বীর (ভাস্কর্য)
বীর | |
---|---|
![]() | |
শিল্পী | হাজ্জাজ কায়সার |
বছর | ২০১৭ |
উপাদান | লোহা, সিমেন্ট, জিপসাম ও ব্রোঞ্জ |
বিষয় | বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা |
আয়তন | ১৬ মিটার × ১৯ মিটার × ১২ মিটার (৫৩ ফুট × ৬২ ফুট × ৪০ ফুট) |
অবস্থান | নিকুঞ্জ আবাসিক এলাকা, ঢাকা |
২৩°৪৯′১৪″ উত্তর ৯০°২৫′০২″ পূর্ব / ২৩.৮২০৬৫৬° উত্তর ৯০.৪১৭১৮৪° পূর্ব | |
মালিক | ভিনাইল ওয়ার্ল্ড গ্রুপ |
বীর বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের একটি স্মারক ভাস্কর্য।[১] এটি ঢাকা মহানগরের নিকুঞ্জ আবাসিক এলাকার প্রথম প্রবেশপথের মুখে বিমানবন্দর সড়কের পাশে অবস্থিত।[২] মুক্তিযুদ্ধে বহুল ব্যবহৃত ‘বীর বাঙালি অস্ত্র ধরো, বাংলাদেশ স্বাধীন করো’ স্লোগানের প্রথম শব্দ হতে ভাস্কর্যটির নাম গ্রহণ করা হয়েছে।[৩] হাজ্জাজ কায়সারের মূল নকশায় নির্মিত ৫৩ ফুট উচ্চতার ভাস্কর্য বীর, মূলত চারজন মুক্তিযোদ্ধার যুদ্ধরত প্রতিকৃতি।[৩] ২০১৭ সালের মে মাসে ভাস্কর্যটির আনুষ্ঠানিক উন্মোচন ঘটে।[৪]
নির্মাণ
[সম্পাদনা]সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে ‘বনানী ওভারপাস-এয়ারপোর্ট মোড় বিউটিফিকেশন’ প্রকল্পের আওতায় এটির নির্মাণ করা হয়। ভিনাইল ওয়ার্ল্ড গ্রুপ ভাস্কর্যের পরিকল্পনা, অর্থায়ন ও নির্মাণ করে।[৩] হাজ্জাজ কায়সার ও তার দল পাঠচক্রের মাধ্যমে বীরের নকশা করেন। ভিনাইল গ্রুপের প্রকৌশল দল এটির নির্মাণ করেন।[১] লোহা দিয়ে বীরের ভিত্তি ও প্রাথমিক কাঠামো বানানো হয়। তার উপর সিমেন্টের প্রলেপ দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিকৃতি তৈরি করা হয়েছে। প্রতিকৃতির উপরে চার স্তরে জিপসাম পুডিং, ডকোপেইন্ট, টকোপ্রিন্ট এবং সবচেয়ে উপরে ব্রোঞ্জের আস্তরণ বসানো হয়েছে।[২] ৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ভাস্কর্যটির নির্মাণ তিন মাসে সম্পূর্ণ করা হয়।[৪][২]
বর্ণনা
[সম্পাদনা]বীর চারজন মুক্তিযোদ্ধার সদাসতর্ক ও যুদ্ধরত ভঙ্গির প্রতিকৃতি। একজন নারী ও তিনজন পুরুষ মুক্তিযোদ্ধার দৃঢ়তা ভাস্কর্যটির মূল বিষয়। এক তরুণ যোদ্ধা গ্রেনেড ছুড়ছেন। তরুণের সামনে অস্ত্র হাতে আগুয়ান মুক্তিকামী এক নারী। আরও দুজন মুক্তিযোদ্ধা রাইফেল তাক করে আছেন। একজন এক হাটু গেড়ে বসে আছন, অপর জন দণ্ডায়মান। ভাস্কর্যের মূলমঞ্চ দুই ধাপের ফোয়ারা ও বেদি ফুল বাগান দিয়ে বেস্টিত।[১] ভাস্কর্যটির দৈর্ঘ্য ৪০ ফুট ও প্রস্থ ৬২ ফুট এবং উচ্চতা ৫৩ ফুট।[৫][৬][৪]
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ওপর নির্মিত রাঙ্গামাটি সেনানিবাসের ৫০ ফুট উচ্চতার ভাস্কর্য হতে বীর ৩ ফুট বেশি উঁচু।[১] নির্মাণের পর, ২০১৭ সাল থেকে বীর, বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ ভাস্কর্য হিসেবে বিবেচিত।[৩][৫]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ গ ঘ সাদেক, জাহিদ (২০১৯-১২-০৯)। "সবচেয়ে উঁচুতে দাঁড়িয়ে 'বীর'"। রাইজিংবিডি.কম। ২০২৪-০৯-১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৯-১০।
- ↑ ক খ গ "বিমানবন্দর সড়কে মুক্তিযুদ্ধের সর্বোচ্চ ভাস্কর্য 'বীর'"। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। ২০১৭-০৪-০৪। ২০২৪-০৯-১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৯-১১।
- ↑ ক খ গ ঘ অর্ক, আরিয়ান (২০১৭-০৪-১২)। "মুক্তিযুদ্ধের সবচেয়ে উঁচু ভাস্কর্য"। দৈনিক কালের কণ্ঠ। ২০২৩-০৮-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-১৬।
- ↑ ক খ গ নয়ন, মাজেদুল (২০১৭-০৪-৩০)। "উন্মোচিত হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের বীর"। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৯-১১।
- ↑ ক খ পারুল, সাজিদা ইসলাম (২০১৭-০৪-০৬)। "মুক্তিযুদ্ধের সবচেয়ে বড় ভাস্কর্য"। দৈনিক সমকাল। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৯-১১।
- ↑ "নিকুঞ্জ আবাসিক এলাকায় নির্মিত হচ্ছে ভাস্কর্য 'বীর'"। প্রিয়.কম। ২০১৭-০৫-০৩। ২০২৪-০৯-১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৯-১১।