দ্বিতীয় সারি: শহীদ কামারুজ্জামান স্টেডিয়াম, জিয়া শিশু পার্ক।
তৃতীয় সারি: বরেন্দ্র গবেষনা জাদুঘর, রাজশাহী কলেজ।
রাজশাহী বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন ও ঐত্যিহবাহী মেট্রোপলিটন শহর। এটি উত্তরবঙ্গের সবথেকে বড় শহর। রাজশাহী শহর পদ্মা নদীর তীরে অবস্থিত। যা রাজশাহী বিভাগের বিভাগীয় শহর। রাজশাহী শহরের নিকটে প্রাচীন বাংলার বেশ কয়েকটি রাজধানী শহর অবস্থিত। এদের মাঝে লক্ষণৌতি বা লক্ষনাবতি, মহাস্থানগড় ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। রাজশাহী তার আকর্ষণীয় রেশমীবস্ত্র, আম, লিচু এবং মিষ্টান্নসামগ্রীর জন্য প্রসিদ্ধ। রেশমীবস্ত্রের কারণে রাজশাহীকে রেশমনগরী নামে ডাকা হয়। রাজশাহী শহরে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে যাদের অনেকগুলোর খ্যাতি দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিদেশেও ছড়িয়ে পড়েছে। নামকরা এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য রাজশাহী শহর শিক্ষানগরী নামেও পরিচিত। রাজশাহী শহরে এবং এর আশেপাশে বেশ কিছু বিখ্যাত ও ঐতিহাসিক মসজিদ, মন্দির ও উপাসনালয় তথা ঐতিহাসিক স্থাপনা রয়েছে। শহরটি নওহাটা এবং কাটাখালী এ দুটি স্যাটেলাইট টাউন বা উপগ্রহ শহর দ্বারা বেষ্টিত। এ দুটি শহর এবং রাজশাহী শহর একসাথে প্রায় ১ মিলিয়ন জনসংখ্যার একটি মহানগর এলাকায় পরিণত হয়েছে। রাজশাহী বাংলাদেশের শহরগুলির মধ্যে সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন এবং সবুজ।
রাজশাহী ছিল প্রাচীন বাংলার পুন্ড্র সাম্রাজ্যের অংশ। বিখ্যাত সেন বংশের রাজা বিজয় সেনের সময়ের রাজধানী বর্তমান রাজশাহী শহর থেকে মাত্র ৯ কিমি দূরে অবস্থিত ছিল। মধ্যযুগে বর্তমান রাজশাহী পরিচিত ছিল রামপুর বোয়ালিয়া নামে। এর সূত্র ধরে এখনও রাজশাহী শহরের একটি থানার নাম বোয়ালিয়া। .....
শহীদ স্মৃতি সংগ্রহশালা বাংলাদেশের প্রথম মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সংগ্রহশালা। স্বাধীনতা যুদ্ধে শিক্ষক, ছাত্র, কর্মচারীদের স্মৃতিচিহ্ন নিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে গড়ে উঠেছে দেশের সর্বপ্রথম মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক জাদুঘরটি। শহীদ স্মৃতি সংগ্রহশালাটির মোট ৩ টি গ্যালারী আছে। পাশাপাশি অবস্থিত সংগ্রহশালার তিনটি গ্যালারীর মোট আয়তন ৬ হাজার ৬শ বর্গফুট। প্রতিটিই গ্যালারী ই এখানে আলাদা আলাদাভাবে মুক্তিযুদ্ধোর নানা স্মৃতি দিয়ে সাজানো।
এই মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মিউজিয়ামটি পরিচালনার জন্য ১৬ সদস্যবিশিষ্ট একটি পরিচালনা কমিটি রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ক্ষমতাধিকার বলে এ কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য্য। সংগ্রহশালাটি প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত খোলা থাকে।
কাজী মোতাহার হোসেন (৩০ জুলাই, ১৮৯৭ - ৯ অক্টোবর, ১৯৮১) একজন বাংলাদেশি পরিসংখ্যানবিদ, বিজ্ঞানী, সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ। ১৯৬০ সালে পাকিস্তান সরকার অধ্যাপক কাজী মোতাহার হোসেনকে সিতারা-ই-ইমতিয়াজ উপাধিতে ভূষিত করে। ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে জাতীয় অধ্যাপক হিসেবে সম্মানিত করে।