হুগলি জেলা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Partha Sarathi Nandi (আলোচনা | অবদান)
→‎প্রসিদ্ধ স্থান: বানান সংশোধন।
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
Partha Sarathi Nandi (আলোচনা | অবদান)
→‎শিক্ষা: বিষয়বস্তু যোগ
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
১০২ নং লাইন: ১০২ নং লাইন:
*''' [[মহসিন কলেজ]]' '''
*''' [[মহসিন কলেজ]]' '''
*''' [[শ্রীরামপুর কলেজ]] '''
*''' [[শ্রীরামপুর কলেজ]] '''
নিম্নে হুগলি জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বর্তমান পরিসংখ্যান দেওয়া গেল।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংখ্যা
মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ০৩
মহাবিদ্যালয় ২৭
মুক্ত মহাবিদ্যালয় ০৬
প্রাথমিক বিদ্যালয় ৩০২৭
মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৩৬৫
উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় ২৮০


== বহিঃসংযোগ ==
== বহিঃসংযোগ ==

১৮:০৪, ৭ এপ্রিল ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

হুগলী জেলা
হুগলী
পশ্চিমবঙ্গের জেলা
পশ্চিমবঙ্গে হুগলীর অবস্থান
পশ্চিমবঙ্গে হুগলীর অবস্থান
দেশভারত
রাজ্যপশ্চিমবঙ্গ
প্রশাসনিক বিভাগবর্ধমান
সদরদপ্তরচুঁচুড়া
সরকার
 • লোকসভা কেন্দ্রআরামবাগ (১টি বিধানসভা কেন্দ্র পশ্চিম মেদিনীপুরে ), হুগলি, শ্রীরামপুর (২টি বিধানসভা কেন্দ্র হাওড়ায়)
 • বিধানসভা আসনহরিপাল, তারকেশ্বর, পুরশুড়া, আরামবাগ (ত.জা.), গোঘাট(ত.জা.), খানাকুল, সিঙ্গুর, চন্দননগর, চুচুঁড়া, বলাগড় (ত.জা.), পাণ্ডুয়া, সপ্তগ্রাম, ধনেখালি(ত.জা.), উত্তরপাড়া, শ্রীরামপুর, চাঁপদানি, চণ্ডীতলা, জঙ্গীপাড়া
জনসংখ্যা (২০০১)
 • মোট৫০,৪১,৯৭৬
জনতাত্ত্বিক
 • সাক্ষরতা৭৫.৫৯ শতাংশ
 • লিঙ্গানুপাতপুরুষ ৫১.৩৫ শতাংশ, মহিলা ৪৮.৬৫ শতাংশ
প্রধান মহাসড়কNH 2, NH 6, Grand Trunk Road
গড় বার্ষিক বৃষ্টিপাত১,৫০০ মিমি
ওয়েবসাইটদাপ্তরিক ওয়েবসাইট

হুগলী জেলা ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের অন্তর্গত বর্ধমান বিভাগের একটি জেলা। হুগলী নদীর নামে এর নামকরণ করা হয়েছে। জেলাটির সদর চুঁচুড়া-তে অবস্থিত। জেলাটির চারটি মহকুমা রয়েছে: চুঁচুড়া সদর, চন্দননগর, শ্রীরামপুর, ও আরামবাগ

ব্যান্ডল গির্জা

হুগলী জেলার ভাষাসমূহ ২০১১ [১].[২]

  বাংলা (৮৭.৪৯%)
  হিন্দী (৭.৭৭%)
  উর্দু (১.৭২%)
  সাঁওতালী (২.৩৭%)
  অন্যান্য (০.৬৫%)

ইতিহাস

বর্ধমানের দক্ষিণাংশকে বিচ্ছিন্ন করে ১৭৯৫ সালে ইংরেজরা প্রশাসনিক কারণে হুগলি জেলা তৈরি করে ছিল। হাওড়া তখনও হুগলী জেলার অংশ ছিল। জেলা বলতে কতগুলি থানার সমষ্টি। মহকুমার ধারণা তখনও জন্ম নেয়নি। এই জেলার দক্ষিণাংশ নিয়ে হাওড়া স্বতন্ত্র জেলা হিসাবে দেখা দিয়েছিল ১৮৪৩ সালের ২৭শে ফেব্রুয়ারি। ১৮৭২ সালের ১৭ই জুন ঘাটাল ও চন্দ্রকোনা থানা মেদিনীপুরের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল।

হুগলী ইমামবাড়া

প্রাচীনকালে সুহ্ম বা দক্ষিণ রাঢ়ের অন্তর্ভুক্ত ছিল হুগলি জেলা। নদী, খাল, বিল অধ্যুষিত এই অঞ্চল ছিল কৈবর্ত ও বাগদিদের আবাসস্থল। এদের উল্লেখ রয়েছে রামায়ন, মহাভারত, মনুসংহিতা এবং পঞ্চম অশোকস্তম্ভ লিপিতে। মৎস্য শিকারই ছিল এদের প্রধান জীবিকা।

১৪৯৫ সালে বিপ্রদাস পিল্লাই রচিত মনসামঙ্গল কাব্যে হুগলী নামের উল্লেখ দেখা যায়। এর থেকে বোঝা যায় জেলার নামকরণ বিদেশীকৃত নয়। কারণ এই রচনা কালের ২২ বছর পর পর্তুগিজরা বাংলায় প্রবেশ করেছিল। ১৫৯৮ সালে রচিত আবুল ফজলের আইন-ই-আকবরি গ্রন্থেও হুগলি নামের স্পষ্ট উল্লেখ আছে। ত্রিবেনীতে অবস্থিত জাফর খাঁর মসজিদ ও তার মাদ্রাসায় উল্লিখিত প্রতিষ্ঠা তারিখ থেকে অনুমান করা যায় ১২৯৮ সালে জেলার উত্তারংশ মুসলমান শাসনভুক্ত হয়েছিল। ত্রিবেনী ও সাতগাঁ(সংস্কৃতে সপ্তগ্রাম)পরে ছিল স্থানীয় মুসলমান শাসকদের সদর কার্যালয়। সাতগাঁয়ে এই সময় কার একটা টাঁকশাল ছিল। ১৫১৭ সালে পর্তুগিজরা ব্যবসায়িক প্রয়োজনে বঙ্গদেশে প্রবেশ করে। ১৫৩৬ সালে সুলতান মাহমুদ শাহের দেওয়া সনদের বলে পর্তুগিজরা ব্যবসা শুরু করে সপ্তগ্রামে। ষোড়শ শতকের মাঝামাঝি সময় থেকে পলি জমে সরস্বতী নদীর নাব্যতা নষ্ট হয়ে ভাগীরথীর খাতে এই প্রবাহ পরিবর্তিত হলে পর্তুগিজরা ভাগীরথীর তীরে হুগলি বন্দর গড়ে তোলে। ১৮২৫ সালে ওলন্দাজ ও ১৬৩৮ ইংরেজ এই বন্দরে ব্যবসা শুরু করেছিল। ওলন্দাজরা পরে চুচুঁড়ার দখল পায় নবাবদের আনুকূল্যে। ১৮২৫ সালের ৭ই মে চুচুঁড়া ইংরেজদের দখলে আসে। চুচুঁড়ার নিকটবর্তী চন্দননগর ছিল ফরাসীদের দখলে। ১৮১৬ সালের পর থেকে চন্দননগর নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে ফরাসীদের হাতে ছিল। ১৯৫০ সালের ২রা মে এই শহর ভারত সরকারের কর্তৃত্বাধীন আসে। আর শ্রীরামপুর নগরী ছিল ১৭৫৫ থেকে ১৮৪৫ পর্যন্ত দিনেমারদের দখলে।

অর্থনীতি ও শিল্পে উন্নত হলেও জেলার ৫০ % মানুষ কৃষির উপর নিরভারশীল। সমগ্র আরামবাগ মহকুমা ও জাঙ্গীপারা, পাণ্ডুয়া, ধনিয়াখালি এগুলি কৃষি ভিত্তিক। এছাড়াও সপ্তগ্রাম বর্তমানে আদিসপ্তগ্রাম, ব্যান্ডেল ও হুগলী ছিল পোর্তুগিজদের উপনিবেশ।

ভাষা

পশ্চিমবঙ্গকে পাঁচটি উপভাষা অঞ্চলে ভাগ করা হয়েছে। সমগ্র হুগলি জেলা রাঢ়ী উপভাষা অঞ্চলের মধ্যে অবস্থান করে। বর্ধমান, বীরভূম, হাওড়া, নদিয়া, কলকাতা, মুর্শিদাবাদ জেলা জুড়ে রাঢ়ী অঞ্চলের বিস্তার। স্থানভেদে রাঢ়ী উপভাষার রূপভেদ আছে। রাঢ়ীকে মূল দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে – পশ্চিম রাঢ়ী ও পূর্ব রাঢ়ী। হুগলি জেলা পূর্ব রাঢ়ীর অন্তর্গত। পূর্ব রাঢ়ীর উপরেই বাংলা মান্যভাষা প্রতিষ্ঠিত। উপভাষা যেমন জেলা ভেদে ভিন্নতা চোখে পড়ে, তেমনি জেলার বিভিন্ন প্রান্তের মধ্যে পার্থক্য লক্ষ করা যায়। রাঢ়ীর বিভাষা (Sub-dialect) অঞ্চল হল হুগলি। মৌখিক উপভাষা স্থানভেদে যেমন ভিন্ন হয় তেমনি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অবস্থানের কারণে আলাদা হতে পারে। হুগলির সীমানায় বর্ধমান, বাঁকুড়া, নদীয়া, উত্তর ২৪ পরগণা, মেদিনীপুর ও হাওড়া জেলা অবস্থান করছে, তাই ওই সমস্ত জেলার ভাষার প্রভাব সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলিতে পড়েছে। আদীবাসী অধুষ্যিত অঞ্চলে সাঁওতাল, কোঁড়া, মুণ্ডারি ভাষা প্রচলিত। শহরাঞ্চলে হিন্দিভাষীর বসবাস দেখা যায়।

গ্রীয়ারসন সাহেব প্রথম বাংলা উপভাষা অঞ্চলকে জরিপ করেন। তিনি সমগ্র বাংলাকে দুটি ভাগে ভাগ করেন। Western ও Estern। প্রথমটির কেন্দ্র কলকাতা, দ্বিতীয়টির ঢাকা। হুগলি নদীর তীরবর্তী হুগলি জেলার ভাষাকেই পশ্চিমা উপভাষার আদর্শ রূপ বলে অভিমত জানিয়েছেন।

পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ-পশ্চিম ভাগে বর্ধমান বিভাগের অন্তর্গত একটি বিস্তৃত সমভূমি অঞ্চলের নাম রাঢ়। এর সীমানা পশ্চিমে ছোটনাগপুর মালভূমির প্রান্তভাগ থেকে পূর্বে গাঙ্গেয় বদ্বীপ অঞ্চলের পশ্চিম সীমানা পর্যন্ত বিস্তৃত। এই অঞ্চল ঈষৎ ঢেউ খেলানো ও এর ঢাল পশ্চিম থেকে পূর্বদিকে।

‘রাঢ়’ শব্দটি এসেছে সাঁওতালি ভাষার ‘রাঢ়ো’ শব্দটি থেকে, যার অর্থ ‘পাথুরে জমি’। অন্যমতে, গঙ্গারিডি রাজ্যের নাম থেকে এই শব্দটি উৎপন্ন। সুপ্রাচীনকাল থেকেই এই অঞ্চল বাংলার সাংস্কৃতিক জগতের অন্যতম প্রধান অবদানকারী।

প্রাচীন সংস্কৃত সাহিত্যেও রাঢ়ের উল্লেখ পাওয়া যায়। মহাভারতে সুহ্ম ও তাম্রলিপ্তকে পৃথক করে দেখা হলেও গুপ্ত শাসনে রচিত দণ্ডীর ‘দশকুমারচরিত’-এ বলা হয়েছে ‘সুহ্মেষু দামলিপ্তাহ্বয়স্য নগরস্য’। অর্থাৎ দামলিপ্ত (তাম্রলিপ্ত) সুহ্মেরই একটি নগর ছিল। ধোয়ীর পবনদূত কাব্যে রাঢ় প্রসঙ্গে বলা হয়েছে – গঙ্গাবীচিপ্লুত পরিসরঃ সৌধমালাবতংসো বাস্যতুচ্চৈ স্তুয়ি রসময়ো বিস্ময়ং সুহ্ম দেশঃ। অর্থাৎ, ‘যে-দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চল গঙ্গাপ্রবাহের দ্বারা প্লাবিত হয়, যে দেশ সৌধশ্রেণীর দ্বারা অলংকৃত, সেই রহস্যময় সুহ্মদেশ তোমার মনে বিশেষ বিস্ময় এনে দেবে।’ পরবর্তীকালে রচিত ‘দিগ্বিজয়-প্রকাশ’-এ বলা হয়েছে – গৌড়স্য পশ্চিমে ভাবে বীরদেশস্য পূর্বতঃ। দামোদরোত্তরে ভাগে সুহ্মদেশঃ প্রকীর্তিতঃ। অর্থাৎ, গৌড়ের পশ্চিমে, বীরদেশের (বীরভূম) পূর্বে, দামোদরের উত্তরে অবস্থিত প্রদেশই সুহ্ম নামে খ্যাত।

এই সব বর্ণনার প্রেক্ষিতে বর্তমান হুগলি জেলাকেই প্রাচীন রাঢ়ের কেন্দ্রস্থল বলে অনুমান করা হয় এবং এর সীমানা বীরভূম থেকে মেদিনীপুর পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল বলে ধারণা।

হুগলি জেলার ভাষায় ক্রিয়ার সাথে 'উনি'বা 'লুম'প্রত্যয় যুক্ত হতে দেখা যায়। যেমন - খাবুনি,যাবুনি,করবুনি,শোবুনি,খেলুম, গেলুম ইত্যাদি। কখনো ক্রিয়ার সংক্ষিপ্ত রূপের প্রয়োগ ঘটে। যেমন - চললাম> চললুম> চননু,বননু,করনু ইত্যা। কিছু শব্দ প্রয়োগ এখানের আঞ্চলিক বৈশিষ্ট্যকে তুলে ধরেছে। যেমন - বাকুল(বাড়ির অন্দরমহল),মোদ্দার (দরজার চৌকা), লাদ (গরু বা মহিষের বিষ্ঠা),পাট-সারা (কাজ শেষ করা) ইত্যাদি।

বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব

প্রসিদ্ধ স্থান

  • ফুরফুরা শরীফ  : জাঙ্গিপাড়া সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের অন্তর্গত ফুরফুরা গ্রামে বিখ্যাত পির (সুফি বা সাধক) আবুবকর সিদ্দিক বা দাদাহুজুরের জন্ম । তিনি একজন সমাজসংস্কারক বা মোজাদ্দেদ ছিলেন । বর্তমানে ফুরফুরা হুগলী, হাওড়া, ঊঃ ও দঃ চব্বিশ পরগনা প্রভৃতি জেলার মানুষের কাছে পবিত্র স্থান বলে পরিচিত।বছরে একবার তিনদিনব্যাপী মহফিল বা পীরমেলা হয় ।
  • হুগলী ইমামবাড়া  :
  • ব্যান্ডল চার্চ  :
  • কামারপুকুর
  • তারকেশ্বর

শিক্ষা ও স্বাস্থব্যবস্থা

শিক্ষা

প্রশিদ্ধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান :

নিম্নে হুগলি জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বর্তমান পরিসংখ্যান দেওয়া গেল। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংখ্যা মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ০৩ মহাবিদ্যালয় ২৭ মুক্ত মহাবিদ্যালয় ০৬ প্রাথমিক বিদ্যালয় ৩০২৭ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৩৬৫ উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় ২৮০

বহিঃসংযোগ

তথ্যসূত্র

  1. http://www.censusindia.gov.in/2011census/C-16.html
  2. "DISTRIBUTION OF THE 22 SCHEDULED LANGUAGES-INDIA/STATES/UNION TERRITORIES - 2011 CENSUS" (পিডিএফ)। সংগ্রহের তারিখ ২৯ মার্চ ২০১৬ 
  3. সীতাপুর এন্ডাওমেন্ট,TwoCircles.net ।