আজিজুল হাসান গৌরি
আজিজুল হাসান গৌরি | |
---|---|
ব্যক্তিগত তথ্য | |
জন্ম | ১২ জুন ১৮৮৪ |
মৃত্যু | ১৭ আগস্ট ১৯৪৪ | (বয়স ৬০)
ধর্ম | ইসলাম |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
মুসলিম নেতা | |
এর শিষ্য | আশরাফ আলী থানভী |
আজিজুল হাসান গৌরি (আজিজুল হাসান মাজযুব ও খাজা আজিজুল হাসান নামেও পরিচিত)[১](১২ জুন ১৮৮৪ - ১৭ আগস্ট ১৯৪৪) ছিলেন একজন ভারতীয় ইসলামি পণ্ডিত ও কবি। তিনি আশরাফ আলী থানভীর শিষ্য ছিলেন।[২] তার চার খণ্ডে রচিত আশরাফুস সাওয়ানাহ বইটিকে আশরাফ আলী থানভীর জীবনীর অন্যতম প্রধান উৎস হিসেবে বিবেচনা করা হয়।[১][৩]
আশরাফ আলী থানভী তার কবিতা হার তামান্না দিল সে রুখসত হো গায়ীর একটি শ্লোকের প্রশংসা করেছিলেন এবং বলেছিলেন যে কারো কাছে যদি এক লক্ষ টাকা হয় তবে সে যেন তা আজিজুল হাসান গৌরিকে উপহার দেয়।[৪][৫] এই শ্লোকটিকে ১০০ টি জনপ্রিয় উর্দু শ্লোকের মধ্যে একটি বলে গণ্য করা হয়েছে।[৬]
জন্ম ও শিক্ষা
[সম্পাদনা]তিনি ১৮৮৪ সালের ১২ জুন ওরাইতে জন্মগ্রহণ করেন।[৭] তিনি এমএও কলেজ (বর্তমান আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়) থেকে বিএ এবং এলএলবি লাভ করেন।[১][৮]
কর্মজীবন
[সম্পাদনা]তিনি ৭ বছর ডেপুটি কালেক্টর হিসেবে কাজ করেন [৯] এবং পরে শিক্ষা বিভাগে যোগ দেন। তিনি ইসলামি মাদ্রাসার উপ-পরিদর্শক ছিলেন এবং এরপর ব্রিটিশ ভারতের যুক্তপ্রদেশের লখনৌয়ের ইংরেজি বিদ্যালয়ের পরিদর্শক হন[৯] এবং শুধুমাত্র এই পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেন।[৮]
তিনি ছিলেন উর্দু ভাষার কবি এবং উর্দু কবিতার গজল, নাজম, হামদ ও নাত রচনা করেন। তিনি প্রথমে "হাসান" এবং তারপরে "মাজযুব" কে তাঁর কাব্যিক নাম হিসাবে ব্যবহার করেছিলেন। তাঁর কাব্যগ্রন্থের কাশকোল-ই-মাজযুব ১৯৫০ সালে প্রকাশিত হয়েছিল।[৪]
গৌরির কবিতা "দরস-ই-ইবরত", "জাগাহ জি লাগানে কি দুনিয়া না হ্যায়" জুনায়েদ জামশেদ তাঁর জলওয়া-ই- জানান অ্যালবামে প্রকাশ করেছেন।
রচনাবলি
[সম্পাদনা]তার রচনাবলির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত:[১০]
- কাশকোল-ই-মাজজুব
- আশরাফুস সাওয়ানেহ, আশরাফ আলী থানভীর জীবনী।[১১]
- কালাম-ই-মাজযুব
- ফুলোঁ কি দল
- সাদা-ই-মাজযুব
- দেওয়ান-ই-মাজযুব
- নাফের-ই-গাইব[১২]
স্বীকৃতি
[সম্পাদনা]তাকে ব্রিটিশ ভারত সরকার খান সাহাব এবং খান বাহাদুর উপাধিতে ভূষিত করেছিল।[৪]
মৃত্যু ও উত্তরাধিকার
[সম্পাদনা]১৯৪৪ সালের ১৭ আগস্ট তিনি মারা যান।[১] জন মোহাম্মদ বাটের মতে, আশরাফ আলী থানভীর জীবন ও উদ্দেশ্যকে মাজযুবের চেয়ে বেশি সম্পন্ন কেউ করতে পারে না। তিনি আশরাফ আলী থানভীর সাথে তার সময় সম্পর্কে শুধু সুন্দর কবিতাই লেখেননি, বরং তিনি প্রমাণ করেছেন যে, থানভী খানকাহ-এর অত্যন্ত শৃঙ্খলাপরায়ণ এবং তপস্যাপূর্ণ পরিবেশেও একটি মুক্ত চেতনা বিকশিত হতে পারে।[১৩]
জীবনী
[সম্পাদনা]- নদভী, সাইয়েদ সুলাইমান। "খাজা আজিজুল হাসান গৌরি মিজযুব ইয়াদে রাফ্তেগান" (উর্দু ভাষায়) (২০০৩)। করাচি: মজলিস নাশরিয়াত-ই-ইসলাম। পৃষ্ঠা: ৩০১-৩১৪।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ গ ঘ Mohammed Parvez। A Study of the Socio-Religious Reforms of Maulana Ashraf Ali Thanvi (পিডিএফ) (English ভাষায়)। Department of Islamic Studies, Aligarh Muslim University.। পৃষ্ঠা 146–147। সংগ্রহের তারিখ ৩ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ "Sheesh Mahal Khake by Shaukat Thanvi"। Rekhta (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-২৬।
- ↑ "اكتوبر 2011ء"। www.darululoom-deoband.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-২৬।
- ↑ ক খ গ "عزیز الحسن مجذوبؔؒ"। kashmiruzma.net। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-২৬।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ Shakeel Farooqi (১১ মার্চ ২০১৩)। "Tazkirah Majzoob"। express.pk। সংগ্রহের তারিখ ৩ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ "شاعری کے عالمی دن پر اردو کے 100 مشہور اشعار پڑھیں"। ARYNews.tv | Urdu - Har Lamha Bakhabar (উর্দু ভাষায়)। ২০১৮-০৩-২১। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-২৬।
- ↑ সাইয়েদ সুলাইমান, নদভী। ইয়াদে রাফতেগান। পৃষ্ঠা ৩০৩।
- ↑ ক খ "جلد-001 محمد شمس الحق | ریختہ"। Rekhta (উর্দু ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-২৬।
- ↑ ক খ "Notable students of Thanwi" (পিডিএফ)। shodhganga। পৃষ্ঠা 206–207। সংগ্রহের তারিখ ৩ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ "Urdu Books of Khwaja Aziz-ul-Hasan Majzuub"। Rekhta। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-২৬।
- ↑ "MAULANA ASHRAF ALI THANVI: INFLUENCES" (পিডিএফ)। shodhganga। পৃষ্ঠা 139। সংগ্রহের তারিখ ৩ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ "Nafeer-e-Ghaib" (পিডিএফ)। archive.org। সংগ্রহের তারিখ ৩ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ বাট, জন (২০২০)। এ তালিবস টেল: দ্য লাইফ অ্যান্ড টাইমস অব এ পশতুন ইংলিশম্যান। পেঙ্গুইন রেন্ডম হাউজ। পৃষ্ঠা ১৮৫। আইএসবিএন 9788184004397।