উবায়দুর রহমান খান

মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী
মহাপরিচালক: বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ
অফিসে ১৭ অক্টোবর, ২০২২ – বর্তমান
পূর্বসূরী	মাওলানা মুহাম্মদ জোবায়ের (ভারপ্রাপ্ত)
সিনিয়র সম্পাদক (সহকারী): দৈনিক ইনকিলাব
অফিসে ২০০২ – বর্তমান
নির্বাহী সম্পাদক: সাপ্তাহিক মুসলিম জাহান
অফিসে ১৯৯১ – ২০০১
উপদেষ্টা সম্পাদক: মাসিক নেয়ামত
অফিসে ২০১১ – বর্তমান
ব্যক্তিগত তথ্য
জন্ম	সেপ্টেম্বর ১৯৬৬ (বয়স ৫৭) জামিয়া রোড, কিশোরগঞ্জ
ধর্ম	ইসলাম
জাতীয়তা	বাংলাদেশি
পিতামাতা	আতাউর রহমান খান (পিতা) মুরশিদা-ই-আমিনা (মাতা)
জাতিসত্তা	বাঙালি
যুগ	আধুনিক
আখ্যা	সুন্নি
ব্যবহারশাস্ত্র	হানাফি
আন্দোলন	দেওবন্দি
প্রধান আগ্রহ	শিক্ষা সংস্কার, ইসলামের ইতিহাস, রাজনীতি, লেখালেখি, পত্রিকা সম্পাদনা, তাসাউফ
উল্লেখযোগ্য কাজ	গ্রন্থ: ইসলামের ব্যববসায় ও বাণিজ্য আইন ইসলাম এতো সুন্দর!
যেখানের শিক্ষার্থী	আল জামিয়াতুল ইমদাদিয়া কিশোরগঞ্জ আল জামিয়া আল ইসলামিয়া পটিয়া দারুল উলুম দেওবন্দ (সম্মানসূচক সনদপ্রাপ্ত) দারুল উলুম নদওয়াতুল উলামা মদিনা বিশ্ববিদ্যালয় (বিশেষ কোর্স)
আত্মীয়	আতাউর রহমান খান (পিতা) মুহিব খান (ভাই)
মুসলিম নেতা
যার দ্বারা প্রভাবিত আতাউর রহমান খান, আবুল হাসান আলী হাসানী নদভী, শাহ আহমদ শফী, মোহাম্মদ উল্লাহ হাফেজ্জী, মাওলানা আব্দুল মান্নান, সুলতান যওক নদভী
যাদের প্রভাবিত করেন মুহিব খান

উবায়দুর রহমান খান (জন্ম: ২৪ সেপ্টেম্বর, ১৯৬৬) হলেন একজন বাংলাদেশি দেওবন্দি ইসলামি পণ্ডিত, রাজনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ, লেখক, পত্রিকা সম্পাদক ও ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব। তিনি দৈনিক ইনকিলাবের সিনিয়র সহকারী সম্পাদক, সাপ্তাহিক মুসলিম জাহানের নির্বাহী সম্পাদক এবং মাসিক নেয়ামতের উপদেষ্টা সম্পাদক। এছাড়াও তিনি ২০২২ সালের ১৭ অক্টোবর থেকে বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের মহাপরিচালক। তিনি বাংলাদেশী শিক্ষাবিদ ও রাজনীতিবিদ মাওলানা আতাউর রহমান খানের বড় পুত্র এবং কবি মুহিব খানের বড় ভাই।

জীবনী

তিনি ১৯৬৬ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর কিশোরগঞ্জ শহরের জামিয়া রোডে অবস্থিত নূর মঞ্জিলে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ আতাউর রহমান খান একজন সাংসদ এবং বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের মহাসচিব ছিলেন। তিনি আল জামিয়া ইমদাদিয়া কিশোরগঞ্জ থেকে ১৯৮৩ খ্রিস্টাব্দে কওমি মাদরাসার সর্বোচ্চ ডিগ্রি দাওরায়ে হাদিস শেষ করেন। তার পরে ১৯৮৪ সালে আল জামিয়া আল ইসলামিয়া পটিয়া থেকে তিনি আরবি ভাষা ও সাহিত্যে উচ্চতর লেখাপড়া করেন। এরপর ১৯৮৫–৮৬ সালে ভারতের দারুল উলুম নদওয়াতুল উলমায় তিনি ইসলামি শিক্ষা ও আরবি ভাষায় স্নাতক সম্পন্ন করেন। এছাড়া ১৯৯৪ সালে তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.এ ডিগ্রিও অর্জন করেছেন। তিনি মদিনা ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় দাওয়াহ অনুষদ থেকে দাওয়াহ ও কালচারাল কোর্সে প্রশিক্ষণসহ সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে রাজনীতি বিষয়ে ডিপ্লোমা করেছেন। এসব ছাড়াও তিনি মিডিয়া ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কে বিশেষ ডিগ্রী (সৌদি আরব ) নিয়েছেন।

কর্মজীবনে উবায়দুর রহমান খান দৈনিক ইনকিলাবে সিনিয়র সহকারী সম্পাদক ও মাসিক নেয়ামতের উপদেষ্টা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে তিনি ১৯৯১ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত সাপ্তাহিক মুসলিম জাহানের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। শিক্ষক জীবনে তিনি ফরিদাবাদ, যাত্রাবাড়ী ও মারকাজুদ্দাওয়াহ শিক্ষকতা করেছেন। এছাড়াও তিনি দেশ-বিদেশের বিভিন্ন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে অতিথি অধ্যাপক হিসেবে লেকচার প্রদান করেন।

এছাড়া সাংগঠনিক জীবনে খান দেশ অধ্যয়ন কেন্দ্রের সভাপতি; রাবেতাতুল আদাবুল ইসলামির (বাংলাদেশ চ্যাপ্টার ) সেক্রেটারি জেনারেল এবং বিএসআরসি'র প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বরত আছেন।

তিনি আরবি বাংলা, ফারসি, উর্দু, হিন্দি ও ইংরেজিসহ কয়েকটি ভাষায় লেখালেখি এবং অনুবাদের যােগ্যতা রাখেন।

আধ্যাত্মিকতা

তিনি তাসাউফের চার তরিকায় খেলাফত ও ইজাযাত প্রাপ্ত হয়েছেন। তিনি শাইখ আব্দুল আযিয মাক্কি আল কুরাইশী, আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রহমান আল খওলানি, আহমদ এফেন্দি শাযলি তুর্কি, শায়খ মাহমুদুল হাসান, শায়খ শিরাজ ইবনে গােলাম মুহাম্মদ দীনপুর, ইসহাক ইমামাবাদি ও জুলফিকার আহমদ নকশবন্দীর কাছে খেলাফত ও ইজাযত প্রাপ্ত হয়েছেন।

রচনাবলী

উবায়দুর রহমানের বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে শতাধিক প্রবন্ধ নিবন্ধসহ প্রায় চল্লিশোর্ধ গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে।

• ইসলামের ব্যবসায় ও বাণিজ্য আইন
• ইসলাম এতো সুন্দর
• ইতিহাসের কান্না
• নবীজী সা. কেমন ছিলেন
• অন্যদের চোখে আমাদের নবিজি সা.
• কোরান ও হাদিসের আলোকে আমাদের ২৪ ঘন্টার জিন্দেগী