প্রজাতন্ত্রী আয়ারল্যান্ডে নারীবাদ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

আয়ারল্যান্ডে নারীবাদ বর্তমান আয়ারল্যান্ডে নারীদের আইনি ও সামাজিক অবস্থান গঠনে একটি প্রধান ভূমিকা পালন করেছে। ২০ শতকের দ্বিতীয় ভাগে বিশেষ করে ১৯৭০-এর দশকে নারীর ভূমিকা অনেক আইনি পরিবর্তন দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে।

বিংশ শতক[সম্পাদনা]

১৯১০-১৯২০: বিপ্লব ও ভোটাধিকার[সম্পাদনা]

১৯১৬ সালে হানা শেহি স্কেফিংটন

নারীরা ১৯১৬ সালের ইস্টার রাইজিং-এ সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছিল, ১৭৯৮ সালের বিদ্রোহের পর থেকে আয়ারল্যান্ডের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিদ্রোহ ও আইরিশ বিপ্লবী সময়ের প্রথম সশস্ত্র পদক্ষেপ। হানা শেহি স্কেফিংটন ভোটাধিকার কর্মী ১৯১৭ সালে একটি বক্তৃতা সফরের সময় শ্রোতাদের বলেছিলেন যে "আমার জানামতে ইতিহাসে এটাই একমাত্র দৃষ্টান্ত যেটিতে যখন স্বাধীনতার জন্য লড়াই করা পুরুষরা স্বেচ্ছায় নারীদের অন্তর্ভুক্ত করেছিল।"[১]

আনুমানিক ৩০০ জন মহিলা[২] পরবর্তী আইরিশ স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন, যাদের মধ্যে অনেকেই ছিলেন আইরিশ প্রজাতন্ত্রী আধাসামরিক গোষ্ঠী কুমান না এমবানের সদস্য।[৩] ২০১৬ সালের রাইজিং স্মরণের আগে বেশ কয়েকজন ঐতিহাসিক নারীদের ভূমিকা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য কাজ করেছেন। মেরি ম্যাকঅলিফ ও লিজ গিলিসের উই ওয়েয়ার দিয়ার - ৭৭ উইমেন অফ দ্য ইস্টার রাইজিং বইটিতে ৭৭ জন নারীর গল্প নথিভুক্ত করেছিল যারা বিদ্রোহে অংশ নেওয়ার কারণে জেলে গিয়েছিল। তারা সাধারণত কর্মী ছিল যারা বিভিন্ন উপায়ে সামাজিক ন্যায়বিচার ও সমতার জন্য লড়াই করেছিল: ভূমি সংস্কার, শ্রম সংগঠন ও নারীদের ভোটাধিকার।

১৯১৮ সাল থেকে যুক্তরাজ্যের বাকি অংশের সাথে আয়ারল্যান্ডের নারীরা সম্পত্তির যোগ্যতার সাথে বা বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচনী এলাকায় ৩০ বছর বয়সে ভোট দিতে পারতো, অন্যদিকে পুরুষরা ২১ বছর বয়সে কোনো যোগ্যতা ছাড়াই ভোট দিতে পারতো। ১৯২২ সালে বিভাজন থেকে আইরিশ ফ্রি স্টেট পুরুষ ও নারীদের সমান ভোটাধিকার দেয়।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. The Sisterhood of the Easter Rising March 16, 2016
  2. McCoole, Sinead। "Women of 1916"Irish Times। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জানুয়ারি ২০১৮ 
  3. "Cumann na mBan and the Irish Revolution" ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০১৬-১২-২০ তারিখে Press release, Collins Press