার চেষ্টা করা হয়। শিশুরা যাতে সঠিক শিক্ষা পায়, দেশের সংস্কৃতি সম্পর্কে শিক্ষা পায় সে ব্যাপারেও প্রচার করা হয় এই দিনটিকে উপলক্ষ করে। পাশাপাশি শিশুদের সঠিক পুষ্টির প্রয়োজনীয়তার কথাও তুলে ধরা হয়। দেশের স্কুলগুলিতে এই দিনটিতে পড়াশুনোর পরিবর্তে নানা রকম অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কোথাও আবার শিশুদের পিকনিকে নিয়ে যাওয়া হয়। কচি বাচ্চাদের হাতে এই দিনটিতে তুলে দেওয়া হয় নানা উপহারও। সব মিলিয়ে ভারতে১৪ নভেম্বর (Children's Day) পুরোপুরিই শিশুদের দিন। তবে সব দেশেই শিশু দিবস পালনের উদ্দেশ্য একটাই, দেশের শিশুদের অধিকার ও তাঁদের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট সকলকে সচেতনতার বার্তা দেওয়া। [১]
বাংলাদেশে[সম্পাদনা]
বাংলাদেশে শিশুদের উৎসব হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ‘জাতীয় শিশু দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়।[২] জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ১৭ই মার্চ প্রথম জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালন করা হয় ১৯৯৪ সালে।[৩]
জাতীয় শিশু সংগঠন ‘বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা’ প্রথমবারের মতো বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন `জাতীয় শিশু দিবস' হিসেবে পালন করে।
শিক্ষাবিদ ড. নীলিমা ইব্রাহিম দিবসটিকে `জাতীয় শিশু দিবস' হিসেবে পালনের প্রস্তাব করেন ১৯৯৩ সালের ২৫ ডিসেম্বর শিশু সংগঠন বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলার জাতীয় সম্মেলনে। সেই সম্মেলনে প্র্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তৎকালিন বিরোধী দলীয় নেত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। তিনি বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে জাতীয় শিশু দিবস পালনের ড. নীলিমা ইব্রাহিমের প্রস্তাবের প্রতি সমর্থন জানান।
১৯৯৪ সাল থেকে বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা প্রথমবারের মত বেসরকারীভাবে ১৭ই মার্চ `জাতীয় শিশু দিবস' হিসেবে পালন করে। প্রথম জাতীয় শিশু দিবস উদ্বোধন করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ রেহানা।
১৯৯৬ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনটিকে সরকারীভাবে `জাতীয় শিশু দিবস' হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ১৯৯৭ সাল থেকে সরকারীভাবে দিবসটি জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
অক্টোবর মাসের প্রথম সোমবার বিশ্ব শিশু দিবস পালন করা হয় বাংলাদেশে [৪]।
অন্যান্য দেশে[সম্পাদনা]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ "জওহরলাল নেহরুর জন্মদিনে কেন শিশুদিবস"। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-১১।
- ↑ "যে কারণে ১৭ মার্চ জাতীয় শিশু দিবস"। Bangla Tribune। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৬-০৬।
- ↑ "জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনে যেভাবে জাতীয় শিশু দিবস প্রবর্তিত হলো"। Bangabandhu Shishu Kishore Mela (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২২-০৩-০১। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৬-০৮।
- ↑ "বিশ্ব শিশু দিবস আজ"। প্রিয়.কম। ২০১৭-১০-০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১০-০২।
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২৯ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ নভেম্বর ২০১৪।