অপ্রতিরোধ্য চাটমোহর
অপ্রতিরোধ্য চাটমোহর | |
---|---|
শিল্পী | মৃণাল হক |
বছর | ২০১৩ |
উপাদান | কংক্রিট |
বিষয় | বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ |
আয়তন | ৩.০ মি (১০ ফুট) |
অবস্থান | চাটমোহর উপজেলা, পাবনা |
২৪°১২′৪৩″ উত্তর ৮৯°১৬′৩৪″ পূর্ব / ২৪.২১২০০০২° উত্তর ৮৯.২৭৬২২২৭° পূর্ব |
অপ্রতিরোধ্য চাটমোহর বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য। মৃণাল হক নির্মিত মুক্তিযোদ্ধাদের ভাস্কর্যটি পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলার চাটমোহর-পাবনা ও ভাঙ্গুড়া-ফরিদপুর সড়কের সংযোগে ভাদড়া মোড়ে অবস্থিত।[১] বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল বিভাগের উদ্যোগে নির্মিত।[২] ১০ ফুট উচ্চতার অপ্রতিরোধ্য চাটমোহরের মূলবেদীর উপর ৫ জন নারী-পুরুষ মুক্তিযোদ্ধা অস্ত্র হাতে দাঁড়িয়ে আছেন।[৩]
পটভূমি
[সম্পাদনা]বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় মৃণাল হক রাজশাহী ক্যাডেট কলেজের ছাত্র ছিলেন। যুদ্ধে যোগ দেওয়ার জন্য দুইবার পালিয়ে যান। পালানোর সময় চোখের সামনে সারদা রেলক্রসিং-এ পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর গুলিতে ছাত্র শিক্ষকদের মৃত্যুবরণের ঘটনা তাকে আলোড়িত করেছিল। এঘটনা তাকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ভাস্কর্য নির্মাণে অনুপ্রেরণা দিয়েছিল।[৪]
নির্মাণ
[সম্পাদনা]২০১৩ সালের ২৯ মার্চ বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল বিভাগের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ভাস্কর্যের নির্মাণ শুরু হয়। মৃণাল হক ঢাকায় মূল ভাস্কর্য নির্মাণ করেন। একই বছর জুলাইয়ে চাটমোহর শহরের প্রবেশদ্বারে ভাদড়া মোড়ে কংক্রিট নির্মিত বেদির উপর মূল ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়। ভাস্কর্যটির নির্মাণ ও স্থাপনে ২০১৩ সালে ২১ লক্ষ টাকা ব্যয় হয়েছিল।[৩]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ সিদ্দিকী, আরিফ আহমেদ (২০২০-১২-০৮)। "ইতিহাসের সাক্ষ্য বহন করছে স্মৃতিস্তম্ভ"। যায় যায় দিন। ২০২৪-০৯-০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৯-০৫।
- ↑ স্বপন, আতাউর রহমান (২০২১-০৩-১১)। "বীরত্বগাথার ধারক সেই ভাস্কর্য পাবনার চাটমোহর"। যায় যায় দিন। ২০২৪-০৯-০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৯-০৫।
- ↑ ক খ পলাশ, আবদুল মান্নান (২০১৩-০৭-১৭)। "অপেক্ষায় অপ্রতিরোধ্য চাটমোহর"। রাইজিংবিডি.কম। ২০২৪-০৯-০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৯-০৫।
- ↑ "উদ্বোধনের অপেক্ষায় ভাস্কর্য 'অগ্নিঝরা-৭১'"। প্রথম আলো। ২০১৫-০৭-১১। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৯-০৬।