বিষয়বস্তুতে চলুন

আইসিসি বিশ্ব একাদশ একদিনের আন্তর্জাতিকের ক্রিকেটারদের তালিকা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার ক্রিস গেইল বিশ্ব একাদশের পোশাক পরিহিত অবস্থায় আইসিসি সুপার সিরিজের একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেন।

আইসিসি বিশ্ব একদিনের আন্তর্জাতিক একাদশ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) কর্তৃপক্ষের পরিচালনায় গঠিত পছন্দসই একটি দল। এতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গণে বর্তমানে অংশগ্রহণকারী একদিনের আন্তর্জাতিকের সর্বাপেক্ষা প্রতিভাবান ক্রিকেটারদেরকে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ দেয়া হয়। একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা আইসিসি কর্তৃক পূর্ব নির্ধারিত ও দু’টি দলের অংশগ্রহণে ওডিআই মর্যাদাপ্রাপ্ত। ওডিআই টেস্ট খেলা থেকে ভিন্ন হয়ে থাকে এবং ওভার সংখ্যা নির্দিষ্ট করা থাকে। প্রতিটি দল কেবলমাত্র একটি ইনিংসে অংশগ্রহণ করতে পারে। আইসিসি বিশ্ব একাদশ এ পর্যন্ত চারটি খেলায় অংশগ্রহণ করেছে। সুনামিতে আক্রান্তদের সহায়তায় তহবিল গঠনকল্পে ২০০৫ সালে সুনামিতে আক্রান্তদের সহায়তায় বিশ্ব ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। দলটি এশিয়া মহাদেশের বাইরের দেশসমূহের সেরা খেলোয়াড়দের নিয়ে গঠিত হয়েছিল। এছাড়াও অস্ট্রেলিয়ার বাইরে বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়দের নিয়ে গঠিত বিশ্ব একাদশ দল ২০০৫ সালের আইসিসি সুপার সিরিজে অংশগ্রহণ করে। প্রথম ক্যাপ পরিধানকারী খেলোয়াড় তালিকায় ক্রমানুযায়ী স্থান পেয়েছেন। প্রত্যেক খেলোয়াড়ই স্ব-স্ব জাতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করলেও কেবলমাত্র আইসিসি বিশ্ব একাদশের হয়ে খেলাগুলোই রেকর্ড আকারে উল্লেখ করা হয়েছে।

সুনামিতে আক্রান্তদের সহায়তায় বিশ্ব ক্রিকেট

[সম্পাদনা]

২৬ ডিসেম্বর, ২০০৪ তারিখে ভারত মহাসাগরে সংঘটিত সুনামি’র ফলে প্রাকৃতিক দূর্যোগে আক্রান্ত মানবদের উদ্ধারকার্যের ত্রাণসহায়তায় আইসিসি সুনামিতে আক্রান্তদের সহায়তায় বিশ্ব ক্রিকেট শিরোনামে দুই খেলার একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। কিন্তু, আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গণে ব্যস্ত সময়সূচী থাকায় ও কলকাতায় এপ্রিলের প্রচণ্ড গরমে খেলোয়াড়দের শারীরিক সমস্যা হতে পারে - এ আশঙ্কায় একটি খেলা বাদ দেয়া হয়।

১০ জানুয়ারি, ২০০৫ তারিখে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত খেলায় বিশ্ব একাদশ ও এশীয় একাদশ একে-অপরের প্রতিদ্বন্দ্ব্বিতায় অবতীর্ণ হয়। খেলায় বিশ্ব একাদশ ১১২ রানের ব্যবধানে জয়লাভ করে। দলের অধিনায়কত্ব করেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ব্যাটসম্যান ও অধিনায়ক রিকি পন্টিং। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে তার ১১৫ রানের সুবাদে দল ৩৩৪/৮ করে। ক্রিস কেয়ার্নস এবং ব্রায়ান লারা - উভয়েই অর্ধ-শতক করেন। জবাবে এশীয় একাদশ ২৩২ রান করতে সমর্থ হয়। খেলার প্রতিটি রানের জন্য সুনামিতে আক্রান্তদের সহায়তায় $১,০০০ মার্কিন ডলার দান করা হয়।[] ৭০,০০০-এর অধিক দর্শক মাঠে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও, ১২২টি দেশে টেলিভিশনের মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। ১৪ মিলিয়ন অস্ট্রেলীয় ডলারেরও অধিক অর্থ সংগৃহীত হয়।[] তহবিল বৃদ্ধির লক্ষ্যে দ্বিতীয় খেলাটি অণুপযুক্ত আবহাওয়ার জন্যে বাতিল করা হয়।[]

খেলোয়াড়দের তালিকা

[সম্পাদনা]
পরিসংখ্যানটি ৩০ আগস্ট, ২০০৫ তারিখ পর্যন্ত সঠিক। এরপর থেকে অদ্যাবধি বিশ্ব একাদশ কোন খেলায় অংশগ্রহণ করেনি।[]
নির্দেশিকা
ক্যাপ নাম দল সময়কাল ম্যাচ নঅ রান গড় বল রান উই বিবি গড় স্ট্যা
ক্রিস কেয়ার্নসনিউজিল্যান্ড২০০৫৬৯৬৯৬৯.০০৩৬৩৭১/৩৭৩৭.০০
স্টিফেন ফ্লেমিংনিউজিল্যান্ড২০০৫৩০৩০৩০.০০
ক্রিস গেইলওয়েস্ট ইন্ডিজ২০০৫–৫৫৫৪১৮.৩৩৪৭৫৮
অ্যাডাম গিলক্রিস্টঅস্ট্রেলিয়া২০০৫২৪২৪২৪.০০
ড্যারেন গফইংল্যান্ড২০০৫৪৮৫৫১/৫৫৫৫.০০
ম্যাথু হেইডেনঅস্ট্রেলিয়া২০০৫–২.০০
ব্রায়ান লারাওয়েস্ট ইন্ডিজ২০০৫৫৭৫২১৪.২৫
গ্লেন ম্যাকগ্রাঅস্ট্রেলিয়া২০০৫০.০০৪২৩৭১/৩৭৩৭.০০
রিকি পন্টিংঅস্ট্রেলিয়া২০০৫–১১৫১১৫১১৫.০০
১০ড্যানিয়েল ভেট্টোরিনিউজিল্যান্ড২০০৫–৫৩২৭*২৬.৫০২৪০১৭৯৪/৩৩২২.৩৭
১১শেন ওয়ার্নঅস্ট্রেলিয়া২০০৫২*৪২২৭২/২৭১৩.৫০
১২শহীদ আফ্রিদিপাকিস্তান২০০৫–১৮১৬৯.০০
১৩শোয়েব আখতারপাকিস্তান২০০৫–১২১০*১২.০০১০২১১০
১৪রাহুল দ্রাবিড়ভারত২০০৫–৪৬৩৬১৫.৩৩
১৫অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফইংল্যান্ড২০০৫–১০১৪২৩৩.৬৬১২৮১৫৩১/৬৪১৫৩.০০
১৬জ্যাক ক্যালিসদক্ষিণ আফ্রিকা২০০৫–২১১১৭.০০৫২৭০১/২৬৭০.০০
১৭মুত্তিয়া মুরালিধরনশ্রীলঙ্কা২০০৫–১৮০১২২২/৩৮২৪.৪০
১৮কেভিন পিটারসনইংল্যান্ড২০০৫–১৮১৬৯.০০
১৯শন পোলকদক্ষিণ আফ্রিকা২০০৫২৮১৫৯.৩৩১৫০১৪৮১/৩২৭৪.০০
২০কুমার সাঙ্গাকারাশ্রীলঙ্কা২০০৫–১৩৮৬৪৪৬.০০
২১বীরেন্দ্র সেহবাগভারত২০০৫–৬৪৩৭২১.৩৩৩০৩৩১/২০৩৩.০০
২২মাখায়া এনটিনিদক্ষিণ আফ্রিকা২০০৫-০*৪২৫৮১/৫৮৫৮.০০

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Peter English (১০ জানুয়ারি ২০০৫), Ponting leads World XI to victory, Cricinfo Retrieved on 14 November 2008.
  2. Christine Davey (১১ জানুয়ারি ২০০৫), Murali magic on an unforgettable night, Cricinfo Retrieved on 14 November 2008.
  3. Cricinfo staff (২৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৫), Second tsunami match cancelled, Cricinfo Retrieved on 14 November 2008.
  4. Cricinfo StatsGuru, Cricinfo Retrieved on 27 October 2008.

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]