শিলুয়া মন্দির

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
শিলুয়া মন্দির
ধর্ম
অন্তর্ভুক্তিহিন্দুধর্ম
জেলাফেনী
অবস্থান
অবস্থানছাগলনাইয়া
দেশবাংলাদেশ
শিলালিপিশিলুয়ার শীল পাথর

শিলুয়া মন্দির ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার একটি প্রাচীন মন্দির

অবস্থান ও ইতিহাস[সম্পাদনা]

শিলুয়া মন্দির বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগের ফেনীর পূর্বভাগে ছাগলনাইয়া উপজেলায় পাঠাননগর ইউনিয়নের মধ্য শিলুয়া গ্রামে অবস্থিত।[১][২]

প্রাচীন শিলামূর্তির ধ্বংসাবশেষ উদ্ধারের কারণে এই স্থানটি সে সময় থেকেই শিলুয়া বা শিল্লা নামে পরিচিত লাভ করে। প্রাচীন কালে এই স্থানে বৌদ্ধ ধর্ম ও কৃষ্টির বিকাশ ঘটেছিল বলে ধারণা করা হয়।[৩]

শিলুয়া ঢিবি[সম্পাদনা]

শিলুয়া ঢিবি

হাজার বছরের স্মৃতি ধারণ করছে ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলায় পাঠান গড় ইউনিয়নের শিলুয়া গ্রামের এক প্রাচীন ঐতিহাসিক শিলা পাথরের ধ্বংসাবশেষ । শিলা পাথরের গায়ে খৃষ্টপূর্ব দ্বিতীয় অব্দে প্রচলিত ব্রাক্ষ্মী লিপির চিহ্ন পাওয়া গেছে। এর থেকে এখানে শিকারী  আর্য জাতির পদাচরণের প্রমাণ পাওয়া যায় এবং ধারণা করা হয় তৎকলীন সময়ে এখানে মানুষের বসবাস ছিল। যদিও এই পক্ষে তেমন কোন প্রত্নতাত্ত্বিক নমুনা নাই।

এলাকায় শিল ঘর হিসাবে এর বেশ পরিচিতি।এর কারণ বিৃটিশ আমলে শিলটির উপরে একটা সুন্দর চাউনি দেওয়া হয়েছিলো আর জায়গাটার চারপাশ লোহার রেলিং দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছিলো এবং এর রক্ষনাবেক্ষনের জন্য একজন দারোয়ান ছিলো।তবে কালের বিবর্তনে এখন আর রেলিং গুলো নেই আর দারোয়ান ও নেই।

উল্লেখ‍্য যে এখানকার স্থানীয় এক মিথ থেকে জানা যায় যে এটি মহাশূন‍্য হতে ছিটকে আসা একটি শিলা খন্ড । এই শিলা খন্ডটি দেখতে বহু দূর দুরান্ত থেকে অনেক লোক আসে। অনেকের কাছে এটি এখনো জীবিত শিলা পাথর হিসেবে পরিচিত। হিন্দু  সম্প্রদায় এ শিলা খন্ডকে  ঘিরে পূঁজো  আর্চনা  করেতো কোন এক কালে। মানত করে শিলা খন্ডের  নিচ থেকে মাটি খেত এক সময়।।মানত করে মাটি খেলে মনের ইচ্ছে পূরন হয়।

সংরক্ষিত আছে :শিলার  ব্রাক্ষ্মী লিপিটি /চিহ্নটি  প্রত্নতাত্ত্বিক সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী সংরক্ষিত রয়েছে ।

যোগাযোগ ব‍্যবস্থা : এটি ফেনী থেকে ছাগলনাইয়ার সড়ক ১২/১৩ কিলো মিটার দূরবর্তী কন্ট্রাক্টর মসজিদ বাজার হতে প্রায় ৩ কি.মি. দক্ষিণে মধ্যম শিলুয়া চৌধুরীবাজারের ৫০ গজ পশ্চিমে ও শিলুয়া চৌধুরী বাড়ীর পূর্ব পাশে শীলটি অবস্থিত।[৪]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান: ৩. শিলুয়ার শীল পাথর"feni.gov.bd। feni.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ২৮, ২০১৬ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  2. অ্যান্ড্রু ঈগল (নভেম্বর ২৭, ২০১৩)। "The Living Stone of Middle Shilua" [মধ্য শিলুয়ায় জীবন্ত পাথর]। দি ডেইলি স্টার (বাংলাদেশ) (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ২৮, ২০১৬ 
  3. আহমেদ, জমিরফেনীর ইতিহাস (ছাপা)। চট্টগ্রাম: সমতট প্রকাশনী। পৃষ্ঠা ১১। 
  4. [১][স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]