বিষয়বস্তুতে চলুন

জয় বাংলা (চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়)

স্থানাঙ্ক: ২২°২৮′১৭″ উত্তর ৯১°৪৭′০৬″ পূর্ব / ২২.৪৭১৩০৮° উত্তর ৯১.৭৮৫০০২° পূর্ব / 22.471308; 91.785002
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
জয় বাংলা
২০১৮ সালের অক্টোবরে 'জয় বাংলা'
শিল্পীসৈয়দ মোহাম্মদ সোহরাব জাহান
বছর২৫ অক্টোবর, ২০১৮
উপাদানলোহা, সিমেন্ট, মার্বেল
বিষয়বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ
আয়তন৫.৫ মি × ৬.৭ মি (১৮ ফুট × ২২ ফুট)
অবস্থানফতেপুর ইউনিয়ন, হাটহাজারী
স্থানাঙ্ক২২°২৮′১৭″ উত্তর ৯১°৪৭′০৬″ পূর্ব / ২২.৪৭১৩০৮° উত্তর ৯১.৭৮৫০০২° পূর্ব / 22.471308; 91.785002
মালিকচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

জয় বাংলা বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য।[] চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবি চত্ত্বরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাশে অবস্থিত ভাস্কর্যটির মূল নকশা করেছেন সৈয়দ মোহাম্মদ সোহরাব জাহান।[] মূলনাম জয় বাংলা স্লোগান থেকে গৃহীত। ২০১৮ সালের ২৫ অক্টোবর, ভাস্কর্যটির আনুষ্ঠানিক উন্মোচন করা হয়।[] এটি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার ও পাঁচটি স্মৃতিস্তম্ভের অন্যতম[] এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে স্থাপিত প্রথম ভাস্কর্য।[]

নির্মাণ

[সম্পাদনা]

২০১৭ সালের জুনে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের স্বারক হিসেবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাস্কর্য নির্মাণের জন্য ছাত্র-ছাত্রীরা মিছিল করে। তখন নির্মাণ প্রকল্পের প্রাথমিক কাজ শুরু হয়।[] একই বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার শিক্ষার্থী সৈয়দ মোহাম্মদ সোহরাব জাহান, মুজাহিদুর রহমান মুসা, জয়াশীষ আচার্য ও ও তপন ঘোষের সহযোগে জয় বাংলার নকশা করেন। ভাস্কর্যের জন্য প্রাথমিক ৫টি নকশা হতে বর্তমান নকশা নির্বাচন করা হয়।[]

সকল মানব প্রতিকৃতি ‘জীবিত মানুষের ছাঁচ’ থেকে নেওয়া।[][] লোহা, সিমেন্ট, পাথর, কাচ তন্তু এটির মূল উপাদান।[] লোহার অবকাঠামোর ওপর কংক্রিটের ঢালাই দিয়ে অবয়ব বানানো হয়েছে। ওপরের অংশ লাল ও নিচের অংশ সাদা রঙে আবৃত।[] মুক্তিযোদ্ধাদের প্রলেপে চামড়ার ব্যবহার করা হয়েছে।[] নিচে দাড়ানো শিক্ষার্থীদের প্রতিকৃতিগুলি সিমেন্টের ঢালাইয়ের উপর মার্বেল চুর্ণ দিয়ে আবৃত।[]

২০১৮ সালের মার্চে নির্মাণ শুরু হয়।[] নির্মাণের জন্য ১০ লাখ টাকার ব্যক্তিগত অর্থায়ন লাভ করে। প্রাথমিক বাজেটের সাথে বিশ্ববিদ্যালয় আরও ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়।[] তবে নির্মাণ সম্পূর্ণ করতে ২০ লাখ টাকা খরচ হয়।[] কাজ সম্পূর্ণ করতে নয় মাস সময় লাগে।[]

বর্ণনা

[সম্পাদনা]

ভাস্কর্যটি দুই স্তরে স্থাপিত। উপরের স্তরে দুজন পুরুষ ও একজন নারী মুক্তিযোদ্ধার প্রতিকৃতি আছে, যা নারী-পুরুষ নির্বিশেষে মুক্তিযুদ্ধে সকলের অংশগ্রহণকে বোঝায়। পুরুষ মুক্তিযোদ্ধাদের একজন বাঙ্গালি, অপরজন পার্বত্য চট্টগ্রামের নৃ-গোষ্টির একজন; যা মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রামে পাহাড়ি ও বাঙালিদের যৌথ অংশগ্রহণের ভাববহন করে।[] ভূমিস্তরে বর্তমান প্রজন্মের ২০ জন শিক্ষার্থীর প্রতিকৃতি নির্মিত, যারা মুক্তিযুদ্ধের অর্জন ধরে রাখে।[]

ভাস্কর্যটির উচ্চতা ভূমি থেকে প্রায় ১৮ ফুট এবং প্রস্থ প্রায় ২২ ফুট। উপরের স্তরে দাড়ানো দুই মুক্তিযোদ্ধার উচ্চতা ১১ ফুট। নিচের স্তরে দাঁড়ানো ছাত্র-ছাত্রীদের উচ্চতা সাড়ে ৫ ফুট থেকে ৬ ফুট।[]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "চবিতে নির্মিত হলো ভাস্কর্য 'জয় বাংলা'"বাংলা ট্রিবিউন। ২০১৮-১০-২৫। ২০২২-১১-২৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৯-২৬ 
  2. "শ্যাওলায় বিবর্ণ চবির জয় বাংলা ভাস্কর্য"সময় টিভি। ২০২১-১১-১৬। ২০২১-১১-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৯-২৬ 
  3. "চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য 'জয় বাংলা'"দৈনিক কালের কণ্ঠ। ২০১৮-১০-২৬। ২০১৮-১০-২৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৯-২৬ 
  4. "Liberation War sculpture unveiled at CU"দ্য ডেইলি স্টার (বাংলাদেশ) (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-১০-২৬। ২০২৪-০৯-২৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৯-২৬ 
  5. পাল, তন্বি (২০১৯-১২-১৫)। "ভাস্কর্যে ভাস্বর মুক্তিযুদ্ধের চেতনা"প্রথম আলো। ২০২৪-০৯-২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৯-২০