হাসান তিলকরত্নে

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
হাসান তিলকরত্নে
ক্রিকেট তথ্য
ব্যাটিংয়ের ধরনবামহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি অফ ব্রেক
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই
ম্যাচ সংখ্যা ৮৩ ২০০
রানের সংখ্যা ৪৫৪৫ ৩৭৮৯
ব্যাটিং গড় ৪২.৮৭ ২৯.৬০
১০০/৫০ ১১/২০ ২/১৩
সর্বোচ্চ রান ২০৪* ১০৪
বল করেছে ৭৬ ১৮০
উইকেট
বোলিং গড় ২৩.৫০
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট -
সেরা বোলিং ১/৩
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ১২২/২ ৮৯/৬
উৎস: ক্রিকইনফো, ৪ আগস্ট ২০১৬

হাসান প্রশান্ত তিলকরত্নে (সিংহলি: හෂාන් තිලකරත්න; জন্ম: ১৪ জুলাই, ১৯৬৭) কলম্বোয় জন্মগ্রহণকারী সাবেক শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটার ও বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ।[১] শ্রীলঙ্কা জাতীয় ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। এছাড়াও দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন হাসান তিলকরত্নে। দলে তিনি মূলতঃ বামহাতি ব্যাটসম্যান ছিলেন। পাশাপাশি ডানহাতে অফ ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শীতা দেখান। ঘরোয়া ক্রিকেটে নন্দেস্ক্রিপ্টস ক্লাবের প্রতিনিধিত্ব করেন।

প্রারম্ভিক জীবন[সম্পাদনা]

কলম্বোর ডি. এস. সেনানায়েকে কলেজে অধ্যয়নকালীন ক্রিকেট খেলতে শুরু করেন। ১৯৮৬ সালে বিদ্যালয়ের ছাত্রাবস্থায় গালেতে ইংল্যান্ড বি দলের বিপক্ষে খেলার জন্য মনোনীত হন। খেলায় তিনি দূর্দান্ত সেঞ্চুরি করে দলকে পরাজয়ের হাত থেকে রক্ষা করেন।

খেলোয়াড়ী জীবন[সম্পাদনা]

নভেম্বর, ১৯৮৬ তিনি তার প্রথম একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেন। ডিসেম্বর, ১৯৮৯ সালে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলে উইকেট-কিপার কাম ব্যাটসম্যান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। ডিসেম্বর, ১৯৯২ সাল থেকে বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলায় অংশ নিতে শুরু করেন।

১৯৯৬ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের শিরোপা বিজয়ী শ্রীলঙ্কা দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন। কিন্তু, ১৯৯৯ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের পর দল থেকে বাদ পড়েন। কিন্তু ২০০১ সালে ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে সাফল্য লাভের পর টেস্ট দলে খেলার সুযোগ পান। এছাড়াও ২০০২-০৩ মৌসুমে পুনরায় ওডিআই দলের সদস্য মনোনীত হন।

অবসর পরবর্তীকাল[সম্পাদনা]

এপ্রিল, ২০০৩ সালে শ্রীলঙ্কার টেস্ট দলের অধিনায়কের পদে আসীন হন। কিন্তু এ দায়িত্ব পালনকালে ১০ টেস্টের মাত্র একটিতে জয় পায় তার দল। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ পরাজয়ের পর মে, ২০০৪ সালে পদত্যাগ করেন। এরপর তিনি আর শ্রীলঙ্কা দলে ফিরে আসেননি।

ডিসেম্বর, ২০০৪ সালে সুনামিতে আক্রান্তদেরকে ত্রাণসামগ্রী বিতরণে ক্রিকেট-এইড গঠন করা হয়। ১ ফেব্রুয়ারি, ২০০৫ তারিখে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড কর্তৃপক্ষ তাকে ক্রিকেট-এইডের নির্বাহী পরিচালক হিসেবে মনোনয়ন দেয়। কিন্তু ঐ বছরই তার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ বরখাস্ত করা হয়।

এরপর তিনি রাজনীতির দিকে ঝুঁকে পড়েন। ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টিতে যোগ দেন ও কলম্বোর অভিসাওয়েলা নির্বাচনী এলাকায় দলের সংগঠক হিসেবে মনোনীত হন। নবনিযুক্ত সভাপতি অর্জুনা রানাতুঙ্গা’র আমন্ত্রণে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের বিভিন্ন কমিটিতে অংশগ্রহণ করে ক্রিকেটের উন্নয়নে অংশ নিতে থাকেন।

মার্চ, ২০০৮ সালে মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাবের সম্মানসূচক আজীবন সদস্য হিসেবে তাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। মে মাসে অ্যাসোসিয়েশন অব ক্রিকেট আম্পায়ার্স এন্ড স্কোরার্স অব শ্রীলঙ্কার সভাপতি হিসেবে তাকে নিযুক্ত করা হয়। জুলাই, ২০০৮ সালে জাতীয় ক্রিকেট দলের ম্যানেজার হন তিনি। কিন্তু ক্রীড়ামন্ত্রী গামিনি লোকুজের অনুমতিবিহীন হওয়ায় তার আপত্তিতে এ নিয়োগ বাতিল হয়।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

ইএসপিএনক্রিকইনফোতে হাসান তিলকরত্নে উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন (ইংরেজি)


পূর্বসূরী
সনাথ জয়াসুরিয়া
শ্রীলঙ্কান টেস্ট ক্রিকেট অধিনায়ক
২০০৩-২০০৪
উত্তরসূরী
মারভান আতাপাত্তু