পান্ডুয়া, মালদহ জেলা
বিকল্প নাম | হযরত পান্ডুয়া, ফিরুজাবাদ |
---|---|
অবস্থান | পশ্চিমবঙ্গ, ভারত |
ধরন | Settlement |
ইতিহাস | |
প্রতিষ্ঠিত | ১৪ তম শতক |
পরিত্যক্ত | ১৫ তম শতক |
পাণ্ডুয়া বাংলার প্রাচীন রাজধানী। সুলতান সামসুদ্দিন ইলিয়াশ শাহ্ এর আমলে (১৩৪২-১৩৫৮) পাণ্ডুয়া বাংলার রাজধানী ছিল। বর্তমান ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মালদা শহরের ১২ মাইল উত্তরে এবং আরেক প্রাচীন নগর গৌড় হতে ২০ মাইল দূরে অবস্থিত।
নামকরণ[সম্পাদনা]
গৌড় এর মতো প্রাচীন আর প্রসিদ্ধ না হলেও পান্ডু নগরীতে প্রচুর হিন্দু দেবদেবীর মূর্তীর ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে। এছাড়াও এখানে বহু প্রাচীন স্থাপনারও অস্তিত্ব আছে। ১৩৫৩ সালে সুলতান ইলিয়াশ শাহ্ এর নামকরণ করেন ফিরুজাবাদ। এই নামকরণ সম্ভবত বাংলার আর এক স্বাধীন সুলতান ফিরুজ শাহ্ (১৩১১-১৩২২) এর নাম অনুসারে করা হয়েছিল। শের শাহ্ এর আমলের রৌপ্যমুদ্রা থেকে জানা যায় যে, ১৫৪০ থেকে ১৫৪৫ সাল পর্য়ন্ত পান্ডুয়ায় টাকশাল ছিল। পান্ডয়া নগরীর আদূরে জালাল উদ্দিন তবরীজি ও নূর কুতুব আলম নামে দুইজন দরবেশের খানকাহ আছে। যার কারণে এলাকাটি হযরত পান্ডূয়া নামেও প্রসিদ্ধ। বলা হয় যে পান্ডুয়ার নাম করান হয় পান্ডুইয়া>পান্ডুভিয়া থেকে। যদিও কানিংহামের মতে পাণ্ডুবিস নামক জলজ পাখির নাম হতেই পাণ্ডুয়ার নামকরণ হয়।
পুরা নিদর্শন[সম্পাদনা]
অতীতের সাক্ষ্য বুকে নিয়ে আদিনা মসজিদ, একলাখী সমাধীসৌধ, পীর-দরবেশদের সমাধীসৌধ, দনুজ দীঘি এবং সতাশগড় দীঘি প্রভৃতি পুরা নিদর্শন আজ অবধি বিদ্যমান আছে।
সাহিত্যে প্রভাব[সম্পাদনা]
কোনো অতি সাধারণ ব্যক্তি অতি সাধারণ ও প্রত্যন্ত স্থানে থাকাকালীন কোনো বিশেষ বা গুরুত্বপূর্ণ বা অত্যন্ত উচ্চ পর্যায়ের কোনো বিষয়ে জানতে চাইলে, কটাক্ষ করে বলা হতো, “পিঁড়েয় বসে পেঁড়োর খবর”। এই ‘পেঁড়ো’ই হলো পাণ্ডুয়া এর বিকৃত রূপ। অর্থাৎ, একজন ব্যাক্তি পিঁড়িতে বসে পাণ্ডুয়া এর খবর নিচ্ছেন।
বহি:সংযোগ[সম্পাদনা]
- [১] বাংলাপেডিয়া