মন্টি বাউডেন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মন্টি বাউডেন
১৮৮৫ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে মন্টি বাউডেন
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামমন্টাগু পার্কার বাউডেন
জন্ম(১৮৬৫-১১-০১)১ নভেম্বর ১৮৬৫
স্টকওয়েল, সারে, ইংল্যান্ড
মৃত্যু১৯ ফেব্রুয়ারি ১৮৯২(1892-02-19) (বয়স ২৬)
আমটালি, ম্যাশোনাল্যান্ড, রোডেশিয়া
ডাকনামমন্টি
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
ভূমিকাউইকেট-রক্ষক
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৬১)
১২ মার্চ ১৮৮৯ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা
শেষ টেস্ট২৬ মার্চ ১৮৮৯ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৮৮৩ – ১৮৮৮সারে
১৮৮৯ – ১৮৯০ট্রান্সভাল
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ৮৬
রানের সংখ্যা ২৫ ২,৩১৬
ব্যাটিং গড় ১২.৫০ ২০.১৩
১০০/৫০ ০/০ ৩/৭
সর্বোচ্চ রান ২৫ ১৮৯*
বল করেছে ৭৫
উইকেট
বোলিং গড় ১৭.৫০
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ২/৭
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ১/০ ৭৩/১৪
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৯ জানুয়ারি ২০১৮

মন্টাগু পার্কার বাউডেন (ইংরেজি: Monty Bowden; জন্ম: ১ নভেম্বর, ১৮৬৫ - মৃত্যু: ১৯ ফেব্রুয়ারি, ১৮৯২) সারের স্টকওয়েলে জন্মগ্রহণকারী ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৮৮৯ সালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছিলেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে সারে ও দক্ষিণ আফ্রিকার ঘরোয়া ক্রিকেটে ট্রান্সভালের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ উইকেট-রক্ষকের দায়িত্ব পালন করতেন। এছাড়াও ডানহাতে ব্যাটিংয়ে পারদর্শীতা দেখিয়েছেন ‘মন্টি’ ডাকনামে পরিচিত মন্টি বাউডেন

খেলোয়াড়ী জীবন[সম্পাদনা]

ডালউইচ কলেজে অধ্যয়ন করেছেন মন্টি বাউডেন।[১] ১৮৮৩ থেকে ১৮৮৮ সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে সারে এবং ১৮৮৯ থেকে ১৮৯০ সময়কালে দক্ষিণ আফ্রিকান ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ট্রান্সভালের পক্ষে খেলেছেন।

১৮৮৮-৮৯ মৌসুমে সি. অব্রে স্মিথের নেতৃত্বাধীন ইংরেজ দলের সদস্যরূপে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যান। ১২ মার্চ, ১৮৮৯ তারিখে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তার টেস্ট অভিষেক ঘটে। সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে দুই টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছেন।

ঐ সফরে তিনি স্মিথের সহকারীর দায়িত্বে ছিলেন। ২৫ মার্চ, ১৮৮৯ তারিখে মাত্র ২৩ বছর ১৪৪ দিন বয়সে নিজস্ব দ্বিতীয় খেলায় ইংল্যান্ড দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন। নিয়মিত অধিনায়ক সি. অব্রে স্মিথ অসুস্থ থাকায় তিনি এ দায়িত্বে ছিলেন। এরফলে তিনি ইংল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ অধিনায়কের মর্যাদা লাভ করেন। খেলায় তার দল জয়লাভ করেছিল।

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

দলের সাথে ইংল্যান্ডে না ফিরে উইটওয়াটার্সর‌্যান্ড স্বর্ণ অনুসন্ধান কাজে অংশগ্রহণ করেন। পাইওনিয়ার কলামের সাথে রোডেশিয়ায় চলে যান ও মাদক চোরাচালানের দায়ে অভিযুক্ত হন।[২]

১৯ ফেব্রুয়ারি, ১৮৯২ তারিখে ম্যাশোনাল্যান্ডের আমটালি হাসপাতালে ২৭ বছর বয়সে তার দেহাবসান ঘটে। আনুষ্ঠানিকভাবে মৃগীরোগে তার মৃত্যুর খবর জানানো হয়। তবে, তিনি মালবাহী গরুর গাড়ি থেকে পড়ে গিয়ে ষাঁড়ের খুড়ের আঘাতে মারা গিয়েছিলেন। হুইস্কির আবরণ দিয়ে প্রস্তুতকৃত কফিনে তার দেহ আবদ্ধ করে রাখা হয়েছিল।[৩][৪]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Hodges, S, (1981), God's Gift: A Living History of Dulwich College, pages 232, (Heinemann: London)
  2. Keating, Frank (১৬ ডিসেম্বর ২০০৯)। "The spinner who saved the day for 'Jim' Swanton"The Guardian। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মার্চ ২০১৫ 
  3. Frindall, Bill (২০০৯)। Ask BeardersBBC Books। পৃষ্ঠা 215আইএসবিএন 978-1-84607-880-4 
  4. "Australia's nemesis"। ESPN Cricinfo। ১ নভেম্বর ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ১ নভেম্বর ২০১৭ 

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]