রমেশ কালুবিতরাণা
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | রমেশ শান্ত কালুবিতরাণা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | কলম্বো, শ্রীলঙ্কা | ২৪ নভেম্বর ১৯৬৯|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | ছোট্ট কালু, ছোট ডিনামাইট | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | ব্যাটসম্যান, উইকেট-রক্ষক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৫২) | ১৭ আগস্ট ১৯৯২ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২৮ অক্টোবর ২০০৪ বনাম পাকিস্তান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ৬১) | ৮ ডিসেম্বর ১৯৯০ বনাম ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০০৪ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
– | সেবাস্টিয়ানিটেজ ক্রিকেট ও অ্যাথলেটিক ক্লাব | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
– | কোল্টস ক্রিকেট ক্লাব | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ক্রিকইনফো, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ |
রমেশ শান্ত কালুবিতরাণা (সিংহলি: රොමේෂ් කලුවිතාරණ; জন্ম: ২৪ নভেম্বর, ১৯৬৯) কলম্বোয় জন্মগ্রহণকারী শ্রীলঙ্কার সাবেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ১৯৯০ থেকে ২০০৪ সালের মধ্যে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের নিয়মিত সদস্য ছিলেন। দলে তিনি মূলতঃ উইকেট-রক্ষকের দায়িত্ব পালন করলেও ডানহাতে আগ্রাসী ব্যাটিং করে ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছেন। ১৯৯৬ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের শিরোপা বিজয়ী শ্রীলঙ্কা দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন রমেশ কালুবিতরাণা। এছাড়াও তিনি মালয়েশিয়া ক্রিকেট দলের অন্তর্বতীকালীন কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে সেবাস্টিয়ানিটিস ক্রিকেট ও অ্যাথলেটিক ক্লাব এবং কোল্টস ক্রিকেট ক্লাবে প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি।
দীর্ঘদিনের দলীয় সঙ্গী মুত্তিয়া মুরালিধরনকে সাথে নিয়ে শ্রীলঙ্কার উত্তরাঞ্চলের উন্নয়নে দাতব্য কর্মকাণ্ডে বেশ কয়েক বছর ধরে কাজ করছেন।
খেলোয়াড়ী জীবন[সম্পাদনা]
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ৪৯ টেস্ট ও ১৮৯টি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশ নিয়েছেন তিনি। খেলোয়াড়ী জীবনের শুরুতেই তাকে বেশ প্রতিশ্রুতিশীল ও সমৃদ্ধময় খেলায় অংশগ্রহণের দিকে ধাবিত করে। ১৯৯২ সালে শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত অভিষেক টেস্টেই ২৬ বাউন্ডারিতে অপরাজিত ১৩২* রান তুলেছিলেন যা তার ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ টেস্ট রান।[১] এরপর ১৯৯৬ সালে শ্রীলঙ্কা দল ক্রিকেট বিশ্বকাপ জয় করলেও পরবর্তীকালে নিজেকে মেলে ধরতে ব্যর্থ হন।
হ্যাট্রিকে সম্পৃক্ততা[সম্পাদনা]
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে তিনি টেস্টের তিনটি হ্যাট্রিকের সাথে নিজেকে জড়িয়ে রেখেছেন। তন্মধ্যে দুইবার নিজেই হ্যাট্রিকে পরিণত হয়েছেন ও একবার হ্যাট্রিক করতে সহায়তা করেছেন। ১৯৯৮-৯৯ মৌসুমে এশিয়ান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপের প্রথম আসরের তৃতীয় টেস্টে পাকিস্তানের ওয়াসিম আকরাম হ্যাট্রিক করেন। ৬ মার্চ, ১৯৯৯ তারিখে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের ঐ টেস্টে কালুবিতরাণা, বন্দরাতিল্লেকে ও বিক্রমাসিংহে তার শিকারে পরিণত হয়েছিলেন।[২] এরপর ২০০০ মৌসুমে সফরকারী পাকিস্তানের আব্দুল রাজ্জাকের হ্যাট্রিকেও নিজেকে সম্পৃক্ত করেন। গালে আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত সফরের দ্বিতীয় টেস্টে রাজ্জাক একে-একে কালুবিতরাণা, হেরাথ ও পুষ্পকুমারাকে ডিসমিসাল করে এ কৃতিত্ব অর্জন করেছিলেন।[৩] উভয়ক্ষেত্রেই কালুবিতরাণা পাকিস্তানি উইকেট-রক্ষক মঈন খানের হাতে কট দিয়েছিলেন।
১৯৯৯-২০০০ মৌসুমে জিম্বাবুয়ে সফরে নুয়ান জয়সাকে তার টেস্ট হ্যাট্রিক পূরণে সহায়তা করেন। ২৬ নভেম্বর, ১৯৯৯ হারারে স্পোর্টস ক্লাবে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় টেস্টে জয়সা ট্রেভর গ্রিপারকে এলবিডব্লিউ, মারে গুডউইনকে কালুবিতরাণা’র হাতে কট ও নিল জনসনকে আবারো এলবিডব্লিউ’র ফাঁদে ফেলে এ কৃতিত্ব গড়েছিলেন।[৪]
খেলার ধরন[সম্পাদনা]
দূর্বল শট নির্বাচন ও সুইং মোকাবেলায় ব্যর্থ হওয়ায় প্রায়শঃই নিজের উইকেট বিলিয়ে দিয়েছেন। একদিনের আন্তর্জাতিকে সনাথ জয়াসুরিয়া’র সাথে ব্যাটিং উদ্বোধনে নেমে ১৯৯৫-৯৬ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া সফরে বেশ সফলতা পান। প্রথম পনের ওভারের ফিল্ডিংয়ের সীমাবদ্ধতাকে কাজে লাগিয়ে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং কৌশলের জন্ম দেন। এরফলে খুব সহজেই অর্জুনা রানাতুঙ্গা’র নেতৃত্বাধীন ১৯৯৬ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে দলের শিরোপা অর্জনে সহায়ক ভূমিকা পালন করেন।
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ Statsguru, Cricinfo, 28 March 2010.
- ↑ "Asian Championship Test, 1998/99 – 3rd Test"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ৪ জানুয়ারি ২০১৩।
- ↑ "Pakistan tour of Sri Lanka, 2000 – 2nd Test"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ৪ জানুয়ারি ২০১৩।
- ↑ "Sri Lanka tour of Zimbabwe, 1999/00 – 2nd Test"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ৪ জানুয়ারি ২০১৩।
আরও দেখুন[সম্পাদনা]
- শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটার
- ১৯৬৯-এ জন্ম
- জীবিত ব্যক্তি
- শ্রীলঙ্কার টেস্ট ক্রিকেটার
- শ্রীলঙ্কান উইকেট-রক্ষক
- শ্রীলঙ্কার একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার
- ১৯৯৬ ক্রিকেট বিশ্বকাপের ক্রিকেটার
- ১৯৯৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপের ক্রিকেটার
- টেস্ট ক্রিকেট অভিষেকে সেঞ্চুরি করা ক্রিকেটার
- বাসনাহিরা সাউথের ক্রিকেটার
- কোল্টস ক্রিকেট ক্লাবের ক্রিকেটার
- গালে ক্রিকেট ক্লাবের ক্রিকেটার
- সেবাস্টিয়ানিটেজ ক্রিকেট ও অ্যাথলেটিক ক্লাবের ক্রিকেটার
- কলম্বো থেকে আগত ক্রিকেটার