নারীবাদী তত্ত্ব

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(Feminist theory থেকে পুনর্নির্দেশিত)
নিজেদের অধিকার আদায়ের জন্য আন্দোলন করছে নারীরা

নারীবাদী তত্ত্ব বলতে তাত্ত্বিক, কাল্পনিক, বা দার্শনিক কথোপকথনে নারীবাদকে বর্ধিত করা বুঝায়। এর উদ্দেশ্য লিঙ্গ বৈষম্যের প্রকৃতিকে সুদৃঢ় করা। এটি নারী ও পুরুষের সামাজিক ভূমিকা, অভিজ্ঞতা, আগ্রহ, কাজ এবং নারীবাদী রাজনীতির বিভিন্ন ক্ষেত্র যেমন নৃতত্ত্ববিদ্যা এবং সমাজবিজ্ঞান, যোগাযোগ, প্রচার মাধ্যম গবেষণা, মনোবিজ্ঞান,[১] গার্হস্থ্য অর্থনীতি, সাহিত্য, শিক্ষা এবং দর্শনের ক্ষেত্রকে নিরীক্ষা করে।[২]

নারীবাদী তত্ত্ব লিঙ্গ বৈষম্য বিশ্লেষণের উপর গুরুত্ব প্রদান করে। নারীবাদে উদ্ভাবিত বিষয়গুলোতে বৈষম্য, আপত্তিকর (বিশেষ করে যৌন বিষয়ক আপত্তি), নিপীড়ন, পিতৃতন্ত্র,[৩][৪] স্টিরিওটাইপিং, শিল্প ইতিহাস[৫] সহ সমসাময়িক শিল্প,[৬][৭] এবং নান্দনিকতা অন্তর্ভুক্ত থাকে।[৮][৯]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

১৭৯৪ সালের প্রথম দিকে নারীবাদী তত্ত্বগুলি- "দ্য চেঞ্জিং উম্ম্যান"[১০] মেরি উইলস্ট্রনক্রাফ্ট এর অবৈধ ভোটদানের জন্য গ্রেফতার হওয়ার পর[১১] দেওয়া বক্তৃতা "আমি কি মহিলা নই"[১২] এর পর থেকে প্রকাশিত হতে শুরু করে। "দ্যা চেঞ্জিং উম্মান" একটি নাভাজো পদ্ধতি তৈরি করে যা একটি মহিলাকে কৃতিত্ব দেয়, যারা শেষ পর্যন্ত বিশ্বের জনসংখ্যায় কৃতিত্ব রাখে।[১৩] ১৮৫১ সালে, সোজৌরনার ট্রুথ তার "আমি কি নারী নয়" প্রকাশনার মাধ্যমে নারী অধিকারের বিষয়টি নিয়ে তুলে ধরেন। সোজৌরনার ট্রুথ উল্লেখ করেন, পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের সীমিত অধিকার রয়েছে। ট্রুথ যুক্তি দিয়েছিল যে, যদি কোন নারী রঙে এমন কাজ সম্পাদন করতে পারে যা অনুমিতভাবে পুরুষের কাছে সীমাবদ্ধ থাকে তবে যে কোন রঙের যে কোন মহিলা একই কাজ করতে পারে। অবৈধভাবে ভোট দেওয়ার জন্য গ্রেফতার হওয়ার পর, সুসান বি এন্থনি আদালতে একটি বক্তৃতা দেন, যেখানে তিনি ১৮৭২ সালে "অবৈধ ভোটের জন্য গ্রেফতারের পরে বক্তৃতা" নামে তার প্রকাশনায় নথিভুক্ত করা সংবিধানের মধ্যে ভাষার বিষয়গুলো উল্লেখ করেন। এন্থনি সংবিধানের কর্তৃত্ববাদী নীতি এবং তাতে উল্লেখিত পুরুষ-লিঙ্গযুক্ত ভাষা নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন। তিনি উত্থাপন করেন, কেন আইনের আওতায় নারীরাই কেবল শাস্তির জন্য বিবেচ্য হবে, নারীরা কেন সেই আইন তাদের সুরক্ষার জন্য ব্যবহার করতে পারবে না (নারীরা ভোট দিতে পারে না, নিজের সম্পত্তির মালিক হতে পারে না, নিজেরা বিয়েও করতে পারে না)। তিনি পুরুষ লিঙ্গীয় ভাষা ব্যবহারের জন্য সংবিধানেরও সমালোচনা করেছিলেন, তিনি প্রশ্ন করেছিলেন কেন এমন আইন নারীদেরকে মেনে চলতে হবে যেখানে নারীদেরকে উল্লেখই করা হয় নাই।

ন্যান্সি কোট আধুনিক নারীবাদবাদ এবং তার পূর্ববর্তী, বিশেষ করে মতাবলম্বী সংগ্রামের মধ্যে একটি পার্থক্য তৈরি করে। ১৯২০ সালে (বিশেষ করে ১৯১০-১৯৩০) আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের ভোট গ্রহণের সময়ের দশকগুলিতে তিনি দৃষ্টিপাত করেন।

শৃংখলা[সম্পাদনা]

নারীবাদের বেশ কয়েকটি শৃঙ্খলা রয়েছে, অন্যভাবে বিশেষজ্ঞরা একে নারীবাদী কৌশল বা নীতি বলে উল্লেখ করেন। উপরন্তু এটা বিতর্কেরও বিষয়, যে নারীবাদী তত্ত্বের গঠন কেমন। নারীবাদী কর্মীদের উল্লেখিত বিভিন্ন যুক্ততর্কের সারাংশকেই নারীবাদী নীতি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

শরীর[সম্পাদনা]

পশ্চিমা চিন্তাধারা অনুসারে, শরীর ঐতিহাসিকভাবে নারীর সাথে যুক্ত ছিল, অথচ পুরুষরা মনের সাথে যুক্ত ছিল। আধুনিক নারীবাদী দার্শনিক সুসান বার্ডো তার লেখায় অ্যারিস্টটল, হেগেল এবং ডেসকার্টিসের মতো দার্শনিকদের তত্ত্বের উপর ভিত্তি করে মনের/দেহের সংযোগের দ্বৈতবাদী প্রকৃতির বিস্তারিত বর্ণনা করেছেন, যা আত্মা/ব্যাপার এবং পুরুষ কার্যকলাপ/মহিলা নিস্কর্মীতার মতো আলাদা দ্বন্দ্বগুলি প্রকাশ করে। লিঙ্গ বৈশিষ্ট্য এবং শ্রেণীকরণ কঠিন কাজ।

আদর্শ ও সমসাময়িক লিঙ্গ ভেদাভেদ পদ্ধতি[সম্পাদনা]

আদর্শ লিঙ্গের সংজ্ঞা এবং লিঙ্গ মডেল হচ্ছে প্রত্যেকটি ব্যক্তির নির্ধারিত লিঙ্গ এবং লিঙ্গ ভিত্তিক বিদ্যমান প্রমাণ এবং এটিই সামাজিক জীবনের জন্য আদর্শ হিসাবে কাজ করে। মডেল দাবি করে যে একজন পুরুষ/মহিলা দ্বিবিভাজন কেবলমাত্র জননেন্দ্রীয়ের গুরুত্ব তৈরী করে এবং উহা কীভাবে ডিএনএ'র প্রোটিন বন্ধন ও ক্রোমোসোমের মাধ্যমে গঠিত হয় তা নির্ধারণ করে(যেমন যৌন-নির্ধারণকারী Y জিন), যা কেবল গর্ভে ভ্রুনের লিঙ্গের-পরিচয়কারী সাময়িক ও সমাপ্তিকরণ চিহ্ন তৈরী। কখনো কখনো জিন এর গঠন বদলের উপরও লিঙ্গ-নির্ধারণ প্রক্রিয়া ঘটে। যখন এটি ঘটে, তখন ভ্রূণটি উভলিঙ্গ হয়ে যায়। আদর্শ মডেল একটি সামাজিক বোধগম্যতা/মতাদর্শ হিসাবে লিঙ্গকে সংজ্ঞায়িত করে যা পুরুষ এবং মহিলাদের জন্য আচরণ, কর্ম, এবং উপস্থিতি স্বাভাবিক কিনা তা সংজ্ঞায়িত করে। জীববিদ্যার গবেষণায়ও লিঙ্গ নির্ধারণ পদ্ধতির গবেষণা শুরু হয়েছে, যাতে কোন একটি লিঙ্গের আচরণ, কর্ম ও আকাঙ্খাগুলিকে সংযুক্ত করার প্রয়াস চলছে।[১৪]

সামাজিকভাবে-পক্ষপাতকৃত লিঙ্গ ও পদ্ধতি[সম্পাদনা]

সামাজিক ও পক্ষপাতমূলক শিশুদের লিঙ্গ যৌনতন্ত্র এবং যৌনাঙ্গের মতাদর্শের দিগন্তকে বিস্তৃত করেছে। এটি যৌনতার মতাদর্শকে সামাজিক গঠন হিসাবে দর্শন করায় যা কেবল পুরুষ বা মহিলা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ নয়। ইন্টারসেক্স সোসাইটি অফ নর্থ আমেরিকা ব্যাখ্যা করে যে, "প্রকৃতি সিদ্ধান্ত নেয় না যে, কোথায় গিয়ে 'পুরুষ' শ্রেণীর শেষ হয়ে উভলিঙ্গ শুরু হবে এবং কোথায় থেকে উভলিঙ্গ শ্রেণী শেষ হয়ে 'মহিলা' শ্রেণীর শুরু হবে, সেটার সিদ্ধান্ত নেয় মানবসমাজ। মানবসমাজ (বর্তমানে, সাধারণত ডাক্তাররা) লিঙ্গটি কতটা ছোট হলে বা এর অংশগুলির সমন্বয় কতটা অস্বাভাবিক হলে একে উভলিঙ্গ হিসাবে আখ্যায়িত করা যায়।[১৫] অতএব যৌনতা জৈবিক/প্রাকৃতিক গঠন নয় বরং এটি এখনও পর্যন্ত সামাজিক, সমাজ বা ডাক্তাররা জননেন্দ্রিয়, ক্রোমোজোম এবং জিনতত্ত্বের বিচারে এটি পুরুষ, মহিলা বা উভলিঙ্গ নির্ধারিত হয় অথবা তাদের ব্যক্তিগত রায়ে একজন কীভাবে পাস করে একটি নির্দিষ্ট লিঙ্গের ক্যাটাগরিতে। লিঙ্গ মতাদর্শ এখনো সামাজিক অবকাঠামোতেই রয়ে গেছে কিন্তু এটি কঠোর এবং সুদৃঢ় নয়। পরিবর্তে, লিঙ্গ সহজেই নমনীয়, এবং চিরতরে পরিবর্তন হয়। স্যালি শাটলওর্থের মহিলা সার্কুলেশন এর একটি উদাহরণে আদর্শ লিঙ্গ অর্থকে পরিবর্তন করে নারীর অবমাননা করা হয়েছে তা বর্ণনা করা হয়েছে। উক্তিটি এরকম "নারীদের অবমাননা, তাদেরকে সক্রিয় শ্রমিকে কাজ থেকে সরিয়ে পুরুষ দক্ষতার দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা, নারীকে নিষ্ক্রীয় করে তার অস্তিত্ব হ্রাস করা, যেখানে লিঙ্গভূমিকার মতাদর্শগুলোর স্থাপনা পরিচালিত হয় সেই ইংল্যান্ডের ভিক্টোরিয়া পরিবার সম্পর্কে ইঙ্গিত করা হয়।"[১৬]

জ্ঞান তত্ত্ব[সম্পাদনা]

জ্ঞানের প্রজন্ম এবং উৎপাদন নারীবাদী তত্ত্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে রয়েছে এবং নারীবাদী জ্ঞানতত্ত্বের উপর আলোচনাকে কেন্দ্রীভূত করে। এখানে নারীজ্ঞান এবং নারীদের জানার উপায় কি বিষয়ে তর্ক হতে পারে এবং নারীরা কীভাবে আপন জ্ঞানের উৎপত্তি বিস্তার করে, পিতৃতান্ত্রিক জ্ঞানের বিস্তার এর তুলনায়।[১৭] নারীবাদী তত্ত্ববিদরা প্রস্তাব করেছেন, "নারীবাদী দৃষ্টিকোন জ্ঞান"কে "কোথাও থেকে দেখ" দ্বারা প্রতিস্থাপন করার চেষ্টা না করা, দেখুন "নারীর জীবনের দৃষ্টিকোণ" থেকে।[১৭] একজন নারীবিদ প্রস্তাব করেছেন নারী জ্ঞান তত্ত্ব প্রতিষ্ঠা করতে হলে নারীর দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা শুরু করতে হবে। এটি বর্ণনা করে যে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে জ্ঞান আসে যা প্রত্যেককে আলাদা আলাদা ভিন্ন দৃষ্টিকোন থেকে দেখতে সাহায্য করে। নারীবাদের কেন্দ্র হল যে, নারীরা পদ্ধতিগতভাবে অধীনস্থ, এবং খারাপ আস্থা তখনই তৈরী হল, যখন নারীরা তাদের সংস্থাটিকে অধীনস্থদের হাতে সপে দেয়। যেমন পুরুষ একজন প্রভাবশালী কর্তা যার সাথে ঈশ্বরে ইচ্ছায় বিবাহ হয়, সেই ধর্মীয় বিশ্বাসকে মেনে নেওয়া। সাইমন ডি বিয়োভর ভাষায় "মহিলাদের জন্য এটি বিকৃত এবং নির্মম"[১৮][১৯][২০][২১]

অন্তর্নিহিততা[সম্পাদনা]

অন্তর্নিহিততা এমন একটি উপায় যার মাধ্যমে ওয়েবে প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে জাতি, লিঙ্গ, যৌন সম্পর্কিত বিষয়ের উপর সমাজের প্রভাবশালীদের দ্বারা কৃত অত্যাচারের মাপকাঠি নির্ণয় করা হয়। এটি রাজনৈতিক দৃষ্টকোণ থেকে মানুষের জীবনে অন্যের দ্বারা একই সাথে একাধিক অধিক্রমনের বিষয়টি তুলে ধরে। যদিও এই তত্ত্বটি সকল মানুষের বেলায়ই প্রযোজ্য হতে পারে, বিশেষ করে সকল নারীদের ক্ষেত্রে, কিন্তু এটি ব্যবহার করা হয় কালো নারীবাদের গবেষণায় শুধুমাত্র তাদেরকে চিহ্নিত করতে। প্যাট্রিকিয়া হিল কলিন্স যুক্তি দেন যে, বিশ্বে সাদা নারীদের তুলনায় কালো নারীরাই বেশি অত্যাচারিত হয়ে থাকে, তারা অন্যান্য কারণগুলোর সাথে জাতিগত ও লিঙ্গগত নীপিড়নের শিকারও হয়ে থাকে। এই বিতর্কটি কেবল লিঙ্গের ক্ষেত্রে নারী জীবনে অত্যাচারের বিষয়টিই বোঝাতেই ব্যবহৃত হয়নি এমনকি বর্ণবাদ, শ্রেণিবিন্যাস, বয়স্কতা, ঘৃণ্যযৌনতা এবং যোগ্যতা প্রভৃতি বিষয়ও অন্তর্ভুক্ত।

ভাষা[সম্পাদনা]

এই বিতর্কে নারী লেখকরা তুলে ধরেছেন যে, সাহিত্যের ভাষায় পুরুষ সর্বনামগুলো বেশি ব্যবহার হয়, যেখানে নারীকে হেয় করা হয়েছে। নারীবাদী তাত্ত্বিকেরা সাহিত্যের ভাষায় ব্যবহৃত হয় এমন কিছু সর্বনামকে উদাহরণস্বরূপ তুলে ধরেছেন, যেমন- "ঈশ্বর পিতা", যা সম্পূর্ণরূপে পুরুষের চরিত্রকেই পবিত্র হিসাবে মনোনীত হিসাবে দেখানো হয় (বা অন্য কথায়, সমস্ত বাইবেলে পুরুষকেই আলোকিত করা হয়েছে, যেখানে "সে", "তিনি" এবং "তাকে" জাতীয় সর্বনামগুলো ব্যবহার করে ঈশ্বরের বর্ণনা দেয়া হয়েছে)। নারীবাদী তত্ত্ববিদরা ভাষার কাঠামোকে পুনবিন্যাসের পুনদাবির চেষ্টাও করে। উদাহরণস্বরূপ- নারীবাদী তত্ত্ববিদরা "নারী (women)" এর পরিবর্তে womyn ব্যবহার করেন। কিছু নারীবাদী তাত্ত্বিকরা ইউনিসেক্স চাকরির শিরোনাম পরিবর্তন করার জন্য সান্ত্বনা খুঁজে পান (উদাহরণস্বরূপ, পুলিশম্যান কে পুলিশ অফিসার বা মেইলম্যান কে মেইল ক্যারিয়ার)।

মনোবিজ্ঞান[সম্পাদনা]

সামাজিক অবকাঠামো ও লিঙ্গভেদ এর উপর ভিত্তি করেই নারীবাদী মনোবিজ্ঞান প্রতিষ্ঠিত। নারীবাদী মনোবিজ্ঞান সমালোচনা করে যে, ঐতিহাসিকভাবে মনোবিজ্ঞান গবেষণাগুলো কেবলমাত্র পুরুষের বিচারধারা ও পুরুষদৃষ্টিকোণ থেকেই করা হয়েছে।[২২] নারীবাদী মনোবিজ্ঞানে নারীর মূল্যবোধ ও নারীর অধিকার নীতিগুলোকে নিয়ে গবেষণা করে, এটি লিঙ্গভেদ ও নারীদ্বারা সৃষ্ট সমস্যাগুলোদ্বারা প্রভাবিত হয়ে থাকে। মনোবিজ্ঞান জগতে প্রথম নারী প্রবেশকারী ছিলেন এথেল ডেনচ পিউফার হিউস। ১৯১৪ সালে তিনি জাতীয় কলেজ সমান ভোটাধিকার লীগের নির্বাহী সচিব ছিলেন।

একটি প্রধান মানসিক তত্ত্ব হল জীন বাকের মিলার এর কাজের উপর নির্ভরশীল "সম্পর্কীয় সাংস্কৃতিক তত্ত্ব", তার বই টুয়ার্ড এ নিউ সাইকোলজি অব ওম্যান এ তিনি উল্লেখ করেন যে, মানুষের প্রয়োজনীয়তার খাতিরে বংশ বৃদ্ধি-উৎসাহী সম্পর্কগুলোই মূল সমস্যার উৎস, আর এগুলোকে বন্ধ করলেই তৈরী হবে মানসিক সমস্যা। [২৩] বেটি ফ্রেডানস এর ফেমিনিন মিসটিক ও ১৯৬০ এর ক্লাসিক নারীবাদীদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে সাংস্কৃতিক সম্পর্কীয় তত্ত্বকে প্রস্তাব করে যে, "বিচ্ছিন্নতা হল মানব জীবনের অত্যন্ত ক্ষতিকর অভিজ্ঞতা এবং পুনসংযোগ হচ্ছে সর্বোত্তম আচরণ" এবং থেরাপিষ্টরা "রোগির প্রতি তাদের নিরপেক্ষতার দৃষ্টিকোণ ব্যবহার করে একটি সহানুভুতিশীল ও গ্রহণযোগ্য পরিবেশ তৈরী করে দিতে পারে"।[২৪] তত্ত্বটি ছিল কিছু রোগবিষয়ক এবং প্রমাণ করতে চেয়েছিল যে, "এখানে নারীদের সাথে কোন অসংগতি ছিল না, আসলে আধুনিক সভ্যতা তাদেরকে যে দৃষ্টিকোণ থেকে দেখছে"।[২৫]

মনো:সমীক্ষণ[সম্পাদনা]

নারীবাদী মনোবিজ্ঞানী ফ্রয়েড ও তার তত্ত্বের উপর ভিত্তি করেই নারীবাদী মনোবিজ্ঞান চালিত হয়, আবার তারা এর গুরুত্বপূ্র্ণ সমালোচনাও করে। লিঙ্গ একটি জৈবিক বিষয় নয় এটি তৈরী হয় প্রত্যেকের আলাদা আলাদা মনোঃ লিঙ্গ চিন্তা থেকে কিন্তু যৌনতার ভিন্নতা ও লিঙ্গের ভিন্নতা এক নয়, ফ্রয়েডের তত্ব সেটিকে সমর্থন করে। মনোবিশ্লেষনকারী নারীবাদীরা বিশ্বাস করে যে, লিঙ্গের ভেদাভেদ শুরু হয় সদ্য শৈশব অভিজ্ঞতা থেকে, যা পুরুষজাতিকে পুরুষ হিসেবে এবং মহিলাজাতিকে নারী হিসেবে বিশ্বাস করতে শেখায়। আর এটা পরবর্তীকালেও বজায় থেকে সামাজিক ভাবে পুরুষ জাতিকে নেতৃত্বে ধাবিত করে এবং এটা গড়ে উঠে প্রত্যেকের একক লিঙ্গীয় মনো চিন্তা থেকে। কেউ কেউ এর একটি সমাধান প্রস্তাবও রেখেছে, সামাজিকভাবে সহশিক্ষার মাধ্যমে লিঙ্গ ভেদাভেদ পদ্ধতিকে বিলুপ্ত করা।[২৬][২৭] বিংশ শতাব্দীর বিগত ৩০ বছর যাবৎ নারীবাদ বিষয়ক ফ্রান্সের আধুনিক নারীবাদী মনোবিজ্ঞানী তত্ত্বগুলো লিঙ্গ ভেদাভেদের চেয়ে যৌন ভেদকেই বেশি প্রাধান্য দিয়েছে, যেমন- জুলিয়া ক্রিস্টেভা,[২৬][২৮] মাউদ মানোনী, লুস ইরিগেরায়[২৯][৩০] এবং ব্রাসা ইট্টিনজার[৩১] শুধুমাত্র নারীবাদী তত্ত্বকেই বৃহৎভাবে প্রভাবিত করেনি, দর্শন ও সাধারণ মনো বিজ্ঞান সমীক্ষণ তত্ত্বকেও ব্যাখ্যা করেছে।[৩২][৩৩] এই নারী মনোবিজ্ঞানীরা প্রধান পোস্ট লেকানিয়ান। জেসিকা বেনজামিন[৩৪], জেকলিন রোজ,[৩৫] রঞ্জনা খান্না[৩৬] এবং শোসানা ফেলমা[৩৭] সহ অন্যান্য নারীবাদী মনোবিজ্ঞানী ও নারীবাদী তত্ত্ববিদরা নারীবাদ মনোবিজ্ঞানে অবদান রেখে উহাকে সমৃদ্ধ করেছেন।

পুতুল সহ বালিকা

সাহিত্য তত্ত্ব[সম্পাদনা]

নারীবাদী সাহিত্য সমালোচনা একটি সাহিত্য সমালোচনা যা নারীবাদী তাত্ত্বিক বা রাজনীতি দ্বারা প্রচলিত সাহিত্য সমালোচনা। জর্জ এলিয়ট, ভার্জিনিয়া ওলফ,[৩৮] এবং মার্গারেট ফুলার এর মত তৎকালীন মহিলা লেখকদের তাত্ত্বিক কাজগুলো থেকে বর্তমানযুগের "তৃতীয় তরঙ্গ" নারী লেখকদের দ্বারা তৈরী লিঙ্গ গবেষণা কাজগুলির তত্ত্ব ও ইতিহাস বৈচিত্র্যময় হয়েছে।[৩৯]

সাধারণত, ১৯৭০এর পূর্ব পর্যন্ত নারীবাদী সাহিত্য সমালোচনার বিষয়বস্তু ছিল, রাজনীতিতে নারী নেতৃত্ব এবং সাহিত্যের বিভিন্ন অবস্থানে নারীকে উপস্থাপন করা।[৩৯] যখন লিঙ্গ সম্বন্ধীয় আরো জটিল বিষয়গুলো সামনে আসল, তখন নারীবাদী সাহিত্য সমালোচনা নতুন বৈচিত্রের পথ ধরল। বিদ্যমান সম্পর্কের শক্তিকে পুননির্মাণের অংশ হিসেবে তারা ফ্রেডিয়ান এবং ল্যাকানিয়ান এর লিঙ্গ বিষয়ক শর্তাবলীকে বিবেচনায় নিয়ে আসল।[৩৯]

চলচ্চিত্র তত্ত্ব[সম্পাদনা]

লাউরা মালভের মতো অনেক নারীবাদী চলচ্চিত্র সমালোচক ক্লাসিক্যাল হলিউডে চলচ্চিত্র তৈরির ক্ষেত্রে "পুরুষ দৃষ্টিভঙ্গি" নির্দেশ করেছেন। শর্ট রিভার্স শর্ট এর মতো চলচ্চিত্রে বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করে দর্শকদেরকে একটি পুরুষ প্রধান চরিত্রের দৃষ্টিভঙ্গিতে নিয়ে যায়। উল্লেখযোগ্যভাবে, প্রায়শঃ চলচ্চিত্রে নারী একটি স্থিরচিত্রে তাকিয়ে থাকার বস্তু হিসেবে কাজ করে।[৪০][৪১] বিগত ২০ বছর ধরে নারীবাদী চলচ্চিত্র তত্ত্ব স্থিরচিত্রকে ফরাসী নারীবাদী মনোবিশ্লেষক ব্রাসা ইট্টিনজার এর নারীত্ব, মাতৃত্ব ও ম্যাট্রিক্সীয় নতুন দৃষ্টিভঙ্গি দেওয়া, যা সৌন্দর্য তত্ত্বদ্বারা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়েছে।[৪২][৪৩]

শিল্প ইতিহাস[সম্পাদনা]

ইতিহাসে নারীবাদ[সম্পাদনা]

নারীবাদী ইতিহাস, নারীবাদী দৃষ্টিকোণ থেকে ইতিহাসকে পুনরায় পড়ার এবং ব্যাখ্যা করা বোঝায়। এটি নারীবাদ ইতিহাস নয়, যা নারীবাদী আন্দোলনের ইতিহাস ও বিবর্তনের রূপরেখা দেখায়। এটা মহিলাদের ইতিহাস থেকেও ভিন্ন, যা বিভিন্ন ঐতিহাসিক ঘটনায় নারীর ভূমিকাকে আলোকপাত করে। নারীবাদ ইতিহাসের মূল লক্ষ্য হচ্ছে, বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে নারীবাদ ইতিহাসকে উন্মোচিত করা ও নারী দৃষ্টিকোণ থেকে অতীতের নারীবাদী লেখক, শিল্পী, দার্শনিক ইত্যাদির অসামান্য অবদান, নারী কণ্ঠ ও নারী পছন্দকে পুনরুজ্জীবিত করা।[৪৪][৪৫][৪৬][৪৭][৪৮]

ভূগোল[সম্পাদনা]

নারীবাদী ভৌগোলিকত্ব প্রায়শঃই আধুনিকতা পরবর্তী সীমানাকেই নির্দেশ করে, কিন্তু এটাই তাদের প্রাথমিক ভাবে নির্দেশিত উন্নয়নের বিষয়বস্তু নয়, আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে ব্যক্তি প্রত্যেকের অঞ্চলভিত্তিক তাদের এলাকায় তারা যে সমাজে বসবাস করে অভিজ্ঞতাকে সামনে নিয়ে আসা। বস্তুতপক্ষে এটা বাস্তবিক বিশ্বকে সমীক্ষা করে, পূর্বের ভৌগোলিক ও সামাজিক গবেষণাগুলো আলোচনা সমালোচনাও করেন, যুক্তি প্রদান করা হয় যে, প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাগুলো সাধারণ পিতৃতাত্ত্বিক হিসেবে চিত্রায়িত করা হয় এবং বর্তমান গবেষণাগুলো পূর্বের প্রাকৃতিক গবেষণার মুখোমুখি হয়, যেখানে প্রাতিষ্ঠানিক গবেষণাগুলো পুরুষ পক্ষপাত জোরদার করে।[৪৯][৫০][৫১]

দর্শন[সম্পাদনা]

নারীবাদী দর্শন নারীবাদী দৃষ্টিকোণ থেকে দর্শনশাস্ত্রকে বুঝায়। নারীবাদী আন্দোলনের মধ্যে নারীবাদী দার্শনিকরা দর্শনকে ব্যবহারের প্রচেষ্টা করে। দর্শনের গতানুগতিক চিন্তাধারার সমালোচনা ও একে নারীবাদী দৃষ্টিকোণ থেকে পুনবিন্যাসেরও চেষ্টা করা হয়। এই সমালোচনা পশ্চিমা দর্শন ডাইকোটমি থেকে উৎপন্ন হয়ে দেহ ও মনের ঘটনার সংগে সংযুক্ত করা হয়েছে।[৫২] অন্যান্য তত্ত্বের মতো নারীবাদী দর্শনের কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নেই। এর মানে হল নারীবাদী দার্শনিকদেরকে পাওয়া যাবে বিভিন্ন উপমহাদেশীয় বিশ্লেষণাত্ত্বক ঐতিহ্যে বা উক্ত বিষয়ে নেওয়া বিভিন্ন দার্শনিকের নারীবাদী দৃষ্টিভঙ্গিতে নেওয়া সিদ্ধান্তে। নারীবাদী দার্শনিকরাও ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ের সিন্ধান্তে ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টভঙ্গির ব্যবহার করেন। নারীবাদী দার্শনিকরা যারা নারীবাদী, হতে পারেন বিভিন্ন আলাদা আলাদা নারীবাদে বিশ্বাসী। জুডিথ বাটলার,রোসি ব্রাইডোটি, ডোনা হারাওয়ে, ব্রাচা ইট্টিনজার এবং এভিটাল রেনেলের রচনাবলী মনোসমীক্ষণগতভাবে অত্যন্ত অর্থপূর্ণ যা সমসাময়িক নারীবাদী দর্শনের দ্বারা প্রভাবিত।

যৌন বিদ্যা[সম্পাদনা]

নারীবাদী যৌন বিদ্যা, নারীবাদী যৌন গবেশনার একটি প্রশাখা, যা নারীর যৌন জীবন ও লিঙ্গ ভেদাভেদে অর্ন্তনিহিততার উপর আলোকপাত করে। নারীবাদী যৌনবিদ্যা, নারীবাদী যৌনতার বিস্তৃত ক্ষেত্রের অনেক নীতি শেয়ার করে। বিশেষ করে, এটি নারীর যৌনতার জন্য একটি নির্দিষ্ট পথ বা "স্বাভাবিকতা" কে নির্ধারণ করার চেষ্টা করে না, বরং এর ফলে ভিন্ন উপায় এবং বিভিন্ন পদ্ধতিতে নারীরা তাদের যৌনতা প্রকাশ করতে পারে। একজন নারীবাদী দৃষ্টিকোণ থেকে যৌনতা দেখলে একজন ব্যক্তির যৌন জীবনের বিভিন্ন দিকগুলির মধ্যে সংযোগ সৃষ্টি হয়। নারীবাদীদের দৃষ্টিকোণ থেকে, যৌনতা, যা মানব যৌনতা এবং যৌন সম্পর্কের গবেষণা, লিঙ্গ, জাতি এবং যৌনতার অন্তর্নিহিততা সম্পর্কিত। পুরুষদের রয়েছে নারীর সহিত সম্পর্কের উপর কর্তৃত্বশালী ক্ষমতা ও নিয়ন্ত্রণ এবং মহিলাদের যৌন আচরণ সম্পর্কে তাদের প্রকৃত অনুভূতি লুকানোর আশা করা হচ্ছে। সমাজে নারীর মুখে ও চেহারাতে যৌন নির্যাতনের প্রভাব বেশি হয়। আফ্রিকা ও এশিয়ার কিছু কিছু দেশে নারী যৌনাঙ্গে কাটা, নারীর যৌন বাসনা নিয়ন্ত্রণ এবং তাদের যৌন আচরণ সীমিত করে রাখা হয়। অধিকন্তু, নারীবাদী ও মানবাধিকার কর্মীরা একত্রে উল্লেখ করেছে যে, নারী ও পুরুষের রাজনৈতিক সম্পর্ক এবং পুরুষ প্রধান সমাজে সমকামিতা একটি হুমকি স্বরূপ।[৫৩] অতএব অতীতে লোকেরা সমকামিতাকে একটি পাপ হিসাবে দেখত এবং মৃত্যুদণ্ড দিয়ে দিত,এমনকি আজও অনেক মানুষ সমকামীতা বৈষম্যের শিকার, এখনো অনেক স্বকামী যৌন নির্যাতনের ভয়ে তাদের মুখ ও যৌন ইচ্ছা লুকিয়ে রাখেন।

সমকামী প্রতিভা[সম্পাদনা]

সমকামী প্রতিভা হল "ব্লাসিনগেম" নামক এক স্বপরিচিত আফ্রিকান উভকামী মহিলাদ্বারা সৃষ্ট শব্দ। ব্লাসিনগেম এই শব্দটি স্বকামি পুরুষ ও মহিলা সম্প্রদায়কে বুঝানোর জন্য ব্যবহার করতেন যারা বিপরীত লিঙ্গের প্রতি ছিল অন্ধ এবং উভকামী, বিপরীতকামী ও সমকামীদের দ্বারা নিপীড়িত হতো। এই নিপীড়নের নেতিবাচক প্রভাব পড়ে বিপরীতকামী সম্প্রদায়ের চেয়ে স্বকামী পুরুষ ও মহিলা সম্প্রদায়ের উপর অধিক, কারণ হিসাবে এর উপর সকল বিপরীতকামীদের লোভ্যতা। ব্লাসিনগেম যুক্তি দিয়েছিলেন, দ্বিবিভাজন একটি অযথার্থ উপায় প্রতিটি ব্যক্তিকে আলাদা করা, কারণ সত্যিকার অর্থে কালো বা সাদা, সোজা বা গেই বলতে কিছুই নেই। তার প্রধান যুক্তি ছিল বিফোবিয়া, দুটি শিকড়ের কেন্দ্রীয় বার্তা।[৫৪]

রাজনীতি[সম্পাদনা]

অর্থ বিজ্ঞান[সম্পাদনা]

নারীবাদী অর্থনীতি ব্যাপকভাবে অর্থনীতির একটি উন্নয়নশীল শাখা বোঝায় যা নারীবাদী অন্তর্দৃষ্টি এবং অর্থনীতিতে সমালোচনার প্রয়োগ করে।

আইনি তত্ত্ব[সম্পাদনা]

নারীবাদী আইনি তত্ত্ব নারীবাদী দৃষ্টিভঙ্গির উপর ভিত্তি করে যে পুরুষের সম্পর্কের ক্ষেত্রে মহিলাদের আচরণের সমান বা ন্যায্য নয়। নেতৃস্থানীয় তাত্ত্বিক ক্লিয়ার ডাল্টন দ্বারা নির্ধারিত নারীবাদী আইনি তত্ত্বের লক্ষ্যগুলি, মহিলা অভিজ্ঞতা বোঝার এবং অন্বেষণ করা, আইন এবং প্রতিষ্ঠানগুলি নারীকে বিরোধিতা করে এবং এটি কী রূপান্তর করা যেতে পারে তা নির্ধারণ করে। এই আইন এবং লিঙ্গ মধ্যে সংযোগ অধ্যয়ন পাশাপাশি আইন প্রবর্তনকারী এলাকায় নারীবাদী বিশ্লেষণ প্রয়োগ মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়।[৫৫][৫৬][৫৭]

যোগাযোগ তত্ত্ব[সম্পাদনা]

জনসংযোগ[সম্পাদনা]

নারীবাদী তত্ত্ব পাবলিক রিলেশন ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা যেতে পারে। নারীবাদী পণ্ডিত লিন্ডা হন নারীদের অভিজ্ঞতার প্রধান বাধাগুলি পরীক্ষা করেছিলেন। কিছু সাধারণ বাধা পুরুষ কর্তৃত্ব এবং লিঙ্গ দ্বৈতকরণ প্রকৃতির অন্তর্ভুক্ত। হন নারীবাদী তত্ত্বকে "পিতৃতান্ত্রিক ব্যবস্থার মধ্যে নারীর সমষ্টি" থেকে "সামাজিক পুনর্গঠনের প্রকৃত অঙ্গীকার" এ স্থানান্তরিত করে।[৫৮] অনুরূপভাবে হন নারীবাদী মূল্যবোধ গবেষণাকে এলিজাবেথ ল্যান্স টথ এর নারীবাদী মূল্যবোধ গবেষণায় জনসংযোগ করেন।[৫৯] টথ মনে করেন যে লিঙ্গ নারীবাদ ও নারীবাদী মূল্যবোধের মধ্যে একটি পরিষ্কার সম্পর্ক বিদ্যমান। আর এই মূল্যবোধ সততা, সংবেদনশীলতা, সহানুভূতি, ন্যায্যতা এবং প্রতিশ্রুতি অন্তর্ভুক্ত।

নকশা তত্ত্ব[সম্পাদনা]

কালো নারীবাদী অপরাধবিদ্যা[সম্পাদনা]

সমালোচনা[সম্পাদনা]

নারীবাদী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গবেষণা[সম্পাদনা]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Chodorow, Nancy J., Feminism and Psychoanalytic Theory (Yale University Press: 1989, 1991)
  2. Brabeck, M. and Brown, L. (with Christian, L., Espin, O., Hare-Mustin, R., Kaplan, A., Kaschak, E., Miller, D., Phillips, E., Ferns, T., and Van Ormer, A.) 'Feminist theory and psychological practice', in J. Worell and N. Johnson (eds.) Shaping the future of feminist psychology: Education, research, and practice (Washington, D.C.: American Psychological Association, 1997), pp.15-35
  3. Gilligan, Carol, 'In a Different Voice: Women's Conceptions of Self and Morality' in Harvard Educational Review (1977)
  4. Lerman, Hannah, Feminist Ethics in Psychotherapy (Springer Publishing Company, 1990) আইএসবিএন ৯৭৮-০-৮২৬১-৬২৯০-৮
  5. Pollock, Griselda. Looking Back to the Future: Essays on Art, Life and Death. G&B Arts. 2001. আইএসবিএন ৯০-৫৭০১-১৩২-৮
  6. de Zegher, Catherine. Inside the Visible. Massachusetts: MIT Press 1996
  7. Armstrong, Carol and de Zegher, Catherine. Women Artists at the Millennium. Massachusetts: October Books / MIT Press 2006. আইএসবিএন ০-২৬২-০১২২৬-X
  8. Arnold, Dana and Iverson, Margaret (Eds.). Art and Thought. Blackwell. 2003. আইএসবিএন ০-৬৩১-২২৭১৫-৬
  9. Florence, Penny and Foster, Nicola. Differential Aesthetics. Ashgate. 2000. আইএসবিএন ০-৭৫৪৬-১৪৯৩-X
  10. "The Changing Woman" (Navajo Origin Myth). Feminist Theory: A Reader. 2nd Ed. Edited by Kolmar, Wendy and Bartowski, Frances. New York: McGraw-Hill, 2005. 64.
  11. Anthony, Susan B. "Speech After Arrest for Illegal Voting". Feminist Theory: A Reader. 2nd Ed. Edited by Kolmar, Wendy and Bartowski, Frances. New York: McGraw-Hill, 2005. 91-95.
  12. Truth, Sojourner. "Ain't I a Woman". Feminist Theory: A Reader. 2nd Ed. Edited by Kolmar, Wendy and Bartowski, Frances. New York: McGraw-Hill, 2005. 79.
  13. "Native American Indian Legends - Changing Woman - Navajo"। ১৮ মে ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মে ২০১৯ 
  14. Mittwoch U (October 1988). "The race to be male". New Scientist. 120 (1635): 38–42.
  15. ISNA."Frequently Asked Questions." Intersex Society of North America 1993–2008
  16. Shuttleworth, Sally. "Female Circulation: Medical Discourse and Popular Advertising in the Mid-Victorian Era." Body/Politics: Women and the Discourses of Science. Eds. Mary Jacobus, Evelyn Fox Keller and Sally Shuttleworth. New York: Routledge, 1990. 47-70.
  17. Bartkowski, [compiled by] Wendy K. Kolmar, Frances (১৯৯৯)। Feminist theory : a reader। Mountain View, Calif [u. a.]: Mayfield Pub. Co। পৃষ্ঠা 45। আইএসবিএন 978-1559349253 
  18. The Look as Bad Faith, Debra B. Bergoffen, Philosophy Today 36, 3 (1992), 221-227
  19. "It argues, with Simone de Beauvoir, that patriarchal marriage is both a perversion of the meaning of the couple and an institution in transition", Marriage, Autonomy, and the Feminine Protest, Hypatia, Volume 14, Number 4, Fall 1999, pp. 18-35, [১]
  20. "mutilated... immanent...", The Second Sex, Simone de Beauvoir, H.M. Parshley (Trans), Vintage Press, 1952
  21. "… women are systematically subordinated… de Beauvoir labels women "mutilated" and "immanent"… women succumb to 'bad faith' and surrender their agency…", Feminist Perspectives on the Self, Stanford Encyclopedia of Philosophy
  22. Crawford, M. & Unger, R. (2000). Women and Gender: A feminist psychology (3rd ed.). Boston, MA: McGraw-Hill Companies Inc.
  23. "Biography of Dr. Jean Baker Miller"Changing the Face of Medicine 
  24. Pearce, Jeremy (৮ আগস্ট ২০০৬)। "Jean Baker Miller, 78, Psychiatrist, Is Dead"The New York Times 
  25. "Jean Baker Miller"। ২০১২-০৭-২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৫-১৯ 
  26. Kristeva, Julia, Toril Moi (Ed.), 'The Kristeva Reader'. NY: Columbia University Press, 1986. আইএসবিএন ০-২৩১-০৬৩২৫-৩
  27. Kristeva, Julia, Powers of Horror. NY: Columbia University Press, 1982. আইএসবিএন ০-২৩১-০৫৩৪৭-৯
  28. Kristeva, Julia, Powers of Horror. NY: Columbia University Press, 1982. আইএসবিএন ০-২৩১-০৫৩৪৭-৯
  29. Irigaray, Luce, 'Key Writings'. London: Continuum. আইএসবিএন ০-৮২৬৪-৬৯৪০-X
  30. Irigaray, Luce, Irigaray, Luce, 'Sexes and Genealogies'. Columbia University Press. 1993.
  31. Ettinger, Bracha, 'The Matrixial Borderspace'. (Essays from 1994–1999), University of Minnesota Press 2006. আইএসবিএন ০-৮১৬৬-৩৫৮৭-০.
  32. Theory, Culture and Society, Vol. 21 num. 1, 2004. ISSN 0263-2764
  33. Vanda Zajko and Miriam Leonard (eds.), 'Laughing with Medusa'. Oxford University Press, 2006. 87-117. আইএসবিএন ০-১৯-৯২৭৪৩৮-X
  34. Jessica Benjamin, The Bonds of Love. London: Virago, 1990.
  35. "Dora: Fragment of an Analysis" in: In Dora's Case. Edited by Berenheimer and Kahane, London: Virago, 1985.
  36. Khanna, Ranjana (২০০৩)। Dark Continents: Psychoanalysis and Colonialism। Duke University Press। আইএসবিএন 978-0822330677 
  37. Felman, Shoshana (১৯৯৩)। What Does a Woman Want। Johns Hopkins University Press। আইএসবিএন 9780801846205 
  38. Humm, Maggie, Modernist Women and Visual Cultures. Rutgers University Press, 2003. আইএসবিএন ০-৮১৩৫-৩২৬৬-৩
  39. Barry, Peter, 'Feminist Literary Criticism' in Beginning theory (Manchester University Press: 2002), আইএসবিএন ০-৭১৯০-৬২৬৮-৩
  40. Chaudhuri, Shohini, Feminist Film Theorists (Routledge, 2006) আইএসবিএন ৯৭৮-০-৪১৫-৩২৪৩৩-৫
  41. Mulvey, Laura 'Visual Pleasure and Narrative Cinema' in Feminism and Film Theory. Ed. Constance Penley (Routledge, 1988)"Archived copy"। ২০০৫-১১-০৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৮-০৫ 
  42. Humm, Maggie, Feminism and Film. Indiana University press, 1997. আইএসবিএন ০-২৫৩-৩৩৩৩৪-২
  43. Gutierrez-Arbilla, Julian Daniel, Aesthetics, Ethics and Trauma in the Cinema of Pedro Almodovar. Edinburgh University press, 2017. আইএসবিএন ৯৭৮-১-৪৭৪৪-৩১৬৭-৫
  44. Cain, William E., ed. Making Feminist History: The Literary Scholarship of Sandra M. Gilbert and Susan Gubar (Garland Publications, 1994)
  45. Laslitt, Barbara, Ruth-Ellen B. Joeres, Krishan Sharma, Evelyn Brooks Higginbotham, and Jeanne Barker-Nunn, ed. History and Theory: Feminist Research, Debates, Contestations (University of Chicago Press, 1997)
  46. Lerner, Gerda, The Majority Finds Its Past: Placing Women in History (Oxford University Press, 1981)
  47. Pollock, Griselda. Generations and Geographies in the Visual Arts. London: Routledge, 1996. আইএসবিএন ০-৪১৫-১৪১২৮-১
  48. . de Zegher, Catherine and Teicher, Hendel (Eds.) 3 X Abstraction. New Haven: Yale University Press, 2005. আইএসবিএন ০-৩০০-১০৮২৬-৫
  49. Rose, Gillian, Feminism and Geography: The Limits of Geographical Knowledge (Univ. of Minnesota Press, 1993)
  50. Moss, Pamela, Feminisms in Geography: Rethinking Space, Place, and Knowledges (Rowman & Littlefield Publishers, 2007) আইএসবিএন ৯৭৮-০-৭৪২৫-৩৮২৯-০
  51. Welchman, John C., Rethinking Borders. Macmillan, 1996 আইএসবিএন ০-৩৩৩-৫৬৫৮০-০
  52. Rée, Jonathan; Urmson, J.O. (২০০৫)। The Concise Encyclopedia of Western Philosophy (3rd সংস্করণ)। London: Routledge। পৃষ্ঠা 143–145। আইএসবিএন 978-0-203-64177-4 
  53. Bunch, Charlotte. Lesbians in Revolt. 1972.
  54. Blasingame, Brenda Maria. "The Roots of Biphobia: Racism and Internalized Heterosexism." Closer to Home: Bisexuality and Feminism. Ed. Elizabeth Reba Weise. Seattle: Seal Press, 1992. 47-53.
  55. Dalton, Claire, 'Where We Stand: Observations on the Situation of Feminist Legal Thought' in Feminist Legal Theory: Foundations ed. by D. Kelly Weisberg (Temple University Press, 1993), আইএসবিএন ৯৭৮-১-৫৬৬৩৯-০২৮-৬
  56. Dalton, Claire, 'Deconstructing Contract Doctrine' in Feminist Legal Theory: Readings in Law and Gender ed. by Katharine T. Bartlett and Rosanne Kennedy (Harper Collins, 1992)
  57. Feminist Legal Theory: Readings in Law and Gender ed. by Katharine T. Bartlett and Rosanne Kennedy (Harper Collins, 1992), আইএসবিএন ৯৭৮-০-৮১৩৩-১২৪৮-৪
  58. Hon, Linda Childers (১৯৯৫)। "Toward a Feminist Theory of Public Relations"। Journal of Public Relations Research7: 27–88। ডিওআই:10.1207/s1532754xjprr0701_03 
  59. Grunig, Larissa A.; Toth, Elizabeth L.; Hon, Linda Childers (জানুয়ারি ২০০০)। "Feminist Values in Public Relations"। Journal of Public Relations Research (ইংরেজি ভাষায়)। 12 (1): 49–68। আইএসএসএন 1062-726Xডিওআই:10.1207/s1532754xjprr1201_4 

বই[সম্পাদনা]

  • Lexicon of Debates নারীবাদী তত্ত্ব:একটি পাঠ্য। দ্বিতীয় সংস্করণ। সম্পাদনায়-কলমার, ওয়েন্ডি এবং বার্টস্কি, ফ্রান্স। নিউইয়র্ক: ম্যাকগ্রো-হিল, ২০০৫, ৪২-৬০

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]