জয় বাংলা (পবিপ্রবি)
জয় বাংলা | |
---|---|
শিল্পী | হামিদুজ্জামান খান |
বছর | ৩০ মার্চ, ২০১১ |
উপাদান | মরিচাবিহীন ইস্পাত |
বিষয় | বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ |
অবস্থান | দুমকি উপজেলা |
২২°২৭′৫০″ উত্তর ২২°২৭′৫০″ পূর্ব / ২২.৪৬৩৮৩০২° উত্তর ২২.৪৬৩৮৩০২° পূর্ব | |
মালিক | পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় |
জয় বাংলা বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য। হামিদুজ্জামান খানের নকশার নির্মিত ভাস্কর্যটি মরিচাবিহীন ইস্পাত দিয়ে বানানো প্রতীকী মুক্তিযোদ্ধার মুর্তি।[১] পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের প্রধান চত্বরে স্থাপিত।[২] মূলনাম জয় বাংলা স্লোগান থেকে গৃহীত।[৩] ২০১১ সালের ৩০ মার্চ এটির আনুষ্ঠানিক উম্মোচন করা হয়।[১]
নির্মাণ
[সম্পাদনা]২০১১ সালের আগে পটুয়াখালী জেলায় মুক্তিযুদ্ধের উল্লেখযোগ্য স্মারক স্থাপনা না থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাস্কর্য নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়।[১] ২০১১ সালে ভাস্কর্যটি নির্মাণে ৮ লাখ টাকা ব্যয় হয়। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ৬ লাখ ও জনতা ব্যাংক ২ লাখ টাকা অর্থায়ন করে।[৪] মুল মুর্তিটি মরিচাবিহীন ইস্পাত দিয়ে প্রতিকৃত।[১] প্রাথমিক দুইধাপ বেস্টনী দেওয়া হয়েছে লাল সিরামিক ইট দিয়ে। মুর্তির বেদি আচ্ছাদনে কালো গ্রানাইট ব্যবহার হয়েছে।[১]
বর্ণনা
[সম্পাদনা]জয় বাংলা ২২ ফুট উচ্চতার ভাস্কর্য যার পাদদেশ দুই ধাপে ইট দিয়ে ঘেরা।[৩] ৪০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৩০ ফুট প্রস্থ বিশিষ্ট প্রাথমিক ধাপ ১৫ ইঞ্চি সিরামিক ইট বেস্টিত। তার উপর একই ইট বেস্টিত ২২ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১৬ ফুট প্রস্থ দ্বিতীয় ধাপের অবস্থান। এধাপের উপর বেদিতে একজন প্রতীকী মুক্তিযোদ্ধার বিপ্লবী মুর্তি স্থাপিত।[১] তার কাঁধে পিঠে ঝুলন্ত রাইফেল, গামছা দিয়ে পেচানো উন্নত শীর, দুই হাতে উচিয়ে ধরেছেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ব্যবহৃত জাতীয় পতাকা।[৩]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ হোসেন, মো. নাঈম (২০১৮-১২-০১)। "পবিপ্রবিতে বিজয়ের অনুপ্রেরণা 'জয় বাংলা'"। এনটিভি অনলাইন। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৯-২০।
- ↑ "পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস"। দুমকি উপজেলা আনুষ্ঠানিক তথ্য বাতায়ন। ২০২২-০৬-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৯-২০।
- ↑ ক খ গ হোসেন, মোঃ রেদোয়ান (২০২০-০২-০২)। "জয় বাংলা ॥ ক্যাম্পাস ভাস্কর্য"। দৈনিক জনকণ্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৯-২০।
- ↑ প্রিন্স, মুজাহিদ (২০১১-০৩-৩১)। "মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ভাস্কর্য 'জয় বাংলা'"। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। ২০২৪-০৯-২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৯-২০।