আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস
আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস | |
---|---|
অন্য নাম | পুরুষ দিবস |
পালনকারী | বিশ্বব্যাপী |
উপাসনার রঙ | নীল |
ধরন | আন্তর্জাতিক |
তাৎপর্য | জনসচেতনতা দিবস |
তারিখ | ১৯ নভেম্বর |
সংঘটন | বার্ষিক |
প্রথম বার | ১৯৯২ |
শুরু হয়েছে | টমাস ওস্টার (১৯৯২, মাল্টা) জেরোম তেলুকসিংহ (১৯৯৯, আধুনিক) |
সম্পর্কিত | বাবা দিবস বিশ্ব শিশু দিবস আন্তর্জাতিক নারী দিবস |
আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস প্রতি বছর ১৯ নভেম্বর তারিখে পালিত হয়।[১] সারা বিশ্বব্যাপী পুরুষদের মধ্যে লিঙ্গ ভিত্তিক সমতা, বালক ও পুরুষদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা এবং পুরুষের ইতিবাচক ভাবমূর্তি তুলে ধরার প্রধান উপলক্ষ হিসেবে এই দিবসটি উদ্যাপন করা হয়ে থাকে।[২]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]পুরুষ দিবস পালনের প্রস্তাব প্রথম করা হয় ১৯৯৪ সালে। তবে ইতিহাস বেশ পুরোনো। ১৯২২ সাল থেকে সোভিয়েত ইউনিয়নে পালন করা হতো রেড আর্মি অ্যান্ড নেভি ডে। এই দিনটি পালন করা হতো মূলত পুরুষদের বীরত্ব আর ত্যাগের প্রতি সম্মান জানিয়ে।
২০০২ সালে দিবসটির নামকরণ করা হয় ‘ডিফেন্ডার অফ দ্য ফাদারল্যান্ড ডে’। রাশিয়া, ইউক্রেনসহ তখনকার সময়ে সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে এই দিবসটি পালন করা হতো। বলা যায়, নারী দিবসের অনুরূপভাবেই দিবসটি পালিত হয়। ষাটের দশক থেকেই পুরুষ দিবস পালনের জন্য লেখালেখি চলছে। ১৯৬৮ সালে আমেরিকান সাংবাদিক জন পি হ্যারিস নিজের লেখায় এ দিবসটি পালনের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
নব্বই দশকের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া ও মাল্টায় কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ফেব্রুয়ারিতে পুরুষ দিবস পালনের জন্য বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। যদিও অনুষ্ঠানগুলো খুব একটা প্রচার পায়নি। অংশগ্রহণও ছিল কম। পরবর্তী সময়ে ১৯ নভেম্বর পুরো বিশ্বে পুরুষ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
[সম্পাদনা]এই দিবসের উদ্দেশ্যের মধ্যে রয়েছেঃ[৩]
- পুরুষ ও বালকদের স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি;
- নারী-পুরুষের লৈঙ্গিক সম্পর্ক উন্নয়ন বিষয়ক প্রচারণা;
- নারী-পুরুষের লৈঙ্গিক সাম্যতার প্রচার;
- পুরুষদের মধ্যে ইতিবাচক আদর্শ চরিত্রের গুরুত্ব তুলে ধরা;
- পুরুষ ও বালকদের নিয়ে গড়ে ওঠা বিভিন্ন সংস্কার ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরী;
- পুরুষ ও বালকদের অর্জন ও অবদানকে উদ্যাপন;
- সমাজ, পরিবার, বিবাহ ও শিশু যত্নের ক্ষেত্রে পুরুষ ও বালকদের অবদানকে তুলে ধরা।
দিবসের প্রতিপাদ্য
[সম্পাদনা]প্রতিবছর একটি বিশেষ কোন বিষয়কে প্রতিপাদ্য হিসাবে গ্রহণ করে আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস পালন করা হয়; বিভিন্ন সময় গৃহীত এই প্রতিপাদ্যগুলো হলোঃ
বছর | প্রতিপাদ্য | উৎস |
---|---|---|
২০১৭ | ‘‘পুরুষ ও বালকদের তাদের সকল বৈচিত্রের মধ্যে উদ্যাপন’’ (‘Celebrating Men And Boys In All Their Diversity’) | [৩][৪] |
উদ্যাপন
[সম্পাদনা]বাংলাদেশ
[সম্পাদনা]বংলাদেশে এই দিবসটি র্যালি ও বিভিন্ন দাবী-দাওয়া সম্পর্কিত আলোচনা সভা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উদ্যাপন করা হয়।[৩]
আরো দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "এ দিনটা শুধুই পুরুষের!"। দ্য রিপোর্ট২৪.কম অনলাইন। ১৯ নভেম্বর ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ১৯ নভেম্বর ২০১৭।
- ↑ "আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস"। দৈনিক আমাদের সময় অনলাইন। ৯ মার্চ ২০১৫। ২১ নভেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ নভেম্বর ২০১৭।
- ↑ ক খ গ "পালিত হচ্ছে 'আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস'"। যমুনা টিভি অনলাইন। ১৯ নভেম্বর ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ১৯ নভেম্বর ২০১৭।
- ↑ Brooks, Mark (৫ মার্চ ২০১৭)। "2017 theme announced: Celebrating Men and Boys in all their Diversity"। UkMensDay – IMD UK। ১০ নভেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ] - প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েব সাইট।
- আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস – ছুটী ও দিবস উদ্যাপন বিষয়ক পোর্টাল-এ সংরক্ষিত তথ্য।