রাসেল আর্নল্ড

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
রাসেল আর্নল্ড
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামরাসেল প্রেমাকুমারন আর্নল্ড
জন্ম (1973-10-25) ২৫ অক্টোবর ১৯৭৩ (বয়স ৫০)
কলম্বো, শ্রীলঙ্কা
ডাকনামরাস্টি
ব্যাটিংয়ের ধরনবামহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি অফ ব্রেক
ভূমিকাব্যাটসম্যান
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৬৮)
১৯-২৩ এপ্রিল ১৯৯৭ বনাম পাকিস্তান
শেষ টেস্ট১-৩ জুলাই ২০০৪ বনাম অস্ট্রেলিয়া
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ৯১)
৬ নভেম্বর ১৯৯৭ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা
শেষ ওডিআই২৮ এপ্রিল ২০০৭ বনাম অস্ট্রেলিয়া
টি২০আই অভিষেক
(ক্যাপ )
১৫ জুন ২০০৬ বনাম ইংল্যান্ড
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই টি২০আই
ম্যাচ সংখ্যা ৪৪ ১৮০
রানের সংখ্যা ১৮২১ ৩৯৫০
ব্যাটিং গড় ২৮.০১ ৩৫.২৬ ৭.০০
১০০/৫০ ৩/১০ ১/২৮ -/-
সর্বোচ্চ রান ১২৩ ১০৩
বল করেছে ১৩৩৪ ২১৫৭ -
উইকেট ১১ ৪০ -
বোলিং গড় ৫৪.৩৬ ৪৩.৪৭ -
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট - -
সেরা বোলিং ৩/৭৬ ৩/৪৭ -
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৫১/- ৪৮/- -/-
উৎস: ক্রিকইনফো, ২৩ আগস্ট ২০১৭

রাসেল প্রেমাকুমারন রাস্টি আর্নল্ড (তামিল: றசல் பிரேமகுமாரன் ஆர்னோல்ட்; জন্ম: ২৫ অক্টোবর, ১৯৭৩) কলম্বোয় জন্মগ্রহণকারী ও তামিল বংশোদ্ভূত শ্রীলঙ্কার সাবেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার[১] শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের পক্ষে টেস্ট ও একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশ নিয়েছেন তিনি। ‘রাস্টি’ ডাকনামে পরিচিত রাসেল আর্নল্ড মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলেছেন। বামহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে অফ ব্রেক বোলিং করতেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে নন্দেস্ক্রিপ্টস দলের প্রতিনিধিত্ব করেন।

খেলোয়াড়ী জীবন[সম্পাদনা]

খেলোয়াড়ী জীবনের শুরুতে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নামলেও পরবর্তীকালে মাঝারিসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে পরিচিতি পান। ১৯ এপ্রিল, ১৯৯৭ তারিখে সফরকারী পাকিস্তানের বিপক্ষে তার টেস্ট অভিষেক ঘটে। মার্চ, ১৯৯৯ সালে লাহোরে পাকিস্তানের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত টেস্টে নিজস্ব সর্বোচ্চ ১২৩ রানের শতক করেন। একই বছরের ৬ নভেম্বর লাহোরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওডিআই অভিষেক হয় তার। ডিসেম্বর, ১৯৯৯ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একদিনের আন্তর্জাতিকে নিজস্ব ১০৩ রান তুলেন। তবে টেস্টের তুলনায় সীমিত ওভারের ক্রিকেটেই অধিক সফলতা পেয়েছেন। ১৯৯৯ সালে এআইডব্লিউএ কাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নিজেকে মেলে ধরেন। এছাড়াও তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে টেস্ট সিরিজেও সফল হন।

২০০৩ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে দলের ব্যর্থতার পর বেশ কয়েকমাস দলের বাইরে ছিলেন। কিন্তু, ঘরোয়া ক্রিকেটে দূর্দান্ত ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করে দলে ফিরে আসেন। দলের বিপদের সময় অত্যন্ত শান্ত ও ঠাণ্ডা মাথায় পরিস্থিতি মোকাবেলায় যথেষ্ট ভূমিকা রাখেন। দলীয় সদস্যদের কাছে তিনি নিঃস্বার্থ ক্রিকেটার হিসেবে বিবেচিত হন। ৬ নম্বরেই অধিক সফল হন তিনি। মুত্তিয়া মুরালিধরনের ন্যায় তিনিও তামিল বংশোদ্ভূত মেথডিস্ট খ্রিস্টান।[২]

রোশন মহানামাপ্রমোদ্যা বিক্রমাসিংহের কাছ থেকে ‘রাস্টি’ ডাকনাম লাভ করেন।

অবসর[সম্পাদনা]

২০০৭ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপ ফাইনাল শেষে এপ্রিল, ২০০৭ সালে দলীয় ম্যানেজার মাইকেল তিসেরা’র মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন। এর কারণ হিসেবে সফরজনিত ক্রমবর্ধমান চাপের কথা জানান। অবসর নেয়ার পর সিডনির এ-গ্রেড ক্রিকেটে হর্নসবি ডিস্ট্রিক্ট ক্রিকেট ক্লাবে খেলেন। পাশাপাশি, মেলবোর্ন সুপার কিংসেরও প্রতিনিধিত্ব করেন। এছাড়াও, সিডনির উত্তরে বার্কার কলেজে কোচিং করান।

বর্তমানে তিনি টেলিভিশন ভাষ্যকার হিসেবে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। এছাড়াও আইল্যান্ড ক্রিকেটে সাপ্তাহিকভিত্তিতে লিখে থাকেন।[৩] ২০১২ সালে আইফোন অ্যাপে ‘আস্ক রাস্টি’ শিরোনামে অ্যাপ প্রকাশ করেন যাতে তার সমর্থকেরা সরাসরি তাকে প্রশ্ন করতে পারেন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Russel Arnold's Cricinfo Profile"Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ 2015-7-10  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
  2. "'Jayasuriya is King Midas'"http://www.rediff.com Rediff.com। ১৮ জুলাই ২০০৩। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ডিসেম্বর ২০০৮  |প্রকাশক= এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য)
  3. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২৫ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ জুলাই ২০১৫ 

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]