অ্যান রেভিয়ার
অ্যান রেভিয়ার | |
---|---|
Anne Revere | |
![]() ১৯৪০-এর দশকে স্টুডিওর প্রচারণামূলক ছবিতে রেভিয়ার | |
জন্ম | |
মৃত্যু | ১৮ ডিসেম্বর ১৯৯০ লোকাস্ট ভ্যালি, নিউ ইয়র্ক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র | (বয়স ৮৭)
সমাধি | মাউন্ট অবার্ন সেমেটারি |
শিক্ষা | ওয়েলেসলি কলেজ আমেরিকান ল্যাবরেটরি থিয়েটার |
পেশা | অভিনেত্রী |
কর্মজীবন | ১৯৩১-১৯৭৭ |
দাম্পত্য সঙ্গী | স্যামুয়েল রোজেন (বি. ১৯৩৫; মৃ. ১৯৮৪) |
অ্যান রেভিয়ার (২৫ জুন ১৯০৩ - ১৮ ডিসেম্বর ১৯৯০) ছিলেন একজন মার্কিন অভিনেত্রী ও স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ডের সক্রিয় বোর্ড সদস্য। তিনি ব্রডওয়ে মঞ্চে ও একাধিক সমাদৃত চলচ্চিত্রে মায়ের ভূমিকায় অভিনয়ের জন্য সর্বাধিক পরিচিত। হাউজ আন-আমেরিকান অ্যাক্টিভিটিজ কমিটির তীব্র সমালোচক রেভিয়ারের নাম ১৯৫০ সালে বেতারে রেড চ্যানেলস: দ্য রিপোর্ট অন কমিউনিস্ট ইনফ্লুয়েন্স ও টেলিভিশনে আসে এবং ফলশ্রুতিতে তিনি হলিউডে কালোতালিকাভুক্ত হন।
রেভিয়ার ন্যাশনাল ভেলভেট (১৯৪৫) চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কার অর্জন করেন এবং দ্য সং অব বের্নাদেত (১৯৪৩) ও জেন্টলম্যান্স অ্যাগ্রিমেন্ট (১৯৪৭) চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য আরও দুইবার একই বিভাগে মনোনয়ন লাভ করেন। তিনি ১৯৬০ সালে লিলিয়ান হেলম্যানের টয়েজ ইন দি অ্যাটিক নাটকে অভিনয়ের জন্য মঞ্চনাটকে শ্রেষ্ঠ চরিত্রাভিনেত্রী বিভাগে একটি টনি পুরস্কার অর্জন করেন।
প্রারম্ভিক জীবন[সম্পাদনা]
রেভিয়ার ১৯০৩ সালের ২৫শে জুন নিউ ইয়র্ক সিটিতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ক্লিনটন একজন স্টকব্রোকার ছিলেন।[১] তিনি মার্কিন বিপ্লবী নায়ক পল রেভিয়ারের সরাসরি উত্তরসূরি।[২] রেভিয়ারের শৈশব কাটে আপার ওয়েস্ট সাইড ও নিউ জার্সি অঙ্গরাজ্যের ওয়েস্টফিল্ডে। ১৯২৬ সালে তিনি ওয়েলেসলি কলেজ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন। উচ্চ বিদ্যালয়ে ও কলেজের শুরুতে নাট্য দলে যোগ দেওয়ার অসফল প্রচেষ্টার পর তিনি অবশেষে ওয়েলেসলি কলেজে যোগ দিতে সফল হন এবং সেখানে নাট্যকলা বিষয়ে অধ্যয়ন করেন।[৩] তিনি আমেরিকান ল্যাবরেটরি স্কুলে ভর্তি হন এবং সেখানে তার সহপাঠি ছিলেন মারিয়া অস্পেন্সকায়া ও রিচার্ড বলেস্লাভ্স্কি।[১]
কর্মজীবন[সম্পাদনা]
রেভিয়ার চলচ্চিত্রে চরিত্রাভিনেত্রী হিসেবে কাজ করতে থাকেন এবং ১৯৩৪ থেকে ১৯৫১ সাল পর্যন্ত তিন ডজন চলচ্চিত্রে কাজ করেন। তকে প্রায়ই এলিজাবেথ টেইলর, জেনিফার জোন্স, গ্রেগরি পেক, জন গারফিল্ড ও মন্টগামারি ক্লিফটের মায়ের চরিত্রে দেখা যেত। তিনি ১৯৪৩ সালে দ্য সং অব বের্নাদেত চলচ্চিত্রে নাম চরিত্রের মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন, কিন্তু ফর হুম দ্য বেল টোলস চলচ্চিত্রে অভিনয় করা কাটিনা পাক্সিনুর কাছে হেরে যান।[৪] ১৯৪৫ সালে তিনি ন্যাশনাল ভেলভেট (১৯৪৫) চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কার অর্জন করেন।[৫] এছাড়া তিনি জেন্টলম্যান্স অ্যাগ্রিমেন্ট (১৯৪৭) চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য পুনরায় একই বিভাগে মনোনয়ন লাভ করেন।[৬] তিনি ১৯৬০ সালে লিলিয়ান হেলম্যানের টয়েজ ইন দি অ্যাটিক নাটকে অভিনয়ের জন্য মঞ্চনাটকে শ্রেষ্ঠ চরিত্রাভিনেত্রী বিভাগে একটি টনি পুরস্কার অর্জন করেন।
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ ক খ ফ্লিন্ট, পিটার বি. (ডিসেম্বর ১৯, ১৯৯০)। "Anne Revere, 87, Actress, Dies; Was Movie Mother of Many Stars"। দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুলাই ২০২০।
- ↑ প্যাট্রিক, রবার্টসন (১৯৮৬)। The Guinness Book of Almost Everything You Didn't Need to Know About the Movies। গিনেজ সুপারলেটিভ লিমিটেড। পৃষ্ঠা ৩৪। আইএসবিএন 0-85112-481-X।
- ↑ কুনস, রবিন (এপ্রিল ১৩, ১৯৪৪)। "Anne Revere Already Has A Job"। বিগ স্প্রিংস ডেইলি হেরাল্ড (ইংরেজি ভাষায়)। বিগ স্প্রিং, টেক্সাস। পৃষ্ঠা ৪। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুলাই ২০২০ – নিউজপেপার্স.কম-এর মাধ্যমে।
- ↑ "The 16th Academy Awards (1944) Nominees and Winners" (ইংরেজি ভাষায়)। অস্কার। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুলাই ২০২০।
- ↑ "The 18th Academy Awards (1946) Nominees and Winners" (ইংরেজি ভাষায়)। অস্কার। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুলাই ২০২০।
- ↑ "The 20th Academy Awards (1948) Nominees and Winners" (ইংরেজি ভাষায়)। অস্কার। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুলাই ২০২০।
বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]
![]() |
উইকিমিডিয়া কমন্সে অ্যান রেভিয়ার সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে। |
- ইন্টারনেট অফ-ব্রডওয়ে ডেটাবেজ অ্যান রেভিয়ার (ইংরেজি)
- ইন্টারনেট ব্রডওয়ে ডেটাবেজে অ্যান রেভিয়ার
(ইংরেজি)
- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে অ্যান রেভিয়ার (ইংরেজি)
- ফাইন্ড এ গ্রেইভে অ্যান রেভিয়ার (ইংরেজি)
- ১৯০৩-এ জন্ম
- ১৯৯০-এ মৃত্যু
- ২০শ শতাব্দীর মার্কিন অভিনেত্রী
- নিউ ইয়র্ক শহরের অভিনেত্রী
- নিউ ইয়র্কের ডেমোক্র্যাট
- নিউ ইয়র্কে সংক্রামক রোগে মৃত্যু
- নিউমোনিয়ায় মৃত্যু
- মার্কিন চলচ্চিত্র অভিনেত্রী
- মার্কিন টেলিভিশন অভিনেত্রী
- মার্কিন মঞ্চ অভিনেত্রী
- শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কার বিজয়ী
- টনি পুরস্কার বিজয়ী